![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুখ নিয়ে সবাই কাড়াকাড়ি করে, আমি তাদের দলে নাইঅধিক ধন সম্পদের মাঝেও কোন সুখ নাই, আমি দুঃখওয়ালা তাই
১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় এ দেশ। মুক্তিযুদ্ধ দেখার সেই সৌভাগ্য আমার হয়নি। কারণ তখন আমি দুনিয়াতেই আসিনি। কিন্তু বই পুস্তক হতে, লোক মুখে এবং বিভিন্ন মিডিয়া হতে স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা হলেও অবগত হয়ছি। সেই ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ দেশ কারো ভাষণ কিংবা ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়নি। স্বাধীন হয়েছে দীর্ঘ নয় মাস সম্মুখ যুদ্ধের মোকাবেলা করার পর। এই দীর্ঘ নয় মাসে প্রাণ হারিয়েছ অনেক বাঙ্গালী। অনেক মা-বোন হারিয়েছে তাদের সম্ভ্রম। ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এবং ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমি মনে করি এই স্বাধীনতার প্রকৃত দাবীদার তারাই, যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু আমার বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই শুনে আসছি বাংলাদেশের দু'টো দল তাদের মধ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এই দাবী নিয়ে। একদল বলছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনেই স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়া হয়, আবার আরেক দল বলছে জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র, চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়। প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা বলুন দেশে কি এখনো মানুষ বোকা আছে? কারো ঘোষনা দেওয়ার মাধ্যমে কি একটি দেশ স্বাধীন হয়ে যায় এটা আপনারা বিশ্বাস করেন। ভাগ্য ভাল যে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানি জীবিত নাই। কিংবা তার কোন ওয়ারিশ ও নাই। থাকলে আজকের দিনে আমি মনে করি একমাত্র তার পরিবারই দাবী করতে পারতো যে, জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী'ই দেশকে স্বাধীন করার পিছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। দেশবাসীর ভাবনা আমি জানিনা, আমার মনে হয় বর্তমান বাংলাদেশের এই প্রেক্ষাপটে এসে আমাদের সেই পুরোনো বিরোধ ভুলে গিয়ে যার যা কৃতীত্ব তাকে দেওয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধে কম বেশি অনেকেই অবদান রেখেছ। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলে দেখতে পাবেন অনেকে আছে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি অথচ তাদের নামে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পত্র আছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য হয়েছেন অনেকেই। আবার এও দেখবেন অনেক সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধ আছে যাদের কোথার কোন রকম অন্তর্ভূক্তি নাই। অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন এরকম মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশে এখনো অনেক পাওয়া যাবে। সুতরাং এই মুক্তিযুদ্ধ নিয়া বেশী ঘাটাঘাটি না করে দেশটা যেহেতু স্বাধীন হয়েছে এবার স্বাধীনতা রক্ষা করার পালা। বর্তমানে আমরা এমন এক পরিস্থিততে আছি, মনে হয় না আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। সকাল কর্ম লক্ষ্যে ঘর থেকে বের হলে চিন্তায় থাকতে হয় যে রাত্রে নিজ ঘরে ফিরতে পারবো কিনা। কিছুদিন আগে বিরোধী দলীয় হরতাল চলছিল। আমার চাচা আসছে কাতার থেকে। উনাকে আনতে গেলাম রিক্সায় করে আর আসার সময় একটি সি.এন.জি. নিয়ে চলে আসছিলাম। তখন দুপুর ২ টা। পুরো চট্টগ্রাম নগরী অতিক্রম করে ঘরের কাছাকাছি আসতেই শুরু হল আক্রমণ। অনেক বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ততক্ষণে গাড়ী ভাঙ্গা হয়ে গেছে। এই হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা। হরতালের মধ্যে একজন রোগী হাসপাতাল নিয়ে যেতে যেতে পথেই মারা যাবে, তবু হাসপাতালে যেতে দেওয়া হবে না। এটাই আমাদের বহু কষ্টার্জিত স্বাধীনতা। আমরা এর পরিত্রাণ চাই। আমরা চাই নিজের মত করে বাঁচতে, নিজের মত করে চলতে এবং স্বাধীনভাবে ঘুরতে ফিরতে। আমরা আর পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে চাই না। আসুন এখনই সময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একত্রিত হওয়ার।
আমার এই লেখাটি পূর্বে এখানে প্রকাশিত
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
অিনক ইসলাম বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর সেনাপ্রধান জেনারেল ওসমানি। আরেকটি মেজর জিয়া ২৬ মার্চ সকাল ৯ টা পর্যন্ত পাকিস্তানের ব্যারাকে ছিলো। কোন পাগল বলে একজন অচেনা আর্মি সৈনিক এসে দেশ স্বাধীন করেছে। আসলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত হরতে করতে রাজকারা এদেশে আজ তান্ডব চালাচ্ছে। আর পোস্ট করার আগে নিজের জন্মটা মায়ের কাছে জেনে নিবেন বাংলাদেশে না পাকিস্তানে হয়েছিলো। খালেদা জিয়া জন্ম কোন পিতার বীর্যে হয়েছিলো এখনো বাংলারে মানুষকে বলে নাই।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৭
েমাহাম্মদ েবলাল েহােসন বলেছেন: জনাব অিনক ইসলাম, আপনার ভাষাটা একটু কঠোর হয়ে গেলনা! ইতিহাস একেবারেই যে জানা নেই তা তো বলি নাই। ১৯৭১ এর ২৬ শে মার্চ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দেয় নাই সেটা আমি জানি। ঘোষনাপত্রটি চট্টগ্রাম আসে ২৫শে মার্চ রাত্রে। আর সেটি প্রথম আসে চট্টগ্রামের তৎকালীন আওমীলীগ নেতা এম.এ. হান্নানের কাছে এম. এ আজিজের মাধ্যমে এবং সেটি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে পাঠ করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে ২৭শে মার্চ বেলা ১১টায়। পাঠক ছিলেন জিয়াউর রহমান। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন। অর্থাৎ তিনি শশরীরে যুদ্ধে ক্ষনিকের জন্য হলেও অংশগ্রহণ করেছে বলে আমার মনে হয় না। তিনি চাইলে বাংলাদেশে ভারতের মহাত্মা গান্ধীর মত হতে পারতেন, যদি না তিনি তখন তার হাতে ক্ষমতা না নিয়ে দেশের তৎকালীন যোগ্য যেকোনো একজনের হাতে তুলে দিতেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সবখানে সবাই আছে বলেছেন: আতাউল গনি ওসমানীকে কোন সেক্টর কমান্ডারই ভাল চোখে দেখেন না। ১১ জন সেক্টর কমান্ডারদের স্মৃতি কথন পড়লে এই লোকের উপর আপনার ঘেন্না জনামতে বাধ্য। জিয়াউর রহমান যুদ্ধ ছেড়ে দিতে চেয়েছিল এই লোকের জন্য। কর্নেল জামিল যখন ঢাকা থেকে জীবনের ঝুকি নিয়ে ত্রিপুরায় পৌছে তখন ওসমানী তাকে বকা দিয়েছিলেন এই বলে ঢাকা থেকে আসার সময় তার পোষা কুকুর কেন নিয়ে আসা হয় নাই। পরে আবার তাকে পাঠানো হয়। সাতক্ষীরা সেক্টর কমান্ডার মেজর ওসমানকে (যুদ্ধাহত) দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয় এই বলে যে তার নামের সাথে নাম মিলে যায় বলে বিদেশী সংবাদ্দাতারা তার সাক্ষাতকার নিতে যায়। জেল হত্যার পর এই ওসমানী খালেদ মোশাররফ কে বুঝিয়েছিল যা হবার সেটা ভুলে যেতে। শফিউল্লাহর বই পড়লে ইচ্ছা হবে কবর থেকে তুলে মারতে। যুদ্ধের পুরোটা সময় জিয়া, খালেদ, শফিউল্লাহ, মঞ্জুরের সাথে তার সম্পর্ক এত তিক্ত পর্যায়ে যায় যে তারা মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দেন। যুদ্ধ করেও যখন অনেকে খেতাব পায় নাই। তখন ওস্মানী তার এপিএস বা ব্রিফকেস বহন কারীকে দেয় বীর প্রতীক খেতাব। এটা নিয়ে খালেদ মোশাররফের সাথে বাদানুবাদ এমন পর্যায়ে পৌছায় যে খালেদের রিকম্নডেশানে পরে কেউই আর খেতাব পায় নাই।