নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি “সুফল\" - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না।তারপরেও যেটুকু এগিয়েছে, অধিকাংশ সাধারণের ব্যক্ত

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী।

আমার জন্ম ০৬ মে, ১৯৫৬ খৃস্টাব্দ (আমার এস এস সি সনদ, জাতিয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনপত্রে জন্ম তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ খৃস্টাব্দ - যাকে আমি রাষ্ট্রিয় জন্ম দিন বলি)- বরিশাল উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ খৃস্টাব্দে এস এস সি (বিজ্ঞান) - ১৯৭৫ খৃস্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ (বি এম কলেজ) , বরিশাল থেকে এইচ এস সি (বিজ্ঞান) - মাস্টারদা সূর্য সেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাশ করি - ২০০১৫ খৃস্টাব্দের মার্চ থেকে ২০০১৮ খৃস্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত সময়ে আমি আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট উইনভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পি এইচ ডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি লাভ করি। আমার গবেষণার বিষয় : গুড গভারনেস, ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভলপমেন্ট : বাংলাদেশ পারসপেকটিভ - আমি জানুয়ারি, ১৯৭২ খৃস্টাব্দ থেকে জানুয়ারি, ১৯৮৫ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সি পি বি) সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলাম - আমি বরিশাল শহরে অনামি লেন, সদর রোডে বড়ো হলেও - আমার নিজের বা বাবার কোনো বাড়ি নেই - আমার দাদার বাড়ি (দাদার বা তার বাবারও কোনো বাড়ি নেই - ওটিও দাদার দাদার বা তারও আগের কোনো পূর্ব পুরুষের বাড়ি) পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার ০১ নং বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ি (চৌধুরীবাড়ি) তে - আমি ১৯৬৫ খৃস্টাব্দে প্রথম আুষ্ঠানিক ভাবে স্কুলে যেতে শুরু করি - তৃতীয় শ্রেনিতে - স্কুল থেকে পাক ভারত যুদ্ধ বিরোধি এবং ফাতেমা জিন্নার হেরিকেনের পক্ষে মিছিল করে বরিশাল শহর প্রদক্ষিণ করে হাটু পর্যন্ত ধূলা বালিতে একাকার হয়ে বাসায় ফিরি - সাদা জুতা মোজা প্যান্ট নষ্ট করে - তারপর ১৯৬৯ পাকিস্থান দেশকৃষ্টি বিরোধি আন্দোলন ও ১১ দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনে বরিশালের ততকালিন ছাত্র নেতা শহীদ আলমগির, আ স ম ফিরোজ, মনসুরুল আলম মন্টু, নওশের জাহান, আনোয়ার হোসেন, আনেয়ার জাহিদ, আব্দুল হালিম, কাশি নাথ দত্ত সহ আরো অনেকের সান্নিধ্যে যাবার সৌভাগ্য হয় - ১৯৭০ এর ভয়াল জলোচ্ছাসে উদয়ন স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে আমি \"কাকলি ছাত্র সংঘ \" নামে ্একটি সংগঠন গড়ে তুলি - আমরা জুতা পালিশ করে, খবরের কাগজ বিক্রি করে, পেয়ারা বিক্রি করে, অর্থ সংগ্রহ করি ও বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে পুরনো জামা কাপড় সংগ্রহ করে ভোলার দুর্গত এলাকায় পাঠাই - ১৯৭১ এর পয়লা মার্চ থেকে মিছিল মিটিং ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে অংশ নিলে মামা ও নানার সাথে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলে, স্বরূপকাঠী কলেজ মাঠে জাহাঙ্গির বাহাদুর ও আবু বকর ছিদ্দিকের নেতৃত্বের মুক্তি বাহিনির সাথে সক্রিয় ছিলাম এবং সেপ্টেম্বর/ অক্টোবরে মহসিন ভাইর মুজিব বাহিনি এলে কাটাপিটানিয়া ক্যাম্পে ০৮ -১২- ১৯৭১ (বরিশাল মুক্ত দিবস) পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম - যেহেতু আমি নিজে কোনো পাকিস্থানি মিলিটারি মারিনি - অতএব মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়া সমিচিন মনে করিনি - আজো করি না - যে সব অমুক্তিযোদ্ধা মিথ্যে সনদ নিয়ে রাষ্ট্রিয় সুবিধা নিচ্ছে - তাদের কারণে অসহায় অসচ্ছল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজ মানবেতর জিবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে - সনদ পাবে - চাকুরির সুবিধা পাবে - মাসিক ভাতা পাবে - ছেলে মেয়ে নাতি পুতি শিক্ষার ও চাকুরির সুবিধা পাবে হত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা - গণহারে সুবিধা দেয়াতে সনদধারিদের সংখ্যায় প্রকৃতরা বঞ্চিত হচ্ছে - সনদ পাবে - সুবিদা পাবে এমন আশা করে কোনো একজন মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযুদ্ধে যায় নি - প্রত্যেকে জিবন বাজি রেখে দেশকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে গেছে - জাতির পিতার ডাকে ও দেশ প্রেমের আবেগে - সুবিধাবাদি অমুক্তিযোদ্ধারাই ভূয়া সনদ নিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছে - হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়নি - তারপরেও লাখ লাখ সনদধারি মুক্তিযোদ্ধা কোথা থেকে এলো ? আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই স্বাধিনতা বিরোধিরা (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুরা) সুকৌশলে সনদ নিয়ে, আজ এই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে - আসলে সরকারের নিতি নির্ধারণেও কিছু ত্রুটি ছিলো - উচিত ছিলো -“মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” এই সনদ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ও তাদের সহযোগিদের দেয়া - কিন্তু ভাতা - চাকুরির বয়স বৃদ্ধির সুবিধা - পোষ্যদের চাকুরি প্রদানের সুবিধা - মাসিক ভাতা - এগুলো কেবলমাত্র হতদরিদ্র অক্ষম অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরই দেয়া সংগত ছিলো - এখানেও আমলাদের বা নিতি নির্ধারণে স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) বিশাল ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি - দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি - না হলে খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েও বিতর্কের কারণ কি হোতে পারে ? খেতাব প্রদানের সময় থেকেই স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) সক্রিয়তা বুঝতে পারেনি - মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সমর্থকরা ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা - কারণ যারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্থান সরকারের আজ্ঞাবাহক ছিলো সেই সব আমলারাই ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশ সরকারের নিতি নির্ধারক হলেন ? স্বাধিনতার শত সহস্র লক্ষ কোটি ‘সুফল’ আছে - কিন্তু একটি মাত্র ‘কুফল’ - যা আজো জাতিকে পিছু টানছে - প্রতিনিয়ত - তা হোলো “উচ্চাসনে (নিতি নির্ধারণে) অযোগ্যরা (রাজনিতিক ও আমলা) ।। ।। আমি নিজ সামর্থানুসারে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হত দরিদ্র শিক্ষার্থিদের আর্থি ক সহায়তা করে থাকি । দু’টি এতিমখানাতে ও চার - ছয়টি মসজিদে মৃত মা বাবা ও অকাল প্রায়াত ভাতিজির (স্বপ্নীল) নামে -

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার শি্খেছি - কিন্তু অ্যাখোন লিখছি বা সকলে ল্যাখে-

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

আমার শি্খেছি - বাড়ী, গাড়ী, সরকারী, দেশী, বিদেশী - কিন্তু অ্যাখোন লিখছি বা সকলে ল্যাখে- বাড়ি, গাড়ি, সরকারি, দেশি, বিদেশি - এটা কি ভুল ? - আগে বলেছি ‘‘বিনীত’’ অ্যখোন দেখছি অভিধানে ‘‘বিনত’’ - এটা কি ভুল ? আমরা শিখেছি সংস্কৃত ব্যকরণ থেকে - বাঙলা ব্যকরণ ও সংস্কৃত ব্যকরণ অ্যাক নয় - খ্রীস্টাব্দ - খ্রিষ্টাব্দ - খৃস্টাব্দ - খ্রীষ্টাব্দ - কোন বানানটি সঠিক ও কোনটি ভুল ? কারণ বলুন দয়া কোরে ? মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মন্ত্রি লেখে িকার দিয়ে - সকল মন্ত্রনালয় মন্ত্রী লেখেন ী কার দিয়ে - কোন মন্ত্রি ও মন্ত্রী ভুল কোনটি ও ক্যোনো ? নারী বাচক ও দীর্ঘ উচ্চারিত শব্দ ী কার - কিন্তু দীর্ঘ কে হ্রস্ব করে উচ্চারণ করা যায় না ? নারী বাচক ও দীর্ঘ উচ্চারিত শব্দ ব্যতিত ী ব্যবহার হয়না বাঙলা ব্যকরণ মতে - আমরা শিখেছি সংস্কৃত ব্যকরণ মতে - নোতুনকে গ্রহণ করতে আপত্তি কি ? আপত্তি কোথায় ? নোতুন বানান পদ্ধতি নিয়ে বুদ্ধদেব বসু থেকে শুরু করে কাজ করেছেন বহুজন - আমরা সেই বাঙালি - জানি ইংরেজি কোনো অব্দ নেই খৃস্টাব্দ - তবুও খৃস্টাব্দকে লিখি ২০২২ ইং - সে স্কুলের প্রধান শিক্ষক - কলেজের অধ্যক্ষ - বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য - সচিব - তাবলে কাউকে কি মুর্খ বলা যাবে ?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
গতকাল ব্লগে পোস্ট এসেছে খালি প্যাটে পোস্ট করা ঠিক না।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি লেখাটা পোস্ট আকারে দেবার আগে একবারও কি পড়ে দেখেছেন?
~কেউ হয়তো বলবেন, সামুর স্বর্নালী যুগে আপনার এমন গুরু গম্ভীর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো জ্ঞানীগুণী লোক ছিলেন এখন আর নেই।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাই, আপনের লেকা পইরা অনেক কিছু শিকলাম। আমার যেই পরিনাম বানাম বুল হয়, তাতে আপনেরেই আমার শিক্কাগরু মানলাম। লেকা থামাইয়েন না কইলাম। আপনের নিয়মিত লেকা চাই। সামু আপনের দ্বারাই শ্মশান লাভ.........থুক্কু, সন্মান লাভ করিবে।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি আপনাকে অনুরোধ করবো, যদি বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মটি আপনি না পড়ে থাকেন, তাহলে ওটি একবার পড়ে নিন। ওটি পড়ার পর আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আশা কর। তবে, আলোচনার সুযোগ সব সময়ই ছিল, এখনো আছে। সেই সাথে পড়ে নিতে পারেন বাংলা বানান প্রমিতীকরণের ইতিহাস

ই-কার, উ-কার এর ব্যাপারে নিয়মটি হলো :

২.০১ ই ঈ উ ঊ

সকল অ-তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং উ এবং এদের-কার চিহ্ন ই-কার উ-কার ব্যবহৃত হবে। এমনকি স্ত্রীবাচক ও জাতিবাচক ইত্যাদি শব্দের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। যেমন গাড়ি, চুরি, দাড়ি, বাড়ি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), শাড়ি, তরকারি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, বাঙালি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, সরকারি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বে-আইনি, ছড়ি, কুমির, নানি, দাদি, বিবি, মামি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, বুড়ি, ছুঁড়ি, নিচ, নিচু, ইমান, চুন, পুব, ভুখা, মুলা, পুজো, উনিশ, উনচল্লিশ।

অনুরূপভাবে- আলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন : খেয়ালি, বর্ণালি, মিতালি, সোনালি, হেঁয়ালি।

তবে কোনো কোনো স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে ঈ-কার দেওয়া যেতে পারে। যেমন : রানী, পরী, গাভী।

মূল শব্দটা হলো নত। এর সাথে বিভিন্ন উপসর্গ যোগে অন্যান্য শব্দ হতে পারে, যেমন, আনত, অবনত, বিনত, অবিনত, ইত্যাদি।

নীত আরেকটা মূল শব্দ - আনীত (যাকে আনা হয়েছে), বিনীত (যাকে বিশেষভাবে আনা হয়েছে)।

কিন্তু, এখানে একটা গণ্ডগোল হয়েছে, যেটা আমি মনে করি। 'আমি দুর্বিনীত' (নজরুল)। এখানে বিনীত অর্থ বি কেউ নত বা বিনয়ী, যার বিপরীত শব্দ দুর্বিনীত। এটাকে 'দুর্বিনত' করা হলে, বা আজকে কেউ দুর্বিনত লিখলে খুব শ্রুতিকটু শোনাবে মনে হয়।
দরখাস্তে বিনীত লেখাই উত্তম বলে মনে করি, তবে বিনত শুদ্ধ। যার কাছে লিখবো তার এটা জানা না থাকলে ক্ষিপ্ত হতে পারেন। কাজেই, বিনীত চলমান থাকলে এটা এক সময় শুদ্ধ বলেই (বিনয়ী অর্থে) গণ্য হবে।

খিষ্টাব্দ বানানটি শুদ্ধ। দেখুন নীচের নিয়মটি :

২.০৪ শ, ষ, স

'মন্ত্রী' বানান শুদ্ধ। তবে এটা সমাসবদ্ধ পদ হয়ে গেলে 'মন্ত্রি' হবে, যেমন, মন্ত্রিপরিষদ, মন্ত্রিবর, মন্ত্রিপুত্র, মন্ত্রিবৃন্দ। কিন্তু মন্ত্রীরা, মন্ত্রীদের বানান শুদ্ধ। বাংলা একাডেমী বাংলা বানান অভিধানে এভাবে দেয়া আছে। একক শব্দ হিসাবে কেউ 'মন্ত্রি' লিখলে সেটা ভুল হবে।

বানান রীতির মতো উচ্চাররণ রীতিও আছে। 'অনেক' বানানে 'অ' এবং 'অধুনা' বানানে 'অ'-এর উচ্চারণ এক নয়। 'অ্যাখোন' বানানটি এর আগে আমি এরকম দেখি নি কোথাও। 'অ্যাক'ও না। আমরা নিজের ইচ্ছেমতো লিখতে পারি, কিন্তু প্রমিত বানান রীতি অনুযায়ী না হলে সেটা ভুল হবে।

শুভেচ্ছা রইল।

তৎসম শব্দে শ, ষ, স-য়ের নিয়ম মানতে হবে। এ-ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে সংস্কৃতের ষত্ব-বিধি প্রযোজ্য হবে না।

বিদেশী মূল শব্দে শ, স-য়ের যে প্রতিষঙ্গী বর্ণ বা ধ্বনি রয়েছে বাংলা বানানে তাই ব্যব হার করতে হবে। যেমন : সাল (=বৎসর), সন, হিসাব, শহর, শরবত, শামিয়ানা, শখ, শৌখিন, মসলো, জিনিস, আপস, সাদা, পোশাক, বেহেশ্ ত, নাশতা, কিশমিশ, শরম, শয়তান, শার্ট, স্মার্ট। তবে পুলিশ শব্দটি ব্যতিক্রমরূমে শ দিয়ে লেখা হবে। তৎসম শব্দে ট, ঠ বর্ণের পূর্বে ষ হয়। যেমন : বৃষ্টি, দুষ্ট, নিষ্ঠা, পৃষ্ঠা। কিন্তু বিদেশী শব্দে এই ক্ষেত্রে স হবে। যেমন : স্টল, স্টাইল, স্টিমার, স্টুডিয়ো, স্টেশন, স্টোর, স্ট্রিট।

কিন্তু খ্রিষ্ট যেহেতু বাংলায় আত্তীকৃত শব্দ এবং এর উচ্চারণও হয় তত্সম কৃষ্টি, তুষ্ট ইত্যাদি শব্দের মতো, তাই ষ্ট দিয়ে খ্রিষ্ট শব্দটি লেখা হবে।


৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি আপনাকে অনুরোধ করবো, যদি বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মটি আপনি না পড়ে থাকেন, তাহলে ওটি একবার পড়ে নিন। ওটি পড়ার পর আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আশা কর। তবে, আলোচনার সুযোগ সব সময়ই ছিল, এখনো আছে। সেই সাথে পড়ে নিতে পারেন বাংলা বানান প্রমিতীকরণের ইতিহাস

ই-কার, উ-কার এর ব্যাপারে নিয়মটি হলো :

২.০১ ই ঈ উ ঊ

সকল অ-তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং উ এবং এদের-কার চিহ্ন ই-কার উ-কার ব্যবহৃত হবে। এমনকি স্ত্রীবাচক ও জাতিবাচক ইত্যাদি শব্দের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। যেমন গাড়ি, চুরি, দাড়ি, বাড়ি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), শাড়ি, তরকারি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, বাঙালি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, সরকারি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বে-আইনি, ছড়ি, কুমির, নানি, দাদি, বিবি, মামি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, বুড়ি, ছুঁড়ি, নিচ, নিচু, ইমান, চুন, পুব, ভুখা, মুলা, পুজো, উনিশ, উনচল্লিশ।

অনুরূপভাবে- আলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন : খেয়ালি, বর্ণালি, মিতালি, সোনালি, হেঁয়ালি।

তবে কোনো কোনো স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে ঈ-কার দেওয়া যেতে পারে। যেমন : রানী, পরী, গাভী।

মূল শব্দটা হলো নত। এর সাথে বিভিন্ন উপসর্গ যোগে অন্যান্য শব্দ হতে পারে, যেমন, আনত, অবনত, বিনত, অবিনত, ইত্যাদি।

নীত আরেকটা মূল শব্দ - আনীত (যাকে আনা হয়েছে), বিনীত (যাকে বিশেষভাবে আনা হয়েছে)।

কিন্তু, এখানে একটা গণ্ডগোল হয়েছে, যেটা আমি মনে করি। 'আমি দুর্বিনীত' (নজরুল)। এখানে বিনীত অর্থ বি কেউ নত বা বিনয়ী, যার বিপরীত শব্দ দুর্বিনীত। এটাকে 'দুর্বিনত' করা হলে, বা আজকে কেউ দুর্বিনত লিখলে খুব শ্রুতিকটু শোনাবে মনে হয়।
দরখাস্তে বিনীত লেখাই উত্তম বলে মনে করি, তবে বিনত শুদ্ধ। যার কাছে লিখবো তার এটা জানা না থাকলে ক্ষিপ্ত হতে পারেন। কাজেই, বিনীত চলমান থাকলে এটা এক সময় শুদ্ধ বলেই (বিনয়ী অর্থে) গণ্য হবে।

খিষ্টাব্দ বানানটি শুদ্ধ। দেখুন নীচের নিয়মটি :

২.০৪ শ, ষ, স

তৎসম শব্দে শ, ষ, স-য়ের নিয়ম মানতে হবে। এ-ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে সংস্কৃতের ষত্ব-বিধি প্রযোজ্য হবে না।

বিদেশী মূল শব্দে শ, স-য়ের যে প্রতিষঙ্গী বর্ণ বা ধ্বনি রয়েছে বাংলা বানানে তাই ব্যব হার করতে হবে। যেমন : সাল (=বৎসর), সন, হিসাব, শহর, শরবত, শামিয়ানা, শখ, শৌখিন, মসলো, জিনিস, আপস, সাদা, পোশাক, বেহেশ্ ত, নাশতা, কিশমিশ, শরম, শয়তান, শার্ট, স্মার্ট। তবে পুলিশ শব্দটি ব্যতিক্রমরূমে শ দিয়ে লেখা হবে। তৎসম শব্দে ট, ঠ বর্ণের পূর্বে ষ হয়। যেমন : বৃষ্টি, দুষ্ট, নিষ্ঠা, পৃষ্ঠা। কিন্তু বিদেশী শব্দে এই ক্ষেত্রে স হবে। যেমন : স্টল, স্টাইল, স্টিমার, স্টুডিয়ো, স্টেশন, স্টোর, স্ট্রিট।

কিন্তু খ্রিষ্ট যেহেতু বাংলায় আত্তীকৃত শব্দ এবং এর উচ্চারণও হয় তত্সম কৃষ্টি, তুষ্ট ইত্যাদি শব্দের মতো, তাই ষ্ট দিয়ে খ্রিষ্ট শব্দটি লেখা হবে।

--

'মন্ত্রী' বানান শুদ্ধ। তবে এটা সমাসবদ্ধ পদ হয়ে গেলে 'মন্ত্রি' হবে, যেমন, মন্ত্রিপরিষদ, মন্ত্রিবর, মন্ত্রিপুত্র, মন্ত্রিবৃন্দ। কিন্তু মন্ত্রীরা, মন্ত্রীদের বানান শুদ্ধ। বাংলা একাডেমী বাংলা বানান অভিধানে এভাবে দেয়া আছে। একক শব্দ হিসাবে কেউ 'মন্ত্রি' লিখলে সেটা ভুল হবে।

বানান রীতির মতো উচ্চাররণ রীতিও আছে। 'অনেক' বানানে 'অ' এবং 'অধুনা' বানানে 'অ'-এর উচ্চারণ এক নয়। 'অ্যাখোন' বানানটি এর আগে আমি এরকম দেখি নি কোথাও। 'অ্যাক'ও না। আমরা নিজের ইচ্ছেমতো লিখতে পারি, কিন্তু প্রমিত বানান রীতি অনুযায়ী না হলে সেটা ভুল হবে।

ক্ষুদ্র জ্ঞানে এই হলো আমার মতামত।

শুভেচ্ছা রইল।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ৪ নম্বর কমেন্টটি উলটাপালটা হয়ে গিয়েছিল। ৪ নম্বর কমেন্টসহ এই কমেন্টটিও প্লিজ ডিলিট করে দিন। ধন্যবাদ।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩০

পুরানা দামান বলেছেন: কালকে দেখলাম আপনি বাংলা বিভাগের ছাত্র। আবার দেখি নামের আগে ডঃ। আবার এইসব পোস্ট! আসল কাহিনী কিতা?

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫

ককচক বলেছেন: সোনাবীজ; অথনা ধুলোবালিছাই'র মন্তব্যবে আপনার প্রশ্নের জবাব আছে। প্রোফাইল দেখলাম। আপনি বাংলার ছাত্র। এসব তো আপনার জানা থাকার কথা।

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী স্যার,
আমরা এখানে শিখতেই আসি
শেখাতে নয়। কারণ
আপনাদের মতো
বিজ্ঞ জনেরা
এখানে জ্ঞান
বিতিরিণ করেন।
তাই অনুরোধ
লেখার প্রতি
আর একটু
যত্নবান
হোন।

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৭

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। বলেছেন: সকল মন্তব্যকারিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা -

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি মনে হয় মন্তব্যের প্রতি
মন্তব্য করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ
করেন না। এটা ঠিক নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.