![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে, হবে হবেই দেখা, দেখা হবে বিজয়ে।।।
গুয়ের্নিকা হচ্ছে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর আঁকা বিখ্যাত চিত্রকর্ম। এটি ৩.৫ মিটার লম্বা এবং ৭.৮ মিটার চওড়া সাদা কালো ছবি। এটি তেল রং এ আঁকা ছবি।
ইতিহাস
এটি স্পেনীয় গৃহযুদ্ধের সময় এপ্রিল ২৬, ১৯৩৮ সালে স্পেনীয় জাতীয়তাবাদী বাহিনীর নির্দেশে জার্মান এবং ইতালীয় যুদ্ধে বিমান বাহিনী কর্তৃক উত্তর স্পেনের বাস্ক কান্ট্রি গ্রাম গুয়ের্নিকায় বোমাবর্ষণের প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশ হিসেবে তৈরি হয়েছে।
১৯৩৭সালের ২৬শে এপ্রিল, স্পেনের গুয়ের্নিকা বাস্ক শহরের উপর জার্মানরা আক্রমণ করে বসে । নির্মমভাবে বোমা নিক্ষিপ্ত হয় । শত শত নির্দোষ সাধারণ মানুষের নিহত হয় । গোটা ইউরোপ জুড়ে পত্রিকার পাতায় পাতায় স্পেনের এই যুদ্ধ নিয়ে জোরালো লেখালেখি চলতে থাকে । বিশ্ববাসী এর ব্যাপক নিন্দা জানায় । পিকাসো সেদিনের পরের দিন এই ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারেন । যুদ্ধের নৃশংসতা তাকে তার এই চিত্রকলার উপর কাজ শুরু করতে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে । খুব শীঘ্রই গুয়ের্নিকা এক অসামান্য চিত্রকলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে আঁকা এই পেন্টিংটি ছিল খুবই সময়োপযোগী এবং অত্যন্ত শক্তিশালী । এই পেইন্টিংটি শান্তি আন্দোলনে ও যুদ্ধবিরোধী প্রতীক হিসেবে বর্তমানে জাতিসংঘকর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে । গুয়ের্নিকা চিত্রকলাটির অন্তর্নিহিত অর্থ ও সঠিক ব্যাখ্যা জানা নিয়ে প্রচুর আগ্রহ পিকাসো জীবদ্দশাতে থাকতে থাকতেই উৎপন্ন হলেও, পিকাসো বিস্তারিতভাবে কোন ব্যাখ্যা করতে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন । গুয়ের্নিকা বিষয় করে যত বই লেখা হয়েছে, আধুনিক যুগের অন্য কোন পেইন্টিং নিয়ে এত বিশ্লেষণী কাজ করা হয় নি । নিঃসন্দেহে গুয়ের্নিকা বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্ম । তবুও, আজ পর্যন্ত এটি ইউরোপ আমেরিকার স্বনামধন্য পণ্ডিত, চিত্রশিল্পী, শিল্প মনোজ্ঞদের বিভ্রান্ত করে রেখেছে । এতে লুকায়িত সব রহস্য এখনও সম্পূর্ণরূপে উন্মোচিত হয়েছে বলা সম্ভব নয় । কারণ পিকাসো নিজে থেকে কোন কিছুই ব্যাখ্যা করে যান নি।
"দি আননোন মাস্টারপিস" এ প্রতীক ভরপুর পিকাসোর শিল্পকর্ম নিয়ে নতুন তথ্য এসেছে । বিশদ গবেষণার ফলস্বরূপ, গুয়ের্নিকা লুকিয়ে থাকা অনেক অজানা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে, পিকাসোর ব্যবহৃত বিভিন্ন লুকিয়ে থাকা প্রতীক খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে ।
গুয়ের্নিকার কিছু বৈশিষ্ট্য:-
১.চিত্রটিতে একটি ঘরের দৃশ্য দেখানো হয়েছে যেখানে বাঁপাশ উন্মুক্ত। চিত্রটিতে আমরা দেখতে পাই প্রশস্ত চোখ বিশিষ্ট এবং অদ্ভুত আকৃতির একটি ষাঁড়, একজন মহিলা যার হাতে অবস্থান করছে একটি মৃত বাচ্চা এবং মহিলাটি ষাঁড়ের দিকে মুখ করে আছে।
২. চিত্রটির মধ্যভাগে আমরি দেখি একটি ঘোড়া পড়ে আছে এবং মনে হচ্ছে এই মাত্র কোনো ধারালো বর্শার আঘাতে আহত হয়েছে।
৩. ষাঁড়ের লেজকে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন মনে হয় আগুনের ধোয়া উড়ছে।
৪. ঘোড়ার মাথার নিচে একজন সৈনিককে দেখা যায়, যার হাতে রয়েছে বর্শা একগুচ্ছ ফুল।
সৈনিকের অন্য হাতে কিছু নকশা দেখা যায় , যেগুলো শান্তির প্রতীক বলে বিবেচনা করা হয়।
৫. ছবির উপর প্রান্তে একটি জ্বলন্ত বাল্ব দেখতে পাওয়া যায়। যেটার আকৃতি একটি শয়তানের চোখের ন্যায়।
৬. ঘোড়ার উপরের ডান প্রান্তে একজন মহিলাকে দেখা যায় যিনি একটি জানালা দিয়ে ঘরের ভিতর উঁকি মারছেন এবং তার হাতে একটি বাতি নিয়ে কিছু একটা দেখার চেষ্টা করছেন। তার মাথা ও হাত উভয়ই ভাসমান অবস্থায় আছে।
৭. ঐ মহিলার নিচ দিকে আমরা আরেক মহিলাকে দেখতে পাই যিনি জ্বলন্ত বাল্বটির দিকে তাকিয়ে আছেন।
৮. আরেক জন মহিলাকে আমরা একদম বাঁপাশে দেখি যিনি তার উভয় হাত উপরের দিকে উত্তোলন করে রেখেছেন।
এই চিত্রটি দ্বারা পিকাসো যুদ্ধের ভয়াবহতা বুঝাতে চেয়েছেন।
লেখক:- দীপংকর চক্রবর্ত্তী
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬
দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: গোয়ের্নিকা বিভীষিকাময় এক ধ্বংসযজ্ঞের নিপুণ শৈল্পিক দ্যোতনা।
প্রথম (এবং একমাত্র) মন্তব্যটিতে উল্লেখিত শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস এর পোস্টটিও পড়েছি এবং সেখানেও প্রায় একই মন্তব্য রেখে এসেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চক্রবর্ত্তী ,
ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।
গোয়ের্নিকা বা গুয়ের্নিকা নিয়ে আমার এই লেখাটি দেখতে পারেন ,
লিঙক দিলুম -
গোয়ের্নিকা .......মন্দভাগ্য নিয়েই যে ছবির যাত্রা শুরু
০৬ ই অক্টোবর
http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29460968