নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি “সুফল\" - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না।তারপরেও যেটুকু এগিয়েছে, অধিকাংশ সাধারণের ব্যক্ত

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী।

আমার জন্ম ০৬ মে, ১৯৫৬ খৃস্টাব্দ (আমার এস এস সি সনদ, জাতিয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনপত্রে জন্ম তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ খৃস্টাব্দ - যাকে আমি রাষ্ট্রিয় জন্ম দিন বলি)- বরিশাল উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ খৃস্টাব্দে এস এস সি (বিজ্ঞান) - ১৯৭৫ খৃস্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ (বি এম কলেজ) , বরিশাল থেকে এইচ এস সি (বিজ্ঞান) - মাস্টারদা সূর্য সেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাশ করি - ২০০১৫ খৃস্টাব্দের মার্চ থেকে ২০০১৮ খৃস্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত সময়ে আমি আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট উইনভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পি এইচ ডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি লাভ করি। আমার গবেষণার বিষয় : গুড গভারনেস, ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভলপমেন্ট : বাংলাদেশ পারসপেকটিভ - আমি জানুয়ারি, ১৯৭২ খৃস্টাব্দ থেকে জানুয়ারি, ১৯৮৫ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সি পি বি) সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলাম - আমি বরিশাল শহরে অনামি লেন, সদর রোডে বড়ো হলেও - আমার নিজের বা বাবার কোনো বাড়ি নেই - আমার দাদার বাড়ি (দাদার বা তার বাবারও কোনো বাড়ি নেই - ওটিও দাদার দাদার বা তারও আগের কোনো পূর্ব পুরুষের বাড়ি) পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার ০১ নং বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ি (চৌধুরীবাড়ি) তে - আমি ১৯৬৫ খৃস্টাব্দে প্রথম আুষ্ঠানিক ভাবে স্কুলে যেতে শুরু করি - তৃতীয় শ্রেনিতে - স্কুল থেকে পাক ভারত যুদ্ধ বিরোধি এবং ফাতেমা জিন্নার হেরিকেনের পক্ষে মিছিল করে বরিশাল শহর প্রদক্ষিণ করে হাটু পর্যন্ত ধূলা বালিতে একাকার হয়ে বাসায় ফিরি - সাদা জুতা মোজা প্যান্ট নষ্ট করে - তারপর ১৯৬৯ পাকিস্থান দেশকৃষ্টি বিরোধি আন্দোলন ও ১১ দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনে বরিশালের ততকালিন ছাত্র নেতা শহীদ আলমগির, আ স ম ফিরোজ, মনসুরুল আলম মন্টু, নওশের জাহান, আনোয়ার হোসেন, আনেয়ার জাহিদ, আব্দুল হালিম, কাশি নাথ দত্ত সহ আরো অনেকের সান্নিধ্যে যাবার সৌভাগ্য হয় - ১৯৭০ এর ভয়াল জলোচ্ছাসে উদয়ন স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে আমি \"কাকলি ছাত্র সংঘ \" নামে ্একটি সংগঠন গড়ে তুলি - আমরা জুতা পালিশ করে, খবরের কাগজ বিক্রি করে, পেয়ারা বিক্রি করে, অর্থ সংগ্রহ করি ও বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে পুরনো জামা কাপড় সংগ্রহ করে ভোলার দুর্গত এলাকায় পাঠাই - ১৯৭১ এর পয়লা মার্চ থেকে মিছিল মিটিং ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে অংশ নিলে মামা ও নানার সাথে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলে, স্বরূপকাঠী কলেজ মাঠে জাহাঙ্গির বাহাদুর ও আবু বকর ছিদ্দিকের নেতৃত্বের মুক্তি বাহিনির সাথে সক্রিয় ছিলাম এবং সেপ্টেম্বর/ অক্টোবরে মহসিন ভাইর মুজিব বাহিনি এলে কাটাপিটানিয়া ক্যাম্পে ০৮ -১২- ১৯৭১ (বরিশাল মুক্ত দিবস) পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম - যেহেতু আমি নিজে কোনো পাকিস্থানি মিলিটারি মারিনি - অতএব মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়া সমিচিন মনে করিনি - আজো করি না - যে সব অমুক্তিযোদ্ধা মিথ্যে সনদ নিয়ে রাষ্ট্রিয় সুবিধা নিচ্ছে - তাদের কারণে অসহায় অসচ্ছল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজ মানবেতর জিবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে - সনদ পাবে - চাকুরির সুবিধা পাবে - মাসিক ভাতা পাবে - ছেলে মেয়ে নাতি পুতি শিক্ষার ও চাকুরির সুবিধা পাবে হত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা - গণহারে সুবিধা দেয়াতে সনদধারিদের সংখ্যায় প্রকৃতরা বঞ্চিত হচ্ছে - সনদ পাবে - সুবিদা পাবে এমন আশা করে কোনো একজন মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযুদ্ধে যায় নি - প্রত্যেকে জিবন বাজি রেখে দেশকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে গেছে - জাতির পিতার ডাকে ও দেশ প্রেমের আবেগে - সুবিধাবাদি অমুক্তিযোদ্ধারাই ভূয়া সনদ নিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছে - হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়নি - তারপরেও লাখ লাখ সনদধারি মুক্তিযোদ্ধা কোথা থেকে এলো ? আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই স্বাধিনতা বিরোধিরা (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুরা) সুকৌশলে সনদ নিয়ে, আজ এই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে - আসলে সরকারের নিতি নির্ধারণেও কিছু ত্রুটি ছিলো - উচিত ছিলো -“মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” এই সনদ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ও তাদের সহযোগিদের দেয়া - কিন্তু ভাতা - চাকুরির বয়স বৃদ্ধির সুবিধা - পোষ্যদের চাকুরি প্রদানের সুবিধা - মাসিক ভাতা - এগুলো কেবলমাত্র হতদরিদ্র অক্ষম অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরই দেয়া সংগত ছিলো - এখানেও আমলাদের বা নিতি নির্ধারণে স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) বিশাল ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি - দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি - না হলে খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েও বিতর্কের কারণ কি হোতে পারে ? খেতাব প্রদানের সময় থেকেই স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) সক্রিয়তা বুঝতে পারেনি - মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সমর্থকরা ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা - কারণ যারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্থান সরকারের আজ্ঞাবাহক ছিলো সেই সব আমলারাই ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশ সরকারের নিতি নির্ধারক হলেন ? স্বাধিনতার শত সহস্র লক্ষ কোটি ‘সুফল’ আছে - কিন্তু একটি মাত্র ‘কুফল’ - যা আজো জাতিকে পিছু টানছে - প্রতিনিয়ত - তা হোলো “উচ্চাসনে (নিতি নির্ধারণে) অযোগ্যরা (রাজনিতিক ও আমলা) ।। ।। আমি নিজ সামর্থানুসারে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হত দরিদ্র শিক্ষার্থিদের আর্থি ক সহায়তা করে থাকি । দু’টি এতিমখানাতে ও চার - ছয়টি মসজিদে মৃত মা বাবা ও অকাল প্রায়াত ভাতিজির (স্বপ্নীল) নামে -

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। › বিস্তারিত পোস্টঃ

Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতির অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ -

২২ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতির অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ -
সাগরের জলরাশি এবং তলদেশের বিশাল সম্পদ কাজে লাগানোই হোচ্ছে Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতি –
Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতির অন্যতম অনুষঙ্গ সমুদ্রের মাছ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ আহরণ –
বঙ্গোপসারের Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতির বিবেচনা মাথায় রেখে সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’’
১৯৭৪ খৃ: সমুদ্র বিজয় অভিযাত্রার সুচনা করেন -
স্বাধিনতার ০৩ বছরের মাথায় তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদের (২) নাম্বার ধারা অনুযায়ি সমুদ্রসিমা সংক্রান্ত
Territorial Water & Maritime Zones Act, 1974প্রনয়ণ করেন -
১৯৭৪ খৃ:- ১৪ ফেব্রুয়ারি যা গেজেট হিসেবে প্রকাশ পায় -
পরে তার সুযোগ্য কন্যা জননেতৃ শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক United Nations Convention on the Law of Sea (UNCLOS, 1982 গৃহিত হয় -
আন্তর্জাতিক আইন ও সমুদ্রসিমা নির্ধারণ সংক্রান্ত মামলার রায়গুলোর যথাযথ প্রতিফলন ঘটিয়ে আরো যুগোপযোগি করার লক্ষ্যে
১৯৭৪ খৃ: আইনটি প্রয়োজনিয় সংশোধন পুর্বক
০৭ ডিসেম্বর ২০২১ খৃ: পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের Maritime Affairs Unit কর্তৃক প্রস্তুতকৃত Territorial Water & Maritime Zones Act, (Amendment) Bill-2021, প্রনয়ণ করে –
১৯৭৪ খৃ: বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক সমুদ্রসিমা বিষয়ক আইন পাশ হওয়ার পর পরই মিয়ানমারের সাথে সেন্টমার্টিনে ১২ মাইল Territorial Sea’’ ঠিক করে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়-
১৯৭৪ খৃ: প্রনিত আইনটি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে অনুকরনিয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে –
এর প্রতিফলন দেখা যায় ০৮ বছর পরে ১৯৮২ খৃ: যা চুড়ান্তভাবে জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কনভেনশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে –
২০০১ খৃ: আওয়ামি লিগ সরকার ১৯৮২ খৃ: : United Nations Convention on the Law of Sea (UNSCLOS, 1982) আইনটি অনুসমর্থন করে –
ফলে পরবর্তি ১০ বছরের মধ্যে ৩৫০ মাইলব্যাপি মহিসোপানের দাবি জাতিসংঘে উত্থাপনের দায় সৃষ্টি হয় –
এরই ধারাবাহিকতায় মাননিয় প্রধানমন্ত্রি জননেতৃ শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ খৃ: দীর্ঘ ৩৮ বছর ঝুলে থাকা
বাংলাদেশের সমুদ্রসিমা চুড়ান্তভাবে নির্ধারনের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার সময়োপযোগি অ্যাক সাহসি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সফলভাবে সমুদ্রসিমা নির্ধারণ হয় –
মাননিয় প্রধানমন্ত্রি জননেতৃ শেখ হাসিনার কুটনৈতিক প্রজ্ঞায় ২০১২ ও ২০১৪ খৃ: আন্তর্জাতিক সারিশ আদালতের (P.C.A) রায়ে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসিমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হয় –
ফলে ২০১২ খৃ: ১৪ মার্চ মিয়ানমার থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমপরিমান Territorial সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব, অধিকার ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়-
২০১৪ খৃ: ০৮ জুলাই ভারত থেকে ২৫ হাজার ৬০২ বর্গ কিরোমিটারের মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার পায় বাংলাদেশ -
যা মুল ভুখন্ডের ৮০.৫১ শতাংশ –
বিশ্বব্যাপি Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতি লক্ষ্য করলে দেখা যায় বছরব্যাপি সমুদ্র ঘিরে ০৩ – ০৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মকান্ড সংঘটিত হোচ্ছে -
বিশ্বের মানুষের ১৫% আমিষ জোগান দেয় সমুদ্রের মাছ, প্রানি ও উদ্ভিদ –
সমুদ্র তলের গ্যাস ও তেল ক্ষেত্র থেকে পৃথিবির ৩০% গ্যাস ও জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয় –
সামুদ্রিক জিববৈচিত্রের জ্ঞান বৃদ্ধি করে সমুদ্র নির্ভর ঔষধ শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব –
ধারনা করা হোচ্ছে ২০৫০ খৃ: মধ্যে পৃথিবির জনসংখ্যা হবে ৯০০ কোটি-
এই বিশাল জনগোষ্ঠিকে খাবার যোগান দিতে বিশ্বাবাসিকে সমুদ্রের মুখোমুখি হোতে হবে –
সাম্প্রতিক বছরগুলো সকল আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যেমন :
অর্থনৈতিক সহায়তা ও উন্নয়ন সংস্থা (OECD )
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসুচি (UNEP )
বিশ্ব ব্যাংক,
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO )
ইওরোপিয় ইউনিয়ন (EU ) প্রভৃতিতে
Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতি আলোচনার কেন্দ্রে ছিলো –
Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতি জোরদার করতে বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের সমন্বিত নিতি, পরিকল্পনা সহ সেমিনার, ফ্যাস্টিভ্যাল ইত্যাদি আয়োজন করে চলেছে –
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তর সমুদ্র সম্পদ আহরণে অভ্যন্তরিণ বিভিন্ন কর্মপন্থা, পদক্ষেপ গ্রহণ, কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে –
২০১৭ খৃ: জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় অধিন Blue Economic Cell গঠন করে –
২০১৯ খৃ: Maritime Zones Act করে বাংলাদেশ সরকার -
সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় সরকার সামুদ্রিক অর্থনিতি বিকাশের জন্যে ২৬ টি সম্ভবনাময় কার্যক্রম চিহ্নিত করেছে –
Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতি বেগবান করতে আন্তর্জাতিক, বানিজ্যিক ও পরিবেশগত প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ পুর্বক সুনির্দিষ্ট
০৯ টি খাত চিহ্নিত করে সেসব খাত বিকাশ ও বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে –
যথাযথ কার্যাবলি বা প্রকল্প গ্রহণ করার জন্যে মন্ত্রনালয়, বিভাগ, দফতরকে রূপরেখা প্রদান করা হোয়েছে –
০১. সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা –
০২. সামুদ্রিক মৎস্য চাষ উন্নয়ন –
০৩. বানিজ্যিক নৌপরিবহনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন –
০৪. সমুদ্র ভ্রমণ পর্যটনের বিকাশ সাধন –
০৫. অফসোর জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সুনিল বায়োটেকনোলজি গবেষণা ও উন্নয়ন –
০৬. স্থিতিতিশিল জিবিকার জন্যে ম্যানগ্রোভ বাস্তুসংস্থানগত সেবাগুলো নিশ্চিতকরণ –
০৭. জাহাজ নির্মাণ ও রিসাইক্লিং শিল্প সম্প্রসারণ –
০৮. সামুদ্রিক দুষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ-
০৯. মেরিন স্পেশাল প্লানিং বাস্তবায়ন –
বর্তামানে বাংলাদেশের অর্থনিতিতে সমুদ্রসম্পদের অবদান মাত্র ৯.৬ বিলিয়ন ডলার যা মাত্র ৬ % –
স্থলভাগের প্রায় সমপরিমান সমুদ্রসিমা এখন মুল্যবান সম্পদের ভান্ডার –
ভারত ও মিয়ানমার থেকে অর্জিত সমুদ্রসিমাকে প্রেট্রোবাংলা খনিজ সম্প অনুসন্ধানে ২৬ টি ব্লকে ভাগ করেছে –
এর মধ্যে গভির সমুদ্রে ১৫ টি ও ১১ টি ব্লক অগভির সমুদ্রে –
ইজারা দিয়ে এ সব ব্লক থেকে প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা –
বঙ্গোপসাগরে বিদ্যমান বিপুল আগাছা প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের ঔষধ তৈরি করা সম্ভব –
এ সব আগাছার মধ্যে “স্পিরুলিনা” অত্যাধিক মুল্যবান –
বাংলাদেশের সমুদ্র সিমার মধ্যে বিপুল পরিমান “গ্যাস হাইড্রেট”-
২২০ প্রজাতির “সি উইড”-
৪৭৫ প্রজাতির ‘‘সামুদ্রিক মাছ’’ –
৪৯৮ প্রজাতির ‘‘ঝিনুক’’-
৫২ প্রজাতির ‘‘চিংড়ি’’ –
০৫ প্রজাতির ‘‘লবস্টার’’ –
২০ প্রজাতির ‘‘কাকড়া’’ –
৬১ প্রজাতির ‘‘সি গ্রাস’’ –
১৭ প্রকার খনিজ বালু-
চিহ্নিত করা হোয়েছে –
বাংলাদেশের কিছু প্রজাতির ‘‘সি উইডে’’ প্রচুর প্রোটিন আছে যা ‘‘ফিস ফিড’’ হিসেবে আমদানি করা ‘‘ফিস অয়েলের’’ বিকল্প হোতে পারে –
আবার কিছু “অ্যানিমেল ফিডের” মান বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হোতে পারে –
খনিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে : তেল, গ্যাস, চুনা পাথর প্রভৃতি –
১৭ প্রকার বালু রয়েছে যার মধ্যে ‘‘মোনাজাইট’’ অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ –
তা ছাড়া সমুদ্র তলদেশে ‘‘সিমেন্ট’’ বানানোর উপযোগি প্রচুর ‘‘ক্লে’’ রয়েছে –
Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতি উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হোলো
(০১) দক্ষ জনশক্তির অভাব –
(০২) প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব –
(০৩) সম্পদের পরিমান ও মুল্য সম্পর্কে সঠিক তথ্যের অভাব –
(০৪) মেরিণ রিসোর্স ভিত্তিক গবেষণা না হওয়া -
(০৫) Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতি সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক যোগাযোগের অভাব এবং
(০৬) গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে গবেষণা জাহাজ না থাকা-
২০৪১ খৃ: উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনে সমুদ্রে পাওয়া মিয়ানমার থেকে পাওয়া ০১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার ও ভারত থেকে পাওয়া ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকার যথাযথ ব্যবহারে
Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতি বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখবে –
সমুদ্র গবেষণা ও মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্যে সরকার “ওসানোগ্রাফিক রিসার্স ইনস্টিটিউট” এবং একটি “মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি” প্রতিষ্ঠা করেছে –
হাতে নেয়া হোয়েছে “গভির সমুদ্র বন্দর” নির্মানের কাজ –
সমুদ্র উপকুল এলাকায় “তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র” তৈরি করা হোচ্ছে –
এ সত্বেও Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতির সুদুরপ্রসারি অগ্রযাত্রায় সরকারকে নিতে হবে কিছু গুরুত্বপুর্ণ পদক্ষেপ –
(০১) গ্যাস সহ অন্যান্য ম্যুলবান সম্পদ উত্তোলন –
(০২) মৎস্য সম্পদ আহরণ –
(০৩) বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ –
(০৪) পর্যটন ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করা গেলে ২০৩০ খৃ: নাগাদ বছরে আড়াই লাখ কোটি মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব –
(০৫) সেই সঙ্গে Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতিতে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও পরামর্শ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে –
যা আমাদের দেশের জন্যে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করবে –
তেল গ্যাস ছাড়াও সমুদ্র তলদেশে ১৩ স্থানে সোনার চেয়ে অধিক মুল্যবান “বালু” অর্থাৎ ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, যাতে মিশে আছে ইলমেনাইট, গানেট, সেলিমেনাইট, জিরকন, রুনটাইল, ম্যাগনেটাইট প্রভৃতি –
Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতি পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের
(০১) পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় –
(০২) প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় -
(০৩) বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় -
(০৪) নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয় -
(০৫)মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয় -
(০৬) পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় -
(০৭) বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় – কাজ করছে –
বিশেষজ্ঞরা বলছেন মন্ত্রনালয়গুলোর সমন্বিত কাজ করা উচিৎ -
কেউ কেউ Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতিকে কাজে লাগাতে পৃথক “সমুদ্র মন্ত্রনালয়” নামে একটি পৃথক মন্ত্রনালয় গঠনের প্রস্তাব করেছেন –
একই সাথে “ মাননিয় প্রধানমন্ত্রির নেতৃত্বে “ একটি শক্তিশালি আন্ত: মন্ত্রনালয় সম্নবয় কমিটি” গঠনেরও প্রস্তাব দেন -
Blue Economic বা সুনীল অর্থনিতির অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ -

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.