নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো এগিয়ে যাই.......

দয়াল সাহেব

চলো এগিয়ে যাই.......

দয়াল সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিফ প্রসিকিউটর পুত্র আশিষের মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:২১









মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু’র একমাত্র পুত্র আহমেদ আরিফ

ইফতেখার আশিষের অকালমৃত্যু নিছক চিকিৎসাজনিত অবহেলা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এ নিয়ে তার চেহলামের পর চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও রাজশাহীজুড়ে সন্দেহসহ নানা রহস্য, জল্পনা-কল্পনা দানা বেঁধেছে। কারও প্রশ্ন পিতা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হওয়ার কারণে আশিষের মৃত্যুর নেপথ্যে কোন অদৃশ্য শক্তির হাত কাজ করেনি তো? কিন্তু পরিবারসহ নানা মহলে দীর্ঘ অনুসন্ধান করে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা রহস্যময় নয়, রীতিমতো অবিশ্বাস্য ও ভয়ঙ্কর। মৃত্যুর নেপথে স্ত্রী ইলোরার পরকীয়া ও শ্বশুর বাড়ির নির্যাতন কারণ হতে পারে।

জানা যায়, উপশহরের তিনতলা বাড়িটিতে আশিষ একাই থাকতেন। স্ত্রী ইলোরা থাকেন চাঁপাই নবাবগঞ্জে। বদলি হয়ে রাজশাহী আসার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও রাজি হননি। মা-বাবা ঢাকার বেইলি রোডের মিনিস্টার এপার্টমেন্টে বাস করেন। বড় চার বোনের একজন চট্টগ্রামে, দু’জন ঢাকায় এবং অন্যজন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিন বাপ-চাচার মধ্যে আশিষই ছিলেন একমাত্র পুত্র সন্তান। ১৫ই জুন সারাদিন মেয়র প্রার্থী লিটনের জন্য উপশহর কেন্দ্র কাজ করে রাতে তার জ্বর আসে। শহরজুড়ে তিনি ছিলেন এক জনপ্রিয় তরুণ, যার কোন শত্রু নেই। ভদ্র ও মিষ্টি ব্যবহারে ছোট-বড় সবাইকে তিনি মুগ্ধ করে রাখতেন।

১৬ই জুন শাশুড়ির টেলিফোন পেয়ে আশিষকে দেখতে তার স্ত্রী তানজিমা মনিম ইলোরা চৌধুরী চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে আসেন রাত ১০টায়। রাত সাড়ে ১০টায় ফের পুত্রের সঙ্গে কথা বলতে মা টেলিফোন করলে ইলোরা ফোন ধরে জানায়, আশিষ ওষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে- সে ভাল আছে। সেই রাতেই তার সেজো বোন ঢাকা থেকে ফোন করলে আশিষ বলেছিল, আপারে, শরীরটা খারাপ, খুব কষ্ট পাচ্ছি। আপা বলেছিলেন, রাজশাহীতে ডাক্তার দেখিয়ে ঢাকা চলে আয়। ইলোরাকেও ঢাকা নিয়ে যেতে বলেছিল। জবাবে ইলোরা বলেছিল, ১০ বছরে ১০ বার তোমার ভাইয়ের ভাইরাল ফিভার হয়। এটা নতুন কিছু নয়। ১৭ই জুন সকালে আশিষের ছোট আপা ফোন করলে ইলোরা জানায়, আশিষ ভাল আছে। কিন্তু তাকে ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেয়নি। ইলোরা বলেছিল, সেদিন তাকে চাঁপাই নবাবগঞ্জ নিয়ে চলে যাবো। বোন বলেছিল, রাজশাহীতে মেডিসিনের একজন অধ্যাপক দেখাও। ইলোরার জবাব ছিল, মেডিসিনের কোন ডাক্তার আমি চিনি না। এতে আশিষের ছোট আপা বলেছিল, তুমি থামো, আমি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ১৫ মিনিটের মধ্যে তোমাকে জানাচ্ছি। ১৫ মিনিট পর ফের ইলোরাকে ফোন করলে সে গাড়িতে এবং সে সংযোগ কেটে দেয়। চাঁপাই নবাবগঞ্জে ১৮ই জুন রাত সাড়ে ৮টায় ইলোরা আশিষকে আনোয়ার ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যায়। অন্যদিকে ঢাকা থেকে শাশুড়ি-ননদরা বলতে থাকে আশিষ ভাল আছে, আশিষ ঘুমাচ্ছে, সে কথা বলতে চাইছে না। কিন্তু আশিষের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলেও ইলোরা ও তার বাবা-মা আশিষের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেননি।

অন্যদিকে আশিষের মা-বাবা বা বোনদেরও জানায়নি। ২০শে জুন ফের আনোয়ার ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেন। কিন্তু গায়ে প্রচণ্ড জ্বর, ব্যথা ও কাঁশি না কমার কারণে তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে ২১শে জুন সকালে মেডিসিন ও হূদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ওমর ফারুকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ডা. ওমর ফারুক প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশনসহ প্যাথোলজি ও ডিজিটাল এক্স-রে টেস্ট দেন। প্রয়োজনে তাকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পরের দিন ২২শে জুন ডাক্তার ওমর ফারুক ইলোরার বাবা মনিম-উদ-দৌলাকে ফোন করে জানতে পারেন ডিজিটাল এক্স-রে করা হয়নি। সেই দিন রাতেই ডাক্তার ওমর ফারুক ইস্তাম্বুল চলে যান এবং ফিরে এসে শুনেন আশিষ মারা গেছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার ওমর ফারুক জানান, আশিষের মৃত্যু হওয়ার মতো কোন অসুখ হয়নি।

এদিকে ২১শে জুন রাতে পার্শ্ববর্তী নার্স শিরিন (এক সময় চৌধুরীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো) আশিষকে ইনজেকশন পুশ করলে তার জ্বর কমে যায়। কিন্তু পাতলা পায়খানা শুরু হতে থাকে। সঙ্গে রক্ত যায়। তাকে যে নার্স ইনজেকশন পুশ করেছে সে ইলোরাদের বাড়িতেই বড় হয়েছে। এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তারপরও আশিষের বাবা-মাকে একমাত্র ছেলেটির এই করুণ অবস্থা জানতে দেয়া হয়নি। ইলোরাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, আশিষকে আলো-বাতাসহীন স্যাঁতসেঁতে ঘরে ইলোরার পরিবার ফেলে রেখেছিল। আশিষের যখন খুশখুশে কাঁশি উঠতো তখন ইলোরা ও তার মা’র ধমক শুরু হতো। এ সময় প্রতিবেশী মহিলারা বলতেন, ছেলেটিকে ভাল ডাক্তার দেখাও না হলে তার বাবা-মাকে খবর দাও। কিন্তু প্রবিশেীদের সেই কথাকে গুরুত্ব দেয়নি ইলোরার পরিবার। ২২শে জুন আশিষের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তার শ্বাসকষ্ট, শারীরিক দুর্বলতা এমনকি কথা বলার শক্তিও হারাতে থাকে। ২৩শে জুন আশিষের বড় আপা ইলোরার সঙ্গে কথা বলে শক্তভাবে আশিষকে চায়। এ সময় তোকে ফোন দেয়া হলে আশিষ ক্ষীণকণ্ঠে শুধু বলেছিল, বড় আপা আমি ভাল আছি। জবাবে বড় আপা বলেছিলেন, মনে হচ্ছে তুমি ভাল নাও, তুমি ঢাকা যাও। একইদিন আশিষের এক ফুফাতো ভাই আশিষকে দেখতে গেলে তার অবস্থা দেখে বলেছিল তুমি আজকেই ঢাকা চলে যাও। আশিষ বলেছিল, কালকে নিয়ে যাবে। কিন্তু ফুফাতো ভাই তাকে সেই দিনই ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য ইলোরাকে বললে, ইলোরা ঝাঁঝিয়ে বলেছিল, আজ নয় কালকেই যাব। ২৪শে জুন সকাল ১১টায় ইলোরার পিতা মনিম-উদ-দ্দৌলা চৌধুরী ফোন করে আশিষের পিতা গোলাম আরিফ টিপুকে প্রথম জানালো, আপনার ছেলে ওষুধপত্র খায় না, কারও কথা শুনছে না। আপনার ছেলেকে কি করবেন করেন, এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে ছেলের মোবাইল ফোনে ফোন করলে আশিষ শুধু বলেছিল, আব্বা আমি নেই, মাকে দেখতে ইচ্ছা করছে, মাকে নিয়ে চলে আসো। তখন পিতা তাকে বললেন, আমি সব ব্যবস্থা করছি, তুমি রাজশাহী চলে এসো এবং সেখান থেকে ঢাকা চলে আসবে। এ সময় পিতা গোলাম আরিফ টিপু উদভ্রান্তের মতো ছেলেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যাধুনিক এম্বলেন্সের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ইলোরার বাবা-মা নির্দয়ের মতো এম্বুলেন্সের বদলে মাইক্রোবাসে করে চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী নিয়ে আসে। রাজশাহী মেডিকেলে আনার পর প্রিন্সিপাল ও পরিচালক গোলাম আরিফ টিপুর টেলিফোন পেয়ে অক্সিজেন সাপোর্ট এম্বুলেন্সের আয়োজন করে। মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেছিলেন, তার অবস্থার স্ট্রাবল হলেই তাকে ঢাকা পাঠিয়ে দিতে। সেসময় অনেক চিকিৎসক বলেছিলেন, রোগীর শরীরের যা অবস্থা তাতে তাকে ঢাকা পাঠানোর মতো নয়।

কিন্তু একটি সূত্র জানায়, রাজশাহী মেডিকেল অফিসার জামায়াত ঘেঁষা বলে পরিচিত নাকি এই বলে পাঠিয়েছিলেন যে, এই রোগীর অবস্থা ভাল নয়, এখানে সে মারা গেলে টিপু উকিল সবাইকে জেল খাটাবে। আইসিইউ খালি না থাকায় শ্বাসকষ্টের পরও তাকে সাধারণ বেডে রাখা হয়। আশিষের সঙ্গে ইলোরার বাবা-মা’তো সঙ্গে আসেইনি, ইলোরার সঙ্গে বাড়ির দফাদারকে রাজশাহী মেডিকেল থেকে বেলা ৩টায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। নাটোর এসে বেলা ৪টার দিকে অসুস্থ আশিষ টয়লেট যেতে চাইলে তাকে নামানো হলেও ইলোরা নামেনি। টয়লেটে পড়ে গেলে আশিষকে নাটোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে। এ সময় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্বামীর মৃত্যুর পর ইলোরা না ছিল অশ্রুসজল, এমনকি তার চেহারায় ছিল না কোন শোকের চিহ্ন। রাজশাহীর উপ-শহরে লাশ রাখা হলেও ইলোরা বা তার বাবা-মা ছিল না অশ্রুসজল। আশিষের চাচা, খালা, বোনেরা আসার আগেই ইলোরা দোতলায় এসে তার রুম আটকে বেশকিছু কাগজপত্র ও ফাইল সরিয়ে নেয়। এমনকি তার স্বাভাবিক হাঁটা-চলা এবং গোটাবাড়ি মা-বোনের কান্নায় যখন শোকের কারবালা তখন আশিষের মোবাইল তার মেমোরি কার্ড গায়েব হয়ে যায়। পুত্রহারা মা ইলোরার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তার ছেলের পরনের শেষ কাপড়গুলো কোথায়? ইলোরার জবাব ছিল, লাশের গোসল শেষে ওইসব তার মায়ের কাছে দিয়ে দিয়েছে। একথা শুনে সবাই অবাক! আশিষ নিয়মিত ডায়েরি লিখতো বিভিন্ন প্যাডে সিটিও গায়েব। একটি নোট প্যাডে পাওয়া গেছে তার কিছু বেদনার কথা। আর একটি প্যাডের খসে পড়া বোর্ডে অনেক আগে লেখা আশিষের মন্তব্য পাওয়া গেছে। আশিষ লিখেছিল, ইলোরা খুনি, ইলোরা আমাকে খুন করেছে। আশিষ অনেকের সঙ্গে তার জীবনের বেদনার কথা শেয়ার করেছে। আশিষ তার বড় আপার একমাত্র মেয়ে, পারমিতাকে ২০১০-১১ সালে বলেছিল তার স্ত্রী পর পুরুষে আসক্ত। সে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করেছিল, তাই কাগজপত্র তৈরি করেও তাকে ডিভোর্স দিতে পারেনি। ইলোরা নাকি বলতো তাকে ডিভোর্স দেবে এবং তার শ্বশুর-শাশুড়িসহ আশিষকে ফাঁসিয়ে মরবে। এমনকি অনেকেই বলেছেন, তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই বছর স্বামী-স্ত্রীর কোন সম্পর্কই ছিল না। শুধু পারমিতাই নয়, আশিষ তার ভাগ্নে-ভাগ্নিসহ অনেককেই বলেছে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত সে বাঁচতে চায়। তার অনেক কাজ বাকি আছে। এর আগে তার মৃত্যু হলে বুঝতে হবে সেটি অপমৃত্যু, তাকে শ্লো-পয়জনে হত্যা করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, আশিষ ইলোরার সঙ্গে অন্য কারও এমন কিছু দেখে ফেলেছিল যা ফাঁস হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে তার মৃত্যুর আগে তার অসুস্থের খবর তার পরিবারকে জানানো হয়নি।

বাড়ির সবার আদরের ছেলে আশিষের সঙ্গে পরিবারের সবার আপত্তি সত্ত্বেও ডিভোর্সি ইলোরার বিয়ে হয়েছিল পুত্রের ইচ্ছা ও ভালবাসাকে প্রাধান্য দিতে। আশিষ ভালবেসে অন্ধের মতো ইলোরাকে বিয়ে করলেও বিয়ের আগেই তার চাঁপাই নবাবগঞ্জের পঞ্চশোর্ধ ম্যাট্রিক ফেল শফিকুলের সঙ্গে সখ্যতা যা বিয়ের পর গভীর পরকীয়া প্রেমে গড়ায়। আর তাই শফিকুলের জন্য ইলোরা বাপের বাড়িতে বসত গড়ে। শফিকুলের সঙ্গে চাঁপাই নবাবগঞ্জ শহরবাসী সেই সময়-অসময় ইলোরাকে মোটরসাইকেল ও রিকশায় অবাধে চলাফেরা করতে দেখে। ইলোরার বাবা মনিম-উদ-দ্দৌলা ও মা বিলকিস চৌধুরীর কারণে তাদের বাড়িতে ওই বখাটে পুরুষের প্রায় দেড় যুগ ধরে সকাল-সন্ধ্যা অবাধ যাতায়াত থাকলেও তাদের সঙ্গে সব পরিবারের সামাজিক যাতায়াত নেই বললেই চলে। ইলোরার মা দাম্ভিক বিলকিস চৌধুরী বদমেজাজী মহিলা হিসেবে পরিচিত। ইলোরার চরিত্রের এই কালো দিকটির কারণে তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে প্রায় দুই আড়াই বছরের সংসারের ইতি টেনে তার বাপের বাড়ি চলে এসেছিল। কৈশোরের প্রেমের ছেদপড়া ইলোরার সঙ্গে আশিষের দীর্ঘ বিরতির পর দেখা হয় তার খালাতো বোন চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুরে নেলির বিয়েতে। সেটি ইলোরার বিয়ে বিচ্ছেদের অনেক পর। আশিষের কেমন আছ, প্রশ্নের জবাবে ভাল নেই জানিয়ে আশ্রয় চাইলে আশিষ তাকে কাছে টানে। ইলোরার বাবা-চাচা আশিষের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এলে পরিবারের সবার আপত্তি সত্ত্বেও ছেলের খুশির জন্য আশিষের বাবা মা তা মেনে নেন। বিয়ের পর থেকেই ইলোরার আচরণ আশিষ মানসিক কষ্টে কাটাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তা অসহনীয় যন্ত্রণায় গড়ায়।

স্বামীর প্রতি ইলোরার ভালবাসা কতটুক গভীর ছিল তা তা সজইে অনুমান করা যায়, স্বামীর অসুস্থতার মধ্যেও ইলোরার স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি। স্বামী আশিষ ১৬ই জুন থেকে অসুস্থ হয়ে ২৪শে জুন মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু স্ত্রী ইলোরা তাকে ফেলে রেখে ১৬ই জুন, ২০শে জুন ও ২৩শে জুন নিয়মিত স্কুলে যায়। তাদের সন্তান না হওয়ার কারণে ইলোরার চিকিৎসা, টেস্টটিউব বেবি বা দত্তক সন্তান গ্রহণ কোনটাতেই আগ্রহ ছিল না ইলোরার। একপর্যায়ে ২০০৩ সালে বিয়ে হলেও স্কুল শিক্ষকতার সুবাদে আশিষ ২০০৮ সাল থেকে চাঁপাই নবাবগঞ্জে বসবাস শুরু করে। এ দিকে সন্তানহারা মা-বাবা রাত-দিন চোখের অশ্রু ফেলছেন, বোনেদের কান্না থামছে না। আমেরিকা থেকে ছুটে আসা ছোট ও মেজো চাচাসহ সব আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। আশিষ ছিল সবার প্রিয় মুখ। রাজশাহীর উপশহরের পুরুষ-মহিলা সবাই আফসোস করছেন। পরিবার, সমাজের কথা ভেবে প্রথমে তারা কারো সঙ্গে পুত্র হারানোর নেপথ্যের কারণ নিয়ে কথা বলতে না চাইলেও ইদানীং মুখ খুলতে শুরু করেছেন।









সূত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.