![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিংশ ও একবিংশ শতকে জোতির্বিজ্ঞান মহাকাশ গবেষনার ফলে মহাবিশ্বের অভাবনীয় এবং বিষ্ময়কর সব আবিষ্কার মানুষের কল্পনাকেও হার মানিয়ে দিচ্ছে। হাদিস কোরানে মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনেক বর্ণনা দেওয়া আছে, যার ভাষা আমাদের কাছে বোধগম্য ছিল না। আমরা যদি বর্তমানে আবিষ্কৃত তথ্য সমুহ কোরান হাদিসের সাথে মিলাই তা হলে দেখব সৃষ্টি জগতের অনেক তথ্যই বিজ্ঞানীরা এখন আবিষ্কার করছে যা চৌদ্দ শত বছর পুর্বে কোরান হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে আমি এর কিছু উদাহরন পেশ করব। [/sb
এত বড় বিশ্বের শ্রষ্টা কে এবং কে নিয়ন্ত্রন করছে?
এত বড় বিশ্ব কি আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে? তা যদি বলেন তবে তা আপনার নির্বুদ্ধিতার প্রমান - অন্ধের হাতি দেখা আরকি। আর যদি বলেন প্রকৃতি এর স্রষ্টা , তাহলে জেনে রাখুন প্রকৃতিই আল্লাহ। আল্লাহ বলেছেন ’ প্রকৃতিকে গালি দিও না - প্রকৃতিই আমি’। সৃষ্টা ও প্রভু আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা একাই শুন্য থেকে সব কিছু সৃষ্টি করছেন এবং সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রন করছেন (আল্লাহু কাদের- অর্থাৎ নিয়ন্ত্রনকারী), যেমন একটি শিশুর কাছে তার খেলনা। কবি নজরুলের ভাষায় ’ খেলিছ বিশ্ব লয়ে হে বিরাট শিশু আনমনে’। কোরনের ভাষায় ’ এই দুনিয়াটা আল্লাহতায়ালার হাতের মুঠোয় এবং সমগ্র মহাবিশ্ব তার বাহুর মধ্যে’। একটা শিশু তার মায়ের কোলের মধ্যে যেমন মায়ের পুর্ণ নিয়ন্ত্রনে, তেমনি গোটা বিশ্ব আল্লাহর কোলের মধ্যে। কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ যখন এই ভংগিতে আত্মপ্রকাশ করবেন যে দুনিয়াটা তার হতের মুঠোয় এবং সমগ্র বিশ্ব তার বাহুর মধ্যে, মানুষ তা দেখে ভয়ে ত্রাসে কাঁপতে থাকবে এবং সেজদায় পড়ে ’ইয়া রব - ইয়া রব’ বলে কান্নাকাটি করতে থাকবে।
ধারনার অতীত এত বিশাল বিশ্বের মালিককে মানুষ জানতে বা বুঝতে পারে নাই বলে আল্লাহ বলেছেন ’ তারা আল্লাহকে যথার্থভাবে চিনতে পারে নাই - আল কেরান’। আল্লাহকে চেনার নাম ঈমান, তাকে ভয় করার নাম ঈমান ও তার উপর ভরসা করার নাম ঈমান।
বিগ ব্যাং কি ? এটা কি কোরান হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক ?
এটা বোঝার আগে জানুন ’লওহে মাহফুজ’ কি তা জানা দরকার । এর বাংলা অর্থ ’ সুরক্ষিত বোর্ড’ যাতে সৃষ্টির আদি অন্ত সব কিছু লেখা রয়েছে। বিজ্ঞানের এই যুগে আমরা বুঝতে পারছি আসলে এটা একটি ’সুপার কমপিউটার’ যাতে আল্লাহ তায়ালা বিশ্বের সব সৃষ্টি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য লিখে রেখেছেন এবং তার পরিকল্পনা ও লেখা মতই সব কিছু চলছে। শাটল নভোযান মহাকাশে পেরনের পুর্বে ’নাসা’ সব কিছুকে কমপিউটারে লিপিবদ্ধ করে নেয়। এজন্য নাসা ৩,০০০ হাজার বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে যারা ৫ বছর ধরে সব কিছু কমপিউটারে প্রোগ্রামিং করে, যাতে কোন ভুল ভ্রান্তি না হয়। তার পরেও ভুলের কারনে কয়েকটি এক্সিডেন্ট হয়েছে। বুধ গ্রহে রকেট প্রেরন করতে গিয়ে উড্ডয়নের মাত্র ৪ মিনিট পর তা বিষ্ফোরিত হয়। এর কারন অনুসন্ধান করতে দেখা য়ায় যে কমপিউটারে প্রোগ্রামিং-এ একটি মাইনাস (-) চিহ্ন লিখতে ভুল হয়েছিল; তাই এই দুর্ঘটনা ঘটে। আল্লাহতায়ালা এই বিশ্ব সৃষ্টির পুর্বে সব কিছু লওহে মাহফুজে লিখে রেখেছেন , যাতে কোন ভুলের সম্ভাবনা নেই। এজন্য তিনি সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করেন এবং আদেশ করেন ’লেখ’ । কলম জিঞ্জাসা করল ’প্রভু কি লিখব ?” নির্দেশ দিলেন ’সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্য্যন্ত সব কিছু লেখ’। মানুষের জন্ম মৃত্যু এবং ভাগ্যও এর মধ্যে রয়েছে। বলা হয়েছে মানুষ সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পুর্বে তার ভাগ্য লিখা হয়েছে । এজন্য তিনি ৬ দিন ব্যয় করলেন। আর ৬ দিনের পরিমান আমাদের অনুপাতে ৩,০০,০০ বছর (৬ X ৫০,০০০ বছর) । সব কিছু রেডী হলে তিনি নিজেকে (তার সৃষ্টির মাধ্যমে) প্রকাশ করতে চাইলেন এবং দিন ক্ষন নির্ধারন করে কাউন্ট ডাউন শুরু হলো (রকেট উৎক্ষেপনের আগে যেমন কাউন্ট ডাউন করা হয়)। নির্ধারিত সময়ে তিনি হুকুম করলেন ’কুন - হয়ে যাও’ ; সব কিছু পরিকল্পনা মত হতে শুরু করল এবং হয়ে চলেছে (আরবীতে এটাই ’ফায়াকুন’) ; আর এটাই ’বিগ ব্যাং’ । বাইবেলে (ওল্ড টেষ্টমেন্টে) একে বলা হয়েছে ’ লেট দেয়ার বি লাইট’।
©somewhere in net ltd.