নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে: https://t.ly/atJCp এছাড়া, বইটই-এ: https://boitoi.com.bd/author/2548/&

দারাশিকো

লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি

দারাশিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবজাতক উপলক্ষে হিজড়াদের চাঁদাবাজি

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০



আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্পাই নেটওয়ার্ক হলো হিজড়াদের নেটওয়ার্ক। বিশ্বাস হচ্ছে না? আপনার পরিবারে একটি নতুন শিশু জন্মানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আপনার বিল্ডিং এর লোকজন না জানতে পারে, কিন্তু হিজড়ারা ঠিক টের পেয়ে যাবে। এমনকি তারা সেই বাসার সদস্যদেরকেও ডিটেক্ট করতে সক্ষম।

কিভাবে টের পায় সেটা নিশ্চিত নই। বারান্দায় বাচ্চার কাঁথা-কাপড় শুকাতে দেয়া হলে তারা সহজেই বুঝতে পারে। তবে আরও উপায় আছে। বাসার বুয়া, দারোয়ান, গলির দোকানদার ইত্যাদি অনেক সোর্স থেকেই তারা এই খবর পায়। কেউ কেউ বলে - হাসপাতালের আয়া থেকেও তথ্য পায় তারা, বিনিময়ে সোর্সকে ভাগ দিতে হয় - তবে এটা কতটুকু সত্যি তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

শিশু জন্মের এক মাসের মধ্যে তারা আপনার বাসায় হাজির হবে। সাধারণত দিনের বেলায় আসবে - এক, দুই বা আরও বেশি সদস্য নিয়ে। এ সময় হিজড়াদের মোকাবেলা করার মত শক্ত-সামর্থ্যবান পুরুষরা বাসায় থাকেন না। প্রসূতি মা-রা ভয় পান অনেক বেশি - যদি বাচ্চাকে নিয়ে যায়! হিজড়াদের দাবী একটাই - নতুন বাচ্চার আগমন উপলক্ষ্যে তাদেরকে বকশিস দিতে হবে।

বকশিসের পরিমাণ কত হবে সেটা সম্ভবত এলাকাভেদে কম-বেশি হয়। ১০০০ টাকার কম দিয়ে রক্ষা পেয়েছে এমন কাউকে পাইনি এখনও। সর্বোচ্চ দেখেছি ৫,০০০ টাকা দিয়ে রক্ষা পেতে।

তাদের এই দাবী পূরণ না করে উপায় নেই। তারা বিরক্ত করতেই থাকবে। চেষ্টা করবে - আপনার প্রতিবেশী বা অন্য কোন একটা মিথ্যা কথা বলে বাসার দরজা খোলার। দরজা যদি একবার খুলেন, তাহলে ফেঁসে গেলেন, আপনার নেগোশিয়েশন করার ক্ষমতাও কমে যাবে।
সুতরাং, শিশু জন্মানোর পর প্রতিবেশি-আত্মীয় স্বজনের বাসায় মিষ্টি বিতরণের সময়ই আপনার প্রস্তুতি নেয়া উচিত। কি করবেন?

১। বাসার দরজা খুলবেন না। দারোয়ান থাকলেও লাভ হয় না সাধারণত, তবে সে যেনো আপনাকে ফোন করে আগেই জানিয়ে দিতে পারে, সেই চেষ্টা করতে পারেন।
২। প্রথমে বাসায় কেউ নাই, টাকা নাই, পরে আসতে হবে ইত্যাদি বলে কিছুক্ষণ সময়ক্ষেপন করতে হবে।
৩। তারপর ১০০ টাকা থেকে দরকষাকষি শুরু করতে হবে। সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা পর্যন্ত দর তুলবেন। হিজড়ারা অবশ্য ৫,০০০ টাকার কমে রাজী হতে চাইবে না। যদি দরজা খুলে ফেলেন, তাহলে ১,০০০ টাকার বেশি আপনাকে দিতেই হবে।
৪। টাকা হস্তান্তরের আগে যে হিজড়ারা এসেছে তাদের নাম জেনে নিন, কাগজে তাদের নাম ও ফোন নাম্বার লিখে নিন। তারা কোন সর্দারের অধীনে চাঁদাবাজি করছে সেটাও জেনে নিন।
৫। শিশু যদি কেবল আপনার বাসায় না থেকে আপনার বাসার পাশেই নানা-দাদা-মামা-চাচা-ফুপু-খালার বাসায়ও থাকে, তাহলে আগেই বলে নিন - ওমুক এলাকায়ও আপনি থাকেন, আর কখনও টাকা দিতে পারবেন না।
৬। টাকা হস্তান্তর করে কাগজটি অন্ততপক্ষে এক বছর সময়কাল সংরক্ষণ করুন। এর মাঝে আরও কয়েকবার আসতে পারে, হিজড়াদের নাম ও ফোন নাম্বার আপনাকে এক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
৭। হিজড়াদের উৎপাত থেকে বাঁচার জন্য বারান্দায় কাপড় শুকাতে না দেয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এতে হয়তো কিছুটা উপকার হবে।

আপনাদের কোন পরামর্শ আছে? কিংবা অভিজ্ঞতা?

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কোনো পরামর্শ নেই। সাংবাদিক, মানবধিকার কর্মী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা দেশে হিজরাদের গুন্ডামী করার সুযোগ করে দিয়েছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

দারাশিকো বলেছেন: তাদের প্রতি মানবিকতা দেখানো উচিত - এটা বিশ্বাস করি, চেষ্টাও করি মানবিকতা দেখানোর জন্য। কিন্তু ওরা নিজেদেরকে চাঁদাবাজ-গুন্ডার পর্যায়ে নামিয়ে রেখেছে। ফলে ব্যালান্সটা হচ্ছে না।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১

জাহিদ হাসান বলেছেন: এদের বেশিরভাগই প্রকৃত হিজড়া নয়। এরা পুরুষ, চাদাবাজি করার জন্য শাড়ি পরে থাকে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫০

দারাশিকো বলেছেন: হ্যাঁ। এ ব্যাপারটা জানি। তবে, কত শতাংশ হিজড়া সেজে থাকা পুরুষ, কতজন লিঙ্গ পরিবর্তন করা হিজড়া আর কতজন আসল হিজড়া - তার কোন তথ্য আমার কাছে নেই। অনেক পুরুষ ঢাকায় হিজড়া সেজে থাকে অথচ বাড়িতে তাদের বউ-বাচ্চা আছে - এমন ঘটনাও শুনেছিলাম।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার মনে হয়, সবচেয়ে বড় সমাধান, "বাচ্চা হওয়া বন্ধ রাখা"।

-আপনি এখন থেকে একটা গ্রুপ গঠন করে সরকারকে চাপ দেন, পার্লামেন্ট যেন আইন করে যে, "পরিবারে ৩য় লিংগের সন্তান জন্ম নিলে, পরিবার তাকে অন্য সন্তানদের মতো লেখাপড়া করায়ে পরিবারে ধরে রাখবে, সরকার পরিবারকে সাহায্য করবে"।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৩

দারাশিকো বলেছেন: বাচ্চা হওয়া বন্ধ রাখা কোন সমাধানই না। মাথা ব্যাথার জন্য মাথা ফেলে দেয়ার মতো হয়ে যায় ব্যাপারটা।

আমি যতটুকু জানি, হিজড়াদের নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ রয়েছে, বেশ কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানও তাদের নিয়ে কাজ করে। তৃতীয় লিঙ্গের সন্তান যাদের আছে তারা জানেন এর কষ্টটা কিরকম। অনেক বাবা-মা'ই হয়তো চান তাদের হিজড়া সন্তানকে পরিবারের বাকী সন্তানদের সাথেই মানুষ করবেন, কিন্তু সমাজের বাকীরা কি এই ব্যাপারটাকে স্বাভাবিকভাবে নেন? সকলের মানসিকতায় পরিবর্তন না হলে এটা খুবই অসম্ভব একটি কাজ।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমার নিজের ধারণা , সরকারি খরচে এদেরকে পূনর্বাসন করা জরুরি । সম্ভব হলে এদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা উচিৎ। কেননা এরা একটা সামাজিক সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গিয়ে আক্রমণ চালায়। যেটা খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ।

সাধারণ মানুষ উপায় না দেখে চোখ মুখ বুজে সব সহ্য করে যাচ্ছে । এমনও তো হতে পারে ঘটনাচক্রে কোন খারাপ ঘটনা ঘটে যেতে পারে । মানুষ কত দিন সহ্য করবে?।

আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। এই কারণে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই‌।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৭

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদের প্রত্যুত্তরে আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।

হিজড়াদের নিয়ে কাজ করেছে এমন একজনের অভিজ্ঞতা শুনেছিলাম। হিজড়াদের নিয়ে সরকারী-বেসরকারি নানা পদক্ষেপ থাকলেও এদেরকে পুনর্বাসন করা সহজ কাজ না। একটা বিশাল ডেলিমার উদাহরণ দেই। হিজড়ারা নিজেদেরকে মেয়ে দাবী করে, ফলে তারা স্বাভাবিকভাবেই নারীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেট ব্যবহার করতে চায়। অথচ, নারীরা তাদেরকে পুরুষ হিসেবে মনে করে, ফলে মহিলাদের টয়লেটে কোন হিজড়াকে প্রবেশ করতে দেয়াটা তাদের জন্য কঠিন ব্যাপার। এ ধরণের আরও অনেক ঝামেলা আছে। আমার বা আপনার সহকর্মী একজন হিজড়া - এই ব্যাপারটা মেনে নেয়া খুব একটা সহজ ব্যাপার না, খুব দ্রুত সমাধানের সম্ভাবনাও তাই কম।

আর, হিজড়া সেজে থাকা পুরুষদের ডিটেক্ট করে আলাদা না করা গেলে অর্থের অপচয় ছাড়া আর কি হবে?

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা একটা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় থানায় খবর দেয়াই উত্তম মনে করি। কর্তৃপক্ষের উচিত প্রথমত এদেরকে পুনর্বাসন করা, দ্বিতীয়ত, এদের দ্বারা কোনো চাঁদাবাজ গ্রুপ চাঁদা আদায় করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখে তদানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া।

হিজড়াগণ একটা মানবেতর জীবন যাপন করেন। এদের দিকটাও মানবিকভাবে দেখা উচিত।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১

দারাশিকো বলেছেন: হিজড়ারা মানবেতর জীবনযাপন করে এই ব্যাপারটা খুব ভালোই বুঝতে পারি। আমি কখনও কোন হিজড়াকে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখিনি।

পুলিশের সেবা নেয়াই উত্তম। জানা গেলো - এখন ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ খুব ভালো রেসপন্স করে। আগে যেমনটা হতো - পুলিশ ডেকে এনে পরে পুলিশ বিদায় করতে টাকা দেয়ার মত ঘটনা এখন ঘটে না। তবে, এটাও শুনলাম - পুলিশকে যোগাযোগ করলে তারা বলেছে ম্যানেজ করে নিতে, কারণ হিজড়ারা একবার বিদায় নিলেও বারবার আসে।

আপনার বাকী মন্তব্যের সাথে একমত। ভুয়া হিজড়া আলাদা করে আসল হিজড়াদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো উচিত।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার "ওযয়েভ সাইট"এর কোডিং কি আপনি নিজে করেছেন? নাকি অন্য কেহ করে দিয়েছে?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩

দারাশিকো বলেছেন: আমার ওয়েবসাইটটি ওয়ার্ডপ্রেস-এ করা। ওয়ার্ডপ্রেস খুবই সহজ, কোডিং জানা না থাকলেও অপারেট করা যায়। বর্তমান ডিজাইনের সাইট সেটআপ আমিই করেছি, খুবই সহজ কাজ। এক ঘন্টা সময় ব্যয় করলে যে কেউই করতে পারবে বলে মনে করি। তবে, প্রথম সেটআপ আমার বন্ধু করে দিয়েছিল।

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

শাহ আজিজ বলেছেন: সরকার এদের লাইসেন্স দিয়েছে মনে হয় । ব্যাস্ত রাস্তার জ্যামে , মার্কেটে , নবজাতকের ঠিকানায় তারা হাজির থাকে । এদের প্রতি কোন দয়া মায়া নেই আমার কারন তারা জবরদস্তি করে পয়সা আদায় করে , দুর্বল প্রতিবাদীকে শারিরিক হেনস্থা করে । সন্ধ্যার পর পুলিশ আসে তাদের লভ্যাংশ নিতে । সাধারন মানুষ বড্ড নিরুপায় । কোন প্রতিকার পায়নি কেউ আজ পর্যন্ত ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৮

দারাশিকো বলেছেন: তাদের যে আচরণ তাতে দয়া-মায়ার উদ্রেক হবে না এটাই স্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও তারা যেহেতু সমাজের মাইনরিটি এবং প্রচন্ড রকম সুবিধাবঞ্চিত তাই মায়া দয়া দেখানো উচিত। যারা সত্যিকারের হিজড়া তারা খুবই ক্ষতিগ্রস্থ। এরা পরিবার-সমাজ-দেশ কোন জায়গায়ই গ্রহণযোগ্যতা পায় না। এদের আয় রোজগারের কোন উপায় নেই, এ কারণে অপরের দানের উপর নির্ভর করে। কিন্তু তারা এই ব্যাপারটাকে অত্যাচারের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। দানের টাকাটাই জোর করে আদায় করে নিচ্ছে - ফলে, তাদের উপর মায়া-দয়া বা শ্রদ্ধাবোধ তৈরীর সুযোগটাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হয়তো একদিন এই অবস্থার উন্নতি হবে।

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার শশুর বাড়ি আমার পাশের এলাকাতেই। আমার ২ বাচ্চা জন্মের পরেই ওরা ২ বার করে নিয়েছে। একবার শশুর বাড়ি থেকে একবার আমার বাড়ি থেকে। তাতে তেমন সমস্য হয়নি। সমস্য অন্যখানে। যারা দিতে অক্ষম তাদেরও ছাড় দেয়না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

দারাশিকো বলেছেন: চাঁদা দেয়ার মধ্যে সমস্যা অনেকেরই থাকে না। কিন্তু তারা এই চাঁদা আদায়ে যে উৎপাত করে, বেয়াদবী করে, ভয় দেখায় - এগুলো অসহনীয়। সমস্যাটা এখানেই। হয়তো ভদ্রভাবে চাঁদা চাইলে টাকা পাবে না বা কম পাবে, কিন্তু তাদের এই আচরণের কারণে তারা নিজেদেরকে আরও ঘৃণ্য হিসেবেই তুলে ধরছে।

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: এই সমস্যা আমি নিজের চোখে দেখেছি।
এরা খুব জ্বালাতন করে। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় এরা অনেক টাকা দাবী করে। ৫ শ' বা এক হাজার টাকায় মানে না। বিশ হাজার ২৫ হাজার টাকা দাবী করে।
শুধু শিশু জন্ম নিলে না, বিয়ে বাড়িতে গিয়েও হাজির হয়।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩

দারাশিকো বলেছেন: ঢাকা শহরে বিয়ে বাড়িতে হিজড়াদের উৎপাত দেখিনি। তবে নবজাতকের জন্য চাঁদার পরিমাণ কম চায় না। আমার পরিচিত একজনের কাছে পনেরো হাজার চেয়েছিল বলে জানি।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি চরম ভুক্তভোগী। হিজড়ারা চাঁদা না দিলে এমন অসভ্য আচরণ করে যে সহ্য করা যায় না। পুলিশকে খবর দিয়েও কোন লাভ হয়নি। অথচ আমার অনেক আত্মীয়স্বজন পুলিশে চাকরি করে। শুনেছি পুলিশরা নাকি হিজড়াদের চাঁদার ভাগ পায়। শাহ আজিজ ভাইয়ের মতো আমারও হিজড়াদের প্রতি কোন সহানুভূতি নাই।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬

দারাশিকো বলেছেন: হিজরাদের কাছ থেকে থানাওয়ালারা চাঁদার ভাগ পাবে - এটা স্বাভাবিক। সমাজে যারাই অন্যায় করেও টিকে থাকে, তারা সবাই-ই নানাভাবে পুলিশকে চাঁদা দেয়। তবে, শুনলাম ৯৯৯-এ রিপোর্ট করলে নাকি বেশ কাজ হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশের অ্যাকটিভির রিপোর্ট পিএম অফিস থেকে মনিটর করা হয়, এ কারণে সার্ভিসের এই উন্নতি।

সহানুভূতি প্রসঙ্গে শাহ আজিজ ভাইয়ের মন্তব্যে আমার উত্তর দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩১

রাশিয়া বলেছেন: আমার দুই বাচ্চা পরপর হল। কই কোন হিজরার চেহারাও তো দেখলাম না। তবে আমার এক প্রবাসী আত্মীয় তার নবজাতককে নিয়ে এসে ফেঁসে গেছিল। নগদ ২০০০ টাক দিয়ে তবে রক্ষা পেয়েছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯

দারাশিকো বলেছেন: সম্ভবত আপনার কপাল ভালো। তবে এই চাঁদাবাজি যে সত্যি সেটা মানেন তো?

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার শালাতো ভাই বেড়াতে আসলো, সাথে এক বছরের মেয়ে। তিন চারদিন পর এক দুপুরে মহাশয়েরা এসে উপস্থিত। কিভাবে কি হলো বোঝাই গেলো না। বাসায় তখন কোনো ছেলে মানুষ নেই, নিচের গেটম্যানকে মারধোর করে তেনারা উপরে এসে ব্যাপক হাঙ্গামা শুরু করে দিলো।

শেষ পর্যন্ত ১০০০ টাকা, ৫ কেজি চাউল, পেয়াজসহ বিভিন্ন বস্তু নিয়ে তারপর খ্যামা দিলো। খুবই বিব্রতকর এবং আতংকজনক অবস্থা।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০

দারাশিকো বলেছেন: এহ! এটাই সবচেয়ে বাজে ব্যাপার। তাদের দাবী আদায় করে তো নিলই, এর আগে হাঙ্গামা করে পাড়া-প্রতিবেশী সব জড়ো করে একাকার অবস্থা।

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

নতুন বলেছেন: সমাজে এদের কাজ দিলে কেউই আর চাদাবাজি করবেনা।

এটা আমাদের সমাজের কৃতকর্মের ফল।

এতোদিন হিজড়াদের সমাজে অছুত বানিয়ে রেখেছি। তাদের কাজ দেইনা।

কাজ করতে না দিলে তারা কি করে খাবে?

এখন একত্রিত হয়ে চাদাবাজি করছে। সবাই সন্মান নিয়ে বাচতে চায়।

এদের সন্মান দিলে এরা সমাজে বোঝা হয়ে থাকবেনা।

সমাজে এদের ভালো চোখে দেখলেই এই সমস্যার সমাধান হবে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

দারাশিকো বলেছেন: আপনার মন্তব্যটাই সবচেয়ে ব্যতিক্রম। জানি না, হিজড়াদের বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান নিয়ে আপনি এই মন্তব্য করেছেন নাকি আবেগ থেকে উত্তর করলেন।

হিজড়াদের কাজ দেয়াটা খুব সহজ ব্যাপারনা। প্রায় কোন ধরনের যোগ্যতা ছাড়া কাউকে কাজ দেয়ার মত ঝুকিঁ সাধারণত কেউ নিতে চায় না। হিজড়াদের কল্যাণ দেখা উচিত, কিন্তু যারা হিজড়া নন, তাদের ব্যাপারটাও তো দেখা উচিত। হিজড়াদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী/প্রস্তুত কতজন পুরুষ-নারী রয়েছে সমাজে? হিজড়ারারও যে প্রচুর কাজ চায়, এমনটি মনে হয় কেন? চাঁদাবাজি করে হিজড়াদের যে আয় হয়, সেই আয় চাকরী করে করা সম্ভব হয় না অনেক ক্ষেত্রেই। এ কারণেই হিজড়াদের মধ্যে একটি অংশ রয়েছে যারা প্রকৃতপক্ষে পুরুষ, কারও কারও ঘর-সংসারও আছে, কিন্তু তারা হিজড়া সেজে থাকে, চাঁদা তোলে।

হিজড়াদের সম্মান দেয়া অবশ্যই উচিত। কিন্তু চাঁদা দেয়ার মাধ্যমে কাউকে সম্মান দেয়া যায় না। হিজড়াদেরও এই বোধোদয় হওয়া উচিত যে, চাঁদা নিয়ে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে, বিব্রত করে সম্মান আদায় করা যায় না, কেবল ঘৃণার পাত্র হওয়াই হয়।

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এরা আগেও ছিল, এখনো আছে। তবে এখন ওদের যতটা বাড় বেড়েছে, বছর দশ পনের আগেও এতটা ছিল না।
অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক আচরণ ও জবরদস্তি করে বিধায় ওদের উপর আমারও কোন সহানুভুতি নেই। এর একটা সমাধান হওয়া আশু প্রয়োজন, নইলে ভদ্র সমাজে বাস করি, এ কথা বলতে পারবো না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৯

দারাশিকো বলেছেন: সহানুভূতি প্রয়োজন স্যার। এটা না থাকলে তাদের কল্যাণে কেউ কাজ করবে না, তাদের অবস্থারও উন্নতি হবে না, আমাদের দুর্ভোগেরও শেষ হবে না।

১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হিজড়া নিয়ে আমার একটা লেখা আছে । এবং সবাই খারাপ না আমি চলেছি এবং কাজ করেছি।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০

দারাশিকো বলেছেন: সবাই খারাপ না - এ বিষয়ে একমত।

১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

সাগর শরীফ বলেছেন: মফস্বলে এদের উৎপাত ধারণার বাইরে। তবে আমি দেখেছি যাদের কাছ থেকে এরা একটু সহমর্মিতাআর ভাল ব্যবহার পায় তাদের সাথে এদের খুবই ভাল সম্পর্ক থাকে। সে সম্পর্ক অনেকটা পরিবারের সদস্যের মত।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১

দারাশিকো বলেছেন: তারা যদি অন্যদের সাথে ভালো ব্যবহার করে তাহলে তাদের সম্পর্কেও মানুষের ধারনা পাল্টাবে - এই উপলব্ধি তাদের যত তাড়াতাড়ি হবে, ততই মঙ্গল।

১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২২

করুণাধারা বলেছেন: শুধু নবজাতক না, এরা নানাভাবে মানুষকে হেনস্থা করে। রাস্তায় দলবেঁধে ঘুরতে থাকে শিকারের সন্ধানে। ১৪ নম্বর মন্তব্যে সহমত, দশ বারো বছর আগেও হিজড়াদের উৎপাত এত ছিল না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪২

দারাশিকো বলেছেন: চাঁদা তোলা তাদের পেশা - এলাকা ভাগ করে দেয়া আছে, কোটা নির্ধারণ করে দেয়া আছে - তারা সেটাই পূরণের জন্য খাটে।

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: Click This Link

গার্মেন্টসে ফালতু কাজ থেকে কারিগরি কাজা নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু রফতানি শিল্পে মালিক রিস্ক নেবেন কিনা সন্দেহ । আপাতত রায়েরবাজার গ্রুপকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে ১ বছরের জন্য । ওখানে কাজ শিখবে । প্রোডাকশন ফিল্ডে চাই এদের ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

দারাশিকো বলেছেন: কারিগরি ক্ষেত্রেই এদের ভালোভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। তবে উদ্যোগটা সরকারের পক্ষে এবং সহযোগিতায় নেয়া উচিত। তাদের মধ্যে কিছু দক্ষতা তৈরী করা সম্ভব না হলে কেউ কাজে লাগানোর জন্য আগ্রহী হবে না। যত যাই বলি না কেন - গার্মেন্টস বা অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, তারা জনকল্যাণ করবে তবে কখনই ব্যবসাকে বাদ দিয়ে নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.