![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবদুল্লাহ আল আমিন
বিশ্বের সব শহরেই একদল অসুস্থ দেবদূত ঢুকেছে । চেহারায়-অবয়বে, পোশাক-আশাকে ওরা আধুনিক, কিন্তু মগজ-মননে মধ্যযুগীয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে হিংস্র-বর্বর । ওরা ধর্ম, অধ্যাত্মিকতা, প্রেম- মানবিকতা, গণতন্ত্র বোঝে না- সভ্যতা-সংস্কৃতি মানে না। ওদের বর্বরতার আগুনে চারদিক কেবল পুড়ছে আর পুড়ছে। পুড়ছে লোকালয়, দেবালয়, মানবিকতা আর গণতন্ত্র। ওদের আগুনের লেলিহান শিখায় গণতন্ত্রের অবস্থা এখন অনেকটা ‘পঞ্চভূতের ফাঁদে ব্রহ্ম পড়ে কাঁদে’র মতো। গণতন্ত্রের অবস্থা বডডো কাহিল। অসুস্থ দেবদূতদের দাপটে মনে হচ্ছে, সেই রামও নেই, অযোধ্যাও নেই। সত্যি বলতে কী, গণতন্ত্রের তন্ত্র- ধারক হিসেবে খ্যাতিমান আব্রাহাম লিঙ্কন, চার্চিল, নেহেরুরাও নেই ,গণতন্ত্রও যাই যাই অবস্থা। বিশ্বরাজনীতির নাটক এখন মধ্যমানের অভিনেতাদের দ্বারা মঞ্চস্থ হচ্ছে একের পর এক। রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, আইনের অনুশাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মূল্যায়নের ভিত্তিতে বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ায় যে ব্যবস্থা এখন চলছে তা হচ্ছে, হাইব্রিড ডেমোক্র্যাসি অর্থাৎ দো-আঁশলা গণতন্ত্র। ফ্রান্সে ইমানুয়েল ম্যাঁখোর উত্থান আমাদের আশান্বিত করে, কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিকৃতিটি চোখের সামনে আনলে মনে হয়, গণতন্ত্র একটি ফালতু ( পড়–ন মূর্খ ও নিকৃষ্টদের শাসনব্যবস্থা! ) ব্যবস্থা। সত্যিই, ভাববাদী প্লেটো আড়াই হাজার বছর আগে ঠিক কথাই বলেছেন। আর অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সমাজতান্ত্রিক ধ্যানধারণা এখন ইতিহাসের অংশে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা, মানবিকতা ইত্যাদিও এখন বিগতযৌবনা। লোকরঞ্জনবাদ আর ধর্মীয় উগ্রবাদ ভয়ঙ্কররূপে মাথাচাঁড়া দিয়েছে। কমিউনিস্টদের তীর্থভূমি মস্কোর আকাশ ছুঁয়েছে সেন্ট বাসিল ক্যাথেড্রালের গম্বুজ। চারদিকে গির্জা আর গির্জা। ঢাকা যেমন মসজিদের শহর, তেমনই মস্কো এখন গির্জার শহর। কিন্তু ৫ শতাংশেরও কম মানুষ নিয়মিত গির্জায় যান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনও গির্জায় যান। মহামতি লেনিন ধর্মকে আফিমের সঙ্গে তুলনা করে ধর্মহীনতার ওপর জোর দিয়েছিলেন, তা থেকে পুতিনের রাশিয়া দ্রুতগতিতে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ভারতবর্ষের বামচিন্তার উদয়ভূমি পশ্চিমবঙ্গে রামের উদয় হয়েছে। রাম নিয়ে বাঙালির মাতামাতি ছিল না কখনও। বাম নিয়ে ছিল প্রায় পাঁচ/ ছয় দশক।। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হঠাৎ বামের স্থান দখল করে নিয়েছে রাম। সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় প্রাগ্রসর পশ্চিমবঙ্গে প্রগতিশীল বামরাজনীতি এখন বালুচরে আটকে গেছে। সেই সুযোগে বিরোধী শিবিরের ফাঁকা মাঠ দখল করতে চলেছে রামভক্ত বিজেপির গেরুয়াধারীরা। মার্কসীয় দর্শনের সরোবরে সাঁতার কাটা যুক্তিবাদী, নিরীশ্বরবাদী, প্রগতিশীল বামকর্মীরাও এখন দলে দলে ঠাঁই নিচ্ছে রামনামে ধন্য গেরুয়া পতাকার ছায়াতলে। হনুমান-জয়ন্তী, রামনবমীকে বাঙালির নতুন পার্বণ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জোর চেষ্টা চলছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। আর বাংলাদেশেও চলছে ইসলামের নামে উন্মাদনা। এর আগেও ইসলামের চর্চা ছিল, কিন্তু উন্মাদনা ছিল না। ভাবপ্রবণ বাঙালি ধর্ম পালন করেছে, কিন্তু ধর্মের নামে উন্মত্ততা দেখায়নি কখনও। হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে অসাম্প্রদায়িক সরকারের সাম্প্রতিক সমঝোতা নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে বির্তকের ঝড় তুলেছে। সবাই বিস্মিত হয়েই ভাবছে, এমনটা হল কেন ? রাজনীতি-সচেতন মানুষের পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ কী অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় ? অভিযোগ উঠেছে, সস্তা জনপ্রিয়তা আর ভোটের রাজনীতির জন্য মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটিকে যদি তার চিরায়ত আদর্শ জলাঞ্জলি দিতে হয়, তাহলে তেমন ভোটসর্বস্ব গণতন্ত্র আর রাজনীতির মুখে ছাই ! অথচ দেশে- বিদেশে আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবেই শনাক্ত করা হয়। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ নিজেকে ইসলাম-পছন্দ দল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের প্রচলিত ভাবমূর্তি ও বাস্তব কার্যকলাপের বৈপরিত্য মুক্তচিন্তার প্রগতিশীল সম্প্রদায়কে শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে । আওয়ামী লীগ ও বামপ্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তির কাছেই তো বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ভরসা রাখতে চায়। এখনোও ধর্মীয় মৌলবাদীরা আওয়ামী লীগকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করে। আওয়ামী লীগের এহেন আপসকামিতায় মৌলবাদীরা বেশ উজ্জীবিত। তারা ভাবছে, এবার বোধ হয়, ইসলামী মৌলবাদীদের গদিতে আরোহন ও রাজনীতির পথ প্রশস্ত হলো। অসাম্প্রদায়িক গণমুখী রাজনীতি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না বাংলাদেশে। তবে ইতিহাসের আলোকে বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে, এদেশে ধর্মীয় মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠিত হবার কোনো সম্ভাবনাই নেই। আমি মনে করি, বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি ইসলামি মৌলবাদের জন্য অনুকূল নয়। মধ্যপ্রাচ্যের জনমানুষের মনোজগৎ আর বঙ্গীয় বদ্বীপের জনগণের চিন্তা জগৎ এক নয়, পৃথকতা আছে। মধ্যপ্রাচ্য তথা আরববিশ্বের মৌলবাদীরা কেবল ইসলামি হুকুমাত আর উগ্রবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ছে না, তারা লড়াই করছে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সা¤্রাজ্যবাদের বিরূদ্ধে, আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার জন্য । আমাদের দেশের উগ্রবাদীদের রাজনীতির ভেতর দেশপ্রেম বা জাতীয়তাদী উপাদান নেই, সা¤্রাজ্যবাদবিরোধিতাও নেই। এরা সব সময় আঘাত করতে চেয়েছে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি, দেশজ ভাবনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর। এরা বাঙালিত্ব,বাঙালি সংস্কৃতি, পয়লা বৈশাখ, মুক্তিযুদ্ধ কোনো কিছুই স্বীকার করে না, বরং এসব নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানরা তাদের উন্নাসিকতা ও গণবিচ্ছিন্নতার কারণে সমাজে বা রাজনীতিতে বড় কোনো অবদান রাখতে পারেনি, তেমনই এরাও বাংলাদেশের মাটিতে গণভিত্তি ও লোকপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবে না। আর হ্যাঁ, রাজনীতি করার জন্য জনভিত্তি যেমন দরকার, তেমনই দরকার শক্ত প্রতিপক্ষ থাকা অথবা বানানো । বাংলাদেশের মৌলবাদীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে তেমন শক্ত প্রতিপক্ষ বানাতে পারেনি। এ কারণে ইসলামের সামাজিক ভিত্তি থাকলেও, রাজনৈতিক ভিত্তি একবারেই নড়বড়ে। ইরাকি মৌলবাদীদের প্রতিপক্ষ মার্কিন সামাজ্র্যবাদ, তালেবানদের প্রতিপক্ষ সোভিয়েত সম্প্রসারণবাদ- পরবর্তীতে মার্কিন সামরিক জোট। বাংলাদেশের মৌলবাদীদের প্রতিপক্ষ তাহলে কে ? ধরে নেয়া যাক, ভারতীয় আধিপত্যবাদ । ভারত কী আসলেই আমাদের শত্রু ? তারা কী কখনও বাংলাদেশের ভূখ- দখল করতে চেয়েছে ? হিন্দুরা কী সবাই ভারতের অনুচর ? বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য তারা হুমকি স্বরূপ? তাহলেকোন যুক্তিতে বাংলাদেশের মানুষ ভারতকে শত্রু ভাবতে যাবে ? আসলে ‘ভারত- ফোবিয়া’ হল সাম্প্রদায়িকতাবাদী সংস্কৃতি-তাত্ত্বিক ও রাষ্ট্রচিন্তকদের মস্তিষ্কজাত একটি মেকি তত্ত্ব। এর সারবত্তা তেমন নেই বললেই চলে। ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। তিস্তার পানি বন্টনের প্রশ্নে দিল্লি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করেছে। তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন হয়ে গেলে এবং চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হলে ভারত বিরোধিতার ফাঁপা বেলুন অনেকটাই চুপসে যাবে। তখন বাংলাদেশের মৌলবাদীরা কী নিয়ে রাজনীতি করবে ? কাকে তারা প্রতিপক্ষ বানাবে ? কয়েকজন কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী আর মুক্তমনা ব্লগারদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করা যাবে না।
হলি আর্টিসান, শোলাকিয়া ট্র্যাজেডির পর মনে হয়েছে, মৌলবাদীরা খুবই ভয়ংকর। এদের মানবিকতা নেই, দেশপ্রেম নেই, ধর্মবোধ নেই। এরা খুন করছে, আরও খুন করতে পারে। এদের পুলিশ-র্যাব দিয়ে কঠোরভাবে দমন করা দরকার। জঙ্গি দমন ও নিধনে বাংলাদেশের আইনপ্রয়োগ সংস্থাসমূহ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। পুলিশ-প্রশাসন জঙ্গি আস্তানা সম্পর্কিত তথ্য ও জঙ্গি তৎপরতার নেটওয়ার্ক জনগণের সামনে উন্মোচন করেছে। তবে রাইফেল,বন্দুক দিয়ে জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব হবে না, জঙ্গিবাদ একটি মতাদর্শ। ভ্রষ্ট মনস্তত্ত্ব থেকে ধর্র্মীয় মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের জন্ম। তাই জঙ্গিবাদ প্রতিহত করার দরকার একটি বিকল্প মতাদর্শ। এক্ষেত্রে অস্ত্র হিসেবে সামনে আনা যেতে পারে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, মানবিক অধ্যাত্মবাদ ও ইসলামি প্রবর্তনার সুফিবাদকে। এ কথা বলার অবকাশ রাখে না যে, আমাদের সংস্কৃতি সেই চর্যাপদের সময় থেকেই মানবিক। এই সংষ্কৃতির ভিত্তি উদারনৈতিকতা, মানবিক সম্প্রীতি, লোকায়ত চিন্তা ও ভাবাদর্শ, যা প্রজন্ম-পরম্পরায় বহমান রয়েছে। আর বাংলার ইসলামের সঙ্গে আরবের ইসলামের পার্থক্য রয়েছে, যদিও ইসলাম বিশ্বজনীন ও ধ্রুপদী ধর্ম। তবেএদেশে ইসলাম বিস্তৃত হয়েছে সুফি-দরবেশ, অলি-আউলিয়াদের দ্বারা, মুসলমান শাসকদের তরবারির ঝনঝনিতে নয়। সুফি সাধকদের ‘কিরামত’ বা বুজরুকিতে আকৃষ্ট হয়ে শোষিত-বঞ্চিত ও সহজিয়ারা দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করে। বাংলার ইসলামওয়াহাবিদের তফসিরকৃত ইসলাম নয়, এ ইসলাম মরমি ভাবধারায় স্নাত মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন ইসলাম। নববৈষ্ণববাদের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্যদেব ও কবি চণ্ডীদাস ছিলেন সমন্বয়বাদী সহজিয়া মতবাদের অনুসারী। তারাও ইসলামের বাণী দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। চৈতন্যদেবও উচ্চবর্ণের ব্রাক্ষ্মণ্যবাদ ত্যাগ করে প্রেমভক্তিবাদী মানবিক ধর্ম প্রচার করেছেন। এই মানবিক ধর্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে চন্ডাল, মুচি, নমঃশূদ্র, অন্ত্যজ-অস্পৃশ্যসহ অনেক মুসলমান তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছে। সূফি প্রবর্তনার সাধকদের ভাব-ভাবুকতার সাথে চৈতন্যদেব- চন্ডীদাসের ভাবুকতার মিল খুঁজে পাওয়া যায়। সূফি দরবেশ ইসলামের সাম্য-মৈত্রীর বাণী প্রচার করতে গিয়ে মূলত প্রেম ও মানবিকতার বাণী প্রচার করে গেছেন। যদিও তারা ধর্মের ভাষা, প্রতীক রুপক ও উপমা ব্যবহার করে গান বেঁধেছেন, কবিতা রচনা করেছেন। তবুও তাঁরা ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ।
বাংলার বাউল সাধকরাও অসাম্প্রদায়িক ও ভেদবুদ্ধিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রেম ও মানবতার বাণী সবচেয়ে বেশি করে প্রচার করেছেন ।
‘ ভেদ বুদ্ধিহীন মানবতার উদার পরিসরে, সাম্য ও মানবতার সুউচ্চ মিনারে বসেই বাউলেরা সাধনা করে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাধকের ও দর্শনিকের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তারা সাম্য ও মানবতার বাণী প্রচার করে।’ (আহমদ শরীফ, ‘বাঙালী ও বাঙলা সাহিত্য,’ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮০)। আমাদের যে-চিরায়ত লোকসঙ্গীত, সেখানেও মিলনের বাণী উচ্চারিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘ এই গানের ভাষায় ও সুরে হিন্দু-মুসলমানের কণ্ঠ মিলেছে। কোরআন-পুরাণে ঝগড়া বাধেনি। ’ ( মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন সংকলিত হারামণির ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ)। ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, নীলবিদ্রোহ, বিভিন্ন কৃষক বিদ্রোহে হিন্দু-মুসলমান মিলিতভাবে সংগ্রাম করেছে। এমনকি ধর্ম-সংস্কারভিত্তিক ওয়াহাবি ও ফরায়েজি আন্দোলন হিন্দু- মুসলমান নির্বিশেষে সবার কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। এ আন্দোলন এক পর্যায়ে জমিদারবিরোধী রূপ ধারণ করে। ইতিহাসের আলোয় চোখ মেলে তাকালে জানা যাবে যে, আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি চিরকালই উদার ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন। তাই অসুস্থ, বিকারগ্রস্ত ‘ দেবদূতরা’ কোনোভাবেই বাঙালিকে পরাস্ত করতে পারবে না।
Image may contain: 1 person
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:১৮
খালিদ১২২ বলেছেন: স্যার শুভ কামনা। মোজাফফরের ভাই