| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দানবিক রাক্ষস
অন্ধদের রাজ্যতে এক চোখা মানুষটি রাজা এবং আমি সেই রাজা। না ঈশ্বর, না পিশাচ—আমি তৃতীয় বিশ্বাস।
এইচ এস সি পর, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষার জন্য আমি আর কেয়া ঢাকা এসেছিলাম বাসে। সেবার প্রথমবার কেয়ার পাশে বসেছিলাম।
রাতটা ছিল নিস্তব্ধ—অদ্ভুতভাবে জীবন্ত।
বাসের জানালা দিয়ে বাইরের অন্ধকার ছুটে যাচ্ছিল পিছনে,
যেন সময় নিজেই পালাচ্ছে কোনো অজানা ভয় থেকে।
ভেতরে কেবল ইঞ্জিনের মৃদু গুঞ্জন আর
সোডিয়াম বাতির ভাঙা আলো—
যা মাঝে মাঝে তোমার মুখে পড়ে,
ছায়া-আলোর এক নৃত্য তৈরি করছিল।
আমি পাশে বসেছিলাম, নীরবে।
কিছু বলার প্রয়োজন ছিল না।
তোমার মুখে পড়া আলোয় আমি দেখতে পাচ্ছিলাম
চাঁদের সব রূপ—অলৌকিক, দূরবর্তী, অথচ স্পর্শযোগ্য।
তোমার চোখে যেন লুকিয়ে ছিল এক নীরব ঝড়,
আর সেই ঝড়ের গভীরে ছিল শান্তির এক অদ্ভুত সুর।
তোমার গায়ের গন্ধটা ছিল ভীষণ কোমল,
যেন স্বর্গের বাগান থেকে বাতাস ভেসে এনেছে ফুলের আত্মা।
আমি নিঃশব্দে শ্বাস নিচ্ছিলাম,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে তোমাকে একটু একটু করে অনুভব করছিলাম—
না, শরীরে নয়—
মন আর শূন্যতার মাঝখানে কোথাও।
তুমি হেসে তাকালে একবার,
সেই হাসিটা ছিল এমন, যেন অন্ধকার রাতে
চাঁদ হঠাৎ চোখ মেলে তাকিয়েছে আমার দিকে।
সেই আলোয় আমার ভিতরের সব অন্ধকার থেমে গেল—
সব রাগ, সব ক্ষয়, সব শূন্যতা এক মুহূর্তে হারিয়ে গেল
তোমার হাসির উষ্ণ আলোকবিন্দুতে।
বাসটা চলছিল—
আমাদের গন্তব্য ছিল অচেনা, তবু পরিচিত।
আমি ভাবছিলাম, যদি পারতাম
এই যাত্রাটাকে থামিয়ে দিতে,
সময়কে বন্ধ করে দিতে,
চাকার ঘূর্ণনের মতো ঘুরতে থাকতাম অনন্তে—
তোমার পাশে,
তোমার মুখের সেই আলোয়,
যেখানে প্রতিটি ছায়া মনে হয়েছিল প্রেমের প্রতীক,
আর প্রতিটি নিশ্বাস মনে হয়েছিল কোনো প্রাচীন প্রতিজ্ঞা।
তুমি তখন জানালার বাইরে তাকিয়ে—
চাঁদের আলোয় ঢাকা পৃথিবী দেখছিলে,
আর আমি দেখছিলাম তোমাকে,
যে আমার কাছে চাঁদের থেকেও উজ্জ্বল,
আর অন্ধকার থেকেও গভীর।
২|
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: বাহ ,খুব সুন্দর প্রকাশ ।
৩|
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কেয়া এখন কোথায় আছে? কেমন আছে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সুন্দর কবিতা।