![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবী নামক বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি একজন নগণ্য ছাত্র । জীবনের প্রতিটি ঘটনা আমাকে ভাবায় ,শেখায় । আমিও ভাবতে, শিখতে ও সেগুলো কে কাজে লাগাতে চেষ্টা করি । জীবন বাস্তবিকই অনেক সুন্দর । শুধু কিছু কুলাংগার আমাদের সপ্ন কে কেড়ে নিয়ে আমাদের জীবন কে দুর্বিষহ করতে চায় । আসুন , আমরা সকল দুঃখ -জরাকে দূরে ঠেলে দিয়ে সুন্দর করে বাঁচতে শিখি । নিজে সুখী হই , অন্যকেও সুখী হতে সাহায্য করি । সবার জন্য শুভ কামনা সব সময়ের জন্য ।
মানুষের স্বভাব হল যা সে দেখেনা, তা তার বিশ্বাসের আওতায় আসেনা । মানুষ যতগুলি বিস্ময়কে প্রাচীনকাল থেকে অস্বীকার করে আসতেছে কবরের আযাব তাদের মধ্যে অন্যতম । যারা কবরের আযাবকে বিশ্বাস করত তাদের নিকটে যারা কবর আযাবে বিশ্বাসী নয় তারা গিয়ে প্রশ্ন করে তার প্রমাণ জোগাড় করত ।
যেমন, একদিন এক ব্যক্তি তার হাতে করে একটি মৃত লোকের হাড় নিয়ে গিয়ে হযরত আলী রাঃ কে তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করল,তার মধ্যে একটি ছিল, কবরের আযাব যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এই হাড়ে কি আযাব হচ্ছে আমাকে তা দেখান । এতে হযরত আলী রাঃ তার সামনে থেকে একটি মাটির ঢেলা তুলে তুলে তাকে নিক্ষেপ করল । লোকটির মাথায় ঢিলটি পড়ায় সে আঘাত পেয়ে কাজির নিকটে গেল তার বিরুদ্ধে নালিশ করতে । নিয়মানুযায়ী কাজি হযরত আলী রাঃ কে তলব করল । হযরত আলী রাঃ এলে কাজি জানতে চাইলেন কেন আপনি লোকটিকে আঘাত করেছেন? হযরত আলী রাঃ বললেন আমি লোকটিকে আঘাত করিনি বরং সে আমায় সে প্রশ্ন করেছিল তার জবাব দিয়েছি । কেননা, লোকটি জানতে চেয়েছিল কবরে যে আযাব হয় তা দেখাতে । আমি লোকটিকে ঢিল মেরেছি, এতে সে যে ব্যথা পেয়েছে তা আমায় দেখাতে বলুন । কাজি ও লোকটি উভয়ই বুঝলেন ব্যথা যেমন দেখা যায়না কিন্তু অনুভব করা যায় তেমনি কবরের আযাব দেখা না গেলেও ব্যক্তি তা ঠিকই বুঝতে পারবে ।
আপনারা যারা বিজ্ঞানমনস্ক তারা বলবেন ঐসব কিচ্ছা-কাহিনি বাদ দেন । এখন বিজ্ঞানের যুগ , কোন প্রকার ধানাই-পানাই চলবেনা । পারলে বিজ্ঞান দিয়ে বুঝান ।
তাহলে আসুন, বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত জিনিস দিয়েই আপনাদেরকে দেখাই আসলেই কবরের আযাব হবে । এ থেকে কেউ রেহাই পাবেনা কতিপয় ব্যতিক্রম ব্যক্তি ছাড়া। যেমন শহীদদের কবর আযাব হয়না । কিন্তু ব্যতিক্রম উদাহরণের পর্যায়ে পড়েনা বলে সেদিকে আমরা না যাই ।
আপনারা টিভিতে একটি মোবাইলের বিজ্ঞাপন দেখে থাকবেন যেখানে একটি নৌকায় কয়েকজন ব্যক্তি নদী পার হচ্ছিল। তাদের মাঝের এক তরুণ কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতেছিল আর দেহ ঝাঁকিয়ে মজা নিচ্ছিল । এতে সেই তরুণের পাশে থাকা এক বুড়ো চাচা অবাক হলে তরুণটি সেই বুড়ো চাচার কানে হেডফোন লাগিয়ে দেয় । ফলে যা হবার তাই হয় । বুড়ো চাচাও তখন আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে যায় ।
এখুন, আপনারাই একটু বিশ্লেষণ করে দেখুন । দু’বন্ধু পাশাপাশি শুয়ে আছেন, পাশের বন্ধু এফ.এম রেডিও শুনে মজা পাচ্ছে আর আপনি নিরব কিন্তু যখনই সে লাউডস্পীকার অন করে দিল তখন আপনিও তার সাথে আনন্দে মেতে উঠেন । এটা ত এখন নৈমিত্তিক ঘটনা যা প্রতিনিয়ত আপনারা সম্মুখীন হচ্ছেন ।
এজন্যই শেখ সাদি বলেছিলেন, “পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ যে আছেন তা বোঝার জন্য শত-সহস্র গ্রন্থ পড়ার দরকার নেই । গাছের একটি পাতা দেখেই বোঝা যায় কেউ একজন আছেন যিনি পরমযত্নে এগুলো তৈরি করেছেন”।
আমিও এই বলে ইতি টানব যে, একাকী নীরবে একটু ভাবুন আপনার মনে নিদারুণ কষ্ট হচ্ছে বা আপনার মাথাব্যথা হচ্ছে তা আর কেউ নয় বরং আপনিই টের পাচ্ছেন । তাই বলে কি আপনার স্বজন আপনার কষ্ট বা ব্যথাকে অস্বীকার করে? না, এমনটি হয়না । তারা আপনাকে বিশ্বাস করে বলেই আপনার কথাকেও বিশ্বাস করে । আমরাও কুরআন বিশ্বাস করি যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কবর আযাবের কথা উল্লেখ করেছেন । এমনকি রাসুল সঃ এর পবিত্র বানীতেও উল্লেখ করেছেন যে, কবর আযাব সত্য ।
©somewhere in net ltd.