![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুখ নিয়ে সবাই কাড়াকাড়ি করে, আমি তাদের দলে নাইঅধিক ধন সম্পদের মাঝেও কোন সুখ নাই, আমি দুঃখওয়ালা তাই
আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? নিশ্চই ভাল। আমি আমার মূল পোষ্ট এ যাওয়ার আগে একটু আজাইরা প্যাঁচাল পারি। বর্তমানে বাংলাদেশর রাজনীতিবীদ হতে গেলে আপনাকে জেলে যেতে হবে। তারপরই হবেন দক্ষ রাজনীতিবীদ। আমি সামুতে একটু রাজনীতি কইরা ফালাইছিলাম। তাই সামু বাহীনি আমারে পুরা এক সপ্তাহ জেলে আটকাইয়া রাখছিল। কালকে ছাড়া পাইছি। প্রথমে কষ্ট লাগছিল, পড়ে মনে মনে চিন্তা করলাম দু'একবার জেলে না গেলে কি আর পরিচিত হওয়া যাবে? পরিচিত হওয়ার জন্য জেলে যাওয়া আবশ্যক। অনেক প্যাঁচাল হয়ে গেল এবার আসি আমার মূল পোষ্ট এ।
(আস্তিক)
(নাস্তিক)
আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ। বহু প্রাণের বিনিময়ে, বহু ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশ। প্রতিজ্ঞা ছিল সোনার বাংলায় রূপান্তর করার। সোনার বাংলা থেকে যুগের পরিবর্তনের কারণে সেটি এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সোনার বাংলার আর দরকার নেই। কারণ যুগ পাল্টেছে। আমাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও বেশ পরিবর্তন এসেছে। ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে তুলে দিয়েছেন। সে অনুযায় বর্তমানে বিরোধী দলের প্রধান আন্দোলন হওয়া উচিত ছিল তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু। কিন্তু না, তা আর হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে। এই বিচার করতে গিয়ে এবং রায় নিয়ে সৃষ্ট মত-বিরোধ থেকে রাজনৈতিক ধারা সম্পূর্ণ অন্যদিকে মোড় নেয়। কাদের মোল্লার রায়কে নিয়ে শাহবাগে তৈরী হয় গণজাগরন মঞ্চ। আর এই গনজারণ মঞ্চই সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট পাল্টে দেয়। ইসলামী দলগুলোর টনক নড়ে। এই গণজাগরন মঞ্চ হওয়ার আগে কিন্তু বাংলাদেশে আস্তিক বা নাস্তিকের কোন আলোচনা কিংবা সমালোচনা কোনটাই ছিলনা ইসলামী দলগুলোর মধ্যে। হঠাৎ করে দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। বর্তমান ইসলামী দলগুলোর মতানুসারে যারা ইসলামী দলের অনুসারী তারা নাস্তিক আর যারা বিশেষ করে আওয়ামীলীগ কিংবা বাম দল সমর্থক তারা নাস্তিক। আবার দেশের ইসলামীদলগুলোর মধ্যেও আছে মত-বিরোধ। একে অপরকে নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করছেন। আর ব্লগার তো আছেই। প্রিয় পাঠকগণ আপনি যদি ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নাস্তিক। তাদের ভাষ্যমতে আমিও একজন নাস্তিক। আসলে ইসলামী দলগুলোর কর্মী পর্যায়ে অনেকেই আছেন, শুধু অনেকে না প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মীই কিন্তা জানে না ব্লগার কি এবং ব্লগ ই বা কি। আমি একজন মুসলিম হিসেবে এইটুকু বলতে পারি যে ইসলামে কোনকিছু না জেনে কারো সম্পর্কে কোনকিছু বলা ঠিক না। নিজ চোখে দেখে বা নিজের কানে শুনলে তখন সেটার সমালোচনা করা যায়। আবার ইসলাম এও বলে যে তোমরা জীবিত কাউকে কাফের বলো না, কেননা ঐ ব্যক্তি মৃত্যুর আগ মুহুর্তেও হয়তো ইমান আনতে পারে। একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন কে আস্তিক বা কে নাস্তিক। এমন অনেক মানুষ পৃথিবীতে আছে যারা সারাজীবন এমন সব অপকর্মে লিপ্ত থাকে যে তাদের দেখলেই ঘৃণা লাগে, কিন্তু মৃত্যুর মুহুর্তে দেখা যায় এ রকম অনেকেরই কালিমা নসীব হয়। পরিশেষে এইটুকু বলব, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই ধর্মে হিংসা, বিদ্বেষ এর স্থান নেই। ইসলাম বলে তোমাকে যদি কেউ একটা থাপ্পড় দেয় এবং তোমার সেই থাপ্পড়ের জবাব দেওয়ার সাহস, শক্তি থাকার পরও যদি তুমি তাকে ক্ষমা করো তাহলে তুমিই প্রকৃত ইমানদার। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে হেদায়াত দান করুন।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২০
েমাহাম্মদ েবলাল েহােসন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আসলে কারা আস্তিক আর কারা নাস্তিক সেটাই তো খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু বর্তমানে দেশের কিছু ইসলামী সংগঠন ব্লগারদের পিছনে উঠে পড়ে লেগেছে নাস্তিক বলে। আসলে সব ব্লগারই কি নাস্তিক। এখানে নাস্তিকদের ফাঁসি চাচ্ছে না তারা। তারা চাই নাস্তিকদের মৃত্যুদন্ড। একজন মুসলিম হিসেবে আমার ভাষ্য হচ্ছে যারা সত্যিকারের নাস্তিক, যারা ধর্মকে নিয়ে বিদ্রুপ করে সেটা যে ধর্মই হোক না কেন তাদের শাস্তির বিধান করা উচিত।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আমরা সবাই রব্বানা খাল্লেক আল ইন্সান সেই পরিচয় কি একবারেই ছোট ? আস্তিক আর নাস্তিক সেটা কোন পরিচয় নয় ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
েমাহাম্মদ েবলাল েহােসন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আমরা সবাই এক আল্লাহরই বান্দা । ধর্মকে নিয়ে বিদ্রুপ কিংবা কটুক্তি না করে যার যার ধর্ম তার তার নিজশ্ব নিয়মে পালন করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে যা চলছে দেশে তা ঠিক না। মুসলমান মুসলমান বিরোধ করে, পরে সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ী ভাঙ্গা হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আমার মতে এগুলো মুসলমানের কিংবা ইসলামের দৃষ্টিতে শুভনীয় নয়। আমাদের এসব পরিহার করে এক আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করা উচিত।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: পোস্ট টা ভাল লাগছে। কম কথায় অনেক কিছু বলে ফেলছেন।
পোস্টে প্লাস +++++
আমার মনে হয় আমাদের দেশের মানুষকে আমরা আমাদের দেশের জন্মের রক্তাক্ত ইতিহাস কিছুই জানাতে পারি নাই। বিশেষ দিবসে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভাষণ আর দেশাত্মবোধক গান বাজালেই আসলে ইতিহাস জানানো হয় না। যদি ইতিহাস অনুধাবন করত বাংলাদেশিরা, তাহলে আজ আর এই অবস্থা হত না।
ধর্মের মত একটা পবিত্র জিনিসকে যারা রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করার মানসিকতা দেখায়, তাদের কে নিয়ে কিছু বলার মত রুচি ও নাই।
ধন্যবাদ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
েমাহাম্মদ েবলাল েহােসন বলেছেন: আপনাকে আপনার মূল্যবান বক্তব্যের জন্য এবং কষ্ট করে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে কথায় আছে ধর্ম যার যার দেশ সবার। কাজে কিন্তু ঠিক তার উল্টো আমাদের দেশে। নিজেরা নিজেরা ঝগড়া কিংবা বিরোধ লাগিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে অন্য ধর্মের লোকের উপর। এগুলো আসলেই ককারো কাম্য নয়। আমাদের এগুলো পরিহার করে নিজ নিজ ধর্মকে সবকিছুর উর্ধ্বে রাখতে হবে। ধর্মকে রাষ্ট্রীয় কিংবা ক্ষমতার লোভে ব্যবহার করলেই সংঘাত, সহিংসতা বাড়বে।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
মোমের মানুষ বলেছেন: আপনি কোন দলে?
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
েমাহাম্মদ েবলাল েহােসন বলেছেন: আমি কোন দলেরই না..
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: আরব দেশ গুলায় বহুত আগে থেকেই শিয়া সুন্নি বিরোধ চলছে , আর পাকিস্তানে তোঁ সেইটা অস্ত্র বোমা পর্যায়ে চলে গেছে , পাকিস্তানে ইদানীং দেখা যায় শিয়াদের মসজিদ মাদ্রাসা মাজার গুলাতে সুন্নিরা বোমা হামলা চালায় এবং উল্টা জবাব শিয়ারা ও দেয় তারাও সুন্নিদের মসজিদ মাদ্রাসা মাজার সহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায় , ফলাফল হইলো গিয়া নিরীহ মুসলমান অকালে নিহত হয় এবং দেশ ধ্বংস । আরব দেশ গুলাতে শিয়া সুন্নির বিরোধ কে কাজে লাগীয়ে পশ্চিমা দেশ গুলা বিভিন্ন সময়ে সৎ ব্যবহার করেছে , যেমন ইরাকের শিয়াদের সাপোর্ট দিয়ে সুন্নি বা সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য অ্যামেরিকা এখনো ত্রাস চালাচ্ছে ইরাকে সৌদি আরব , ইরান , কাতার বাহরাই কুয়েত সহ সব দেশেই শিয়া সুন্নি বিরোধ চর্ম আকার দারণ করেছে । তাদের এই বিরোধ অস্ত্রের পর্যায়ে না গেলেও মামলা হামলা সব সময়ই চছে , মুসলমান দেশ গুলার মধ্যে শুধু বাংলাদেশেই একমাত্র দেশ শিয়া সুন্নি বা ওহাবীদের মধ্যে দণ্ড নেই । কিন্তু সেই দণ্ডটা মনে হয় শুরু হয়ে গেলো । হেফাজতে ইসলাম এবং আহলে সুন্নাত এর মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠছে দিন দিন , আসলে হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীরা বেশির ভাগই ওহাবী মতাদর্শের ধারক, তাই ওহাবী এবং সুন্নি মওলানাদের মধ্যে অনেক আগে থেকেই একটা বিরোধ বিরোধ ভাব ছিল খুবই গোপনে কিন্তু সেইটা দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে , হেফাজত' ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে এমন কথা বলছে আহলে সুন্নত , আর হেফাজত বলছে সুন্নিরা মাজার পূজারী , আসলে এই সব কথা বহুত আগে থেকেই এক দল আরেক দল কে কটাক্ষ করে আসছে , কিন্তু সেই বিরোধটা এখন রাজ পথে চলে এসেছে এবং এইটা একদিন অস্ত্র বোমার পর্যায়েও চলে যাবে । যেমনটা পাকিস্তানে হচ্ছে , আর সেই দিন বোধ হয় বেশি দূরে নেই , শিয়া , সুন্নি ওহাবী এই দণ্ড দিন দিন মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের দাড় করিয়ে দিবে , আর এই দণ্ড হয় তোঁ একদিন মুসলিম দেশ গুলা ধ্বংস হয়ে যাবে । ইহুদী খৃস্টান দের সাথে নয় নিজেরা নিজেরা যুদ্ধে করতে হবে ইসলাম রাক্ষার নামে , পাকিস্তানে শুরু হইছে , ইরাকেও শুরু হইছে ইয়েমান , মিশর , সহ অনেক দেশেই এবং এখন বাংলাদেশও হবে
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
েমাহাম্মদ েবলাল েহােসন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও আমার নগন্য পোষ্টটি আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে পড়ার জন্য এবং আপনার মূলবান মন্তব্যের জন্য।
আপনার কথা ঠিক। শুধু এদেশে নয় সারা বিশ্ব এখন মুসলমানই মুসলমানের দুশমন হয়ে যাচ্ছে। মুসলমানের কারণেই ইসলাম আজ বিপর্যস্ত। আমাদের এটা হতে দেওয়া উচিত না। ধর্ম নিয়ে জ্ঞানীরাই নিজ ধর্মের ভিতরে বিবাদ সৃষ্টি করলে আমরা সাধারণ মুর্খ বাঙ্গালরা কোন পথে যাব তার কোন হদিস থাকবে না। ইসলামী দলগুলোর একপক্ষ বলে তারা ভাল তাদের পথ অনুসরণ করো আরেক পক্ষ তারা ভালো তাদের পথ অনুসরণ কর। আমরা আসলে কোন পথে যাব? কারটা বিশ্বাস করবো?
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
আলাদীন বলেছেন: আপনার পোস্টের সাথে একমত তবে পোস্টটি অর্ধেক। বাকি অর্ধেকটি দেয়ার চেষ্টা করলাম:
ঠিক একই ভাবে আওয়ামি ঘরানার সবাই বোঝানোর চেস্টা করছে যে ইনলামী দল মানেই যুদ্ধপরাধী, মধ্যযুগীয়, মৌলবাদী। যেমনটি ব্লগ জিনিসটি কি সেটা না বুঝেই নাস্তিক ট্যাগ চলে এসেছে, ঠিক একই ভাবে কুরআন, হাদীস নিয়ে পর্যাপ্ত ধারনা না থাকা সত্ব্বেও ফতোয়া দেয়া সহ আলেম সমাজের নামে ইসলাম অবমাননার মামলা পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।
আসলে আমাদের চোখ বন্ধ। অথবা আমরা কিছু সার্টিফিকেটধারী মুর্খ। তা না হলে আমরা জনাব ক, জনাব খ এদের ফাঁসি না চেয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সুষ্ঠ বিচার চাইতাম। বিচার আর প্রতিশোধ দুইটি দুই জিনিস। শাহবাগীরা স্পষ্টতই ইতিহাস জেনেছে জাহানারা ইমাম, জাফর ইকবাল আর মিনতাসির মামুন ধরানার লেখা থেকে। এদের কারোরই যুদ্ধচলাকালীন অভিগ্গতা নেই। মিডিয়ার কল্যানে ধর্মান্ধ শব্দটি আমাদের মগজে গেঁথে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরই বিপরীতে আচে আওয়ামিলান্ধ যা আমরা দেখেও না দেখার ভান করি। শাহবাগীরা মুক্ত চিন্তার অধিকারী হলে এই সহজ সত্যটি বুঘতে পারতো যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে অভিযুক্ত ব্যাক্তির কি বক্তব্য সেটা মোনা বেশী জরুরী। সেটা না বলে জামায়াত ইসলামকে মিডিয়া ব্ল্যাক আউট করে রাখা হয়েছে, তাদের ব্লগ পড়ব না, তাদের বক্তব্য শুনব না। তাদের বিরুদ্ধে টক মো তে কথা বলব কিন্তু তাদের পক্ষের কাউকে যুক্তি খন্ডনের জন্য আসতে দেব না।
আমাদের মন বলছে ছাত্রশিবিরের কেউ বাংলাদেশ চায় না তাই সেটাই ঠিক। তাই একজন ছাত্রশিবীরের কেউ রাস্তায় মারা গেলে সেটা হত্যাকান্ড নয় । বরং খুশী হওয়া উচিৎ।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধপরাধ ব্যাপারটি এতো সহজ নয়, এটার সত্যিকারের বিচার করতে গেলে কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে। অনেক মুক্তিযোদ্ধার হাতেও হাতকড়া পড়বে। আর প্রমানের অভাবে অনেক অপরাধীও পার পেয়ে যাবে। আমরা একবছর আগের হত্যার বিচার করতে হিমসিম খেয়ে যাই, আর 1971!! সেই সময়ের না ছির কোন ডি এন এ টেস্ট, না ছির কোন সার্ভাইল্যান্স ইক্যুইপমেন্ট।
বিচারের নামে যে গোঁজামিল হচ্ছে, সেটা পরিস্কার আওয়ামিলীগের রাজনীতি। এই ৫ জন যদি ৯ মাসে ৩ লক্ষ মহিলাকে ধর্ষন করে তাহলে তারা দিনে ধর্ষন করেছে ২২২ জন মহিলাকে। যদি ৩০ ণক্ষ মানুষকে হত্যা করে, তাহলে দিনে এক এক জন হত্যা করেছে ২000 এর বেশী। আর সেক্ষেত্রে এরা তো সুপারম্যানকেও হার মানাবে। আর যদি বলা হয় এরা তো সব করেনি, এরা ছিল সাহায্যকারী .. তাহলে এটা কি বিচার? যেখানে আসল অপরাধীকে আন্তর্জাতিক আদালতে হাজির করার মুরোদ নেই, সেখানে ধরের বউকে পিটিয়ে পৌরুষ জাহির করাটা কি এতোই জরুরী? মুনতাসির মামুনীয় ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে সাজানো নাটককে বিচার বলাতে যদি কোন বিবেকবান মানুষের সায় থাকে তাহলে জেলখানায় চার জাতীয় নেতার বিচারও সঠিক ও সুষ্ঠ হয়েছিল বলা যায়।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
েমাহাম্মদ েবলাল েহােসন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূলবান কিছু কথার জন্য।
আমি আপনার সাথে সহমত। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতি বিশেষ করে আওয়ামী রাজনীতি বলতে গেলে সেই বাকশাল নীতিতে পরিণত হয়েছে। আর শাহবাগীদের কথা নাই বা বললাম। তারা যা শুরু করেছে, দিনের পর দিন আন্দোলনের নামে যেভাবে অর্থনীতির বারোটা বাজাচ্ছে আজ হোক আর কাল হোক এই হিসাব চুকাতে হবে তাদের। তাদের মনে রাখা উচিত যে এক মাঘে শীত যায় না। এরা আন্দোলনের নামে সম্মিলিতভাবে দেশটাকে আরেকটা ধ্বংশযজ্ঞের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা আর যুদ্ধ চাই না। এক যুদ্ধের ঘা এখনো আমাদের শরীর থেকে মুছেনি। তাই আমাদের প্রত্যেকর উচিত এই শাহবাগী আন্দোলন এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। তারা আন্দোলনের নামে অনশনের নামে দেশের চলমান পরিস্থিতে যেটা প্রধান ইস্যু হওয়ার কথা সেই তত্বাবধায়ক ইস্যুকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য এই তাদের এই সাজানো আন্দোলন এবং এর পরিকল্পনাকারী ১০০% আওয়ামীলীগই।
৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১১
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: ব্লগার আলাদীন, আপনার কথায় যুক্তি আছে। আপনার মত যুক্তিসম্পন্ন কথা যদি আরো অনেকেই বলে তাহলে অনেক কিছু চিন্তা করার সুযোগ আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সবাই আপনার মত করে বলতে আগ্রহী না। সবাই হয়ত আমার মত শুনতেও আগ্রহী না। যে কারণে চলছে পারস্পরিক ঘৃণা বিদ্বেষের ছড়াছড়ি, মারামারি।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কারা নাস্তিক? কিভাবে বুঝবেন?
কেউ নাস্তিক হলেই তার ফাসি কেন চাইতে হবে?
তবে যদি নাস্তিকরা আস্তিকদের ফাসি চায় ??