| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দানবিক রাক্ষস
অন্ধদের রাজ্যতে এক চোখা মানুষটি রাজা এবং আমি সেই রাজা। না ঈশ্বর, না পিশাচ—আমি তৃতীয় বিশ্বাস।
বিশ্বের প্রথম আলো জ্বালার আগে,
যখন নক্ষত্ররা তখনো নাম পায়নি,
তখন জন্মেছিল দুই সত্তা—
আমি অন্ধকারের দেবতা আর তুমি চাঁদের কন্যা।
অন্ধকারের দেবতার হৃদয়ে ছিল আগুন ও শূন্যতা,
চাঁদের কন্যার চোখে ছিল আলো ও...
এইচ এস সি পর, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষার জন্য আমি আর কেয়া ঢাকা এসেছিলাম বাসে। সেবার প্রথমবার কেয়ার পাশে বসেছিলাম।
রাতটা ছিল নিস্তব্ধ—অদ্ভুতভাবে জীবন্ত।
বাসের জানালা দিয়ে বাইরের অন্ধকার ছুটে যাচ্ছিল পিছনে,
যেন...
তোমার চোখ—
দুটি শূন্য নক্ষত্র,
অন্ধকারে জ্বলে
যেন ঈশ্বরও ভয় পায় তাকাতে।
ওরা ডাকে,
আমাকে টেনে নেয় আগুনের দিকে,
যেখানে আত্মা পুড়ে,
আর শরীর মুক্ত হয়।
তোমার দেহের রেখা—
যেন ঝড়ের ভাষা,
যেখানে কামনা জন্ম নেয়
রক্ত আর নিশ্বাসের মাঝখানে।
তুমি এক...
বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলো ছিল যেন এক অদ্ভুত স্বপ্নের সময়।
ক্লাস, ক্যাফেটেরিয়া, আড্ডা—সব জায়গাতেই যেন কেয়ার উপস্থিতি ছিল এক ধরনের প্রশান্তিময় আলো।
তার চোখে ছিল গভীর অন্ধকারের সৌন্দর্য,
যেখানে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম—, তার কণ্ঠে...
স্কুল জীবন থেকেই আমার মনে হতো—আমি যেন এক অদৃশ্য কারাগারে বন্দী।
একই রুটিন: বাসা থেকে স্কুল, কলেজ থেকে বাসা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসা, আর এখন অফিস থেকে বাসা।
এই প্রতিযোগিতার দৌড়—অবিরাম...
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনে থেকেই আমি ছিলাম এক নিঃসঙ্গ স্মোকার । হাতে সিগারেট, ঠোঁটে ধোঁয়া, আর চোখে শূন্যতা। আমি ভেবেছিলাম—এই ধোঁয়াই আমার একমাত্র সঙ্গী।
কিন্তু সেদিন ক্লাসে প্রথম দেখি...
আজকের এই দিন শুধু দিন নয়,
আজ মহাবিশ্বের উৎসব,
কারণ এদিনে তুমি এসেছিলে—
আলো হয়ে, সৌন্দর্যের প্রতিমা হয়ে।
তোমার চোখের গভীরতায়
আমি খুঁজে পাই হাজার নদীর স্রোত,
তোমার হাসির আলোয়
শহরের সব অন্ধকার গলে যায়।
আজ...
শহরের ব্যস্ত রাস্তায়, আকাশচুম্বী ভবনের কোলাহলের ভিড়ে হেঁটে চলি যেন এক নিঃশব্দ রোবট হয়ে। সব কিছুই ঠিকঠাক আছে (চাকরি, বেতন, দুনিয়া) কিন্তু কি যেন নেই আছে শুধু নিরব শূন্যতা।
আমার...
অসংখ্য আলোকবর্ষ আগে, অন্ধকার মহাশূন্যে হারিয়ে গেছি আমরা ।
মৃত, অবশ মহাশূন্যে , আমি তোমার থেকে অনেক দূরে ভেসে যাচ্ছি…
এখানে নেই কোনো সময়, নেই কোনো মহাকর্ষ, নেই কোনো আশার...
বর্ষার শুরু মানেই আমার মনে পড়ে কেয়া-কে। সেই মেয়েটা, যার চোখে ছিল মেঘ, আর হাসিতে ছিল বজ্রপাতের মতো ছন্দ। কেয়ার —চোখে ছিল ছায়া আর সূর্যের মিশেল, আর কণ্ঠে যেন...
দশ বছর পরে কেয়াকে সামনে দেখে আমার ভেতরটা কেমন যেন ঘোলাটে হয়ে গেল। সময় তাকে বদলেছে, কিন্তু তার চোখের ভাষা একটুও বদলায়নি। সেই গভীর, শান্ত চোখ… যেন আমার জন্যই...
জীবন এভাবেই চলতে থাকবে...
আর একদিন হঠাৎ তুমি আমাকে বলবে – "চলো, একসাথে বাইরে গিয়ে কফি খাই",
ঠিক সূর্যাস্তের আগে, আমরা ঢাকা শহরের কোথাও কফি খাচ্ছি আর তুমি হাসি মুখে আমাকে...
বসন্ত তখন ধীরে ধীরে নেমে এসেছে।
আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ। বাতাসে একটা মৃদু শীত আর গন্ধে মিশে থাকা নাম না জানা ফুলের সুবাস। এমন এক রাতে আমি পুকুরপাড়ে গেলাম সিগারেট হাতে...
কেয়া তুমি জানো, আমাদের এই সভ্যতায় হাজার হাজার প্রেম আর বিচ্ছেদের গল্প কাহিনি আছে,
তবে এই হাজার হাজার প্রেম-বিচ্ছেদের গল্প কাহিনির মাঝে একটা প্রিয় গল্প কাহিনি আছে।
এই গল্প কাহিনিটা ক্যানো আমার...
সমাপ্তির সুচনা হয়ে গেছে,
চূড়ান্ত অধ্যায় শুরু
আমাদের পৃথিবী কি এখনও আছে
নাকি এটি কেবল অতীতের স্মৃতি?
চোখে এক ফোঁটা অশ্রু
ধীরে ধীরে মুখোশের নিচে সরে যায়
নীরবতায়, আত্মসমর্পণে।
এটাই কি শেষ? নাকি নবসুচনা...
©somewhere in net ltd.