নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধকারে আলো খুজি।।

ইমদাদুল হক মিঠু

ইমদাদুল হক মিঠু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা এবং সন্তান।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫




আমার আব্বা আমাকে যে পরিমাণে মারধোর করেছেন, সেগুলো অত্যাচার বলা যায়। তবে এখন মনে হয়, আব্বা আমাকে সেই মারধোর আরেকটু কমিয়ে মারলে আজ আমি আমার সমবয়সী বন্ধুদের সাথে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় ঝুট বিক্রির আড়ালে ডাইল বিক্রি করতাম, গাজীপুরের কোনাবাড়িতে ভাতের হোটেল দিয়ে পাবলিককে পচা-বাসি খাওয়াইতাম, ট্রাকের হেলপার হইতাম আর নিষিদ্ধ পল্লীতে নিয়মিত যাতায়াত করতাম। অথবা ছিঁচকে রাজনৈতিক মাস্তান হতাম।

আব্বা আমাকে যাদের সাথে মেলামেশা ও আড্ডার কারণে মারধোর করতেন, সুদূরের সেই বন্ধুরা আজ ওসবই করে বেড়ায়। আজ আমিও করতাম। আমাকে দিয়ে ভালো কাজ অসম্ভব ছিল। আমার আব্বা যখন মারতেন, রাগ হতো খুব। এখন মনে হয়, আব্বা আমাকে কেন আরও মারেন নাই, আমি আরও ভালো কাজে যুক্ত হতাম।

পৃথিবীর কোনও বাবার শাসনেই তার স্বার্থ থাকে না। সন্তানের ভালোই থাকে।

সো, যে বাচ্চা কথা শোনে না, বুঝান। না বুঝলে ধমক দেন, ধমকে কাজ না হলে থাপড়ান, থাপ্পড়ে কাজ না হলে পিটান, পিটিয়ে কাজ না হলে পুলিশে দেন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

অক্পটে বলেছেন: "পৃথিবীর কোনও বাবার শাসনেই তার স্বার্থ থাকে না। সন্তানের ভালোই থাকে।" সুন্দর বলেছেন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

ইমদাদুল হক মিঠু বলেছেন: ধন্যবাদ।।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাবা যা করেন, সন্তানের মঙ্গলের জন্যই করেন। বাবার আদেশ উপদেশ না মানলে সন্তানে বখে যেতে থাকে। প্রথমে হয়ত বাবা বুঝিয়ে সুজিয়ে লাইনে আনার চেষ্টা করেন, কিন্তু ছেলে যখন বিপথে যেতেই থাকে, বাবার পক্ষে রাগ সংবরণ করা কষ্টকর হয়। তখন মারেন। কোনো বাবা তো সন্তানকে মারতে মারতে বলে না, তুই চুরি করোস না, ক্যান, ডাইল, মদ খাস না ক্যান? বরং এইগুলো খায় বলেই মারে।

ছেলেরা কখনো বাবার কষ্ট বোঝে না। কিন্তু যখন বুঝতে শুরু করে, ততদিনে সে নিজেই বাবা হয়ে গেছে, আর তার নিজের সন্তানও তার মতোই তাকে ভুল বুঝতে শুরু করে। এটা একটা বিখ্যাত কোটেশন।

আমার ভালো লাগছে যে, বাবাকে আপনি ভুল বোঝেন নি। এবং অল্প সময়েই নিজের ভুল বুঝতে পেরে বাবার প্রশংসা করলেন। আপনি সত্যিই একটা ভালো ছেলে।

আপনার বাবার প্রতি সালাম। আপনার জন্য শুভ কামনা। জীবন সুন্দর হোক।

আমার বড়ো ছেলের বয়স ২৭ বছর।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

ইমদাদুল হক মিঠু বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং দোয়া প্রত্যাশা।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৮

জগতারন বলেছেন:



সো, যে বাচ্চা কথা শোনে না, বুঝান। না বুঝলে ধমক দেন, ধমকে কাজ না হলে থাপড়ান, থাপ্পড়ে কাজ না হলে পিটান, পিটিয়ে কাজ না হলে পুলিশে দেন।

সহমত !


আমার ছেলেকে অনেক শাসন আমি করেছিলাম ২০১৪ থেকে '১৬ হাই স্কুল পর্যন্ত (বা'দেশের উচ্চ মাধ্যমিক)।
যা যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ ব্যবস্থায় নির্যাতনের পর্যায় পড়ে।
এর প্রধান কারন তার মধ্যে অনেক ত্রুটিপূর্ন ও বিরক্তকর অভ্যাস জমা হয়েছিল আমার অবর্তমানে বা'দেশে থাকা অবস্থায়।
এখন সে ঐ সমস্ত দূরিভূত হয়েছে এবং সে বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেষ বর্ষে) যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে কর্মকর্তা প্রশিক্ষনরত।
এখন সে বুঝে নিয়মতান্ত্রিকতা, শৃংখলতা, দায়ীত্ববোধ কী।
ছোট্ট বেলায় বাবার শাসন পুত্রের এক জন্য এক মহা মেইল ফলক দিকনির্দশনা।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

ইমদাদুল হক মিঠু বলেছেন: কৃতজ্ঞতা।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আমার বাবাও খুব পেটাতেন। তিনি আজ নেই- তাকে ভীষণ মিস করি।
আপনার বাবার প্রতি রইল ভালবাসা ও শুভকামনা।
আপনি এগিয়ে যান আরো অনেক দূর।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

ইমদাদুল হক মিঠু বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং দোয়া প্রার্থিনা।
আমার বাবাও চলে গেছেন ২০১৬ সালের ১৭-ই জুলাই। ওনাদের আল্লাহ বেহেস্ত নসীব করুক।

৫| ০১ লা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাবিনা বলেছেন: ভাইয়া দারুন লিখেছেন... আমার ও ছোট বেলায় এমনটি ঘটেছে... দেখি কোন একদিন আপনার কথাসহ মিলিয়ে নিজের কিছু কথা যোগ করে পোস্ট দিয়ে দিবো।

৬| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ৮:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও একজন কঠোর পিতার অনুশাসনে মানুষ হয়েছি, এবং স্বয়ং একজন কঠোর পিতা হিসেবে সন্তানদের মানুষ করেছি। আজ থেকে ৩৪ বছর আগে, ঠিক এই দিনটিতে, ১৮ রমযান ১৪০৮ হিজরি সালে তিনে ইন্তেকাল করেছিলেন। তার মৃত্যু শয্যায় আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি, কারণ আমি তখন প্রবাসে ছিলাম। এ আফসোস জীবনেও ঘুচবে না।

আমার শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল তাঁর হাতে। তিনি আমাকে যে বিষয়গুলো পড়িয়েছেন, সেগুলো আজীবন আমাকে ডিভিডেন্ড (ফায়দা) দিয়ে এসেছে। সবসময় আমি সেসব বিষয়ে ভাল ফলাফল অর্জন করেছি। তাঁর হাতে মার কম খাইনি, কিন্তু আজ বুঝি, তিনি ছিলেন ডাবের মত। বাইরে কঠিন খোলস, ভেতরে সুকোমল শাঁস। কাকতালীয়ভাবে, আজ তাঁর মৃত্যুদিবসে আপনার এ লেখাটা পড়ে আমার মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছে।

আমিও আমার সন্তানদেরকে কঠোর শাসনে মানুষ করেছি, একথা আগেও বলেছি। তার পরেও, আজ যখন দেখি আমার ছেলেরা আমাকে কত ভালবাসে, ওদের প্রতি আমি অবিরত স্নেহার্দ্র হতে থাকি এবং প্রতিদিন একাধিকবার আমার স্নেহাশীর্বাদ উচ্চারিত হয়ে থাকে।

পোস্টের শিরোনাম এবং ছবি, দুটোই সুন্দর হয়েছে। + +

৭| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: চার মাস আগে আমার আব্বা মারা গেছে করোনাতে। আমি বুঝি আমার কেমন লাগছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.