নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি নদের অকাল পরিণতি!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬



মাদারীপুর চরকামারকান্দি, আমার গ্রাম। শৈশবের অনেকটা সময় গ্রামে কাটিয়েছি যা কোনো দিনই ভুলার মত না, খুব ভালো সময় গুলো! আমার এতো স্মৃতি জড়িয়ে আছে যা বলে শেষ করা যাবে না।

এই গ্রামের প্রধান নদী আসলে নদী নয়, নদ। নাম আড়িয়াল খা নদ। এই নদ নিয়ে আমার অনেক স্মৃতী বিজড়িত আছে! এখানে বলে রাখি, গ্রাম অঞ্চলে কেউ নদ ও নদীর মধ্যে যে প্রার্থক্য আছে সেটা তারা কম জ্ঞান রাখেন। নদকে নদীই বলে, মানে একটা স্ত্রী নদী আরেকটা পুরুষ নদী। নদীকে গ্রাম্য ভাষায় বলে 'গাঙ'।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমি গ্রামের বাড়িতে আসলাম! এছাড়া বাবা মা ভাই বোন সবাই আসতো কিন্তু আমি আসতাম না। কেন আসতাম না এর দুটো বড় কারণ ছিলো। প্রথম কারণ, গ্রামের পানি আমি পান করতে পারি না, টিউবওয়েলের পানিতে প্রচুর আয়রন থাকে। ছোটবেলায় সরাসরি নদীর পানি পান করতে পারতাম। সে ভিন্ন কথা।
দ্বিতীয় কারণটি হলো, এই গ্রাম নদী ভাঙ্গনের গ্রাম। প্রতি বছর নদী ভাঙ্গনের জন্য মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। এ গ্রামের মানুষ এক প্রকার যুদ্ধ করে এই নদী ভাঙ্গনের সাথে। এই দুঃখী মানুষগুলোর দিকে তাকালে তাদের দুঃখ দুর্দশার চিত্র দেখলে আমার একটুও সহ্য হয় না, আমার খুব কষ্ট লাগে। আমি একজন বেকার মানুষ, আমার বাবার এতো অর্থ বা পতিপত্তি নেই যে তা দিয়ে এই মানুষ গুলোর বিপদের দিনে পাশে দাঁড়াতে পারবো! এই জন্যই আমি গ্রামের বাড়িতে আসি না।
কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার মন ভীষণ ভারী হয়ে আছে, বর্তমানে আমার তেমন কোনো ঘনিষ্ট বন্ধু নেই, আমি খুব একঘরে একটা লোক হয়ে গেছি, কোথাও একলা ঘুরতেও যেতে পারি না। তাই বাবাকে বললাম, বাবা গ্রামের বাড়ি যাবেন এর মধ্যে?
বাবা জানালো হ্যা যাচ্ছি ২৫তারিখ। তুই কি যাবি?!
সবাই আমার যাওয়ার ব্যাপারে শুনে খুবই খুবই অবাক হয়ে গেলো। কারণ বিগত বছর গুলোতে আমি গ্রামে আসার জন্য রাজি ছিলাম না। বিভিন্ন রকম কাজ ছিলো, পড়াশোনার ব্যস্ততা ছিলো, তাই।

গ্রামের আসার বেশ কয়েকদিন আগে থেকে শুধুই সেই নদের কথাই আর নদের সেই সুলভ স্মৃতী বহুল দৃশ্যগুলো ভেসে উঠছিলো মনে। আহ্ সেই নদ কি সুন্দর কি গভীর কি তীব্র তার স্রোত। পাড়ে বসে নদের পানির সেই কলকল ধ্বনি এখনও কানে সুর করে। ছোটবেলায় নদীর ঢেউয়ের শব্দ কানে ভেসে আসতো, কি মিষ্টি মধুর সেই ঢেউয়ের সুর। আর বেশি রাতে লঞ্চ, ট্রলারের শব্দে ঘুমাতে একটু কষ্ট হতো তারপরেও মজাই আলাদা। সেই স্মৃতীগুলো কল্পনা করে করে আসছি গ্রামে। কিন্তু গ্রামে এসে আমি পুরোই হতভম্ব হয়ে গেলাম, মনে হলো আমার মাথার উপর বাজ পড়লো! গ্রাম সেই আগের মত নেই। আমি বারবার বাবাকে জিজ্ঞেস করছি, বাবা নদী কই? বাবা বললো, আছে। এতো ব্যস্ত হচ্ছিস কেন!? গ্রামে আমাদের নিজস্ব কোনো বাড়ি নেই। এক চাচার বাড়িতে গিয়ে উঠি আমরা, সেখানেই বেড়াই। বাড়িতে যখন পৌঁছলাম তখন আশ্চর্য হয়ে গেলাম, উঠোনে দাঁড়িয়ে নদী দেখতে পেলাম না।
বাবাকে আবার জিজ্ঞেস করলাম, নদী কই? একদম বাচ্চা মানুষের মত।

বাবা জানালো, নদীর এপার ভেঙে ওপার গড়ে উঠেছে তাই নদীতে এখন চর পরে গেছে। আমার মাথা পুরো চক্কর মেরে উঠলো, মনে মনে ভাবতে লাগলাম, হায়হায় সুন্দর নদটা যদি দেখতে না পাই তাহলে গ্রামে আসলাম কেন!!!!

চাচার বাড়ির পাশে একটা প্রান্তে একটা খাল ছিলো সেটাও শুকিয়ে নেই বললেই চলে। এখন নদই হয়ে গেছে খাল আর খাল শুকিয়ে মৃত। এক সময় নদেরও এই অবস্থাই হবে।

এই নদের এই আড়িয়াল খা নদের এতোই তীব্র স্রোত ছিলো যে নৌকো দূরে থাক লঞ্চ স্টীমারও এর স্রোতের সাথে কখনোই মধ্যস্থতা করে উঠতে পারে নাই।
এক সময় নদ মানুষের উপর আধিপত্য করতো আর এখন মানুষ এর উপর আধিপত্য বিস্তার করেছে।


চর ধরে দক্ষিণ দিকে হেটে গেলে পাওয়া যায় তিন গাঙের মুখ। একটা মুখ আড়িয়াল খা যেটা উত্তর দিকে পরিবাহিত হয়েছে, আরেকটা কুমারী নদী যেটা পশ্চিম উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়েছে, তৃতীয় যে নদীর নাম তা কেউই সঠিক বলতে পারে নাই। কেউ বলছেন টর্কি নদী কেউ বলেছেন পদ্মা! আসলে নদী ভাঙ্গনের ফলে এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, নদীর গতিপথ বদলে গেছে তাই লোকেশন টা সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারলাম না। আর নদীর নামও ঠিক ভাবে খুঁজে পেলাম না। হয়তো একদিন গিয়ে দেখবো নদীর উপর মানুষ বাড়ি করে বসতি করে ফেলেছে। এটা সম্ভব, পদ্মার চরে তাই ঘটেছে। বাংলাদেশে এমন অনেক অনেক নদী আছে যার নাম আমরা আজ পর্যন্ত শুনিনি বা নাম শুনেছি কিন্তু দেখেনি; যেমন- ফটকি নদী, বগী নদী, বুড়িশ্বর-পায়রা নদী, আঠারবাঁকি নদী।


এই যে নদটিকে দেখছেন এটি প্রায় শুকিয়েই গেছে। এই নদে এক সময় এতটাই দীর্ঘ আর গভীর ছিলো যে এর স্রোতের কারণে নৌকা তো দূর একটা ট্রলার বা লঞ্চ বা স্টিমারও নিয়ন্ত্রণ করে রাখা যেতো না। আমার নিজের চোখে দেখা এক সময় এই নদে দুই বার হয়তো, আমি জাহাজও দেখেছি। যা এখন কল্পনা...!


.
নদের ক্যান্সার হয়েছে; একটা সময় মৃত্যু হয়ে যাবে। ক্যান্সারের কোনো চিকিৎসা নেই। ধীরে ধীরে মৃত্যুই এর শেষ চিকিৎসা!

এখন শীত কাল তাই নদের পানি কমে গেছে! আসলে ঘটনা তা নয়। এই নদেও শীতকালে প্রচুর পানি থাকতো, আর বর্ষাকালে তো কথাই নেই। গ্রামের লোকে একে সর্বনাশা নদী বলে। অবশ্য আমি তা বলি না।
এক সময় নদ-নদীর নাভ্যতা ছিলো অনেক গভীর। গভীর হওয়ার কারণে বর্ষাকালে অতি বৃষ্টি হলেও বন্যা হতনা। সে সময় গ্রামের জীবন ছিলো মানুষের জন্য স্বর্ণ যুগের জীবন। সমগ্র নদী ভরা ছিলো মাছে। আমি নিজে বেশ কয়েকবার জ্যান্ত ইলিশ মাছ দেখেছি, নিজের ধরেও দেখেছি। এই আড়িয়াল খা নদেই আমরা ইলিশ মাছ পেতাম। গ্রামের মানুষের মাছের জন্য কখনোই হাহাকার করতে হতো না!

যতদিন নদ নদীর নাভ্যতা বেশি ছিলো ততদিন সব ভালোই ছিলো। নদীর নাভ্যতা কমছে, নদীর ভরাট হয়ে চর পড়ছে, সেই চর দখল হয়ে বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। বর্ষাকালে গ্রাম অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি সব সময় অবনতি হয়, আর তখনই মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যায়! খুব স্বাভাবিক ব্যাপার যে, বর্ষাকালে অতি বৃষ্টির পানি ও বন্ধু রাষ্ট্রের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাঁধ খুলে দেয়ার ফলে নদীতে পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। এতে করে বন্যার সৃষ্টি হয়। (বন্ধু রাষ্ট্রও যদি বাঁধ না দিতো, সব সময় আমাদের দেশে পানির প্রবাহটা যদি বজায় থাকতো, তাহলে এই সমস্যার ৮০ভাগ হলেও সমাধান হতো।) অথচ এ দেশের বেশিরভাগ জনগণ এই স্বাভাবিক ব্যাপারটা বুঝতে পারে না, আসলে বুঝতে চায় না। কারণ, ক্ষমতাশালী লোকদের চিন্তা কখন চর দখল করবে! [হায়রে মানুষ] তোরা নদীর মর্ম, মায়া, ভালোবাসা, একটা বন্ধুত্ব বুঝতে পারলি না!
আমি হয়তো দীর্ঘ দিন পরে গ্রামের বাড়ি গেলাম কিন্তু নদীর প্রতি আমার যে ভালোবাসা তা আদৌ অটুট। আমার গ্রামের নদ আমার কাছে বন্ধুর মত ভাইয়ের মত। ছোট বেলায় এই নদীর ভাঙন আর প্রচন্ড স্রোত এর কারণে নদীর কথা মনে পড়লে আমার ভয় লাগতো, তবুও আমি চাইতাম এই নদে, নদীতে আমি সাঁতার কাটি, নৌকা চালাই। এই আড়িয়াল খা নদে নৌকা চালানো নিয়ে অনেক স্মৃতি আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। শৈশবের এই নদ'কে কল্পনা করে আমি কত কবিতা লিখেছি তা কে জানে। কবিতা গুলোও নদীর মত হারিয়ে গেছে!

নাহ্ নদের এমন করুন পরিণতি আমি কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছি না!!আজ এই নদী দেখে আমার মন একদম ভেঙে গেছে। বুকের বা পাশে একটা ব্যাথা অনুভব করছি। যেকোনো সময় হার্ট এট্যাক হতে পারে এমন ধরনের ব্যাথা।

নদ এখনও মরে নাই, ক্যান্সার হয়েছে। যেকোনো এক শীতে না গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে মারা যেতে পারে! ক্যান্সার যেমন সারানো যায় না ঠিক তেমনি আগের সেই নদ/নদীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না!
নদের এই ভয়াবহ অবস্থা দেখে আমি খুব মর্মাহত। আমার বুকে ব্যাথা অনুভব করছি এখনও। আমার মনে হয় প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর এতো কষ্ট আমি পাইনি! আমি এতটা কষ্ট পাইনি যতটা কষ্ট পেয়েছি নদের এই করুন অবস্থা দেখে। এভাবে একটা নদ মৃত্যুর পথে ঢলে যেতে পারে আমি কখনোই ভাবিনি, ভাবতেও পারি না।
আমার মনের একটা গভীর ইচ্ছে আমি এখনো কল্পনা করি যে, আমি মরে গেলে আমার লাশ ভাসিয়ে দিবে এই নদের স্রোতে! আমি অনন্ত কাল ভাসবো এই এই নদ নদীর বুকে! মনে হয় এই স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না আমার। কারন একটা সময় নদ নদীই থাকবে না!!

আমি সারাটা জীবন যদি এই নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে কাটিয়ে দিতে পারতাম তাহলে খুব শান্তি পেতাম! নদীর ধারে সূর্য অস্ত নদীর অবিরাম বয়ে যাওয়া আবার কবে দেখতে পাবো কে জানে!?
এই একটা জীবন খুব ছোট! অনেক অপরিপূর্ণ।

এই নদের সাথে আমি বন্ধুর মত কথা বলতাম। কিরে আর কত ভাঙবি ঘর বাড়ি, তোর এতো স্রোত আসে কোত্থেকে( হয়তো অনেক বিশ্বাস করবে না বা পাগলও ভাবতে পারে। কিন্তু কথা গুলো সত্য)। অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি, নদী দেখেছি। কিন্তু এই নদের কথা আমি কোনদিন ভুলতে পারিনি। এমনকি কল্পনা থেকেও মুছে যায়নি নদের স্মৃতী। আমার সমগ্র কল্পনা জুড়েই শুধু এই নদ। আজ অবধি এই নদকে আমি কল্পনা করি, মনে হয় এই আমি বসে আছি নদের পাড়ে আর আমার সামনে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নদের স্রোত....!

বানান বা লেখার শুদ্ধতা নিয়ে কোনো কিছু বলবেন না আপাতত প্লিজ। আমি খুবই মর্মাহত। বলতে গেলে ভেঙে পরেছি। এই নদ আমার আপনের মত। খুব ঘনিষ্ট কেউ, এমন!


ভিডিও করে রাখলাম নদের বর্তমান অবস্থা!

মন্তব্য ১০৭ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (১০৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

বিজন রয় বলেছেন: বিদায় ২০১৭, স্বাগতম ২০১৮,......... নতুনের শুভেচ্ছা রইল।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, আপনাকেও শুভেচ্ছা।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন: এত বছর পর গ্রামে গেলেন!
বেশ!

নদী হারিয়ে যাচ্ছে নানা কারনে, শৈশবের নদী তবু রয়ে যায় স্মৃতিতে।
আমার মনে পড়ে ছোট বেলায় ইশকুল ফাঁকি দিয়ে নদীতে লঞ্চ স্টিমার দেখতে যেতাম।

ভালো লাগল আপনার নস্টালজিয়া।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই লেখা পড়েছেন, ভিডিও টা দেখেছেন। খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
নদ নদী যেভাবে হারিয়ে যাচ্ছে তা একটা হুমকি মানব জাতির জন্য।

আমি আপনার মত ইশকুল ফাঁকি দিয়ে লঞ্চ স্টিমার দেখার সৌভাগ্য হয়নি, কারণ আমরা পরিবার সহ থাকি গাজীপুরে।
আপনার গ্রামের বাড়ির নামটা যদি বলতেন...

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

জাহিদ অনিক বলেছেন: ভিডিওটা দেখলাম, আপনার নাম শামীম সাগর?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: জি ভাই আমিই শামীম সাগর।

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:
ধ্রুবক আলোর- পিছনের শামীম সাগরকে জেনে ভাল লাগলো।
আমার হোমটাউন- সাগরকন্যা পটুয়াখালী

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পটুয়াখালীর লোক আপনি জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: নতুনের শুভেচ্ছা রইল ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



শতশত বছরের নদী আপনার জীবনেই হারিয়ে যেতে দেখলেন! কি ভয়ংকর পরিবর্তন পরিবেশে, ভয়ংকর সময় আসছে সামনের বছরগুলোতে।

আপনার বেকারত্বের কথা সুনে খারাপ লাগলো; আপনি কতদুর পড়ালেখা করেছেন, কত সময় বেকার?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: গাজী ভাই,

শতশত বছরের নদী আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যেতে দেখে খুবই মর্মাহত। পরিবেশ পরিবর্তনের প্রভাব ভয়ঙ্কর ভাবে পরছে, সামনে আরও ভয়ানক সময় আসছে যা হুমকি স্বরূপ সবার জন্য।
ভাই একদম ঠিক কথাই বলেছেন।

আপাতত বেকার আছি, তবে সামনের মাসে জব হয়ে যাবে আশা করছি, বেশ কয়েকটা ইন্টার্ভিউ দিয়েছি। আমি মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি।
জানতে চেয়েছেন ভাই, খুব প্রীত হলাম। অনেক ধন্যবাদ ।

৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই নদীর শুরু ও শেষ কোথায়?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এক সময় এই নদের শুরু ও শেষ কোথাও পাত্তা পাওয়া যেতো না এতটাই দীর্ঘ ছিলো। কিন্তু বর্তমানে, এর শুরু ও শেষ করুন একটা অবস্থা। বিভিন্ন জায়গায় শুকিয়ে চর পরে গেছে। :(

৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকারের কোন একটি সংস্হায় কয়েকজন মানুষের উপর এসব নদীর দায়িত্ব আছে; তারা হয়তো ঢকায় বসবাস করে, কোনদিনও নদীতে আসে না, তাদের কোন দায়িত্বই পালন করে না।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সরকারি সংস্থা হয়তো জড়িত আছে কিন্তু সক্রিয় নয়। এরা খায় আর ঘুমায়। এরা নদীর মায়া বুঝবে কি ভাই। তারা ওই ঢাকায় বাস করে টাকা উড়ায়। নদীর নামই তো ঠিক মত বলতে পারবে কি না সন্দেহ।

ভাই খুবই সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন। অনেক ভালো লাগলো।
নদীগুলোকে যদি আরও বছর আগে থেকে বাদ দিয়ে সংস্কার করা যেত তাহলে এরকম দিন দেখতে হতো না।

৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি নিজেও এবারে আমার গ্রামের বাড়ি তে যেয়ে মর্মাহত হয়েছি ;
সেই স্রোতস্বিনী আর নেই ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মনির আপু,

আমিও খুবই মর্মাহত। নদীর এমন পরিণতি আমি কোনদিনও কল্পনা করতে পারি না। প্রত্যেক গ্রামে প্রত্যেক টা নদীর এমন করুন পরিণতি। একদম আশাহত। নদী হলো একটা দেশের প্রাণ।

অনেক ধন্যবাদ, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: এই খানে এক নদী ছিল জানলো না, তো কেউ । :(

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, পরবর্তী প্রজন্ম জানবে না এখানে একটা নদী ছিলো।

১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২০

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: নদীকথা, স্মৃতি কথা, শৈশবের কথা ভাল লাগলো।নদীগুলোতে ড্রেজিং হয়না,এজন্যই ধীরে ধীরে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ড্রেজিং দিয়ে আর কতটুকু গভীর করা যাবে। যখন সংস্কার করার দরকার ছিলো তখনই তো কেউ মাথা ব্যাথা দেখায়নি।

অশেষ ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন। শুভ কামনা রইলো।

১২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





শুভ ভোর ২০১৮ !

জীবন সুখের পীঠে উঠে বসুক....

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: শুভ সকাল ২০১৮

শুভ হোক নতুন বছর।

১৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০০

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: নদীটি মরিয়া যাচ্ছে শুনিয়া অতীব কষ্ট পাইলাম। :(

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কুড়ের বাদশাহ ভাই,


শুধু যে নদী মরে যাচ্ছে তা কিন্তু নয়, এই নদীর সাথে মানব জাতিরও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

১৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

সাইন বোর্ড বলেছেন: এসব নদীকে বাঁচানো খুব জরুরী...

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সকল নদীকে বাঁচানো।খুবই জরুরী।
অনেক ধন্যবাদ, পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

১৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: নতুন বছরের প্রথম দিনে সুন্দর পোষ্ট উপহার দিয়েছেন ভাই।
আমাদের দেশের নদনদী সব বিলিন হয়ে যাচ্ছে দেশ খেকো শকুনদের লোভে পড়ে!

নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল শ্রদ্ধেয় প্রিয়
সুন্দর সুস্থ জীবন বয়ে আনুক অনাবিল সুখসমৃদ্ধি আর আনন্দ,
শুভ হোক প্রতিক্ষণ।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: জানি না ভাই, পোষ্টটা কতটুকু সুন্দর। তবে চেষ্টা করেছি নদীর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরার জন্যে।

আমাদের দেশের নদনদী সব বিলিন হয়ে যাচ্ছে দেশ খেকো শকুনদের লোভে পড়ে!
দেশ খেকো শকুন তো আছেই, সাথে মানুষের অসচেতনতা বিশাল ভাবে দায়ী।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই।
অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্য খুব ভালো লাগলো।

১৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাই।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাই।

১৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: আপনার শিশুকাল তো ভাই খুবই আনন্দঘন ছিল।
শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্য।
শুভ নববর্ষ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: শিশুকাল ভালোই কেটেছে তবে দিন যাচ্ছে সব কালের বিশাল পরিবর্তন ঘটেছে। আমি খুবই চিন্তিত এ নিয়ে।

আপনার জন্যেও অনেক শুভ কামনা রইলো। অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এভাবে কত নদীই যে কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক অনেক নদীই কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। যে আমরা কেউই ধরে রাখতে পারিনি।

অনেক ধন্যবাদ। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

১৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমরা নদীগুলোকে মেরে ফেলতে জানি, বাঁচাতে জানিনা।

আর বিদেশীরা নদীকে বাঁচিয়ে রাখে পরম যতনে।

লেখা ও ছবি ভাল লেগেছে।

নতুন বছরে ঘুচে যাক বেকারত্ব। আশা করি এ বছরই আপনি কর্মময় জীবনে পা দেবেন।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, আমরা নদীর মর্ম এখনও বুঝিনি। শুভ কামনার জন্যে ধন্যবাদ।

নতুন বছরের শুভেচ্ছ।

২০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

প্রামানিক বলেছেন: নদ নদীর বর্তমান অবস্থা দেখলে কষ্টই লাগে, কিন্তু কিছু করার নাই। আপনার ছোটকালের স্মৃতিচারণ ভালো লাগল।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: নদ নদীর এমন অবস্থা দেখলে খুব কষ্ট লাগে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই, করার অনেক কিছুই ছিলো এক সময়, তখনই আমরা কিছুই করিনি।

স্মৃতী চারণ ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

২১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

সুমন কর বলেছেন: একটি নদের অকাল পরিণতি'র আত্মকাহিনী পড়ে মর্মাহত হলাম। +।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা......

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই, বিশ্বাস করেন আমি কোনোদিনও ভাবিনি যে নদের এমন পরিণতি স্বচক্ষে দেখবো। এই নদ আমার কল্পনায় এমন ভাবে মিশে গেছে যে অন্য কোনো নদীর আমার ভাবনায় আসে না।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো ভাই। আরও অনেক সুন্দর হোক জীবন।

২২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

আটলান্টিক বলেছেন: লেখাটা খুবই খুবই খুবই সুন্দর হয়েছে।আসলে নদীর এই অবস্থা জেনে আমার নিজেরই কষ্ট লাগছে।আর সেটা আপনি নিজে দেখে কেমন অনুভব করেছেন সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।আড়িয়াল খা নদী টা ছোট হলেও একসময় দারুন গভীর আর স্রোতময় ছিল।এখন সেটার এই অবস্থা জেনে খুবই কষ্ট লাগছে।আপনি এই বিষয়গুলো নিয়ে আরো লিখে যান যেন আরো বহুলোক এই ব্যাপারে জানতে পারে।সবার যোগদান ছাড়া বিষয়টার সমাধান অসম্ভব। আপনি খুবই অসাধারণ লিখেন।আপনার প্রতি অশেষ শুভেচ্ছা রইল।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে আর উচ্চ প্রশংসায় খুব অনুপ্রানিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ।
এক সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন কৃতজ্ঞ র'লাম।
সত্যি কাছ থেকে নদের এই অকাল পরিণতি দেখে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি। আড়িয়াল খা নদ তেমন ছোট নয় ভালোই দীর্ঘ, এর স্রোত ছিলো খুব। তীব্র। দেখব শুধুই অতীত।
ভাবছি গ্রাম্য জীবন নদী নিয়ে আরও কিছু লেখা লিখবো।
সুন্দর একটা কথা বলেছেন, সবার যোগদান ছাড়া বিষয়টার সমাধান অসম্ভব।
আপনার প্রতিও অশেষ শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থাকুন সদা।

২৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: হ্যা এমন করেই নদীরা,স্মৃতিরা হারিয়ে যায় ! আব্বার চাকুরীর সুবাদের আমার বাংলাদেশের অনেকগুলো জেলায় থাকা হয়েছিল খুব ছোট বেলায় | ছোট বড় অনেক নদীর পাড়ে ছেলে বেলার অনেক স্মৃতি জমানো | কারো কাছে এখন আর জানতেই চাইনা সেই ছোট নদীগুলো বয়ে চলে নাকি এখনো স্রোতস্বিনী হয়ে ? ছোট বেলার জমানো স্মৃতিগুলো সেই নদীগুলোর পাড়ে এখনো আছে নাকি পাড়ের বালির মতোই ঝরে ধুলির মতো উড়ে গেছে ? এই সকালে ভালো লাগলো আপনার লেখাটা খুব | ভালো থাকবেন |

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার নিজের স্মৃতী শেয়ার করেছেন, খুব ভালো লাগলো। লেখা ভালো লেগেছে জেনে বেশ অনুপ্রানিত হলাম।
দেশের অনেক নদী এখন বিলুপ্ত। সেখানে মানুষ চর দখল করে বাড়ি করে থাকছে। মানুষ বুঝে না নদীর কি গুরুত্ব। এখন হয়তো বুঝবে না, যখন বিপদে পরবে তখন ঠিকই বুঝবে।


অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকবেন।

২৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়া নদী ভেঙে গেলো নদী কি আর জোড়া লাগানো যায় না!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এটা একদম অসম্ভব। ৯৮ সালের আগেও যখন নদীর পাড় ভাঙতো তখনই উচিত ছিলো সকল নদীর রক্ষার্থে কঠিন উদ্যোগ নেয়া। কিন্তু এ নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই।

মানুষের মন ভেঙে হয়তো জোড়া লাগানো যায়। কিন্তু নদী ভাঙলে আর জোড়া লাগানো যায় না।

২৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হাহাহহাহা , মানুষের মন ভেঙে হয়তো জোড়া লাগানো যায়। কিন্তু নদী ভাঙলে আর জোড়া লাগানো যায় না। কথাটি বেশ মজার কথা আর সত্য কথাই বলেছেন।
হুম সেটাই বলি নদী নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নাই । নদী ভাঙেতে ভাঙতে তো একদিন বাংলাদেশ পুরো নদী হয়ে যাবে। মাটি থাকবে না কোনো। তখন কি হবে!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বাংলাদেশ একদিন পুরো ডুবে যাবে। নদীতো এখন বিলুপ্ত, তাহলে পানি যাবে কোথায়। এছাড়া একটা সময় আরও খারাপ অবস্থা হবে।

সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন। ধন্যবাদ।

২৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫০

শামচুল হক বলেছেন: নদ আর নদী কি পুরুষ মহিলা? বিষয়টি এখনও আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আপনার স্মৃতিচারণ ভালো লাগল।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: হ্যা ভাই, নদী হলো স্ত্রী আর নদ হলো পুরুষ। যেমন ব্রহ্মপুত্র নদ, কপোতাক্ষ নদ, মেঘনা নদী, পদ্মা নদী, কুমারী নদী।

স্মৃতিচারণ ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।

২৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমাদের গ্রামের পাশেও ছিল এমনই তিনটি নদীর মোহনা।। ইছামতি, মধুমতি আর ধলেশ্বরির।। সেই পিচ্চিবেলায় কখনো গেলে, স্রোতের মুখে নৌকা ছেড়ে বসে থাকতাম।। সাথে অবশ্যই আত্মীয় সমবয়সীরা থাকতো।। আজ মেয়ের মুখে শুনি সেই নদীতে হেটেই না কি ওরা পার হয় (শুষ্ক মৌসুমে)।।
আমি দেশে গেলেও হয় না যাওয়া গ্রামের বাড়িতে।। সব স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছি।। তবু মাঝে মাঝে ঝংকার তুলে।। ভুলে যাওয়া কোন গানের কলি মনে পড়ার মত।।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার স্মৃতি কথা শেয়ার করেছেন, ভালো লাগলো। সব নদীই এখন নদী থেকে ক্ষেত, চর হয়ে যাচ্ছে। এসব নদী আর ফিরিয়ে আনা যাবে না।
সব স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছি।। তবু মাঝে মাঝে ঝংকার তুলে।। ভুলে যাওয়া কোন গানের কলি মনে পড়ার মত।।
ভাই আবার একবার গ্রাম ঘুরে আসুন। আমি তো ভাবছি গ্রামে চলে যাব একেবারেই।
আপনি এখন কোন দেশে আছেন?

অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভ কামনা রইলো।

২৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভাল লাগলো , আমার এলাকার কয়েকটা খাল এখন ড্রেনের মত হয়ে গেছে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: শুধু আপনাদের এলাকায় না ভাই বেশিরভাগ এলাকায় একই অবস্থা! এবার বৃষ্টিতে ঢাকার অবস্থা কেমন হয়েছিলো সবাইতো দেখেছে, তবুও মানুষের ভেতর সচেতনতা বাড়ে না।

অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন সদা।

২৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

তরুন ইউসুফ বলেছেন: নস্টালজিয়া। ভাল লাগল পড়ে। ভাল থাকুন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনিও ভালো থাকুন।

৩০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটার সাথে বিশুদ্ধ আবেগ জড়িয়ে আছে। খুব ভাল লাগলো পড়ে! সেই ভাল লাগাটুকু + + দিয়ে জানিয়ে গেলাম।
আমার কাছে সব সময়ই নদীকে নারীর মত মনে হয়েছে। কখনো কিশোরী চপলা নারীর মত, কখনো রুদ্রাণীর মত, আবার কখনো বা স্নেহময়ী মায়ের মত। তারপর বড় হয়ে হঠাৎ একদিন একটি গানে আমার মনের কথাটি শুনলাম- নদীও নারীর মত কথা কয়! ব্যস, সেই থেকে সেই গানটি আমার একটি অন্যতম প্রিয় গান হয়ে রইলো। শিল্পী ফরিদা পারভীন এর গাওয়া এবং আবু জাফর এর লেখা ও সুর দেয়া এ গানটি এখানে তুলে দেয়ার লোভ সম্বরণ করতে পারছি নাঃ

এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা সুরমা নদী তটে
আমার রাখাল মন গান গেয়ে যায়
এই আমার দেশ এই আমার প্রেম।
আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে
কত আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে।

এই মধুমতি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে
নিজেকে হারিয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে।।
এক নীল ঢেউ কবিতার প্রচ্ছদ পটে।
আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে
কত আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে।

এই পদ্মা এই মেঘনা এই হাজার নদীর অববাহিকায়
এখানে রমনীগুলো নদীর মত
নদীও নারীর মত কথা কয়।
এই অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে
নির্ভয়ে নীল আকাশ বক্ষে নিয়ে
যেন হৃদয়ের ভালবাসা হৃদয়ে ফোটে।
আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে
কত আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে।



০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এই নদকে দেখে আমি বড় হয়েছি। অনেক স্মৃতি জড়ানো আমার। আমার কল্পনা থেকে এই নদ কখনই মুছে যায় নি। অনেকটা আবেগ মেশানো এর সাথে। আমিও নদীকে নারীর মত দেখি, মায়ের মত করেই দেখি। কিন্তু এই নদকে আমি বন্ধুর মত করে দেখি। কেন জানি মনে হয় আমার কাছে এই নদের সাথে কোনো না কোনো ভাবে আমার একটা সম্পর্ক আছে, আত্মার সম্পর্ক।

ভাই অনেক সুন্দর একটা মন্তব্য রেখেছেন, খুব অনুপ্রানিত হলাম। লেখা ভালো লেগেছে সাথে প্লাস খুব প্রীত হলাম।
নদীকে নিয়ে নিজের অনুভূতি টুকু শেয়ার করেছেন, খুব ভালো লাগলো।

আমার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ও নদীরে এই গানটা খুব ভালো লাগে - আমিও শেয়ার না করে পারলাম না। আমি জানি এই গানটিও আপনার পছন্দের একটি হবে।

ও নদীরে,
একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে
বলো কোথায় তোমার দেশ
তোমার নেই কি চলার শেষ
ও নদীরে…
তোমার কোনো বাঁধন নাই তুমি ঘর ছাড়া কি তাই ।।
এই আছো ভাটায় আবার এই তো দেখি জোয়ারে
বলো কোথায় তোমার দেশ
তোমার নেই কি চলার শেষ
ও নদীরে…
এ কূল ভেঙে ও কূল তুমি গড়ো
যার একূল ওকূল দুকূল গেল তার লাগি কি করো?
আমায় ভাবছো মিছেই পর, তোমার নেই কি অবসর
সুখ দুঃখের কথা কিছু কইলে না হয় আমারে …
বলো কোথায় তোমার দেশ।

৩১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭

নাগরিক কবি বলেছেন: আলো ভাই, কেমন আছেন :) মাদারীপুর দাওয়াত দিবেন কবে। স্মৃতি - ভালোবাসা

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অক্ষর অনিক ভাই এখন মোটামুটি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন,?

মাদারীপুর দাওয়াত দিবো, সময় হলেই পেয়ে যাবেন :)

কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

আটলান্টিক বলেছেন: ভাইয়া আপনি নতুন কিছু লিখুন।আপনার প্রতিটা পোষ্ট পড়ে খুব আনন্দ পায়

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, প্রতিটা পোষ্ট পড়েছেন জেনে খুব প্রীত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আসলে এখন আর লেখা দিতে ইচ্ছে করে না, এখন ব্লগে পাঠক সংখ্যা কম। লেখায় তেমন সাড়া পাওয়া যায় না।

৩৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

ওমেরা বলেছেন: স্মৃতিবিজরিত নদীকে নিয়ে অনেক আবেগের বহিঃপ্রকাশ বেশ ভাল লাগল ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সময় নিয়ে পাঠদান করছেন, প্লাসে অনুপ্রানিত হলাম।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এভাবে দেশ চললে, আগামী ২০ বছরে বাংলাদেশের প্রায় নদীতে শীতকালে পানি থাকবে না, মাছ বলতে কিছু থাকবে না।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই ২০ বছর আপনি বেশি বলে ফেলেছেন, আমার তো মনে আগামী ১০ বছর পর আর কোন অস্তিত্ব থাকবে না।

খুব শীঘ্রই একটা পোষ্ট দিবো, পানি, পানির উৎস, নদী, মাটির নিচের স্তর, ওয়াসার ব্যবস্থা বিধি ইত্যাদি নিয়ে।

অনেক ধন্যবাদ গাজী ভাই, মূল্যবান সময় ও মন্তব্য দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বড়ই পরিতাপ ও আফসোসের বিষয়!

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আফসোস ও পরিতাপ আরও বাড়বে যখন দেশে কোনো নদী থাকবে না।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্য ও প্লাসে খুব প্রীত হলাম।

৩৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



খুবই সুন্দর পোস্ট!

আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। কেমন আছেন ভাই?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

৩৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: নদী মেরে ফেলছি, গাছ মেরে ফেলছি, পশু-পাখি মেরে ফেলছি... বাঁচিয়ে রাখছি কি? :|

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বাঁচিয়ে কোনো কিছুই রাখছি না। শুধু ধ্বংসের পথটা পরিষ্কার করছি!!

অনেক ধন্যবাদ ভাই, খুব সুন্দর একটা মন্তব্য রেখেছেন।
শুভ কামনা রইলো।

৩৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

করুণাধারা বলেছেন: ধ্রুবক আলো, পোস্টটা প্রথম পড়ে আমারও খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল, তাই তখন কি বলব বুঝতে পারছিলাম না।

নদীগুলো আমাদের জন্য রহমত, অথচ লোভে পড়ে আমরা ক্রমাগত নদী মেরে ফেলছি। আমার একটা পোস্ট আছে, নদী মরে গেছে- এখানে Click This Link পড়ে দেখবার অনুরোধ রইল।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সমভাবে ব্যাথিত হয়েছেন, জেনে মনটা হালকা লাগলো। আমার কল্পনা থেকে এই নদের স্রোত, ঢেউ কখনো মুছে যায়নি। আমি এখনও নদীর কথা ভাবি।
মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম।

নদীগুলো আমাদের জন্য রহমত, অথচ লোভে পড়ে আমরা ক্রমাগত নদী মেরে ফেলছি।
আপনি যেভাবে বললেন সেভাবে প্রত্যেকটা মানুষ বুঝতো যদি..!!
লিংকের জন্য অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানবেন। এই পোস্টের তথ্য আমার খুব প্রয়োজন হবে ।

৩৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হাহাকারময় পোস্ট! পড়ে ব্যথিত হলাম। কতো নদ-নদী যে কালের গর্ভে হারিয়ে গেলো, ভবিষ্যতেও হারাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সে দিকে ভ্রুক্ষেপ নেই।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সমবেদনা জানিয়েছেন খুব ভালো লাগলো, খুব সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন খুব অনুপ্রানিত হলাম।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভ্রূক্ষেপ কোনোদিনই ছিলোনা, এরা নদীর মূল্য বুঝে না। কালের গর্ভে অনেক নদীই বিলীন হয়ে গেছে, ভবিষ্যতে কোনো নদী আর থাকবে না এক সময়। ঠিক তখনই মানবজাতিরও বিলীন হওয়ার সময় এসে পড়বে!

অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন। গাজীপুরে একদিন দেখা হবে।

৪০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

নীলপরি বলেছেন: নস্টালজিক ও খুব সুন্দর গোছানো লেখা । মন ভারাক্রান্ত হয়ে গেলো ।

ভিডিওটাও দেখলাম । +++++++

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: নদীর এই পরিণতির কথা মনে পড়লে আমারও মন ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। একদম নস্টালজিক। সমবেদনা জানিয়েছেন অনেক ভালো লাগলো। এতো গুলো প্লাসে খুব প্রীত হলাম।

অনেক ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন ।

৪১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

শামচুল হক বলেছেন: আমার ফেবু আইডি
Shamchul Haque

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৪২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১০

মিরোরডডল বলেছেন: Man...its heart touching. Once I started reading I got the vibe you'd get shock soon. That's exactly happened. Its not only your one I think its everywhere. Massive change. Cant compare with our loving memories. True it is shocking.

You know what, don't give up visiting those distressed people . You may not helping them with money but sometimes you can contribute your valuable time to them. Stay beside them. They lost everything. Listen to them. Give them opportunity to share their story. Talk to them. Share your thoughts. Sometimes this may help them feel better.

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: It is a pleasure that my article about my village river, it's touched your heart. Thank you.
You are right that, its happened every where across the country. We have lost so many river by that time and still loosing. That's so much painful and shocking also.

I try to visit those distressed people . but i can't control my emotion when i look to their face.

You have given Such a nice comment, really greatful to you.
your comment vibes me, and you are right, if I could manage time I will response to them.
Wish you best of luck.
Have a grest life.

৪৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভালো লেখায় ভালোলাগা। নদী চলছে নিরবধী....সাগরপানে ...

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখায় ভালোলাগা রেখেছেন, খুব অনুপ্রানিত হলাম।
নদীর শেষ ঠিকানা সাগরপানে।

অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন সদা।

৪৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ধ্রুবক আলো ,




অনেক কষ্ট নিয়ে লিখেছেন ।
একটা লিংক দিচ্ছি দেখে নিলে বুঝবেন কোথায় আছি আমরা ----
“এখানে এক নদী ছিলো”

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই আমার মনে এখনও কষ্ট হু হু করে ওঠে, যখনই আমার নদনদীর এমন অকাল পরিণতির কথা মনে পড়ে।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, পাঠদান করছেন মূল্যবান একটা লিঙ্ক শেয়ার করেছেন খুব প্রীত হলাম ।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৮

জুন বলেছেন: ধ্রুবক আলো যখন কলকাতার জলে ভরা প্রমত্তা ভাগিরথী যা আমাদের পদ্মা নামে পরিচিত সেটা দেখে বুকের মাঝে এক চিন চিনে ব্যাথা শুরু হলো । আমাদের একদা দুকুলনাশিনী তিস্তা পদ্মা গোমতী ছাড়াও দখলদারদের আগ্রাসনে অসংখ্য ছোট বড় নদ নদীগুলোর বর্তমান রূপ দেখলে কষ্ট হয় । অত্যন্ত সংবেদনশীল বুকের মাঝে ঘা দিয়ে যাওয়া একটি লেখা।
+

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সত্যি আপু, নদীগুলোর এরূপ রূপ দেখলে খুব কষ্ট লাগে মনে। দখলদার তো আছেই, নদী ভাঙ্গন রোধও হচ্ছে না। কালের গর্ভে কত নদীই না শুকিয়ে গেছে যার কোনো খোঁজ নেই। পরবর্তী প্রজন্ম তো নদী ছিলো কিনা জানবেই না।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পাঠদান রেখেছেন। ভালো থাকুন সদা। শুভ কামনা রইলো।

৪৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: আমার পৈত্রিক বাড়ি যমুনা গর্ভে বিলীন।
আজ যমুনাকে বলছি সর্বনাশা কিন্তু হয়তো একদিন আপনার মতোই নস্টালজিক হয়ে যাব মৃত যমুনা নিয়ে।
যমুনাতেও যেভাবে চর সৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্কিত হতেই হয়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: যমুনাতেও যেভাবে চর সৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্কিত হতেই হয়।
যমুনা একদিন কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে, পদ্মা মেঘনা নদীও, যেমন করে নাম না জানা অনেক নদীই বিলীন হয়ে গেছে। কি মানব জাতি আমরা নদীর মর্ম মায়া বুঝলাম না।
অথচ নদী না থাকলে আমাদের ডুবে মরতে হবে!

ভালো লাগলো ভাই খুব আপনি আপনার পৈতৃক বাড়ি ও যমুনার কথা শেয়ার করেছেন। পৈতৃক বাড়ি ও গ্রামের অনেক বাড়ি ঘর নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে দেখেছি আমি। সে দৃশ্য খুবই মর্মান্তিক।

সিন্দাবাদ জাহাজি ভাই, অনেক দিন পর দেখা পেলাম, কেমন আছেন?

৪৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

কালীদাস বলেছেন: আক্ষরিক অর্থেই আমরা বিশাল নদীগুলোর পুটু মেরে খাল বানিয়ে ফেলেছি। বাংলাদেশের জিওগ্রাফিকাল লোকেশনের কারণে ব্রিটিশরাও নিয়মিত ড্রেজিং করত ভাইটাল পয়েন্টগুলোতে চর পড়া ঠেকাতে, সেখানে একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা মহাবিপদে না পড়লে ....

আপনার উল্লেখ করাটাও এরকম আরেকটা নজির মাত্র :(( প্রায় পঁচিশ বছর আগে আড়িয়াল খাঁতে লঞ্চে করে পার হয়েছিলাম একবার, স্রোতের টান ছিল দেখার মতই। সে কি প্রমত্তা নদ! আর এখন কি শুনছি?!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের নদী, নদীর প্রয়োজনীয়তা, নদীর নাভ্যতা এগুলো নিয়ে তেমন কোনো ধারণা রাখে না। বিশেষ শ্রেণীর লোকের তো মাথা ব্যথাই নাই। নদী না থাকলে যে পুরো দেশ ডুবে মরবে সেই ধারণা টুকুও নেই।
ব্রিটিশরাও ড্রেজিং করতো, আমাদের সরকারও ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন কিন্তু তা যে কোনো কাজে দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।
খাল দখল, নদীর চর দখল এখন ক্ষমতাসীনদের জন্য একটা ঐতিহ্য হয়েও দাঁড়িয়ে গেছে। কি আর বলবো..!?

প্রায় পঁচিশ বছর আগে আড়িয়াল খাঁতে লঞ্চে করে পার হয়েছিলাম একবার, স্রোতের টান ছিল দেখার মতই। সে কি প্রমত্তা নদ! আর এখন কি শুনছি?!

খুব ভালো লাগলো আপনি আপনার স্মৃতির একটা অংশ শেয়ার করেছেন এই নদ নিয়ে, অনেক ধন্যবাদ ভাই। খুব প্রীত হলাম।
সত্যি ভাই, সেই প্রমত্তা নদের আজ খুবই সংকটপূর্ণ অবস্থা, যা বলতেও খুব কষ্ট লাগে। সেই স্রোত এখন আর নেই।

সময় নিয়ে পাঠদান করেছেন, মূল্যবান মন্তব্য রেখেছেন অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা।

৪৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



অভিনন্দন, অভিনন্দন, খুবই খুশীর সংবাদ যে, আপনি চাকুরীতে জয়েন করেছেন।

পোষ্ট পরের ব্যাপার, চাকুরীতে মনযোগ দেন, ভালো করেন; পরিস্হিতি আয়ত্বে এলে লিখতে পারবেন।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভ কামনা রইলো।

৪৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনার চাকরি হয়েছে। দারুণ খবরতো।

মিষ্টি কই ?

এজন্যই নতুন পোস্ট পাচ্ছিনা।

বসন্তের শুভেচ্ছা।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অবশ্যই খাওয়াবো ভাই।

৫০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩১

মিরোরডডল বলেছেন: দীর্ঘ সময় কোন পোস্ট নেই – why?
By the way, congratulations for your job!!!

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: শুভ কামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয় ভালো আছেন।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: একটু ব্যস্ত আছি। আর ব্লগে ইচ্ছে করেই লেখা দিচ্ছি না। ইদানিং আগের মত পাঠক নেই, ব্লগার দের ভিড়ও কম। তার উপর লেখা চোরদের উৎপাত আর ভালো লাগে না।
তাই কোনো লেখা দিচ্ছি না। যতটুকু সময় দেই ব্লগারদের লেখা পড়ি।

৫১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

মিরোরডডল বলেছেন: absolutely understood
তারপরও বলব
Problem is a part of life
stepping back is not the solution
face it and win it

আপনার লেখা আমি পছন্দ করি
Take your time man
write when you are ready

২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমার লেখা আপনার ভালো লাগে, জেনে খুবই অনুপ্রানিত হলাম।
Problem is a part of life, ঠিকই বলেছেন। তবে কারওকারও জীবনে problem চিরস্থায়ী সমস্যা।
লেখা দিবো, সময় হলেই দিবো।

সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অনেক শুভ কামনা রইলো।
ভালো থাকুন সদা!

৫২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শামীম ভাই কেমন আছেন?এই লেখাটি অনেক আগে একবার পড়েছি।লাইক দিয়েছিলাম শুধু কিন্তু ব্যস্ততার কারনে সে সময় কমেন্ট করা হয়নি হয়তো।
লেখাটি লিখতে গিয়ে আপনি যে আবেগে আক্রান্ত হয়েছেন সেটা স্পষ্ট।
নদীর প্রতি ভালবাসা যদি আপনার মত করে প্রতিটি মানুষের থাকত তবে কতই না ভাল হত।
নতুন পোষ্ট দিন।

২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সোহেল ভাই, অনেক ধন্যবাদ। সময় করে পড়েছেন তাতেই খুব অনুপ্রানিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নদীর কথা কয়জনা ভাবে ভাই!? এই প্রজন্ম, আরেকটা প্রজন্ম বড় হচ্ছে তারা নদী সম্পর্কে কিছুই জানবে না। কারণ সে সময় নদী শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যাবে। ।

নতুন পোষ্ট দিবো। এখন একটু ব্যস্ত আছি। তাই সময় করতে পারছি না।

৫৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শামীম ভাই লেখাটি সময় করে পড়বেন kobita

২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অবশ্যই পড়বো ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.