নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি “সুফল\" - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না।তারপরেও যেটুকু এগিয়েছে, অধিকাংশ সাধারণের ব্যক্ত

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী।

আমার জন্ম ০৬ মে, ১৯৫৬ খৃস্টাব্দ (আমার এস এস সি সনদ, জাতিয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনপত্রে জন্ম তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ খৃস্টাব্দ - যাকে আমি রাষ্ট্রিয় জন্ম দিন বলি)- বরিশাল উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ খৃস্টাব্দে এস এস সি (বিজ্ঞান) - ১৯৭৫ খৃস্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ (বি এম কলেজ) , বরিশাল থেকে এইচ এস সি (বিজ্ঞান) - মাস্টারদা সূর্য সেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাশ করি - ২০০১৫ খৃস্টাব্দের মার্চ থেকে ২০০১৮ খৃস্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত সময়ে আমি আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট উইনভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পি এইচ ডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি লাভ করি। আমার গবেষণার বিষয় : গুড গভারনেস, ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভলপমেন্ট : বাংলাদেশ পারসপেকটিভ - আমি জানুয়ারি, ১৯৭২ খৃস্টাব্দ থেকে জানুয়ারি, ১৯৮৫ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সি পি বি) সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলাম - আমি বরিশাল শহরে অনামি লেন, সদর রোডে বড়ো হলেও - আমার নিজের বা বাবার কোনো বাড়ি নেই - আমার দাদার বাড়ি (দাদার বা তার বাবারও কোনো বাড়ি নেই - ওটিও দাদার দাদার বা তারও আগের কোনো পূর্ব পুরুষের বাড়ি) পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার ০১ নং বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ি (চৌধুরীবাড়ি) তে - আমি ১৯৬৫ খৃস্টাব্দে প্রথম আুষ্ঠানিক ভাবে স্কুলে যেতে শুরু করি - তৃতীয় শ্রেনিতে - স্কুল থেকে পাক ভারত যুদ্ধ বিরোধি এবং ফাতেমা জিন্নার হেরিকেনের পক্ষে মিছিল করে বরিশাল শহর প্রদক্ষিণ করে হাটু পর্যন্ত ধূলা বালিতে একাকার হয়ে বাসায় ফিরি - সাদা জুতা মোজা প্যান্ট নষ্ট করে - তারপর ১৯৬৯ পাকিস্থান দেশকৃষ্টি বিরোধি আন্দোলন ও ১১ দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনে বরিশালের ততকালিন ছাত্র নেতা শহীদ আলমগির, আ স ম ফিরোজ, মনসুরুল আলম মন্টু, নওশের জাহান, আনোয়ার হোসেন, আনেয়ার জাহিদ, আব্দুল হালিম, কাশি নাথ দত্ত সহ আরো অনেকের সান্নিধ্যে যাবার সৌভাগ্য হয় - ১৯৭০ এর ভয়াল জলোচ্ছাসে উদয়ন স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে আমি \"কাকলি ছাত্র সংঘ \" নামে ্একটি সংগঠন গড়ে তুলি - আমরা জুতা পালিশ করে, খবরের কাগজ বিক্রি করে, পেয়ারা বিক্রি করে, অর্থ সংগ্রহ করি ও বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে পুরনো জামা কাপড় সংগ্রহ করে ভোলার দুর্গত এলাকায় পাঠাই - ১৯৭১ এর পয়লা মার্চ থেকে মিছিল মিটিং ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে অংশ নিলে মামা ও নানার সাথে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলে, স্বরূপকাঠী কলেজ মাঠে জাহাঙ্গির বাহাদুর ও আবু বকর ছিদ্দিকের নেতৃত্বের মুক্তি বাহিনির সাথে সক্রিয় ছিলাম এবং সেপ্টেম্বর/ অক্টোবরে মহসিন ভাইর মুজিব বাহিনি এলে কাটাপিটানিয়া ক্যাম্পে ০৮ -১২- ১৯৭১ (বরিশাল মুক্ত দিবস) পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম - যেহেতু আমি নিজে কোনো পাকিস্থানি মিলিটারি মারিনি - অতএব মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়া সমিচিন মনে করিনি - আজো করি না - যে সব অমুক্তিযোদ্ধা মিথ্যে সনদ নিয়ে রাষ্ট্রিয় সুবিধা নিচ্ছে - তাদের কারণে অসহায় অসচ্ছল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজ মানবেতর জিবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে - সনদ পাবে - চাকুরির সুবিধা পাবে - মাসিক ভাতা পাবে - ছেলে মেয়ে নাতি পুতি শিক্ষার ও চাকুরির সুবিধা পাবে হত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা - গণহারে সুবিধা দেয়াতে সনদধারিদের সংখ্যায় প্রকৃতরা বঞ্চিত হচ্ছে - সনদ পাবে - সুবিদা পাবে এমন আশা করে কোনো একজন মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযুদ্ধে যায় নি - প্রত্যেকে জিবন বাজি রেখে দেশকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে গেছে - জাতির পিতার ডাকে ও দেশ প্রেমের আবেগে - সুবিধাবাদি অমুক্তিযোদ্ধারাই ভূয়া সনদ নিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছে - হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়নি - তারপরেও লাখ লাখ সনদধারি মুক্তিযোদ্ধা কোথা থেকে এলো ? আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই স্বাধিনতা বিরোধিরা (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুরা) সুকৌশলে সনদ নিয়ে, আজ এই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে - আসলে সরকারের নিতি নির্ধারণেও কিছু ত্রুটি ছিলো - উচিত ছিলো -“মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” এই সনদ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ও তাদের সহযোগিদের দেয়া - কিন্তু ভাতা - চাকুরির বয়স বৃদ্ধির সুবিধা - পোষ্যদের চাকুরি প্রদানের সুবিধা - মাসিক ভাতা - এগুলো কেবলমাত্র হতদরিদ্র অক্ষম অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরই দেয়া সংগত ছিলো - এখানেও আমলাদের বা নিতি নির্ধারণে স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) বিশাল ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি - দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি - না হলে খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েও বিতর্কের কারণ কি হোতে পারে ? খেতাব প্রদানের সময় থেকেই স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) সক্রিয়তা বুঝতে পারেনি - মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সমর্থকরা ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা - কারণ যারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্থান সরকারের আজ্ঞাবাহক ছিলো সেই সব আমলারাই ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশ সরকারের নিতি নির্ধারক হলেন ? স্বাধিনতার শত সহস্র লক্ষ কোটি ‘সুফল’ আছে - কিন্তু একটি মাত্র ‘কুফল’ - যা আজো জাতিকে পিছু টানছে - প্রতিনিয়ত - তা হোলো “উচ্চাসনে (নিতি নির্ধারণে) অযোগ্যরা (রাজনিতিক ও আমলা) ।। ।। আমি নিজ সামর্থানুসারে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হত দরিদ্র শিক্ষার্থিদের আর্থি ক সহায়তা করে থাকি । দু’টি এতিমখানাতে ও চার - ছয়টি মসজিদে মৃত মা বাবা ও অকাল প্রায়াত ভাতিজির (স্বপ্নীল) নামে -

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের মেধাবিদের গাড়ি আবিষ্কার – বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি বন্ধ করে – বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় বন্ধ করে – দেশের মেধাবিদের আবিষ্কৃত গাড়ি ব্যাপক উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ আবিষ্কারের বিনত আবেদন -

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

দেশের মেধাবিদের গাড়ি আবিষ্কার –
বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি বন্ধ করে – বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় বন্ধ করে – দেশের মেধাবিদের আবিষ্কৃত গাড়ি ব্যাপক উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ আবিষ্কারের বিনত আবেদন -

১১. পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্ষুদে বিজ্ঞানি মাহবুবুর রহমান শাওন’র জ্বালানি সাশ্রয়ি চালক বিহিন পরিবেশ বান্ধব গাড়িসহ বিভিন্ন যন্ত্র আবিষ্কার করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। শাওন পটুয়াখালীর মৎস্য বন্দর খ্যাত মহিপুর থানার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের মাদ্রসা শিক্ষক নাসির উদ্দিনের ছেলে। সে বাংলাদেশ প্লানেটর কলেজের রোবোটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। প্রায় ১ মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম আর মেধা খাটিয়ে জালানি সাশ্রয়ি সোলার সিস্টেম চালক বিহিন এই গাড়িটি তৈরি করেন। রবিবার বেলা ১১টায় মহিপুর সদর থানার কো-অপরেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রদর্শনির মাধ্যমে পরিক্ষামুলক গাড়িটি চালিয়ে সফল এক অনাবদ্ধ সৃস্টি তুলে ধরেন এ খুদে বিজ্ঞানি শাওন ।

৩৩ . নারায়নগঞ্জ - ‘ল্যাম্বোরগিনির’ আদলে অত্যাধুনিক এই “গাড়ি” তৈরি করেছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা আকাশ আহমেদ । গাড়িটি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে প্রায় ১০ ঘণ্টা চলতে সক্ষম । সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা পরিবেশ বান্ধব ল্যাম্বোরগিনির আদলে আকাশের তৈরিকৃত সেই “গাড়িতে” । "আকাশ" এর তৈরি “গাড়ির” ব্যপক উতপাদন ও বাজারজাত করনের সুযোগ করে দেবার জন্য, মাননিয় অর্থ মন্ত্রি, শিল্প মন্ত্রি, বানিজ্য মন্ত্রি, যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রিকে বিনত আবেদন জানাচ্ছে । আকাশের তৈরি‘ ‘ল্যাম্বোরগিনির’ গাড়িতে নারায়নগঞ্জের জেলা প্রশাসক মহোদয় চড়ে দেখেছেন।

৩৪. জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় - বাংলাদেশি বিজ্ঞানি আবিষ্কার করেছে ‘সৌর শক্তি চালিত ‘“অটো রিকসা”’- আমরা দেখতে পাবো ‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত‘ রিকশা’। এমন এক "পরিবেশ-বান্ধব" রিকশা আবিষ্কার করলেন আমাদের দেশের দু'জন বিজ্ঞানি। তাঁরা হলেন- জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের সহকারি অধ্যাপক ডঃ এম শামীম কায়ছার ও মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রভাষক আবু রায়হান মোঃ সিদ্দিক। তাঁরা দু'জন মিলে তৈরি করেছেন এই ‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত রিকশা’। এই রিকশার প্রয়োজনিয় চার্জ সৌর প্যানেল থেকে সংগৃহিত হবে খুব সহজে । অনেক হাল্কা করেই তৈরি করা হয়েছে এই রিকশা ।

৩৫ . বরিশাল - ‘জ্বালানি সাশ্রয়ি “গাড়ি” আবিষ্কারক’ বরিশালের জিসান হাওলাদার ঈসা । নিজের স্বপ্ন সফল করার জন্য অনেকের সাহায্য কামনা করেছেন। দেবো, দিই, দিচ্ছি বলে বলে কেউ আর পাশে এসে দাঁড়ায়নি। তাতে কি ? কথায় আছে না, ‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, দেখা হবে বিজয়ে’ ? হ্যাঁ ঠিক তাই হয়েছে, নিজের ইচ্ছেতে অনড় ছিলো বরিশালের তরুণ উদ্ভাবক জিসান হাওলাদার ঈসা । আর তাই তো সে নিজ লক্ষ্যে পৌছার জন্য রিকশাও চালিয়েছেন। তারপর দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করেন নিজের প্রযুক্তিতে “তিনটি” জ্বালানি সাশ্রয়ি গাড়ি । তরুণ উদ্ভাবক জিসানের বানানো ওই “তিনটি” জ্বালানি সাশ্রয়ি গাড়ি হয়েছে “দেশ সেরা”। নিজের ঝুলিতে ভরেছেন “জাতিয় পুরস্কার”। শুধু জাতিয় পুরস্কারই নয়। সে তার এই প্রযুক্তির জন্য পেয়েছে “আন্তর্জাতিক পুরুস্কারও”। সম্প্রতি জিসান হাওলাদার ঈসা তার সফলতার কথা জানিয়ে এবং বিজ্ঞান গবেষণায় “সহায়তা না থাকার” আক্ষেপ প্রকাশ করে লিখেছেন, জেলা প্রশাসকের বরাবরে ।

৩৬ . যশোর- “সোলার “কার” উদ্ভাবন করলেন যবিপ্রবি (যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষক - এক থেকে দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে “সৌরচালিত গাড়ি” উদ্ভাবন করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির। এই গাড়িটির মানোন্নয়ন করে বাণিজ্যিকভাবেও এর ব্যবহার সম্ভব। এই গাড়ির সোলার প্যানেল ছাড়া সবকিছুই দেশিয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং স্থানিয় একটি মোটর ওয়ার্কশপে এটি তৈরি করা হয়েছে । ড. মো. হুমায়ুন কবির জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা তহবিল থেকে ২০১৭ - ১৮ অর্থ বছরের বাজেট থেকে গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। এই প্রেক্ষিতে তিনি “সৌরশক্তি চালিত “গাড়ি” তৈরি করার জন্য প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব গ্রহণ করে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থের যোগান দেন। এরপর হুমায়ুন কবির “গাড়ি” তৈরি করার জন্য প্রয়োজনিয় যাবতিয় জিনিসপত্র স্থানিয় বাজার থেকে সংগ্রহ করেন এবং স্থানিয় একটি ওয়ার্কশপে গাড়িটি তৈরি করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই গাড়ির সব যন্ত্রাংশ দেশে তৈরি, শুধু সোলার প্যানেল ছাড়া । ড. মো. হুমায়ুন কবির আরও জানান, সারা পৃথিবিতেই ব্যাটারিচালিত গাড়ি তৈরি এবং ব্যবহারের আগ্রহ বেড়ে চলেছে। টেসলা নামক কোম্পানি এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে। সৌরশক্তি দিয়ে গাড়ি চালানোও নতুন নয়। তবে, বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়নি। গবেষণা চলছে উন্নত করার। ড. হুমায়ুন কবিরের মতে, আমাদের দেশে সৌরশক্তি চালিত গাড়ির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, আমাদের দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। আর যে ফসিল ফুয়েল দিয়ে গাড়ি চলে তার পুরোটাই আমদানি নির্ভর এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। এই বিষয়গুলো চিন্তা করে আমরা “সৌরশক্তি চালিত গাড়ি” তৈরি করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করি। এই গাড়ির মূলনিতি হল: সৌরশক্তি ব্যাটারিতে জমা হবে, জমা হওয়া বৈদ্যুতিক চার্জ দিয়ে মোটর চলবে যা গাড়ির চাকা ঘোরাবে। দুইজন যাত্রী এবং একজন চালকসহ ৩৩০ কেজি ওজনের এই গাড়ি একদিনের চার্জে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে। তবে, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরকোষ ব্যবহার করে তা দ্বিগুণ বা তিনগুণ বাড়ানো সম্ভব। প্রাথমিকভাবে এই গাড়ি তৈরিতে খরচ পড়ছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। একটু মানসম্পন্নভাবে গাড়িটি তৈরি করা গেলে এটি দশ বছর পর্যন্ত চলতে পারবে। সে ক্ষেত্রে ব্যাটারি পরিবর্তন ও সোলার প্যানেলটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।এক থেকে দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে সৌরচালিত গাড়ি উদ্ভাবন করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির।তিনি উল্লেখ করেন, যশোরকে ইজিবাইকের শহর বলা হয়। এই ইজিবাইক আমদানি করতে যেমন প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়, তেমনি এটি চালাতে প্রচুর বিদ্যুতের খরচ হয়। এ কারণে এই সোলার কারটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা গেলে যেমন ডলার সাশ্রয় হবে, তেমনি বিদ্যুতের উপরেও চাপ কমবে।

৮৪ . ‘“ধোলাই খালে শিল্প বিপ্লব”’ – এই এলাকার উদ্যোক্তারা “৩৮ হাজার রকমের” যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ তৈরি করছেন”। এখানে উতপাদিত যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ গৃহস্থলি, কৃষি, বৈদ্যুতিক, যানবাহন, খেলনা, চিকিতসা, সিমেন্ট ও কাগজ কারখানার যন্ত্রাংশ, বাইসাইকেল, ফেন্সি লাইট ফিটিংস, নির্মান যন্ত্র, ভোল্টেজ স্টবলাইজার, আযরণ চেইন, কার্বন রড, দেশি বিদেশি বিভিন্ন মডেলের গাড়ির পার্টস, লাইনার, বেয়ারিং, বেকডাম ইঞ্জিন, কার্টিজ সকেট, জগ, জাম্পার, স্প্রিং, হ্যামার, ম্যাকেল জয়েন্ট, বল জয়েন্ট, ট্রাক, লরি, অটোরিকসা, মেডিকেল বেড, ডায়নামো, এ.সি, ফ্রিজ, নিনিয়াম, প্যাড ড্রাম, বেক সিলিন্ডার, বাম্পার ব্রাকেট, পিস্টন, পাম্প সহ নানান যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত হোচ্ছে ও বিদেশেও রপ্তানি হোচ্ছে।
পাশাপশি আস্ত গাড়ি, গাড়ির ইঞ্জিন, লঞ্চের ইঞ্জিনও তৈরি হোচ্ছে । মোটর গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, স্যালো পাম্পের ইঞ্জিন ব্যবহার করে টেম্পো, ট্রাক্টর, ইট ভাঙ্গার যন্ত্রসহ পাওয়ার লুমের যন্ত্রও তৈরি হোচ্ছে। শুধু গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি ও মেরামতই নয়, জাহাজ, পাওয়ার প্লান্ট, জেনারেটরসহ, রেলের ইঞ্জিন ও বগির যন্ত্রাংশও তৈরি করা হয় “‘ধোলাই খালে”’ । “পুরনো গাড়ি বা ইঞ্জিন মেরামত করে একদম নতুন ঝক ঝকে করে দিতে পারে ‘ধোলাই খাল ‘।‘ধোলাই খালের আদলে দেশে “প্রায় ৪০ হাজারের বেশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা” । এগুলো বছরে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ কোটি টাকার পন্য উতপাদন করে থাকে।
এর মধ্যে বিদেশে রপ্তানি হয় প্রায় শত কোটি টাকার পন্য । দেশে বাজারজাত হওয়া পন্য বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে । ফলে আমদানির বিকল্প এখন ধোলাই খাল । দেশি বিদেশি যে কোনো মডেলের যে কোনো যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ বা গড়ি দেখালে হুবহু মডেল তৈরি করে দেবে ‘ধোলাই খালের ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা । যে সব যন্ত্রাংশ মূল কোম্পানি উতপাদন বন্ধ করে দিয়েছে (যেমন: ভক্সওয়াগন গাড়ি) সে সকল পার্টস পাওয়া যাবে ‘ধোলাই খালের ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানায়’ ।

৯৯. রংপুরের সেলিমের ০২ (দুই) সিটের ফ্যামিলি ‘কার’ তৈরি করেছেন। রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করিনি ইউনিয়নের যুবক সেলিম মিয়ার ব্যটারি চালিত শব্দ ও ধোয়া বিহিন পরিবেশ বান্ধব ফেমিলি কারে চাকার সঙ্গে একটি পেনিয়াম লাগিয়ে চালালে অটো চার্জ হবে। কিংবা বিদ্যুত দিয়ে চার্জ দেয়া যাবে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তার উদ্ভাবিত ০২ (দুই) সিটের ফ্যামিলি ‘কার’ একটি জনপ্রিয় বাহন হতে পারে। ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। এটি তৈরি করতে মাত্র দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

১০৭. বগুড়ারর সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের পদ্মপাড়া গ্রামের কলেজ ছাত্র আব্দুর রহমান রিশান তৈরি করেছেন প্রাইভেট কার । আব্দুর রহমান রিশানের বাবার নাম ইউনুস আলি ও মা’র নাম ফরিদা বেগম। সৈয়দ আহম্মদ কলেজের বি এম শাখার দ্বিতিয় বর্ষের ছাত্র সে । দীর্ঘ ১৮ মাস চেষ্টা চালিয়ে তৈরি করেছেন এই গাড়িটি । এতে তার খরচ হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

১০৯. চট্টগ্রামের অমিত দাস আবিষ্কার করেন পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক বাইক বা ই-বাইক । যার নাম দিয়েছেন ‘আলট্রন ওয়ান’ । একবার চার্জ দিতে খরচ মাত্র ৮ – ১০ টাকা । যা দিয়ে চলবে ৬০ কিলোমিটার । এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৪০ – ৪৫ হাজার টাকা । সরকারি কিংবা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে ই-বাইক ‘আলট্রন ওয়ান’। বাগেরহাট শহরের দাসপাড়া এলাকার মৃত অমল দাসের একমাত্র ছেলে অমিত দাস । গত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর শ্যামলী আবাসিক এলাকায় থাকেন । বেসরকারি একটি জাহাজ কোম্পানিতে কাজ করেন ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে

এমনি নিত্য নতুন ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক আবিষ্কারে বাংলাদেশের সন্তানেরা বিশ্বে ও দেশে নন্দিত - কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা, অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যবস্থা করা ও আন্তরিকতার অভাবে (দয়ার অভাবে) তা অংকুরেই মরে যাচ্ছে অনেক । কিংবা বিদেশ কিনে নিচ্ছে বলে দেশে ব্যাপক উতপাদন, বিপনন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানি করতে পারেনি ।

আমার দেশের মেধাবি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক বিশ্বমানের আবিষ্কার সমুহ ব্যাপক উতপাদন, বিপনন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানির জন্যে রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত জরুরি । অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যবস্থা করাও আবশ্যক । প্রয়োজনে, বিনা সুদে ব্যাংক ঋণ বা সামান্য সুদে (নাম মাত্র সুদে) ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলেও এসব আবিষ্কারকদের উতসাহ বা প্রেরণা বা প্রনোদনা দেয়া যেতে পারে । ব্যাপক উতপাদনের, বিপনণের ও বাজারজাতকরণের এবং বিদেশে রপ্তানির জন্যে গণভবণে মাননিয় প্রধানমন্ত্রির একান্ত সান্নিধ্যে, কঠোর নির্দেশনায় ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে একটি “গবেষণা কর্মসুচি” (Research Program) গ্রহণ একান্ত জরুরি বলে প্রতিয়মান । যে খাত থেকে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আসবে দেশে । লাখ লাখ বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে দেশের । ‘মুজিব শতবর্ষ’ ও ‘স্বাধিনতার পঞ্চাশ বর্ষ’ সামনে রেখে এ বিষয়ে একটি “গবেষণা কর্মসুচি” (Research Program) গ্রহণের মাননিয় প্রধানমন্ত্রির বরাবরে বিনত আবেদন জানাচ্ছি ।
বিশ্বমানের আবিষ্কার : গবেষণা কর্মসুচি (বিআগক) । Global Standard Invention : Research Program (GSIRP). এই গবেষণা কর্মসুচির অভিষ্ট লক্ষ্য (Ultimate Goal) হবে দেশের মেধাবি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক বিশ্বমানের আবিষ্কারসমুহকে নিয়ে পানগাও বন্দর (Pangaon Port) সংলগ্ন কোনো স্থানে একটি শিল্প পল্লি/শিল্প নগরি/শিল্পাঞ্চল (Industrial Village/Industrial Town/Industrial Area) কিংবা EPZ (Export Prpmotion Zone) গড়ে তোলা । এ কাজে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করছি -

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩

অক্পটে বলেছেন: দেশে যারা ধনী লোক আছেন ব্যবসায়ী আছেন তারা চায়না মেধাবিরা সামনে চলে আসুক।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



দেশীয় শিল্পে বিনিয়োগ হোক।

কিন্তু, বিদেশী গাড়ি আমদানী বন্ধ করা উচিৎ হবে না। দেশে দূর্ঘটনা বাড়বে।

কোন দেশের উদাহরণ দেখাতে পারবেন যেখানে বাইরের গাড়ি আমদানী বন্ধ করে দেশীয় গাড়ি উৎপাদন উৎসাহিত করা হয়েছে?

প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই শিপের উন্নয়ন ঘটে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.