![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্ধদের রাজ্যতে এক চোখা মানুষটি রাজা এবং আমি সেই রাজা।
কেয়া সে দিন আমি তোমায় বলেছিলাম,
তোমার সাথে পরিচয়,
তোমার কাছে আসা,
আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়,
তুমি আমার পূর্ণতা,
তুমি আমার মুকুট,
তুমি আমার সিংহাসন,
তুমি আমার রাজত্ব,
তুমি আমার মহাকাব্য,
তুমি আমার সাহিত্য,
তুমি আমার দেবী,
তুমি আমার পবিত্র গ্রন্থ,
তুমি আমার ইউনিভার্স,
কেয়া আমি তোমার হাত ধরে হাটতে চাই,
সারাটা জীবন, অনন্তকালের পথ ধরে।
কেয়া তুমি উড়ন্ত পাখি
আর আমি সাদামেঘ হয়ে তোমার সঙ্গী হতে চাই।
তোমাকে ভালোবাসতে চাই, এই জীবন দিয়ে,
তোমাকে ভালোবাসতে চাই, জম্ন থেকে জম্নান্তরে।
তোমাক ভালোবাসতে চাই, হাজার বছর ধরে,
তোমার দিকে চেয়ে থেকে আমি পার করতে চাই সহস্র শতাব্দী।
আমি যখন তোমার হাত ধরে, এসব বলছিলাম তখন আমি তোমার চোখে দেখেছি , তুমি উদাস বনে হারিয়ে গেছো, কি জানি ভাবছো!
হয়েত ভাবছো এসব কি সত্যি নাকি নিছক কল্পনা?
কিংবা ভাবছো অন্য কথা!
তুমি আমার সব কথা শুনেই গেলে কিছু বললে না,
আমার কাধে কিছুক্ষন মাথা রেখলে তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস,
তুমি চলে গেলে, সন্ধা হয়ে গেছে বলে।
রাত গভীর। আকাশে পূর্ণচন্দ্র ঝলমল করছে, কিন্তু কেয়া তুমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে অনুভব করছো শুধুই অন্ধকার। তোমার মনের ভিতর যেন কোনো ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে।আমার কথাগুলো ঝংকারের মতন বাজছে তোমার কানে।
একদিকে ভালোবাসা, অন্যদিকে সমাজের নির্মম শেকল, দায়বদ্ধতা । আর ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছো তুমি, যেন একটি ক্রীতদাসী, যাকে তার ভাবনার শৃঙ্খলে বন্দি করে রাখেছে।
তুমি জানো কেয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি সারাজীবনের জন্য, নিঃস্বার্থভাবে। কিন্তু সমাজ বলে, তাদের এই ভালোবাসা নিষিদ্ধ। ধর্ম বলে, এই সম্পর্ক হারাম। পরিবার বলে, এটা অসম্ভব।
কেয়া তুমি কি মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছ এটা ভেবে যে ছোটবেলা থেকে তোমাকে যা শেখানো হয়েছে, সমাজের নিয়মই শেষ সত্য, ধর্মের শাসনই চূড়ান্ত আইন, আর তুমি সেটা ভাংগার সাহস পাচ্ছো না!
তাই কি তুমি কাঁদো, রাতের পর রাত নিরবে যন্ত্রণা সহ্য করে। তুমি জানো, আমিও অনেক কষ্ট পাচ্ছি।
কিন্তু তুমি এটাও জানো, আমাদের দুজনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এক অদৃশ্য দেয়াল, যা ভাঙার ক্ষমতা তোমার নেই।
কেয়া, তুমি কি স্বাধীন নাকি মানসিক দাসত্বের পরাধীন ক্রীতদাসী?
কেয়া, তুমি কি জানো, আমি স্বাধীন, আমি বিদ্রোহী , আমি শেকল মানি না, মানি না এই সমাজের নস্ট নিয়ম কিংবা ধর্ম।
কেয়া তুমি কি জানো, Kratos দেবতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল, শুধুমাত্র তার হারানো ভালোবাসার প্রতিশোধ নিতে, Kratos তার পরিবারের জন্য Olympus ধ্বংস করে দিছিল।
কেয়া তুমি কি জানো, Gorr the God Butcher প্রতিজ্ঞা করেছিল সমস্ত ঈশ্বরকে ধ্বংস করে দিতে, কারণ তারা তার ভালোবাসার কষ্ট অনুভব করেনি!
কেয়া তুমি আমাকে বলতে পারো, আমরা দেবতা নই বরং নিছক মানুষ যে আমরা ঈশ্বর বা সময়ের বিরুদ্ধে যেতে পারব। সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে একাকীত্ব, এক নিষ্ঠুর লড়াই। পৃথিবী কখনো প্রেমিকদের জন্য সহানুভূতিশীল ছিল না। আমরা সমাজের তৈরি করা ক্রীতদাস। কিভাবে আমরা এই শেকল ভাঙতে পারব?”
তবে কেয়া তুমি কি জানো , Kratos প্রথমে ভাবত যে দেবতাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো অসম্ভব। কিন্তু যখন তার পরিবারকে হত্যা করা হলো, যখন সে দেখল যে সে শুধুই একজন ক্রীতদাস, তখন সে বিদ্রোহ করল। সে রক্ত আর আগুনের মধ্যে দিয়ে নিজের ভাগ্য নিজে গড়ল।
তবে কেয়া তুমি কি জানো , Gorr the God Butcher একজন নশ্বর ধার্মিক ছিল, কিন্তু সে যখন দেখল দেবতাদের কোনো ভালোবাসা নাই তাদের জন্য তখন সে রাগে, ক্রোধে দেবতাদের হত্যা করার প্রতিজ্ঞা করে আর তখনই Necrosword তার কাছে আসে আর সে God Butcher হয়ে যায়।
কেয়া তুমি আমাকে একবার বলো, আমি হয়ে যাব, দানবিক রাক্ষস , সব কিছু ভেংগে চুরমার করে দিব, আকাশ পাতাল এক করে দিব, এই সময় , এই সমাজ সব পরিবর্তন করে দিব , শুধু তোমাকে পাবার জন্য।
তুমি যদি একবার বলো, আমি হয়ে যাব kratos আর হাতে নিব Blades of Chaos সব ধংস করে দিব, শুধু তোমাকে পাবার জন্য।
তুমি যদি একবার বলো, আমি হয়ে যাব Gorr the God Butcher আর হাতে নিব Necrosword যা দিয়ে সব ঈশ্বরকে আমি করব বধ, শুধু তোমাকে পাবার জন্য।
কেয়া তুমি একবার বলো....
২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪
দানবিক রাক্ষস বলেছেন: ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।
কিছু জিনিষ, অপূণ থেকে যায আর এখানেই হয়েতবা জীবনের মানে খুজে নিতে হয়।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:৪১
শায়মা বলেছেন: প্রথমদিনই পড়েছিলাম।
মন্তব্য করা হয়নি।
ক্রেটোস দেবতা সম্পর্কে জানার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিলো.......জানলাম.....
লেখায় ভালো লাগা.....
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৫৩
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: অনেক ভালো লাগা।

লেখায় এক প্রেমিকের আঁকুতি !!