নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি বিজ্ঞানকে।। তাই বিজ্ঞান নিয়ে সকল পোষ্ট করার চেষ্টা করি।।

দীপংকর চক্রবর্ত্তী

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে, হবে হবেই দেখা, দেখা হবে বিজয়ে।।।

দীপংকর চক্রবর্ত্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মুন্সী আব্দুর রউফ এর শাহাদাৎ বার্ষিকী ও এক অব্যাক্ত লজ্জা :( :(( X(

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আজ বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মুন্সী আব্দুর রউফ এর ৪৪ তম ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী সোমবার (২০ এপ্রিল)। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আজকের এই দিনে রাঙ্গামাটির মহালছড়িতে পাকিস্তানি হানাদারদের ছোড়া মর্টারের গোলায় বাংলা মায়ের এই বীর সন্তান শাহাদাৎ বরণ করেন।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি যে আমাদের দেশে বীরশ্রেষ্ঠদের সঠিক সম্মান দেয়া হয় না। এর কারণটা কি জানিনা? বীরশ্রেষ্ঠদের সম্পর্কে সঠিক ভাবে দেশের শিশুরা তো দুরের কথা তরুণরাও ঠিক ভাবে জানে না।৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম বলতে পারবে এমন লোক খুজেঁ পাওয়া দুষ্কর। আমি নিজে একজন ছাত্র কিন্তু আজ দেখলাম আমার সহপাঠীদের মধ্যেও মুন্সী আব্দুর রউফ সম্পর্কে কোনো আগ্রহ নেই। অনেকে তো আবার তাঁর সম্পর্কে কিছু জানেই না।

আজ বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মুন্সী আব্দুর রউফ এর শাহাদাৎ বার্ষিকী কিন্তু কোনো রাষ্ট্রীয় ভাবে কোনো কর্মসূচি নেয়া হয় নি। রাষ্ট্রের কাজ কি শুধু উপাধি দিয়েই শেষ?? শুধু আজ কেন, কোনো বীরশ্রেষ্ঠের জন্ম এবং শাহাদৎ বার্ষিকী নিয়ে কারো কোনো আগ্রহ নেই । এটা অত্যন্ত ন্যাক্যার জনক। তাছাড়া মিডিয়াতেও তো সারা বছর এনার তেনার কথা বলা হয়ে থাকে কিন্তু বীরশ্রেষ্ঠ দের বেলায় এত অনীহা কেন তা বুঝতে পারি না। সারা বছর পালন না করা হউক শুধু মাত্র আজকের দিনটাতে যদি তরুণদের মাঝে তাঁর আদর্শ পৌছানো যেত তাহলে দেশের কিছুটা হলেও আদর্শ গত পরির্তন আসতো।। কিন্তু আশা করা যায় আমরা এ সম্পর্কে অবশ্যই একদিন সচেতন হব!! কারণ তাদের বীরত্ব ছাড়া আমাদের এই স্বাধীন দেশ অর্জন ছিল অসম্ভব।

তাই এখন আমাদের করণীয় কি তা আমাদের নিজেদেরই ঠিক করতে হবে। আমাদের কি উচিত বীরশ্রেষ্ঠদের আদর্শ ভুলে যাওয়া? !!
যদি উত্তর না হয় তাহলে এখন থেকেই সবাইকে তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারকেও এ ব্যাপারে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে।

সংক্ষেপে জীবনী:--
মুন্সি আব্দুররউফ ১৯৪৩ সালের মে মাসে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার (পূর্বে বোয়ালমারী উপজেলার অন্তর্গত) সালামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুন্সি মেহেদী হোসেন এবং মাতার নাম মকিদুন্নেসা। তিন ভাই-বোনের মধ্যে রউফ ছিলেন সবার বড়। বাবা মেহেদী হাসান স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ছেলের লেখাপড়া বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি।কিশোর বয়সে রউফ-এর পিতা মারা যান। ফলে তিনি উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তিনি অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। ১৯৬৩-র ৮ মে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস-এ ভর্তি হন। তাঁর রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১৩১৮৭। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে চট্টগ্রামে ১১ নম্বর উইং এ কর্মরত ছিলেন। সে সময় তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগদান করেন।

মৃত্যু:--
সেদিন ছিল এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ। চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে রাঙামাটি ও মহালছড়ির সংযোগ নৌপথে খানসেনাদের চলাচল পথে মুক্তিযোদ্ধারা ওঁৎ পেতে অপেক্ষা করতে থাকে। খানসেনারা তা টের পেয়ে আক্রমন চালানোর আগেই মুক্তিযোদ্ধারা তা জেনে যান ও স্থান পরিবর্তন করে বুড়িঘাট এলাকার চিংড়ী খালের দুই পাশে অবস্থান নেন।

খানসেনাদের একটি শক্তিশালী কমান্ডো বাহিনী ৭টি স্পীড বোট ও ২টি মটর লঞ্চ নিয়ে ধেয়ে আসে মহালছড়ি দখল করার জন্য। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে কয়েকটি রাইফেল ও একটি মাত্র এল.এম.জি ছাড়া আর তেমন ভালো অস্ত ছিলনা। এমন বিপদে তবুও তারা ভয় পাননি। খান সেনারা একবার কাছে আসতে পারলে মৃত্যু অবধারিত জেনেও তাঁরা পালিয়ে যাননি। আব্দুর রউফ অন্য সাথীদের নিরাপদে সরে যেতে বললেন এবং একাই হালকা মেশিনগানটা হাতে তুলে নিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বলা হত বিচ্ছু। খানসেনারা কাছে আসতেই শুরু হলো বিচ্ছুদের আক্রমন। আব্দুর রউফ হালকা মেশিনগান থেকে বীরের মত গুলি চালিয়ে যাচ্ছিলেন । একে একে খানসেনাদের ৭টি স্পীড বোটই ডুবিয়ে দেয়া হয় । বেশ কয়েকজন খানসেনা মারা যায়। ওরাতো সাঁতারও জানতোনা। এবার বাকী ২টা লঞ্চে করে ওরা পিছনে পালিয়ে যাচ্ছিলো ও মেশিনগান থেকে গোলা বর্ষণ করছিলো। হঠাৎ করে এরই একটা গোলা এসে পড়ে তাঁর মেশিনগানের উপর। তিনি সাথে সাথেই শহীদ হলেন।
রাঙামাটি জেলার বোর্ড বাজারে তাঁর সমাধি রয়েছে ।

--------------------------------------------------মুন্সী আব্দুর রউফ এর সমাধি---------------------------------------------------
@@@@দীপংকর চক্রবর্ত্তী :( :(

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি স্মরণ করেছেন, এটাই বড় প্রাপ্য

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৩

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: ধন্যবাদ...

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সালাম হে শহীদ মুন্সী আব্দুর রউফ।

আমাদের অপরাগতাকে ক্ষমা করো।

আজ আমরা ব্যাস্ত স্বাধীনতার ভুল প্রয়োগ! ভিন্নমত দলনে! যে চেতনায় শহীদ হয়েছিল তা আজ পতাকা বদলে বাকী সবই আগের মতোই আছে!

শোষন বঞ্চনা ২২ পরিবার থেকে ২২ লাখে হয়েছে! গরীব আজো গরীব! অধিকার হীন। মানবাধীকার আজ চামুচদের হাতে !
স্বাধীনতার মৌলিক স্বাদ আমজনতার অধরই রয়ে গেল!

তোমাদের স্মৃতিও আজ আর রোমে শিহরন তোলে না।

একটা লাইক! ব্যাস দায়িত্ব পালনে তৃপ্তিতে ভাসছে প্রজন্ম!!!

মৃত্যুকে মুঠোয় নিয়ে তোমাদের মতো খেলা ভিডিও গইমে হয়তো খেলছে তারা- বারবার মরে একবার মরার আবেগ ভূলে যাচ্ছে!!!!!

আবার কি জাগবে চেতনা!! আবার কি জাগবে আত্মারা!

আত্মমর্যাদা রক্ষার, সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রকৃত স্বাধীনতা রক্ষার স্বাধীনতা যুদ্ধে!!!!!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৩

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: সবার মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত হলেই দেশকে আবারো প্রকৃত ভাবে স্বাধীন করা সম্ভব হবে।।
.....ধন্যবাদ

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি স্মরণ করেছেন, এটাই বড় প্রাপ্য়।

আজ কেইবা স্মরণ করে তাদের বিজয় গাঁথা? রাজনীতি নিয়েই যত ব্যস্ততা।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: এ রকম আর কত দিন চলবে? শেষ পর্যন্ত কি আমাদের ভুলে যেতে হবে তাদের কথা?

ধন্যবাদ >>>

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: :)

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

শায়মা বলেছেন: তাদের কথা আমাদের সব সময়ই মনে রাখা উচিৎ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: একদম সঠিক


ধন্যবাদ

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

ইয়ার শরীফ বলেছেন: সাহসী এই মহান বীরের জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা।

বীরদের প্রাপ্য সম্মান আমারা আসলে করতে পারি নাই।

আপনাকে ধন্যবাদ তার বীরত্ব গাথা আমাদের মনে করিয়ে দেবার জন্য।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.