![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭৫-এর পনেরই আগস্টের কালরাত্রে এক আকস্মিক দমকা হাওয়ায় লুটিয়ে পড়া এক নিস্পাপ ফুলের নাম বোধ হয় রাসেল। সে চলে গেছে, প্রিয় স্বদেশ আর মধুময় পৃথিবী ছেড়ে নক্ষত্র হয়েঅসীম নীলাকাশে চলে গেছে। মা-বাবা-চাচা-ভাই-ভাবীদের সঙ্গে রাসেলও নিষ্ঠুর ঘাতকের বুলেটে প্রাণ দিয়েছে। আমি আজও জানি না, কেন রাসেলকে হত্যা করা হয়? কী তার অপরাধ? মুজিবপুত্র হবার অপরাধেই কী তাকে হত্যা করা হয়? আত্মস্বীকৃত খুনিরা কী রাসেলের অপরাধ ব্যাখ্যা করতে পারবেন? জানি, পারবেন না। দাম্ভিক, আত্মস্বীকৃত খুনিদের সমর্থক বুদ্ধিজীবীরাও পারবেন না। আকৈশোর বুকের গহনে এই শিশুটির জন্য এক গভীর ভালোবাসা ও ব্যাথা অনুভব করেছি। কত যে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে বুকের ভেতরে তা এই অক্ষম ভাষা দিয়ে বোঝাতে পারবে না। এই অবুঝ শিশুটির নৃশংস মৃত্যু আমাকে আজও বিচলিত করে। তার স্বপ্নভরা চাহনি,দুরন্তপনা, ফুলের মতো মুখ আমাকে ব্যাকুল- বেদনার্ত করে। রাসেলের মৃত্যু-পূর্ব আর্তনাদ কী খুনিদের একটুও বিচলিত করেনি? কিন্তু তার আর্তনাদ, বেঁচে থাকবার প্রবল আকুতি, মর্মভেদী হাহাকার আমার মতো লক্ষ-কোটি মানুষের ভাবনার আকাশকে আজও এলোমেলো করে দেয়। ভেবে অবাক হই, এই মর্মস্পর্শী হত্যাকা-ের বিচার-প্রক্রিয়াও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল একুশ বছর। রাসেল মূলত রক্তসমুদ্র থেকে উত্থিত স্বপ্ন-কাতর বাংলাদেশের অবিকশিত সম্ভাবনার নাম। বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকরা রাসেলের স্বপ্ন, আবেগ, আকুতি নিয়ে কত কিছু রচনা করে চলেছেন। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কথাশিল্পী রফিকুর রশীদ এবার ছোটদের জন্য লিখেছেন ‘ রাসেলের জন্য ভালোবাসা’। বইটি আমাকে ও আমার পুত্রকন্যাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। আজ বিকেলে সদ্যপ্রকাশিত বইটি হাতে পেয়ে এক অতুলনীয় গৌরব ও আনন্দ অনুভব করছি। বইটি প্রকাশ করেছে চৈতন্য প্রকাশন, প্রচ্ছদ এঁকেছেন রাজীব দত্ত। ছয়টি গল্প নিয়ে সংকলনটি মলাটবদ্ধ হয়েছে। আমার বিশ্বাস, সব পাঠকের কাছে কল্পগল্পের সংকলনটি সমাদৃত হবে।
©somewhere in net ltd.