নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধকারে আলো খুজি।।

ইমদাদুল হক মিঠু

ইমদাদুল হক মিঠু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুক্র শনি, ২ দিন ছুটি, কম্পানীর জন্য ভালো নাকি মন্দ?

২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

পৃথিবীর বহুদেশে ৪ দিন ওয়ার্কিং ডে প্রাকটিস চলছে, কিন্তু বাংলাদেশে এখনো অনেক কম্পানী তে ছুটি ১ দিন শুক্রবার।

অনেক মালিক মনে করেন, ৬ দিন অফিস খোলা থাকলে তার লাভ অনেক বেশি, কিন্তু রিসার্স বলে ভিন্ন কথা।

"Microsoft's Japan offices also trialled 3 Days Holiday and saw a whopping 40% increase in productivity. It's also proved successful in countries like New Zealand and Sweden."

যে সব মালিক, ১ দিন ছুটি রেখেছেন, তাদের কে কিছু বলে লাভ নেই; কারন তারা সেল্ফ মেইড, একাই বিশাল কম্পানী গড়ে তুলেছেন শুন্য থেকে; রিসার্স ফিচার্স কে তারা থোড়াই কেয়ার করেন। টাকা দিয়ে লোক রেখেছেন, কাজ না থাকলে খইয়ের ধান বাছাবেন.... আদতে কিন্তু কথা টি সত্য। ৫ দিন কাজ করা কম্পানী গুলি ৬ দিন খোলা কম্পানী গুলির চেয়ে অনেক বেশি সফল।

আমার অভিজ্ঞতা বলে, একক মালিক এর একক ব্রেনে চলা কম্পানী গুলি ই সাধারনত ৭ দিন খোলা থাকে, যেমন পাড়ার মুদি দোকান।

কর্পোরেট কম্পানী যারা চালান, ২ দিন ছুটি দিচ্ছেন, তাদের কে ৩ দিন ছুটি দিয়ে ট্রায়েল চালানোর অনুরোধ করছি।

৩ দিন ছুটির সুবিধা কি?

১. মালিক - কর্মী আর দেশ; সবার খরচ কমায়

২. দুই দিনের বদলে ৩ দিন অফিস বন্ধ থাকা মানে কাজ বন্ধ থাকা নয়, কর্পোরেট কালচারে যার যার কাজ তাকেই নির্দৃস্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হয়, তাই বাড়তি একদিন বন্ধ অনেক অপারেটিং খরচ কমিয়ে দেবে ; কাজ নয়।

শেষ কথা: যদি জানেন যে কর্মী কে দিয়ে কি করিয়ে কি অর্জন করতে চান, তাহলে ছুটি ২ দিন নাকি ৩ দিন সেটি ব্যাপার নয়, ব্যাপার হল সময়মত টার্গেট গুলি কে টাচ করা, মাইলস্টোন গুলি অর্জন করা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে ২/৩ দিন নিয়ে আমার সমস্যা নেই। এমপ্লয়ি প্রোডাক্টিভ না হলেই সমস্যা, তাকে ৪ দিন ছুটি দিয়েও লাভ হবে না বলেই আমার ধারনা, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও সেটাই বলছে। যেটা বোঝা জরুরী সেটা হলো সবাই কাজে সমান মোটিভেশন নিয়ে আসেন না। অনেক ধারনা উন্নত বিশ্বে কাজ করলেই সেটা অনুন্নত দেশেও সমানভাবে কাজ করবে বলে আমি মনে করি না। কালচারাল কিছু বিষয় আছে, যেগুলো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেই। তবে বিষয়গুলো নিয়ে ট্রায়াল চালানো যেতে পারে।

একটা বিষয় না বললেই নয়, জাপানীজদের কাজের এথিকস অত্যন্ত উঁচু মানের বলে আমার মনে হয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়েও এদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাও আমেরিকানদের চেয়ে অনেক ভালো। এদেরকে ভীষণ কর্মঠ, সদালাপী এবং অমায়িক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন বলে মনে হয়েছে আমার। ধন্যবাদ।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যে কোন কাজে কুয়ালিটি টাইমটা গুরুত্বপূর্ণ, কুয়ালিটি টাইমে যে কাজ ৩০ মিনিটে শেষ করতে পারি ননকুয়ালিটি টাইমে তা ৪ ঘন্টাও শেষ করতে পারি না। সবাই যদি কাজে ফাঁকি না দিয়ে যার যার কাজ ঠিকঠাকমত করে তাহলে সাপ্তাহে ৩ দিন ছুটিতে সমস্যা দেখি না; অবশ্য এটা নির্ভর করে কাজের ধরন অনুসারে, একজন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক অথবা একজন মুদি দোকানি নিঃশ্চই সাপ্তাহে ৩ দিন দোকান বন্ধ রাখতে চাইবে না।

নোট: আমাদের দেশের মানুষ আজেবাজে কাজে প্রচুর সময় নষ্ট করে।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: হিসেব ঠিক আছে।
তবে আমাদের দেশের মত সস্তা দেশে মানুষ কায়িক শ্রমের উপর বেশি নির্ভর করতে চায়।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৯

আহলান বলেছেন: ছুটির পাশাপশি কর্ম ঘন্টা নিয়ে জোর দেয়া জরুরী। প্রাইভেট কোং গুলো বেশির ভাগই ১০-৬ বা ৯-৬ হয়ে থাকে। এটাকে ৬ টা -৩টা করা গেলেও লাভ হতো। পরিবারকে সময় দেয়া যেতো। ডে লাইট কাজে লাগানো যেতো। মানুষ সমাজের সাথে মেলা মেশার সুযোগ পেতো।

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩২

শাওন আহমাদ বলেছেন: দামী কথা বলেছেন। এটা প্র্যাক্টিস করাটা সময়ের দাবী। কিন্তু মুদির দোকান চালানো মালিকপক্ষ এটা মেনে নিবে না। মেনে নিবে কি করে যারা পারলে শুক্রবার ডিঊটি করিয়ে নিতে চায় তারা এসব মানবার নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.