![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হয়তো নিশুতি রাত,
ভীষন ক্লান্ত ঘুমায়েছে তারা সব।
সুপ্রাচীন নক্ষত্র তলের কাব্যিক পৃথিবীতে।
.
হতভাগা চাঁদটা তবুও জোৎস্না বিকোয়,
মৃদু তিরতিরে বাতাসেতে কাঁপে ঝাউবন।
নারকেল শাখা দোলে,রাতের পাখিরা ডাকিছে হঠাৎ কর্কশ।
দূর পাহাড়ে তার প্রতিধ্বনি হয়।
.
অন্ধ মেঘেরা ধূলোবালি মেখে ঘোরে,
পুঁইডাটাগুলো উঠানে আপনি রয়েছে মাটির ডোঁরে।
একপাশে ঝড়ে শিউলী,নিবিড় মায়াতে ঘেরা।
ভেজা চৌচালে বসিছে চড়ুই,বাঁধিছে তাদের ডেরা।
উঠোন পেরিয়ে গেলে,বটবৃক্ষের জমাট অন্ধকার।
যেন ক্রন্দনরতা মানসীর আঁখিপল্লবে উছলে পড়া কাঁজল।
দূরে মাথা তোলে শালবন,জোঁনাকি নিভিয়া জ্বলে,
ক্ষীনপ্রভা আঁখি বনবেড়ালেরা,কেবলি ঘুরিয়া চলে।
বিস্তৃত মাঠ নিশ্চুপ পড়ে থাকে।নিশ্চুপ নদী,নিশ্চুপ চরাচর।
শ্রোতঘেঁষা চরে বালু চিকচিক করে,দিগন্তরেখা হারায়েছে তার ঘর।
.
রাত্রি বহিয়া চলে,ব্যর্থ কবির দীর্ঘশ্বাসের নীলকালো রাত্রি।
অভাগা মানুষ তখনও ঘুমায়,ক্লান্ত চোখেরা ঘুমায়ে হারাবে শ্রান্তি।
শুধু ব্যর্থ কবি জাগে।
নব পদ্যের প্রয়াসে কবি রাত দ্যাখে,চাঁদ ডোবে,রাত্রি প্রয়ান হয়।
তবু কবিতা ধরা দ্যায় না।
চেনা ব্যর্থতা ছিড়ে খুড়ে ফেলে তাকে।
তবু ঘুমহীন কবি প্রকৃতিরে শুধু,
প্রিয়তমা বলে ডাকে।
০৬ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭
সাফিউল ইসলাম দিপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।