নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফিজিওথেরাপি বিষয়ক যেকোন পরামর্শের জন্য কল করতে পারেন - ০১৭৮৭১৫২৮৭২ কিংবা সরাসরি ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টারে ( হাউজ ২৩, লেক ড্রাইভ রোড, সেক্টর ৭,উত্তরা, ঢাকা) আসতে পারেন ।

ডাঃ সাইফুল

ফিজিওথেরাপি প্র্যাক্টিশনার এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্লগ লেখক ।

ডাঃ সাইফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিজারিয়ান অপারেশন কে না বলুন,,,,

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭


দু:খিত ছোট্ট একটি মর্মান্তিক ঘটনা দিয়ে শুরু করলাম,,,

গাজিপুরের কাপাসিয়ায় আমরাইদ আইডিয়াল হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন চলাকালিন সময় সামসুন্নাহার নামের এক রোগি ব্যথায় পালাতে চেয়েছিলেন। পরে ডাক্তার সাহেব আর তার সহযোগিরা মিলে চেপে ধরে শুইয়ে দিলেন তাকে , অপারেশন চলাকালিন সময় উঠবি কেন, শুয়ে থাক । রোগির স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাহির থেকে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন সেই হৃদয়বিদারক দৃশ্য। অবশ্যই ডাক্তার সাহেব সামসুন্নাহারের পেট কেটে কন্যা সন্তান বের করলেও, সামসুন্নাহারকে যে শুইয়ে দিলেন আর উঠাতে পারেন নাই। কিভাবে উঠাবেন ! ডাক্তার বলে কথা ঈশ্বরের পরেই যার ক্ষমতা, তিনি যাকে একবার শুইয়ে দিলেন, রোগি কি আর উঠতে পারে ?
সামসুন্নাহার ১০ দিন আইসিউতে থাকার পর ১ সেপ্টম্বর ঢাকা মেডিকেলে মারা যান।

আমি বলব না, সব চিকিৎসক খারাপ, অনেক অনেক চিকিৎসক ফেরেশতার সমতুল্য। উনাদের কাছে আমরা সবাই চিরকৃতজ্ঞ যেই যাই বলুন।
কিন্তু সিজার অপারেশন নিয়ে বিশাল এক ব্যবসা দেশজুড়ে। হাসপাতাল মালিকরা কিছু ডাক্তারদের ব্যবহার করে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
পেটে বাচ্ছা মানেই সিজার করতে হবে। বাচ্চার অবস্থা ভাল নয়, সিজার করে বের করতে হবে। এটা হল কিছু ডাক্তারদের কমন কথা। বাচ্চার অবস্থা যদি ভাল না হয়, রোগি যে মাসে মাসে আপনার কাছে চেকআপ করালো, আপনাকে টাকা দিল, আলটাসনোগ্রাফি করল, তখন আপনি কি করলেন? এখন বললেন সিজার ছাড়া উপায় নাই। অবশ্যই ডাক্তার সাহেবদের কে দোষ দিয়ে লাভ নাই। সিজার না করালে হাসপাতাল কিভাবে চলবে? জাকজমক ডিজাইন করে হাসপাতাল করছে! এইগুলোর খরচ কে দিবে ! তারপর কোটি টাকা লাভ করতে হবে। লাখ হলে চলবে না। তাই বেশি বেশি পরীক্ষা, বেশি বেশি অপারেশন, বেশি বেশি রোগি ভর্তি করাতে হবে যেভাবেই হোক। আর এই জন্য রোগিকে ঘর-বাড়ি, জমি জমা, হাড়ি পাতিল সব বিক্রি করে এনে হাসপাতাল কে দিতে হবে।
না হয় মৃত্যু সংবাদ পাবে, মাগার লাশ পাবে না ! এইগুলো কতটা সত্য আশাকরি ভুক্তভোগিরা জানেন।

আমি ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টারে ফ্যাকটিসের আগে আমার গ্রামের বাড়ি লাকসামের এক হাসপাতালে সপ্তাহে ১ দিন চেম্বার ফ্যাকটিস করতে ছেয়েছিলাম। ওনারা খুব খুশি যে সিআরপি থেকে পাশ করা একজন ফিজিওথেরাপিস্ট ওনাদের হাসপাতালে বসবে। কিন্তু শর্ত একটা পরীক্ষা নীরিক্ষা দিতে হবে বেশি একটা। স্বয়ং হাসপাতালের এমডি সাহেব এবং হাসপাতালের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী মহিলা ডাক্তার ( কিঞ্চিৎ শেয়ার উনারও থাকতে পারে) আমাকেই এই কথাই বললেন।! সাথে রোগি ভর্তির ব্যাপার টা। অর্থাৎ ভর্তি না লাগলেও মাঝে মাঝে ভর্তি করাতে হবে ! আমার আর বসা হল না ওই স্বনামধন্য হাসপাতালে।

একবার ভাবুন কি চলছে চিকিৎসার অন্তরালে। এই দেশের মানুষ কোথায় যাবে। অবশ্যই যাদের টাকা আছে, তারা সিংগাপুর, অস্ট্রেলিয়া ইন্ডিয়া ব্যাংকক যান সামান্য জ্বর হলেই। কিছুদিন আগে আমার এক ডা আপু আমাকে বলতেছে সাইফুল আমার ভাই আর ভাবি তো অস্ট্রেলিয়া গেছে তাদের টুইন বেবি হবে, এই দেশে নিরাপদ বোধ করতেছে না, তাদের জন্য দোয়া করিও। ডাক্তারের ভাই ভাবি যদি এই দেশে ডেলিভারি অনিরাপধ বোধ করে। সাধারন মানুষ কোথায় যাবে চিকিৎসার জন্য। অবশ্যই বিদেশে সিজারিয়ান অপারেশন হয় না বলেই চলে।
সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য বাংলাদেশ হল স্বর্গ।
এই স্বর্গ আমাদের কিছু অসদুপায়ী ডাক্তার আর হাসপাতালের মালিকরা বানিয়েছে।

এই চক্র থেকে বের আসতে হলে সৎ ডাক্তার আর সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। না হয় এই চক্র পুরো হেলথ কে দূষিত করে ফেলবে। যদিও হাসপাতাল মালিকরা এটা থেকে বের হতে দেবে না।
তবে সবার আগে সচেতন হতে হবে আমাদের মেয়েদের কে। তারাই ডাক্তারদের মুখের উপর বলবে, সিজার নয়, নরমাল ডেলিভারি চাই যেকোনভাবে।
আর এর জন্য প্রয়োজন দৃঢ় মনোবল এবং গর্ভবতী অবস্থায় নিজের এবং গর্ভের বাচ্চার সঠিক যত্ন আত্নী, মাসে মাসে সঠিক চেকআপ। তাহলেই সিজারিয়ান অপারেশেন ৮০% কমে যাবে। ইনশাল্লাহ।

ধন্যবাদ,,,,,
ডা সাইফুল - ফিজিওথেরাপিস্ট
বি এসসি ইন ফিজিওথেরাপি ( ঢাবি - সিআরপি)
প্রতিষ্টাতা ও কো-অর্ডিনেটর
ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার, উত্তরা, ঢাকা ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবশ্যই বিদেশে সিজারিয়ান অপারেশন হয় না বলেই চলে।
সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য বাংলাদেশ হল স্বর্গ।
এই স্বর্গ আমাদের কিছু অসদুপায়ী ডাক্তার আর হাসপাতালের মালিকরা বানিয়েছে।

এই চক্র থেকে বের আসতে হলে সৎ ডাক্তার আর সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। না হয় এই চক্র পুরো হেলথ কে দূষিত করে ফেলবে। যদিও হাসপাতাল মালিকরা এটা থেকে বের হতে দেবে না।
তবে সবার আগে সচেতন হতে হবে আমাদের মেয়েদের কে। তারাই ডাক্তারদের মুখের উপর বলবে, সিজার নয়, নরমাল ডেলিভারি চাই যেকোনভাবে।
আর এর জন্য প্রয়োজন দৃঢ় মনোবল এবং গর্ভবতী অবস্থায় নিজের এবং গর্ভের বাচ্চার সঠিক যত্ন আত্নী, মাসে মাসে সঠিক চেকআপ। তাহলেই সিজারিয়ান অপারেশেন ৮০% কমে যাবে। ইনশাল্লাহ।

+++

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় লেখায় তুলে ধরেছেন। +।

হাতপাতালের কর্তৃপক্ষের কারণেই এসব ঘটনা বেশী ঘটে থাকে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

ডাঃ সাইফুল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া , আপনি ঠিক ধরেচেন

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

সাদ আরেফিন বলেছেন: BMDC এর রুল অনুযায়ী আপনি ডাঃ না। আগে বলেন ফিজিওথেরাপি থেকে পাশ করে এই ধরনের protarona কেন করছেন?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

ডাঃ সাইফুল বলেছেন: বিএমডিসির আইন গ্রাজুয়েট ফিজিওদের জন্য স্থগিত আচে হাইকোর্টের অর্ডারে ।আপনি চাইলে দেখাতে পারি । ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য ।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

ডাঃ সাইফুল বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.