নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে

নিজে শিখি ও অপরকে জানাই

দায়ী

এই পৃথিবী নামক বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি একজন নগণ্য ছাত্র । জীবনের প্রতিটি ঘটনা আমাকে ভাবায় ,শেখায় । আমিও ভাবতে, শিখতে ও সেগুলো কে কাজে লাগাতে চেষ্টা করি । জীবন বাস্তবিকই অনেক সুন্দর । শুধু কিছু কুলাংগার আমাদের সপ্ন কে কেড়ে নিয়ে আমাদের জীবন কে দুর্বিষহ করতে চায় । আসুন , আমরা সকল দুঃখ -জরাকে দূরে ঠেলে দিয়ে সুন্দর করে বাঁচতে শিখি । নিজে সুখী হই , অন্যকেও সুখী হতে সাহায্য করি । সবার জন্য শুভ কামনা সব সময়ের জন্য ।

দায়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতালের বিকল্প পন্থা ?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪



নিমাই গেছে ডাক্তারের কাছে চোখের সমস্যায় চোখ পরীক্ষা করতে । ডাক্তার চোখ পরীক্ষা করার সময় বলতেছেন, দেখতো নিমাই দেয়ালের তালিকাটির নিচের লাইনের অক্ষর গুলো পড়তে পার কিনা? নিমাই মাথা নাড়ে, না বাবু । ডাক্তার আবার বলে, তার পরের লাইন, নিমাইয়ের একই উত্তর । ডাক্তার এভাবে সবার উপরে সবচেয়ে বড় অক্ষরগুলোর দিকে অঙ্গুলি দিয়ে বলে এগুলোও পড়তে সমস্যা হচ্ছে? নিমাই আবারো আগের উত্তর দিলে ডাক্তার চিন্তিতভাবে নিমাইকে জানায় তার চোখের ভীষণ সমস্যা । নিমাই তখন জানায়, সে লেখাগুলো ঠিকই দেখতে পাচ্ছে কিন্তু পড়তে পারছেনা কারন সে অশিক্ষিত, লেখা পড়া জানেনা ।



কোন এক ছেলে তার মাকে খুব ভালবাসে । ছেলেটি তার ভালবাসা বুঝানোর জন্য তার রুমের দেয়ালে, পেপারে, টিভির বাক্সে, আলমারির সাথে, বাথরুমের দেয়ালে মোটকথা তার মায়ের যেন নজরে পরে এমন স্থানে সে ভক্তি করে “মা” শব্দটি লিখে রেখেছে । কখনই সে তার মাকে জানায়নি যে সে তাকে খুব ভালবাসে । তার মা কিন্তু অশিক্ষিত । দেয়ালে মা লিখে রাখা আর কোন বিজ্ঞাপন লিখে রাখা তার কাছে সমান ।



উপরের ঘটনা দুটি দিয়ে আমি যা বলতে চেয়েছি তা হলঃ কোন ব্যক্তি যেভাবে বোঝে তাকে সেভাবেই বুঝাতে হবে, বোবাকে কথা বলে নয় ইশারায় বুঝাতে হয় । এই কথাটি সব ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যেতে পারে ।



ইদানীং হরতাল যেন বাংলালিংক দামে মেলে । যখন তখন হরতাল । রাত কিবা দিন, শুক্রবার কিবা শনিবার, সরকারি দল কিবা বেসরকারি দল কিবা মুষ্টিমেয় কিছু লোক শুধু হরতাল কথাটি উচ্চারণ করলেই হল ! ঠিকই হরতাল পালিত হয় কম বা বেশি । হরতাল নিজেই তার ইজ্জত হারিয়ে ফেলেছে দল মত নির্বিশেষে সবার দ্বারা ধর্ষিত হয়ে ।



বাংলা দ্বিতীয় পত্রে পড়েছি ‘বাঘে- মহিষে লড়াই হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়” ঠিক তেমনি হরতাল ডাকে যারা তাদের তো কোন সমস্যা হয়না বরং বাঁশ খাই আমরা আমজনতা । হরতালে কোটিপতির গাড়ি পুড়লেও সে তা পুষিয়ে নিতে পারবে বা পারে কিন্তু কোন রিক্সাওলার রিক্সা পুড়লে তা পুষিয়ে নিতে যে তার সংসারকে কি মূল্য দিতে হবে একমাত্র সেই আর যারা তার প্রতিবেশী তারাই জানে ।



ছেলে বেলা থেকেই হরতালে কাল বৈশাখীর তাণ্ডব লীলা দেখে আসছি । কিন্তু তা যেন একপাক্ষিক । যত ক্ষতি হয় সব নিচু আয়ের মানুষের, বড়রা যেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে । বরং হরতাল দিলে তারা যেন ঘরে বিশ্রামের সুযোগ পেয়ে যায় ।



দেশে হরতাল হল । যাদের ফ্রিজে সপ্তাহের বাজার মজুদ আছে তাদের গায়ে হরতালের আঁচর লাগবেনা , কিন্তু যে দিন মজুর খেটে জীবিকা নির্বাহ করে তার পরিবারকে হয়ত খাবারবিহীন অবস্থায় দিন পার করতে হবে । কখনো এসব ভেবে হরতাল দেয়া হয় কি?



ধরলাম, আপনার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, হরতাল আপনি দিতেই পারেন, তাই বলে গ্রাম্য সালিশের মত বড় ভাই প্রেম করে পালিয়েছে বলে ঐ মেয়েকে তার ছোট ভাইয়ের সাথে নিকাহ দেয়ার মত করে অপরের বোঝা মেহনতি মানুষের ঘাড়ে চাপাবার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? গ্রাম্য মাতব্বরেরা? চেলা চামুণ্ডারা? নাটের গুরুরা?



ভালো কথা, হরতাল ডেকেছেন সরকারকে চাপ দেবার জন্য? তো সাহস থাকলে তার বাস ভবন ঘেরাও করেন, তার বাস ভবনের বিদ্যুতের লাইন কেটে দেন যাতে ফ্রিজ না চলে,সে অন্ধকারে থাকে, গরমে কাতর হয়, আপনাদের কষ্ট বোঝে । তা না করে বেহুদাই আমাদের কষ্ট দেয়া কি আপনাদের মানবাধিকার আদায়ের সহজ পথ?



বাঘকে মাংস আর গরুকে ঘাস দিতে হবে তা না করে যদি বাঘকে ঘাস আর গরুকে মাংস দেন তা জুলুম হবে । মাকে ভালবাসলে মাকে বলতে হবে দেয়ালে লিখে কাজ হবেনা । যার নিকট থেকে হরতালের স্বার্থ উদ্ধার করতে চান তাকেই হরতালের ভিকটিম বানাতে হবে অন্য কাউকে বলির পাঠা বানানো যাবেনা ।



কবে এদেশ থেকে হিংসুটে রাজনীতি দূর হয়ে কল্যাণকর রাজনীতি আসবে সেই স্বপ্ন দেখবার মত হারকিউলিয়ান সাহস আমাদের সবার হক এই শুভ কামনায় রইলাম । কেউ আমার লেখার দ্বারা কোন প্রকার আঘাত পেলে সবিনয়ে তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.