![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবী নামক বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি একজন নগণ্য ছাত্র । জীবনের প্রতিটি ঘটনা আমাকে ভাবায় ,শেখায় । আমিও ভাবতে, শিখতে ও সেগুলো কে কাজে লাগাতে চেষ্টা করি । জীবন বাস্তবিকই অনেক সুন্দর । শুধু কিছু কুলাংগার আমাদের সপ্ন কে কেড়ে নিয়ে আমাদের জীবন কে দুর্বিষহ করতে চায় । আসুন , আমরা সকল দুঃখ -জরাকে দূরে ঠেলে দিয়ে সুন্দর করে বাঁচতে শিখি । নিজে সুখী হই , অন্যকেও সুখী হতে সাহায্য করি । সবার জন্য শুভ কামনা সব সময়ের জন্য ।
এই জীবনে আমাদের অনেক সময় দ্বিমুখী অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় । তখন সামান্য একটু ভুলে গুরুতর বিচ্যুতির সম্ভাবনা থাকে । যার ফল ভোগ করতে হয় আজীবন যেমন হোমিওপ্যাথির নাক্স ভুমিকা ওষুধের ডোজ একটু বেশি হলে আজীবন এর কুফল ভোগ করতে হয় ।
মাগরিবের নামায পরতে যাবার সময় গ্রামের এক চাচাকে বাগানে বসে থাকতে দেখলাম । নামায শেষে এসে দেখি চাচার বাড়ির ভেতর কান্নার রোল পড়েছে । কি হয়েছে জানার জন্য বাড়ির ভেতর ডুকে দেখি চাচার মুখ দিয়ে শুধু ফেনা বের হচ্ছে আর তার পাশে সবাই কান্না করছে । আমি চাচার ছেলেদেরকে বললাম দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স আনতে । পাশ থেকে একজন জানাল এতে কাজ হবেনা , কেননা এই বংশের সবাই মরার আগে এরকম হয়েছে অর্থাৎ মুখ দিয়ে ফেনা উঠেছে । যাহোক, আমার চাপাচাপিতে ভাইয়েরা এ্যাম্বুলেন্স আনল কিন্তু তাতে কেউ উঠাতে দিবেনা । পরিবারের কথা বাড়িতেই শান্তিতে মরুক হাসপাতালে নিয়ে কষ্ট দেয়ার দরকার নেই । এবারও আমি জোর করে সবাইকে ধরে চাচাকে হাসপাতালে পাঠালাম । পরে জেনেছি চাচা এখনো বেঁচে আছেন । ঐদিন আরেকটু দেরি হলে চাচার খবর হয়ে যেত ।
ছেলেবেলা থেকে বড় হয়েছি ডাক্তার হব বলে আর এখন আইন নিয়ে পড়ছি বিশ্ব বিদ্যালয়ে যা আমার কল্পনাতীত ব্যাপার । এখন BCS না BJS দিব এটা নিয়ে বহুত পেরেশাণে আছি । সিদ্ধান্ত নিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে । হঠাৎ ইস্তেখারার কথা মনে হওয়ায় তা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।
ইস্তেখারা হচ্ছে এমন এক পদ্ধতি যাতে আপনি আপনার স্রষ্টার সাহায্য কামনা করে কোন দিকে গেলে আপনার কল্যাণ হবে তার নির্দেশনা চাওয়া । কেননা, যাবতীয় কল্যাণ তার হাতেই ন্যাস্ত । আমাদের কল্যাণ তার হাতের মুঠোয় ।
আমাদের সব চাওয়া আমাদের জন্য কল্যাণকর নয় তাই সব চাওয়া তিনি পুরন করেন না এতে যদিও আমরা মনক্ষুন্ন হই । এলাকায় দেখবেন কোন দম্পতির সন্তান না হলে তারা এটাকে মেনে নিতে পারেন না তাই নানা চেষ্টা করে সন্তানের জন্য । শেষে তাদের কষ্টে দেখে আল্লাহ তাদের সন্তান দেন কিন্তু তা এতই বেত্তমিছ হয় যে সেই দম্পতি কোন এক সময় বলেই বসে যে সন্তান না হলেই ভালো হত । বুঝেন নাই? তো আসেন আরেক্তু আগে যাই ।
এক লোকের ছাগল হারিয়েছে সারাদিন খুঁজেও না পেয়ে সে আল্লাকে বলল আল্লাহ কে আমার ছাগল নিয়েছে তা যদি আমারে একটু দেখাইতা তবে তোমার নামে আমি আরেক ছাগল কুরবানি দিতাম । তার প্রার্থনা আল্লাহ কবুল করলেন । লোকটি বাড়ি ফেরার পথে দেখে বনের সিংহ তার ছাগলটাকে ফেরে খাচ্ছে । এটা দেখে এখন লোকটারই যায় যায় অবস্থা । এসময় লোকটা বলল , আল্লাহ আমাকে যদি এই সিংহের কবল থেকে বাঁচাও তবে তোমার নামে আমি এক গরু কুরবানি দিব । তো বোঝেন এবার? মানুষের সব চাওয়াই তার জন্য কল্যাণকর নয় যদিও আমরা অত বুঝতে চাইনা ।
মূল কোথায় আসি । কিভাবে ইস্তেখারা করতে হবে সেই সম্পর্কে নিচে এক ইমেজ আকারে ফাইল লোড করে দিলাম যা সহজেই আপনি আপনার পিসিতে সেভ করে রাখতে পারবেন ও দুয়াটি মুখস্ত করতে পারবেন ।
মানুষের সৌভাগ্য সমুহের মাঝে একটি হল ইস্তেখারা করা ও আল্লাহর ফায়সালার উপর রাজি থাকা আর এর বিপরীত করা অর্থাৎ ইস্তেখারা না করা ও তার ফায়সালার উপর অসন্তুষ্ট থাকাই দুর্ভাগ্যের লক্ষন ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩২
দায়ী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
আমিভূত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ।কাজে লাগবে ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪
দায়ী বলেছেন: আপনি যতগুলি ধন্যবাদ দিয়েছেন মনে মনে তার চেয়ে তিন বেশি দিলাম আপনাকে । এবার হিসেব করুন
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
লাবনী আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪
দায়ী বলেছেন: আপনিও ধন্যবাদ নিন ।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৭
আমিই ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: ভাল লাগলো
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬
দায়ী বলেছেন: আপনার ভালো লাগায় আমিও আহ্লাদিত ।
ধন্যবাদ দিতে কেন আমি কৃপণতা করব ?
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: ভাল লাগলো
ধন্যবাদ ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫
দায়ী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ + ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
জহির উদদীন বলেছেন: ভাল লাগলো.....ধন্যবাদ