নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফিজিওথেরাপি বিষয়ক যেকোন পরামর্শের জন্য কল করতে পারেন - ০১৭৮৭১৫২৮৭২ কিংবা সরাসরি ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টারে ( হাউজ ২৩, লেক ড্রাইভ রোড, সেক্টর ৭,উত্তরা, ঢাকা) আসতে পারেন ।

ডাঃ সাইফুল

ফিজিওথেরাপি প্র্যাক্টিশনার এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্লগ লেখক ।

ডাঃ সাইফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিজিওথেরাপি ছাড়া পূর্ণ স্বাস্থসেবা কিভাবে সম্ভব

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

স্বাস্থ্য কথা : কেউ কেউ হয়তো ভাবতে পারেন, আপনি জীবনে কোনদিন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেন নাই, তাতে কি হয়েছে আপনার! আমি বলব আপনি আসলে ফিজিওথেরাপি পান নাই ।সঠিক ফিজিওথেরাপি আপনার জীবনে কোন না কোন সময়ে প্রয়োজন ছিল, কিন্তু সেটা আপনি পান নাই, সময়মত পেলে আপনি অবশ্যই উপকৃত হতেন কিংবা আজ হয় নাই কালতো হতে পারে ! আর কেউ যদি প্রতারিত হন তাহলে দেখে নিন , আসলে কি হয়েছে উনি কি আসলেই ফিজিওথেরাপিস্ট নাকি অন্য কোন ঘাপলা আছে! সব মানুষ সমান না, তাই ফিজিওথেরাপিস্টও সমান না ।ব্যতিক্রমও আছে।ভুলও হতে পারে অন্যান্য হেলথ প্রফেশনের মত। ভুলের উর্দ্ধে কেউ না। তবে সঠিক ফিজিওথেরাপি পেলে আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন , কারণ ফিজিওথেরাপি একটি গবেষনালদ্ধ চিকিৎসা ব্যবস্থা।এখানে কোন ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই ।
সারাবিশ্বেই ফিজিওথেরাপি স্বাস্থ্যখাতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ । ফিজিওথেরাপি ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা কখনই সম্পূর্ণ হতে পারে না । যেমন আপনি অনেক সুন্দর করে একটি বাড়ি তৈরি করলেন, কিন্তু ড্রয়িং রুম রাখলেন না, ঠিক তাই আপনি অনেক সুন্দর একটি হাসপাতাল করলেন কিন্তু ফিজিওথেরাপি বিভাগ রাখলেন না কিংবা রাখলেও গ্রাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্ট নাই , তাহলে কি হল আমাদের অবস্থা ড্রয়িং রুম ছাড়া বাড়ির অবস্থা । আমাদের সরকারি হাসপাতালে কি অবস্থা আপনারা নিশ্চয় জানেন ।যেখানে কোন গ্রাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্ট নাই , কিভাবে চলতেছে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ? অথচ বেসরকারি হাসপাতালে নামকা ওয়াস্তে ফিজিওথেরাপি বিভাগ চালু করে ব্যবসা করছে।

হ্যাঁ আপনি বলতে পারেন , বাংলাদেশের এমন অনেক জায়গা আছে সেখানে কোন ফিজিওথেরাপিস্ট তো দূরের কথা ভাল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারও নেই, তারা কি চলতেছে না। আমি বলব হ্যাঁ চলতেছে, একসময় যখন এই দেশে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ছিল না, কিংবা এমবিবিএস, বিডিএস কিংবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছিল না তখন মানুষ কি করত?
আমরা ইতিহাস খুজলে পাই তখনকার স্বাস্থ্যসেবা কেমন ছিল। ঠিক ফিজিওথেরাপি ছাড়াও মানুষের একই অবস্থা হচ্ছে। দিনের পর দিন কোমর ব্যথা, হাটু ব্যথা, বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিসস, অপারেশনের পর পঙ্গুত্ব ও প্রতিবন্ধিতা প্রভৃতি নিয়ে মানুষ জীবনযাপন করতেছে। এখন আপনি যদি ভাবেন আপনি স্বাস্থখাতের বস আপনি শুধু ঔষধ দিয়ে কিংবা হিট, তাপ বা চেম্বারে অদক্ষ ভুয়া ফিজিওথেরাপিস্ট দিয়ে আর যন্ত্রপাতি থেরাপি দিয়ে এইসব সমস্যা সমাধান করবেন- তাহলে ব্যাপারটা কি হবে? ব্যাপার হবে খুব হাস্যকর। যেমন আপনি অন্ধকার ঘরে বসে সুন্দরী রমনীর দিকে তাকিয়ে হাসছেন! আর ইতিহাস আপনাকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ।কারণ মানুষ দিন দিন সচেতন হচ্ছে এবং আরও হবে ।
আপনি যদি সুন্দর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চান, আপনাকে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, থানা পর্যায়ে একাধিক গ্রাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্ট এবং ডিপ্লোমা ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ করতে হবে। সেজন্য প্রতিটি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস বা বিডিএস এর সাথে বি.এস.সি ইন ফিজিওথেরাপিতেও (বিপিটি) ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাতে হবে।বেষম্য থাকবে না। সুন্দর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিজার করবে। মানুষ হয়রানি হবে না। কারন এখনও দেশে বিপিটি আর এমবিবিএস চিকিৎসকের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার তুলনায় অনেক কম।
কিন্তু দুঃখের বিষয়- এসব বিষয়ে আমাদের দেশের সরকারের কোন পরিকল্পনা বা নূন্যতম উদ্যোগও নেই।
আর এর পিছনে কাজ করে স্বাস্থ্য খাতের বিশাল রাজনীতি। এমবিবিএস বা বিপিটি ডিগ্রিধারি এই দুই ধরনের চিকিৎসকদের মধ্যে। অনেক এমবিবিএস চিকিৎসকের ধারণা ফিজিওথেরাপি একটি ছোট কোর্স, এরা আমাদের অধীনে চলবে। অথচ বিপিটি ( বি এসসি ইন ফিজিওথেরাপি) কোর্সটি ৫ বছরের একটি কোর্স যা এমবিবিএস, বিডিএস এর মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে পরিচালিত। এটা অনেকেই জানেনা, জানলেও প্রফেশনাল ঈর্ষার কারণে অবজ্ঞা করে।যার ভুক্তভোগি হচ্ছে এই দেশের সাধারন মানুষ । এমনি এমবিবিএস আর বিডিএস চিকিৎসকদেরও।
ইউরোপ-আমেরিকা, ভারত-পাকিস্তানে ফিজিওথেরাপিস্টরা সমান মর্যাদা নিয়ে স্বতত্রভাবে প্র্যাকটিস করছে। আর আমাদের দেশের ফিজিওরা এত পড়াশুনা করে আপনার প্রসক্রিপশন দেখে যন্ত্রপাতি থেরাপি দিবে! এটা কি হয় ? দেশে বর্তমানে প্রায় ৩ হাজারের মত ফিজিওথেরাপিস্ট আছে , অথচ ১৬ কোটি মানুষকে ভাল সেবা দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার ফিজিও দরকার (জাফরুল্লার স্যারের মতে ১০ বছর পর ৪০ হাজার লাগবে) তাহলে কে দেবে এই সেবা? নিশ্চিত মানুষ শুধু শুধু ব্যথার ওষুধ খাবে, ভুয়া ফিজিওথেরাপি গ্রহণ করবে কিংবা এভাবে কষ্ট পেতে থাকবে।
এই ছোট্ট ঢাকাতেই সব ফিজিওথেরাপিস্ট। হতে গোনা কয়েকজন গ্রাজুয়েট ঢাকার বাহিরে।
কেন গ্রাজুয়েটরা ঢাকার বাহিরে যেতে চায় না? কারণ, ফিজিওদের মানুষ চিনে না, যারা পরিচিত করে দেবে তারাই অন্তকোন্দলে জড়িয়ে আছে। সরকারী, বেসরকারী ঈর্ষা, রাজনীতি প্রভৃতি কারণে। স্বাস্থ্য খাতের এই ঈর্ষা রাজনীতির কারণে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হচ্ছে না, হবে একদিন , তবে কবে হবে সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে উঠেছে সচেতন কিছু মানুষের মনে।


ডা সাইফুল ইসলাম, পিটি
বি এসসি ইন ফিজিওথেরাপি ( সি আর পি)
প্রতিষ্টাতা ও কো-অর্ডিনেটর
ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার

- See more at: Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.