নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধকারে আলো খুজি।।

ইমদাদুল হক মিঠু

ইমদাদুল হক মিঠু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্পোরেট জগতে- Toxic Work Environment।

০১ লা জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

কর্পোরেট জগতে "Toxic Work Environment" খুবই পরিচিত একটা শব্দ।

সব পরিচিত ব্যক্তিরা যেমন পছন্দের হয় না, তেমন এই পরিচিত শব্দটা আমাদের অত্যধিক অপছন্দের।
বিশেষ আমাদের দেশে এই শব্দের প্রভাব ও বিস্তার অত্যাধিক বেশি। কারন, এদেশে যে অপরাধ গুলো গুরুত্ব পায় সেগুলোর অধিকাংশেরই প্রধান শর্ত হচ্ছে এই যে সেই অপরাধ গুলো দৃশ্যমান হতে হবে। কিন্তু মানসিক ভাবে যে অন্যায় গুলো করা হয়, সেগুলো নিয়ে প্রতিবাদ তো দূরের কথা, সেই বিষয় গুলো নিয়ে আপনে কথা বলতে গেলেই আপনাকে শুনতে হবে যে "এই গুলো কোন ব্যপার? এই গুলো মাথায় কেন রাখো? এভাবে এইসব মাথায় রাখলে তো তুমি আগাতে পারবেনা।"

চলে আসি মূল অংশে,Toxic Work environment এর মূল নায়ক অফিসের বস।
কথায় আছে বস আর বউ ভালো না হলে জীবন শেষ। চাকরিজীবিদের প্রত্যেকেই এই বিষয় মাথায় রাখে যে "কাজ করলে চাকরি থাকবে, চাকরি থাকলে বেতন পাবো"।
সমস্যা হচ্ছে যে এই চাকরি করার সময়ে আপনে অনেক সময়ে কিছু Toxic problem পাবেন।

***যেমন, আপনার অফিসের বস হয়তো প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করছে। এটার কারণ দুইটি, (১) তার ব্যবহার খারাপ, (২) তার ব্যবহার ভালো কিন্তু সে আপনাকে পছন্দ করে না।

*** আরেকটি হয় যে আপনে যখন কাজ করছেন আপনার বস প্রতিনিয়ত ছোট বড় সব দোষ ম্যানেজমেন্ট পর্যায়ে তুলে ধরে নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করে।
অর্থাৎ, বসের মাঝে নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা কম।

*** আপনে প্রতিনিয়ত ভালো কাজ করছেন, এর মাঝে দুই একটা ভুল করলেন। এটা দেখেই বস আপনার ভালো কাজের প্রশংসা না করলেও আপনার ভুল কাজের জন্য আপনাকে পেতে হয় অনেক রুক্ষ ব্যবহার।

*** কর্মক্ষেত্রে আপনার যেকোন সমস্যা বা আপনার এমন কোন বিষয় যা আপনাকে ঠিকমত কাজ করতে দিচ্ছে না, বা এমন কিছু যা আপনার মনে হয় যে আপনে কাজটা আরেকটু ভালোমত করতে পারেন আরেকটি উপায়ে; এই কথা গুলো আপনে আপনার বসের সাথে শেয়ার করতে গেলে আপনাকে তাচ্ছিল্য করা হয়। এমনকি আপনাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা আপনার পদোন্নতি আটকে যেতে পারে।

*** শুধু বস যে সবসময় আপনাকে Toxic work environment দিবেন তা নয়। অনেক সময়ে দেখা যায় যে অফিসে আপনে মানসিক হয়রানি হতে পারেন সহকর্মীর দ্বারা।

আমার কাছে মনে হয়, Toxic উদাহরণ আরও আছে আপনাদের কাছে, আমি এই অল্প কয়েকটা দিলাম।
এই Toxic work environment এর মূল ফলাফল হচ্ছে, Victim এর কর্মদক্ষতা, কর্মের প্রতি আগ্রহ, সিনিয়রের প্রতি সম্মানবোধ কমে যায়। এমনকি victim মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। সিনিয়র মানে তার Team member দের আগলে রাখা, তাদের কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের পথ দেখাতে সাহায্য করা, তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন আচরণ রেখে তাদের কাজে স্পৃহা যুক্ত করা। এইগুলো না করে তো লিডার হওয়া যায় না।

এমন অবস্থায় চেষ্টা করবেন সরাসরি বস নামক সেই সিনিয়রের সাথে আলোচনা করে বিষয় গুলো সমাধান করার। তা না হলে তার উপরের সিনিয়র বা HR এর সাথে আলোচনা করুন। এইসব না করে যে কোম্পানী আপনাকে কাজের বিনিময়ে বেতন দিচ্ছে, সেই কোম্পানির কাজের প্রতি অনাগ্রহ আনা নিতান্তই অযৌক্তিক। তাছাড়া এমনটা হতে পারে যে বস নিজেই কোন মানসিক চাপে আছেন তাই হয়তো তিনি নিজেই এমন অস্বাভাবিক ব্যবহার করছেন।
আমি নিজে যে কখনো খারাপ ব্যবহার পাই না তা নয়, তবে আমি চেষ্টা করি আলোচনা করার। এতে করে অন্তত মনে কথা চেপে সিনিয়রের প্রতি অসম্মান পুষে রাখা হয় না।

প্রত্যেকের কর্মজীবন হোক আনন্দের ও সাফল্যের।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪০

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ভালো রিভিও, আমি দীর্ঘদিন একজন সিএফও এর সহকারী হিসাবে কাজ করেছি...কাছ থেকে দেখা কিছু যোগ করি -

***হাতের পাঁচ আঙুল যেমন সমান হয়না ঠিক তেমনই মানুষের ব্যাবহার সবার সমান হবে না, এক একজন বসের কর্মকৌশল এক একরকম আর তা সহকারী হিসেবে এডপ্ট করতে না পারলে প্যারা সইতে হবে কাজে।
***সন্দেহ প্রবন মানসিকতা, আমি কাজ করেছি এমন এক বসের সাথে...কাজের প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ন তথ্য আমার টেবিল হয়ে পাস হতো...কোন কারন ছাড়াই সন্দেহ করতো কোন তথ্য যেনো অফিসের বাহিরে না যায়...২/১ বার হলে ব্যাপারটা স্বাভাবিক ভাবে নিতাম কিন্তু এটা তার মজ্জাগত মানসিকতা।
***হঠাৎ ক্ষেপে যাওয়া বস...এমনতে নরম মনের মানুষ কিন্তু কাজে অবহেলা কিংবা ঘন ঘন ভুল করলে কিছু বুঝার আগেই মারাক্তক রকমের ক্ষেপে যান...যা তা বলে ফেলেন...পরে অবশ্য রাগ নামলে তার অফিসে ডেকে বুঝিয়ে বলেন যে যা বলেছি তা পারসোনালি নিও না...

২| ০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: চাকরী জীবনে শান্তি নাই।
চাকরী বাঁচাতে গিয়ে তেলবাজি করতে হয়। চাটুকারিতা করতে হয়।

৩| ০১ লা জুন, ২০২১ রাত ১০:৪১

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: ভালো টপিক নিয়ে লিখেছেন। আপনি focus করেছেন বসের ব্যাপারে। আমার কিছু বলার আছে কলিগদের ব্যাপারে।

Employee দের মানসিক স্বাস্হ্য ঠিক থাকা অতি জরুরী একটা বিষয়। সেই জায়গায় দেখা যায় কোন peer মানসিক পীড়া দিয়ে একটা challenge হিসেবে আবিভূত হয় শান্তিপূন কাজের পথে। যখন এই আক্রমণ হয় non-verbal অথবা subtle, তখন তা আরও কঠিন হয় প্রমাণ করা। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, তা হলো passive aggressiveness।

যেমন:
১। চোখাচোখি হলে hi hello না বলে চোখ সরিয়ে নেয়া/ ঠান্ডা আচরণ করা
২। কোন গ্রুপ ইমেইল পাঠানোর সময় আপনাকে include না করা, যদিও ইমেইলের বিষয়বস্তু অনুযায়ী আপনারও ইমেইলটি প্রাপ্য ছিল
৩। আকারে ইংগিতে বলা যে আপনি আপনার কাজ করেন নি
৪। কাজের ফাঁকে, আশে পাশে যারা বসে তাদেরকে হাল্কা treat দেয়ার জন্য, বাইয়ে থেকে অফিস বয়কে দিয়ে নাস্তা আনতে বলার সময় আপনাকে গননা না করা।

আরও বহু আছে উদাহরণ। তো, ঐ রকম আক্রমণকারীর আক্রমণের কারণ তার নিচু মানসিকতা, হীনমন্যতা, faulty বেড়ে ওঠা, আন্চলিক প্রভাব, অসুস্থতা, যেটাই হউক না কেন, তা Management/HR-এর কাছে প্রমাণ করা nearly impossible।

তাহলে সমাধান? সেটা করতে হবে নিজেকেই। যদি সম্ভব হয়, তাহলে তার সাথে আলাপ করাই ভালো। আলাপ করার উপায় না থাকলে কি করা উচিৎ সেটার জন্যও উপায় আছে। এই সব ব্যাপারে বিস্তারিত বহু online resource আছে এখন: how to handle different types of difficult co-workers

পরিশেষে যা বলার তা হলো, কাজের জায়গায় নিজের happiness যদি অন্য কারও আচরণের কারণে ওঠানামা করে তাহলে তো আমারটা হয়ে গেলো একটা dependent personality! আরেকজনের আচরণের ঐ দৈন্যদশার প্রভাবকে ভন্ডুল করতে দেব না আমার নিজের emotional life। সেই জন্য আমাদের জেনে রাখতে হবে how to cope with difficult colleagues।

৪| ০২ রা জুন, ২০২১ দুপুর ১:১৯

ইমদাদুল হক মিঠু বলেছেন: কৃতজ্ঞতা। ভালো বলেছেন। মাঝে মাঝে হতাশ লাগে ব্যাপার গুলোতে।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.