নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি “সুফল\" - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না।তারপরেও যেটুকু এগিয়েছে, অধিকাংশ সাধারণের ব্যক্ত

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী।

আমার জন্ম ০৬ মে, ১৯৫৬ খৃস্টাব্দ (আমার এস এস সি সনদ, জাতিয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনপত্রে জন্ম তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ খৃস্টাব্দ - যাকে আমি রাষ্ট্রিয় জন্ম দিন বলি)- বরিশাল উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ খৃস্টাব্দে এস এস সি (বিজ্ঞান) - ১৯৭৫ খৃস্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ (বি এম কলেজ) , বরিশাল থেকে এইচ এস সি (বিজ্ঞান) - মাস্টারদা সূর্য সেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাশ করি - ২০০১৫ খৃস্টাব্দের মার্চ থেকে ২০০১৮ খৃস্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত সময়ে আমি আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট উইনভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পি এইচ ডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি লাভ করি। আমার গবেষণার বিষয় : গুড গভারনেস, ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভলপমেন্ট : বাংলাদেশ পারসপেকটিভ - আমি জানুয়ারি, ১৯৭২ খৃস্টাব্দ থেকে জানুয়ারি, ১৯৮৫ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সি পি বি) সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলাম - আমি বরিশাল শহরে অনামি লেন, সদর রোডে বড়ো হলেও - আমার নিজের বা বাবার কোনো বাড়ি নেই - আমার দাদার বাড়ি (দাদার বা তার বাবারও কোনো বাড়ি নেই - ওটিও দাদার দাদার বা তারও আগের কোনো পূর্ব পুরুষের বাড়ি) পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার ০১ নং বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ি (চৌধুরীবাড়ি) তে - আমি ১৯৬৫ খৃস্টাব্দে প্রথম আুষ্ঠানিক ভাবে স্কুলে যেতে শুরু করি - তৃতীয় শ্রেনিতে - স্কুল থেকে পাক ভারত যুদ্ধ বিরোধি এবং ফাতেমা জিন্নার হেরিকেনের পক্ষে মিছিল করে বরিশাল শহর প্রদক্ষিণ করে হাটু পর্যন্ত ধূলা বালিতে একাকার হয়ে বাসায় ফিরি - সাদা জুতা মোজা প্যান্ট নষ্ট করে - তারপর ১৯৬৯ পাকিস্থান দেশকৃষ্টি বিরোধি আন্দোলন ও ১১ দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনে বরিশালের ততকালিন ছাত্র নেতা শহীদ আলমগির, আ স ম ফিরোজ, মনসুরুল আলম মন্টু, নওশের জাহান, আনোয়ার হোসেন, আনেয়ার জাহিদ, আব্দুল হালিম, কাশি নাথ দত্ত সহ আরো অনেকের সান্নিধ্যে যাবার সৌভাগ্য হয় - ১৯৭০ এর ভয়াল জলোচ্ছাসে উদয়ন স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে আমি \"কাকলি ছাত্র সংঘ \" নামে ্একটি সংগঠন গড়ে তুলি - আমরা জুতা পালিশ করে, খবরের কাগজ বিক্রি করে, পেয়ারা বিক্রি করে, অর্থ সংগ্রহ করি ও বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে পুরনো জামা কাপড় সংগ্রহ করে ভোলার দুর্গত এলাকায় পাঠাই - ১৯৭১ এর পয়লা মার্চ থেকে মিছিল মিটিং ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে অংশ নিলে মামা ও নানার সাথে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলে, স্বরূপকাঠী কলেজ মাঠে জাহাঙ্গির বাহাদুর ও আবু বকর ছিদ্দিকের নেতৃত্বের মুক্তি বাহিনির সাথে সক্রিয় ছিলাম এবং সেপ্টেম্বর/ অক্টোবরে মহসিন ভাইর মুজিব বাহিনি এলে কাটাপিটানিয়া ক্যাম্পে ০৮ -১২- ১৯৭১ (বরিশাল মুক্ত দিবস) পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম - যেহেতু আমি নিজে কোনো পাকিস্থানি মিলিটারি মারিনি - অতএব মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়া সমিচিন মনে করিনি - আজো করি না - যে সব অমুক্তিযোদ্ধা মিথ্যে সনদ নিয়ে রাষ্ট্রিয় সুবিধা নিচ্ছে - তাদের কারণে অসহায় অসচ্ছল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজ মানবেতর জিবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে - সনদ পাবে - চাকুরির সুবিধা পাবে - মাসিক ভাতা পাবে - ছেলে মেয়ে নাতি পুতি শিক্ষার ও চাকুরির সুবিধা পাবে হত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা - গণহারে সুবিধা দেয়াতে সনদধারিদের সংখ্যায় প্রকৃতরা বঞ্চিত হচ্ছে - সনদ পাবে - সুবিদা পাবে এমন আশা করে কোনো একজন মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযুদ্ধে যায় নি - প্রত্যেকে জিবন বাজি রেখে দেশকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে গেছে - জাতির পিতার ডাকে ও দেশ প্রেমের আবেগে - সুবিধাবাদি অমুক্তিযোদ্ধারাই ভূয়া সনদ নিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছে - হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়নি - তারপরেও লাখ লাখ সনদধারি মুক্তিযোদ্ধা কোথা থেকে এলো ? আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই স্বাধিনতা বিরোধিরা (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুরা) সুকৌশলে সনদ নিয়ে, আজ এই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে - আসলে সরকারের নিতি নির্ধারণেও কিছু ত্রুটি ছিলো - উচিত ছিলো -“মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” এই সনদ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ও তাদের সহযোগিদের দেয়া - কিন্তু ভাতা - চাকুরির বয়স বৃদ্ধির সুবিধা - পোষ্যদের চাকুরি প্রদানের সুবিধা - মাসিক ভাতা - এগুলো কেবলমাত্র হতদরিদ্র অক্ষম অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরই দেয়া সংগত ছিলো - এখানেও আমলাদের বা নিতি নির্ধারণে স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) বিশাল ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি - দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি - না হলে খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েও বিতর্কের কারণ কি হোতে পারে ? খেতাব প্রদানের সময় থেকেই স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) সক্রিয়তা বুঝতে পারেনি - মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সমর্থকরা ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা - কারণ যারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্থান সরকারের আজ্ঞাবাহক ছিলো সেই সব আমলারাই ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশ সরকারের নিতি নির্ধারক হলেন ? স্বাধিনতার শত সহস্র লক্ষ কোটি ‘সুফল’ আছে - কিন্তু একটি মাত্র ‘কুফল’ - যা আজো জাতিকে পিছু টানছে - প্রতিনিয়ত - তা হোলো “উচ্চাসনে (নিতি নির্ধারণে) অযোগ্যরা (রাজনিতিক ও আমলা) ।। ।। আমি নিজ সামর্থানুসারে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হত দরিদ্র শিক্ষার্থিদের আর্থি ক সহায়তা করে থাকি । দু’টি এতিমখানাতে ও চার - ছয়টি মসজিদে মৃত মা বাবা ও অকাল প্রায়াত ভাতিজির (স্বপ্নীল) নামে -

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে দেশে দুর্বা ঘাস জন্মে সর্বত্র বিনা রোপনে - বিনা যত্নে - সে দেশে কেনো খাদ্যাভাব বা দুর্ভিক্ষ হবে ? কৃষকদের বাচিয়ে রাখলে খাদ্যাভাব বা দুর্ভিক্ষ হবে না -

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৪

‘মুজিব শতবর্ষের’ ও ‘স্বাধিনতার পঞ্চাশ বর্ষপুর্তির’ প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সমান্তরাল (Parallel) বাংলাদেশের মেধাবি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক বিশ্বমানের আবিষ্কার (Global Standard Invention of our Tallents & Brikiants) সমুহের রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যবস্থা করা এবং ব্যপক উতপাদন, বিপনন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘গণভবনে’ সরাসরি আপনার একান্ত সান্নিধ্যে, সফল ও কঠোর নির্দেশনায় এবং নিবিড় তত্বাবধানে একটি গবেষণা কর্মর্সুচি (Research Program) বাস্তবায়ন করতে ও এই গবেষণা কর্মসুচি (Research Program) গ্রহন ও বাস্তবায়ন একান্ত জরুরি বলে প্রতিয়মান ।

‘মুজিব শতবর্ষের’ ও ‘স্বাধিনতার পঞ্চাশ বর্ষপুর্তির’ প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিনয়ের সাথে বলতে চাচ্ছি যে, বাংলাদেশ এমন একটি বিশ্বশ্রেষ্ঠ উর্বর মাটির দেশ, যে দেশে কোনো রোপন ছাড়া – কোনো ‘সার’ প্রয়োগ ছাড়া - কোনো পানি ছাড়া - কোনো প্রকার যত্ন ছাড়া - সারা বাংলাদেশে “দুর্বা ঘাস” (দুলফা ঘাস) অযত্নে অবহেলায় জন্ম হয় বা হোতে পারে - সে দেশের মাটিতে যত্ন নিলে কি না ফলানো যায় ? শুধুমাত্র “দেশপ্রেম” থাকলেই সব কিছু ফলানো সম্ভব । আমার দেশের কৃষকের “নিখাদ দেশপ্রেম” আছে বলে তারা সব কিছু ফলাতে সক্ষম ।
০১. (ক) ফ্রান্সের কিংবা শিতপ্রধান দেশের ‘স্ট্রবেরি’ ফল আমাদের দেশে হবে ? আমরা কোনো দিন ভেবেছি ? স্বপ্ন দেখেছি ?
০১. (খ) ‘মালটা” আমাদের দেশে জন্মাতে পারে ?আমরা কোনো দিন ভেবেছি ?কল্পনা করেছি ? চিন্তা করেছি ? স্বপ্ন দেখেছি ?
০১. (গ) আজ বিভিন্ন জাতের ও বিভিন্ন দেশের “কমলা” আমাদের দেশের কৃষক ফলাচ্ছেন ।
০১. (ঘ) বারো মাস “আম” পাওয়া যেতে পারে ? আমরা কি কোনো দিন এমনটি ভেবেছি ? কল্পনা করেছি ? স্বপ্ন দেখেছি ? যা আজ বাস্তব ।
০১. (ঙ) বারো মাস “কাঁঠাল” বারি-১, ২, ৩, হেক্টর প্রতি ফলন ১৩৩ মেট্রিক টন : কাঁঠাল মৌসুমী ফল, কাঠাল প্রিয় মানুষরা এই ফলটির অপেক্ষায় একটি বছর অপেক্ষায় থাকেন । কিন্তু এখন আর অপেক্ষায় থাকতে হবেনা । এখন কাঁঠাল পাওয়া যাবে সারা বছর । এমনি একটি কাঁঠালের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) র একদল বিজ্ঞানি । দীর্ঘদিন ধরে বারি’র বিজ্ঞানিরা নিরলস পরিশ্রম আর গবেষণার মাধ্যমে বারো মাসি কাঁঠালের জাত উদ্ভাবন করে তা অবমুক্ত করেছেন । এই কাঁঠালের আরো বিস্তর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিজ্ঞানিরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । ইতোমধ্যেই গাজিপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর বিজ্ঞানিরা তিনটি নতুন কাঁঠালের জাত বারি-১, বারি-২ ও বারি-৩ উদ্ভাবন করেছেন । এখন উদ্ভাবিত জাত গুলোর সম্প্রসারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে । এই নতুন তিনটি কাঁঠালের জাতের সম্প্রসারণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান।
০১. (চ) এ ছাড়া বিভিন্নজনে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে, আবার কেউ কেউ সখের বসে আম, কাঠাল, জাম, আপেল, আতা, কলা, আমড়া, জাম্বুরা, জামরুল, কতবেল, ডাব, ডুমুর, তাল, চেরি, নারকেল, খেজুর, তেতুল, শরিফা, করমচা, চালতা, আঙ্গুর, পেয়ারা, লেবু, লিচু, তরমুজ, সফেদা, লটকন, বাদাম, আমলকি, হরিতকি, বহেরা, অড়বড়ই(নঈল), পিচ, নাশপাতি, আনারশ, বাঙ্গি, কামরাঙা, বেল, ডেউয়া, জলপাই, বড়ই, পেপে, প্রভৃতি ফলের চাষ করে থাকেন।
০১. (ছ) একই গাছে ফলবে আলু ও বেগুণ –গাছটির নাম হবে ‘ব্রিঞ্জাল’। একই গাছে আলু ও টমাটো – নাম হবে ‘টমালু’। উদ্ভাবন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফারিুক ।
০১. (জ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলাম বি.ই.ইউ. খাট সিম ৮ ও বি.ই.ইউ. খাট সিম ৯ নামে সিমের দুটি খাট জাত উদ্ভাবন করেছেন। কোনো প্রকার মাচা ছাড়া মাঠে ফসলের মতো চাষ করা যাবে। ছাদ বাগানে টবে চাষ করা যাবে।
০১. (ঝ) খুলনায় তরমুজের গুড় তৈরি । তরমুজ থেকে গুড় উৎপাদন করে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছেন চাষিরা। পাতা দরমুজ থেকে রস বের করে দুই তিন ঘন্টা চুলার আগুনে জাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হোচ্ছে। এটি বাজারে পাওয়া অন্যান্য গুড়ের মতো মিষ্টি । নতুন এই গুড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘তোগুড়’ । খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের ছোট বন গ্রামের চাষি মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল এই গুড় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। পাঁচ লিটার তরমুজের রস থেকে এক লিটার গুড় পাওয়া যায়।
০১. (ঞ) সীতা লাউ – কাপ্তাই- কোন সুনির্দিষ্ট মৌসুম নয়, একবার রোপণের পর ১০ বছর পর্যন্ত একই লতা থেকে বছরের ১২ মাস পাওয়া যাবে সবুজ লাউ। নতুন উদ্ভাবিত এই সবজির নাম সীতা লাউ। কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানীরা এই নতুন জাতের সীতা লাউ উদ্ভাবন করে রীতিমত সাড়া ফেলেছেন।
০১. (ট) রিসার্কুলেটিং অ্যাকোয়াকালচার সিস্টেম (রাস) মাছ চাষের একটি অগ্রসরমান আন্তর্জাতিক প্রযুক্তির ধারণা – দেশে তৈরি প্লাস্টিক সিট দিয়ে তৈরি ড্রাম আকৃতির বেশ বড়ো একটি ট্যাংকে পানি ধরবে ১০ হাজার লিটার – প্রতি হাজার লিটার পানিতে ৮০ থেকে ১০০ কে. জি. মাছ উৎপাদন করা যায় – সে হিসেবে এমন একটি ট্যাংক থেকে ৮০০ থেকে ১০০০ কে. জি. মাছ উৎপাদন সম্ভব – রাজধানির শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফিসারিজ, অ্যাকোয়াকালচার ও মেরিন সায়েন্স অুনষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহাবুদ্দিন এ প্রযুক্তিটি মানুষের দোরগোড়ায় আনার কথা ভাবছিলেন- এতে দেশেই উৎপাদিত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি এ প্রযুক্তিটির ইতোমধ্যে সফল বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে – বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের আর্থিক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের কারিগরি সহযোগিতায় একটি প্রকল্পের অধিনে রাজধানির শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত হয়েছে – প্রকল্পটির প্রধান তত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, রাস পদ্ধতিতে মাছ চাষ উদ্যোক্তাদের জন্যে অনেক লাভজনক হবে – ০১ শতক জায়গায় নিবিড় চাষ পদ্ধতিতে যেখানে সর্বোচ্চ ২০ কে. জি. মাছ উৎপাদন সম্ভব – রাস পদ্ধতিতে সেখানে কমপক্ষে ২,৫০০ কে. জি. মাছ উৎপাদন সম্ভব – ১০ হাজার লিটার একটি ট্যাংকের জন্যে সব মিলিয়ে ১৫ বর্গফুট জায়গা লাগবে – পুকুরে অ্যাতো বেশি উৎপাদনে যাবার জন্যে যে খাবার দেয়া হয় তা এক সময়ে নাইট্রোজেন বর্জ্যে পরিণত হয়ে পানিকে দুষিত করে -মাছ বাচে না – কিন্তু রাস পদ্ধতিতে ট্যংকের ভারি বর্জ্যগুলো প্রথমে ভার্টেক্স ফিল্টারে নিয়ে আসা হবে – পরবর্তিতে এ ময়লা মাইক্রোম্যাশ নেটের সাহায্যে ভারি বর্জ্য স্প্রে করে অ্যাকোয়াপনিক্স বেডে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে – রাস পদ্ধতিতে উৎপাদিত মাছের গুণগতমান পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে থাকে বলে এ সব মাছ বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে - রাজধানির শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত মাছ চাষের ‘রাস’ প্রযুক্তিটি চাষি, উদ্যোক্তা, গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থি সবার জন্যে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে –
০১. (ঠ) আবিষ্কার- “পলিনেট হাউস” চাষ পদ্ধতি - জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে কৃষি ক্ষেত্রে বাড়ছে ঝুকি - জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে কৃষি ক্ষেত্রে বাড়ছে নিত্য নতুন ঝুকি - জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে কৃষি – জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে কৃষিকে বাচাতে নতুন নতুন গবেষণা ও আবিষ্কার করছে কৃষি গবেষকরা – এমনই একটি নতুন আবিষ্কার “পলিনেট হাউস” চাষ পদ্ধতি -“পলিনেট হাউস”র মাধ্যমে শিতকালিন সবজি গ্রিষ্মকালে ও গ্রিষ্মকালিন সবজি শিতকালে চাষ করা যাবে - “পলিনেট হাউস” প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারি বৃষ্টি, তিব্র দাবদাহ, কিটপতঙ্গ, ভাইরাসজনিত রোগ ইত্যাদি প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও নিরাপদ থাকবে শাক সবজি চাষ ও ফলমুলসহ সব ধরণের কৃষি পণ্য -“পলিনেট হাউস” পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি উদ্যোগে দেশের সব বিভাগে অন্তত: ০১ টি করে “পলিনেট হাউস” নির্মান করে দেয়া হোচ্ছে – তা দেখেই উদ্ভুদ্ধ হোয়ে উঠছে কৃষকরা – অসময়ে সবজি চাষের জন্যে “পলিনেট হাউস” আধুনক কৃষি প্রযুক্তির একটি নতুন সংযোজন – এখানে ফসলের উৎপাদন বাড়বে ২০% – পোকামাকড়ের আক্রমন কমবে ৭০% -
দেশের সবজি ভান্ডার খ্যাত রাজশাহি বিভাগে ২১ টি “পলিনেট হাউস” নির্মান করা হোচ্ছে – পবা উপজেলায় খড়খড়িতে তৈরি “পলিনেট হাউস”র সুফল পেতে শুরু কোরেছে কৃষকরা - পবা উপজেলায় খড়খড়িতে ‘কৃষক বন্ধন বিসমিল্লাহ’’ নার্সারির স্বত্বাধিকারি শামসুল আলম কাদুর ২৫ শতাংশ জমিতি কৃষি বিভাগ সম্পুর্ণ সরকারি খরচে একটি “পলিনেট হাউস” করে দেয়া হোয়েছে – এত উন্নত মানের পলি ওয়ালপেপার ব্যবহার করা হোয়েছে – লোহার অ্যাঙ্গেলের ওপর পলিপেপার দিয়ে ০৩ টি সেড “পলিনেট হাউস” নির্মান করা হোয়েছে – এতে ব্যয় হোয়েছে ১৫ লাখ টাকা – এই “পলিনেট হাউস”র স্থায়িত্ব ধরা হোয়েছে ২০ বছর -

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিনে ফল বিক্রেতাদের কাছে বারো মাস আম সহ নানা জাতের বিদেশি ফল বারো মাস পাওয়া যায়। অথচ তাদের স্থায়ি ভাবে বিক্রির জন্যে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাদের উচ্ছেধকারিদের ধাওয়ায় দৌড়ের উপর থাকতে হয় সর্বক্ষণ ।

# # # আমাদের দেশের সন্তানেরা নিত্য নতুন বিশ্বমানের আবিষ্কার (Global Standard Invention) করে যা পৃথিবিতে প্রথম এবং বিশ্ববাসিকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কখনো সখনো -

এমনি নিত্য নতুন ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক আবিষ্কারে বাংলাদেশের সন্তানেরা বিশ্বে ও দেশে নন্দিত - কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা, অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যবস্থা করা ও আন্তরিকতার অভাবে (দয়ার অভাবে) তা অংকুরেই মরে যাচ্ছে অনেক । কিংবা বিদেশ কিনে নিচ্ছে বলে দেশে ব্যাপক উতপাদন, বিপনন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানি করতে পারেনি ।

আমার দেশের মেধাবি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক বিশ্বমানের আবিষ্কার সমুহ ব্যাপক উতপাদন, বিপনন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানির জন্যে রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত জরুরি । অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যবস্থা করাও আবশ্যক । প্রয়োজনে, বিনা সুদে ব্যাংক ঋণ বা সামান্য সুদে (নাম মাত্র সুদে) ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলেও এসব আবিষ্কারকদের উতসাহ বা প্রেরণা বা প্রনোদনা দেয়া যেতে পারে । ব্যাপক উতপাদনের, বিপনণের ও বাজারজাতকরণের এবং বিদেশে রপ্তানির জন্যে গণভবণে মাননিয় প্রধানমন্ত্রির একান্ত সান্নিধ্যে, কঠোর নির্দেশনায় ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে একটি “গবেষণা কর্মসুচি” (Research Program) গ্রহণ একান্ত জরুরি বলে প্রতিয়মান । যে খাত থেকে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আসবে দেশে । লাখ লাখ বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে দেশের । ‘মুজিব শতবর্ষ’ ও ‘স্বাধিনতার পঞ্চাশ বর্ষ’ সামনে রেখে এ বিষয়ে একটি “গবেষণা কর্মসুচি” (Research Program) গ্রহণের মাননিয় প্রধানমন্ত্রির বরাবরে বিনত আবেদন জানাচ্ছি ।
বিশ্বমানের আবিষ্কার : গবেষণা কর্মসুচি (বিআগক) । Global Standard Invention : Research Program (GSIRP). এই গবেষণা কর্মসুচির অভিষ্ট লক্ষ্য (Ultimate Goal) হবে দেশের মেধাবি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক বিশ্বমানের আবিষ্কারসমুহকে নিয়ে পানগাও বন্দর (Pangaon Port) সংলগ্ন কোনো স্থানে একটি শিল্প পল্লি/শিল্প নগরি/শিল্পাঞ্চল (Industrial Village/Industrial Town/Industrial Area) কিংবা EPZ (Export Prpmotion Zone) গড়ে তোলা । এ কাজে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করছি -



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: মুজিব বর্ষ!!
ভাশানী বর্ষ হবে না? তাজ উদ্দিন বর্ষ হবে না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.