নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাফিউল ইসলাম দিপ্ত

মহাশূন্যের বিশালতায় জন্ম নেয়া এক তুচ্ছ মানব

সাফিউল ইসলাম দিপ্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নববর্ষ,মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আমার কিছু কথা।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ।যেকোন হিসেবে আমাদের বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের খুব জোরালো নিদর্শন এটি।
প্রতিবছরই বৈশাখ আসে।পরম আদরে বরণ করে নিই আমরা নতুন বৎসরকে।বরন করে নিই আমাদের আজন্ম লালিত ঐতিহ্যকে নতুন করে।
তবে কখনই এই বরণ করে নেয়ার পথটা মসৃন থাকে না।হাজার প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়।আর সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো,বাধা গুলো আসে আমাদের স্বজাতির কাছ থেকে।নিজস্ব সভতার প্রতিটি উপাদানকে যাদের নিজের মধ্যে পরম মমতায় লালন করার কথা ছিলো তাদের কাছ থেকে।
.
সেই স্বাধীনতা পূর্ব সময় থেকেই একটা গোষ্ঠী আমাদের পিছু লেগে আছে।স্বাধীনতার পূর্বে তারা ছলে বলে কৌশলে চেষ্টা করেছে আমাদের মধ্য থেকে নিজস্ব ঐতিহ্য প্রীতিটা ধ্বংস করে দিতে।যারা নিজেদের ঐতিহ্য,পূর্ব ইতিাসকে নিজেদের মধ্যে ধারন করতে পারে না তারা আর যাই করুক কখনও স্বাধীন হতে পারে না।
.
ভিনদেশী শাসকগোষ্ঠীর সাথে হাত মেলানো সেই গোষ্ঠী কিন্তু সেবার বিফল হয়েছিলো।
এরপর অনেকগুলো বছর কাটলো।স্বাধীনতার পর পদ্মা,মেঘনায় বহু জল গড়ালো।
কিন্তু সেই কালো গোষ্ঠীর থাবা থেকে আমাদের মুক্তি মিললো না।
.
অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে তারা আমাদের মধ্যে এমন একটা প্রজন্ম তৈরী করতে সক্ষম হলো যারা নিজেদের ঐতিহ্য বুকের ভেতর লালন করতে জানে না।অহেতুক সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প বুকের ভেতর পোষন করে রাতে ঘুমাতে যায়।
অন্ধকার কাটেনা।
.
আমরা আসলে আমাদের প্রজন্মের মাঝখানের এই বিভ্রান্ত অংশটুকু চাই নি।তাদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে।তারা অলীক কথাবার্তায় বিশ্বাস ও করছে।
.
তাই আজ আমাদের শুনতে হয় পহেলা বৈশাখ কোনৌ বাঙালী ঐতিহ্য নয়।বিশেষ কোনো ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ছদ্মবেশ মাত্র।
.
একটি সভ্যতা সৃষ্টি হয়।এগিয়ে চলে।সেখানে নানা মত,ধর্মের মানুষের পদচারনা ঘটে।সৃষ্টি হয় নানা সামাজিক আচার।লালন করা হয় নানা ঐতিহ্য।
.
সময়ের সাথে সাথে ঐতিহ্য গুলোও পালিত হতে থাকে।তবে বৈচিত্রের মাধ্যমে।নানানতুন বিষয়ের সম্মেলন ঘটে সেখানে।
.
তাই যারা বল পহেলা বৈশাখ বাঙালী ঐতিহ্য নয় বা মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের তুলনামূলক নতুন সংযোজনা বলে ঐতিহ্যের দাবীদার নয়।তাদের প্রতি করুনা করা ছাড়া আমার জন্য আর কোনো উপায় নেই।
.
মঙ্গল শোভাযাত্রা আমাদের নতুন বছরের এক প্রতীকি মিছিল।আমরা আমাদের গোটা সংস্কৃতিটা ধারন করার চেষ্টা করি এর মাঝে।
আমরা মুখোশ পড়ে বনে বাদাড়ে যাই হিংস্র পশু থেকে রক্ষা পেতে।লক্ষীপেঁচা,ডোরাকাটা বাঘ আমাদের প্রকৃতির উপাদান
.
আমরা গোটা বিষয়টাই ধারন করার চেষ্টা করি মঙ্গল শোভাযাত্রায়।নতুন বছরে নতুন ভাবে পথ চলার শপথ নিই।কোনো কিছুর উপাসনা করতে আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রায় হাজির হই না।
.
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক সবার।জয় হোক মানবতার।বাঙালী বেড়ে উঠুক তার আপন মহিমায়,বুকে লালন করুক আপন ঐতিহ্য।
.
সবাইকে নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৫

বিপরীত বাক বলেছেন: বাঙাল

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

সাফিউল ইসলাম দিপ্ত বলেছেন: আপনার ভাষা ঠিক আমার কাছে স্পষ্ট না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.