জানতে চাই, কে জানাবে!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫২

দোলনা থেকে কবর পর্জন্ত নলেজ অর্জন করতে হয়। কথাটার মানে কি দারায়? সারাজীবন পাঠশালায় বই পরতে হবে স্যারের সামনে নাকি জীবনে চলতে ফিরতে, যে কোন মাধ্যম থেকে, যে কোন সিচুয়েশন থেকে নলেজ অর্জন করে রাখতে হবে পরবর্তী দিনে চলাচলের সুবিধার জন্য মৃত্যুর আগ পর্জন্ত--???? ২য় টা সঠিক অনুযায়ী আমাদের অর্জন কতটুকু!!
সময় তো আর কারো জন্য অপেক্ষা করেনা, সময় পার করার সাথে সাথে নতুন কিছু জানতে পারলেই তো মূলত সময়ের সার্থকতা আসে। সময় সময়ের মতো চলে গেলে, আপনি আপনার মতো থেকে গেলে পরবর্তী দিন আপনার জন্য অসুভ, আর সবসময় নতুন কিছু জানার কারনে পরবর্তী দিন পানির মত সহজ হয়ে আসবে নিজের কাছে।

প্রাণিজগতের সাথে মানুষের পার্থক্য কেবল "বিবেক" । প্রাণিজগতের মতো বিবেক ছারা হয়ে দিন পার করার পর ও যদি আমরা নিজেদের কে শেরা ভাবি,আশরাফুল মাখলুকাত ভাবি, আর তাদেরকে প্রানি বলি তাহলে কেমন দেখায়না বিষয়টা? (প্রাণিজগৎ এর বিবেক কখনোই ছিলনা, তাই এখনো নাই। আর, মানুষের বিবেক সবকালেই ছিল,কেবল এই কালে নাই) উদ্দেশ্য ছারা দিন পার করে কেবল মাএ প্রানিরাই।


রাস্তাঘাটে চলতে গেলে অনেক অপরিচিত মূখ দেখতে হয়, একদম Unknown , একদম ASTON MARTIN গারির মত Unknown ।
বিবেক ছারা একটা প্রানি নিজ জাতীয় আর একটা অপরিচিত বিবেক ছারা প্রানি দেখলে ছুটে যায় তার দিকে, কেন যায়??? আর বিবেক থাকার পর ও মানুষ মানুষকে দেখে Avoid করে কেন??? Answer me. । তবুও অনেক কে দেখলে মনে হয় - তারা পেশীশক্তি দেখাতে এসেছে পৃথিবীতে। চাকরির জন্য এসেছে পৃথিবীতে। রিকশা চালাতে এসেছে পৃথিবীতে। আবার অনেক মানুষ দেখলে মনে হয়, তারা "মাদক" সেবন বা "মাদক" বেচা-কেনা করতে এসেছে পৃথিবীতে। আবার অনেকে মনে হয় খেলাধুলা করতে এসেছে পৃথিবীতে। কেও আশেপাশের মানুষের টাকা মারতে এসেছে, মানুষ কে বিপদে ফেলতে এসেছে, কেও মনে হয় গান/ অভিনয় করতে এসেছে পৃথিবীতে। আসলে মানব জাতী কেন এসেছে পৃথিবীতে! কোথা থেকে এসেছে! আবার কোথায় চলে যাবে চিরতরে সকলকে কাদিয়ে??? উদ্দেশ্য ছারা তো কিছুই হয়না। "মোবাইল ফোন" কেন! মানুষ ইউজ করবে তাই। "সিগারেট" কেন! মানুষ বুজেও smoke করবে তাই। তাহলে, আপনি কেন আসলেন মূলত এই পৃথিবীতে???একটু আগে বলা বিষয়গুলার জন্য! নাকি অন্য কোন কারনে এসেছি পৃথিবীতে? জীবনের মানে কি? মানব জীবনের "সংগা" কি ২০১৮ তে? কেও বলবেন দয়া করে।


বর্তমানে মানব জাতীরা সবচেয়ে বেশী সময় পার করে "সেটেলাইট" কেন্দ্রিক বিষয় নিয়ে, ভার্চুয়ালিটি নিয়ে। নাটক, মূভি দেখিয়ে আমাদের কে কি শিখানো হচ্চে মূলত??? এখন কথা হলো, এক বিষয় নিয়ে পরে থাকলে তো অন্য বিষয়ে ছার নাই। দেশের আইন আছে অগনিত। আইন বিষয়ে জানা বাধ্যতামূলক না,কিন্তু আইন মানা বাধ্যতামূলক।
না জানলে মানুষ মানবে কি করে আইন? তাই হিডেনলি আইন জানাও বাধ্যতামূলক বিষয়, আমি মানি অভিনয় একটা শিল্প, এটা সবাই পারেনা, তেমনি পরিচালক ও তো অনেক কঠিন বিষয়, এটা যোগ্যতার কাজ। লুক জহির রায়হান,তারেক মাসুদ। এই শিল্পটাই পারে সমাজের পকৃত সূখ ফিরিয়ে আনতে খুব কম সময়ে। আবোল তাবোল নাটক, ভিডিও না বানিয়ে যদি আইন এর ধারাগুলা ফুটিয়ে তোলা যায় অভিনয় দিয়ে কেমেরা দারা দেশের মানুষের সামনে, তাহলে সকলে সহজে বুজতে পারত কতটুকু করনীয়,কোনগুলা বর্জনীয়, কোন অপরাধ করলে কোন নিয়তি। এগুলা অভিনয় এর দারা তুলে ধরা হলে কয়েক বছরের মধ্যেই শান্তিময় দেশের রোল মডেল হবে আমাদের দেশ। যেমন, মিনা কার্টুন থেকে অনেক মেসেজ আছে আমাদের মঙ্গলময়ে।
Actor's রা যে যেই সিচুয়েশনে, যেই Acts করে, যেই পোশাক পরে, style, car,bike, dialouge, fight, song, emotions, love, মানুষ রা ও ঐ ধরনের সিচুয়েশনে ঐরকম করার try করে। অভিনয় এর মাধ্যমে মানুষকে যদি নিজের অধিকার জানানো যায়, যোগ্যতা জানিয়ে দেয়া যায়, করনীয় জানানো যায়, তাহলে তো সবাই তো ঐরকম ই করার try করবে। কারন, প্রকৃত হিরো-হিরোইন, পরিচালকরা আমার আপনার মতো মানব হলেও, দেশব্যাপী তাদের উপর অন্যরকম একটা পজিটিভ অনুভুতি আছে সবার কাছে।
★ যখন কেও সুখে থাকে,তখন সকল সুখের গান ই তার জীবনের সাথে মিলে যায়, আর দূখে থাকলে, সব দূখের গানই জীবনের সাথে মিলে যায়। এমনটা কেন হয় জানেন? একটগুলা আগে থেকে জানা শোনা, দেখার কারনে।


★এতদিনে যতগুলা নাটক, মুভি,শর্ট films, pranks, youtube video, ভিডিও songs তৈরী করা হয়েছে, এগুলা যদি আইন বিষয়ে করা হতো তাহলে আজকে আমরা সবথেকে সূখি জাতী থাকতাম পৃথিবীতে। সময় এখনো আছে, শেষ হয়নি।
কারন, কারোই বই আকারের কিছু পরতে ভাল লাগেনা এই যুগে, দেখতে ভালো লাগে অভিনয় move আকারে। law reader কত আছে এক এক বিষয়ে! আর ভিডিও ভিউয়ার কত আছে এক এক ভিডিও তে। বর্তমানে ব- কলম জনগনের অভাব নাই, আইন জানা ছারা বিকল্প ও নাই। না জেনে দিন পার করা থেকে আইন জেনে দিন পার করাতো অনেক সু চিন্তিত কাজ। তাই আসুন, নিজে জানি, অন্যকে জানার সুজোগ করে দেই, আসুন সমাজটা নতুন করে সাজাই, দেশটাকে বদলে দেই, মানুষের জীবন কে সহজ করে দেই ১৭ কোটি মিলে। সবাই যদি একসাথে এক কদম আগে বারি, তাহলে তো পুরা বাংলাদেশটাই এক কদম আগে বেরে যাবে সুখের ঠিকানায় peaceful 1 Bangladesh এ. সবার স্লোগান হোক আজ থেকে- জানতে চাই, কে জানাবে। মানতে চাই, কে শিখাবে। সহজ ভাবে না জানালে, মানবো আমরা কোন উপায়ে। বুকে সাহস রাখ, এক কদম আগে বারো। খোদা হাফেজ। Victory বাংলাদেশ, Victory Republic of Bangladesh. ।

৩ টি +০/-০