![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চ্যাপ্টা হওয়া শরীরটা লেগে আছে নোনা ধরা দেয়ালের আছে, রঙ চটা কোণের দিকটায় বহুদিনের ধুলো জমা মাকড়সার কালো ঝুল, তন্তুগুলোর পাশ দিয়ে আসবার সময় সে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো টাঙিয়ে রাখা অষ্টপদীর মশারি আগের মতনই আছে কিন্তু মালিক নেই। বাচ্চা দিয়ে হয়তো কোথাও মরে টরে পড়ে আছে, এমন ভাবনায় সে কয়েক সেকেন্ড চুপ করে রইলো। একটা কাঠের আলমারি, তার ওপর ছোট বড় পুরাতন কয়েকটা কাগজের বাক্স, প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে বলে ওখানে উঠিয়ে রাখা হয়েছিল। এ যাবৎ নামানোর প্রয়োজন হয়নি। এদ্দিনে ওগুলো কিসের বাক্স, ব্লেন্ডার মেশিন নাকি গ্লাস সেটের তা বুঝতে হলে চেয়ারে উঠে ঘষে ঘষে জানতে হবে। বাক্সের বাইরের দিকটা জানার চেয়ে ওর ভেতরের জীবিত বাসিন্দাদের সচক্ষে দেখার জন্য আজ তার ওদিকে গমন। সে আস্তে আস্তে রওনা দেয়। ঘরের মধ্যে একটা ফ্যান ঘোরে নানারকম হতাশা পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে। জানালায় ঝোলানো পর্দাগুলো এত মোটা যে ও থেকে ভবিষ্যত বা শান্তির বাতাস ঢুকতে পারে না। ভেতরটায় গুমোট গরম। খড়খড়ে দেয়াল বেয়ে টিকটিকিটা এখন টিউবলাইটের কাছে, তার সামনে আলো আর বিষণ্ন রঙের কালো পোকা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে, ভাবে, শেষে খপ করে পোকাটাকে খেয়ে নেয়।
তার পেটভর্তি বিষণ্নতা। দিন না রাত্রি জানে না। টিকটিকির মত শুয়ে থাকা রূপমের এক ফোঁটা উঠতে ইচ্ছে করে না।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
দ্বিত্ব শুভ্রা বলেছেন: বেশ তো ! বেশ তো !
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৭
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ভালো লাগার পাঠ...
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬
দ্বিত্ব শুভ্রা বলেছেন: তাই ? ?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
সাজিল বলেছেন: দারুন। ভাল লাগল