নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি “সুফল\" - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না।তারপরেও যেটুকু এগিয়েছে, অধিকাংশ সাধারণের ব্যক্ত

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী।

আমার জন্ম ০৬ মে, ১৯৫৬ খৃস্টাব্দ (আমার এস এস সি সনদ, জাতিয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনপত্রে জন্ম তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ খৃস্টাব্দ - যাকে আমি রাষ্ট্রিয় জন্ম দিন বলি)- বরিশাল উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ খৃস্টাব্দে এস এস সি (বিজ্ঞান) - ১৯৭৫ খৃস্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ (বি এম কলেজ) , বরিশাল থেকে এইচ এস সি (বিজ্ঞান) - মাস্টারদা সূর্য সেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাশ করি - ২০০১৫ খৃস্টাব্দের মার্চ থেকে ২০০১৮ খৃস্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত সময়ে আমি আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট উইনভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পি এইচ ডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি লাভ করি। আমার গবেষণার বিষয় : গুড গভারনেস, ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভলপমেন্ট : বাংলাদেশ পারসপেকটিভ - আমি জানুয়ারি, ১৯৭২ খৃস্টাব্দ থেকে জানুয়ারি, ১৯৮৫ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সি পি বি) সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলাম - আমি বরিশাল শহরে অনামি লেন, সদর রোডে বড়ো হলেও - আমার নিজের বা বাবার কোনো বাড়ি নেই - আমার দাদার বাড়ি (দাদার বা তার বাবারও কোনো বাড়ি নেই - ওটিও দাদার দাদার বা তারও আগের কোনো পূর্ব পুরুষের বাড়ি) পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার ০১ নং বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ি (চৌধুরীবাড়ি) তে - আমি ১৯৬৫ খৃস্টাব্দে প্রথম আুষ্ঠানিক ভাবে স্কুলে যেতে শুরু করি - তৃতীয় শ্রেনিতে - স্কুল থেকে পাক ভারত যুদ্ধ বিরোধি এবং ফাতেমা জিন্নার হেরিকেনের পক্ষে মিছিল করে বরিশাল শহর প্রদক্ষিণ করে হাটু পর্যন্ত ধূলা বালিতে একাকার হয়ে বাসায় ফিরি - সাদা জুতা মোজা প্যান্ট নষ্ট করে - তারপর ১৯৬৯ পাকিস্থান দেশকৃষ্টি বিরোধি আন্দোলন ও ১১ দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনে বরিশালের ততকালিন ছাত্র নেতা শহীদ আলমগির, আ স ম ফিরোজ, মনসুরুল আলম মন্টু, নওশের জাহান, আনোয়ার হোসেন, আনেয়ার জাহিদ, আব্দুল হালিম, কাশি নাথ দত্ত সহ আরো অনেকের সান্নিধ্যে যাবার সৌভাগ্য হয় - ১৯৭০ এর ভয়াল জলোচ্ছাসে উদয়ন স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে আমি \"কাকলি ছাত্র সংঘ \" নামে ্একটি সংগঠন গড়ে তুলি - আমরা জুতা পালিশ করে, খবরের কাগজ বিক্রি করে, পেয়ারা বিক্রি করে, অর্থ সংগ্রহ করি ও বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে পুরনো জামা কাপড় সংগ্রহ করে ভোলার দুর্গত এলাকায় পাঠাই - ১৯৭১ এর পয়লা মার্চ থেকে মিছিল মিটিং ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে অংশ নিলে মামা ও নানার সাথে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলে, স্বরূপকাঠী কলেজ মাঠে জাহাঙ্গির বাহাদুর ও আবু বকর ছিদ্দিকের নেতৃত্বের মুক্তি বাহিনির সাথে সক্রিয় ছিলাম এবং সেপ্টেম্বর/ অক্টোবরে মহসিন ভাইর মুজিব বাহিনি এলে কাটাপিটানিয়া ক্যাম্পে ০৮ -১২- ১৯৭১ (বরিশাল মুক্ত দিবস) পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম - যেহেতু আমি নিজে কোনো পাকিস্থানি মিলিটারি মারিনি - অতএব মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়া সমিচিন মনে করিনি - আজো করি না - যে সব অমুক্তিযোদ্ধা মিথ্যে সনদ নিয়ে রাষ্ট্রিয় সুবিধা নিচ্ছে - তাদের কারণে অসহায় অসচ্ছল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজ মানবেতর জিবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে - সনদ পাবে - চাকুরির সুবিধা পাবে - মাসিক ভাতা পাবে - ছেলে মেয়ে নাতি পুতি শিক্ষার ও চাকুরির সুবিধা পাবে হত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা - গণহারে সুবিধা দেয়াতে সনদধারিদের সংখ্যায় প্রকৃতরা বঞ্চিত হচ্ছে - সনদ পাবে - সুবিদা পাবে এমন আশা করে কোনো একজন মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযুদ্ধে যায় নি - প্রত্যেকে জিবন বাজি রেখে দেশকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে গেছে - জাতির পিতার ডাকে ও দেশ প্রেমের আবেগে - সুবিধাবাদি অমুক্তিযোদ্ধারাই ভূয়া সনদ নিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছে - হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়নি - তারপরেও লাখ লাখ সনদধারি মুক্তিযোদ্ধা কোথা থেকে এলো ? আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই স্বাধিনতা বিরোধিরা (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুরা) সুকৌশলে সনদ নিয়ে, আজ এই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে - আসলে সরকারের নিতি নির্ধারণেও কিছু ত্রুটি ছিলো - উচিত ছিলো -“মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” এই সনদ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ও তাদের সহযোগিদের দেয়া - কিন্তু ভাতা - চাকুরির বয়স বৃদ্ধির সুবিধা - পোষ্যদের চাকুরি প্রদানের সুবিধা - মাসিক ভাতা - এগুলো কেবলমাত্র হতদরিদ্র অক্ষম অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরই দেয়া সংগত ছিলো - এখানেও আমলাদের বা নিতি নির্ধারণে স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) বিশাল ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি - দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি - না হলে খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েও বিতর্কের কারণ কি হোতে পারে ? খেতাব প্রদানের সময় থেকেই স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) সক্রিয়তা বুঝতে পারেনি - মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সমর্থকরা ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা - কারণ যারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্থান সরকারের আজ্ঞাবাহক ছিলো সেই সব আমলারাই ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশ সরকারের নিতি নির্ধারক হলেন ? স্বাধিনতার শত সহস্র লক্ষ কোটি ‘সুফল’ আছে - কিন্তু একটি মাত্র ‘কুফল’ - যা আজো জাতিকে পিছু টানছে - প্রতিনিয়ত - তা হোলো “উচ্চাসনে (নিতি নির্ধারণে) অযোগ্যরা (রাজনিতিক ও আমলা) ।। ।। আমি নিজ সামর্থানুসারে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হত দরিদ্র শিক্ষার্থিদের আর্থি ক সহায়তা করে থাকি । দু’টি এতিমখানাতে ও চার - ছয়টি মসজিদে মৃত মা বাবা ও অকাল প্রায়াত ভাতিজির (স্বপ্নীল) নামে -

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেশের মেধাবি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক বিশ্বমানের আবিষ্কার সমুহ ব্যাপক উতপাদন, বিপনন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানির জন্যে রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত জরুরি ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৬

বিদ্যুৎ আবিষ্কার –


০৭. চট্টগ্রাম - ‘আলু’ থেকে “বিদ্যুত” উৎপাদন করে বাতি জ্বালিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ক্ষুদে এই বিজ্ঞানিরা । আলু থেকে বিদ্যুত আবিষ্কারক চট্টগ্রাম জেলার মিরশরাই উপজেলার মঘাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষুদে বিজ্ঞানি ইমন, আসিফ বিশ্বনাথ, সাকিব ও প্রসেনজিত জানিয়েছেন, ‘আলু’র ভেতরে থাকে প্রচুর পরিমানে ‘সৌরশক্তি’ যেটি কাজে লাগিয়ে অনায়াসে ‘বিদ্যুৎ’ উৎপাদন করা সম্ভব । ‘আলু’ থেকে ‘বিদ্যুৎ’ উৎপাদনে একটি এল.ই.ডি. বাল্ব জ্বালাতে ১০টি আলু, জিংকের পাত, ১০টি তামার পাত ও সামান্য তার ও দুটি আলাদা ধাতব দণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে। ধাতব দণ্ডের মধ্যে রয়েছে একটি ‘অ্যানোড’ বা ‘নেগেটিভ’ এবং অন্যটি ‘ক্যাথোড’ বা ‘পজেটিভ’ । এরপর দণ্ড আলুর দুই প্রান্তে গেথে আর দণ্ডের অপর প্রান্তের সাথে দুইটি পরিবাহী লাগানো হয়েছে। পরবর্তীতে অ্যাসিডিক পদার্থকে সংশ্লেষণের মাধ্যমে ‘বিদ্যুৎ’ উৎপন্ন করা হয়েছে । যা এর আগে কেউ ভাবেনি, আবিষ্কারও করেনি।
(খ) প্রজেক্টের মধ্যে পাইলটবিহিন হেলিকপ্টার, হাইড্রোলিক ব্রিজ ও সৌর পাম্প, খাবার লবণ থেকে গৌন ‘বিদ্যুত’ কোষ, হোম মেড ‘সোলার এসি, সোলার গাড়ি, সলিনয়েড, ফেলনা জিনিস থেকে চার্জলাইট তৈরি অন্যতম।
(গ) সংযোগ ছাড়াই চলবে সব বাড়িতে বা বহুতল ভবনে অথবা কলকারখানাসহ সব জায়গাতেই কোন রকম ইলেকট্রিক তার সংযোগ ছাড়াই চলবে এসি, ফ্রিজ, টেলিভিশন, ফ্যান’ ‘কম্পিউটার’ সহ যাবতিয় ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য। বৈদ্যুতিক তার সংযোগ ছাড়াই নির্দিষ্ট জায়গায় ফ্রিজ, এসি, ফ্যান, লাইট চালানো বিষয়টি অবাক করারই ব্যাপার।
০৮. যশোর - নতুন এক উদ্ভাবনের কথা জানালেন যশোর শার্শা বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি বিভাগের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থি উম্মে হাবিবা জামান শ্রাবনী। হাবিবা জামান শ্রাবনীর উদ্ভাবিত ‘ওয়ারলেস পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম’ প্রজেক্ট। প্রজেক্টটি কিভাবে কাজ করে জানতে চাইলে এ খুদে বিজ্ঞানি জানান, ওয়ারিং ছাড়াই ঘরের সব ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য চালানো সম্ভাব এ প্রজেক্টের মাধ্যমে। তাছাড়া এ প্রজেক্টের মাধ্যমে জানা যাবে পুরাতন ঘরে ওয়ারিং এর ত্রুটি-বিচ্যুতি । একটি বারো ভোল্টের পাওয়ার সাফলাইয়ার, একটি প্রাইমারি ও একটি সেকেন্ডারি বিদ্যুতের কয়েল, একটি পাওয়ার টেনজেজটার দিয়ে মাত্র ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকার মাধ্যমে ছোঁট আকারে এ প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে মাত্র এক হাজার থেকে ২ হাজার টাকা খরচ করে ফ্লাটে বা কলকারখানায় এ প্রজেক্ট চালু করা সম্ভব বলে জানান এই খুদে বিজ্ঞানি। খুদে বিজ্ঞানি উম্মে হাবিবা জামান শ্রাবনীর কাছে ‘ওয়ারলেস পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম’ আবিস্কারের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রায় সময় টেলিভিশনে ও সংবাদ পত্রে দেখি ওয়ারিং এর ক্যাবেল থেকে সর্টসার্কিট (Short Surcuit) হয়ে ভবনে আগুন লেগে ব্যাপক যানমালের ক্ষতি হয়। এ নিয়ে আমি ভাবতে থাকি কিভাবে এ শর্টসার্কিট (Short Surcuit) থেকে এবং যানমালের ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আমার এই ভাবনা থেকেই কাজ শুরু হয়। এক সময়ে আমি ডিজিটাল এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ যন্ত্রটি তৈরি করতে সক্ষম হই। কোন রকম বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ ছাড়াই আমি এক সময়ে ফ্যান, লাইটসহ যাবতিয় ছোঁট আকারের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য চালাতে সক্ষম হই। এখনো যন্ত্রটির ব্যবহার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা সম্ভব বলে জানান এ খুদে বিজ্ঞানি।
১৯. দিনাজপুরের পুলহাট, মাঝিপাড়া এলাকার মো: বাবুল হোসেনের ছেলে শহিদ হোসেন ২০০৮ খৃস্টাব্দে আবিষ্কার করেছে ‘বিনা খরচে বিনা জ্বালানিতে “বিদ্যুত” উতপাদন’ - কিন্তু সরকারের কোনো পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি – সহানুভূতির জন্যে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে -
২০. নাটোর - দেশিয় প্রযুক্তিতে স্ব্ল্প খরচে “বিদ্যুত” উতপাদন যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন নাটোরের বড়াই গ্রামের পাচ বাড়িয়ার জালাল উদ্দিন । তিনি আবিস্কার করেন এই ‘বিদ্যুত’ উতপাদন প্রক্রিয়া । প্রতি ইউনিট বিদ্যতের খরচ পড়বে মাত্র ০.২০ পয়সা । ‘কোনো জ্বালানির প্রয়োজন হবে না’ । বাহিরের যে কোনো শক্তি দশ মিনিট ব্যবহার করলেই উতপাদিত ‘বিদ্যুত’ শক্তি রিসাইকেলিং পদ্ধতিতে বিদ্যুত তৈরি করতে থাকে । সেখান থেকে ৬০% বিদ্যুত গ্রাহকদেরকে দেয়া সম্ভব । মেকানিকাল শক্তি জ্বালানির কাজ করবে । সরকারের সহায়তা পেলে এই পদ্ধতিতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ‘বিদ্যুত’ উতপাদন করে বর্তমানের চেয়ে অনেক কম মূল্যে ‘বিদ্যুত’ সরবরাহ করা সম্ভব ।
২১. লালমনিরহাটের নব্য বিজ্ঞানি খ্যাত শফিকুল ইসলাম ‘কার্বন ডাই অক্সাইডের’ মাধ্যমে “বিদ্যুৎ” সহ অন্যান্য জ্বালানি উৎপাদনে সরকারি অনুমোদন চান তিনি। এর অনুমোদন ও সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদনও করেছেন তিনি। শফিকুল ইসলাম লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের হাজিগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় একজন বৈদ্যুতিক পণ্য বিক্রেতা। শফিকুল ইসলাম জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের এ যুগে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ হ্রাস করা বিশ্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে । নয়তো আগামি প্রজন্মের কাছে উপকূলীয় দেশগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বসবাসের অযোগ্য হবে । পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমাতে এটির ব্যবহার বাড়ানো খুবই জরুরি। তাই কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে বিদ্যুত এবং জ্বালানি গ্যাস ও পেট্রোল উৎপাদনের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন তিনি।
২৩. কুষ্টিয়া - সৌর “বিদ্যুত” দিয়ে সেচ পাম্প চালানো কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিনাথপুর গ্রামের এ উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে “টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সেডা) । ইউ.এন.ডি.পি.র অর্থায়নে ও সোলার-ই-টেকনোলজির কারিগরি সহায়তায় পাম্প থেকে পানি নিয়ে ফসলে ব্যবহারের পরেও অতিরিক্ত বিদ্যুত অপচয় হতো। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৫ কিলো ওয়াটের ১৯ কিলোওয়াট ব্যবহৃত হতো ০৩ মাস। ০৬ কিলোওয়াট প্রতিদিন অতিরিক্ত অপচয় হতো। সারা বছর বাকি সময় ২৫ কিলোওয়াট জাতিয় গ্রিডে যুক্ত হতে পারে।
২৪. ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ৯ম শ্রেণির তিন ক্ষুদে শিক্ষার্থি ময়লা আবর্জনা থেকে “বিদ্যুৎ” উৎপাদন কেন্দ্র বানিয়েছেন, কিভাবে ময়লা আবর্জনাকে রিফাইন করে “বিদ্যুৎ” উৎপাদন করা যাবে। মুনতাসির মুবিন, সামির চৌধুরী আর লেহান হায়দারের এ প্রজেক্টটির নাম‘‘মডার্ন ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’’। তাদের প্রজেক্টে প্রথম ময়লা আবর্জনা ফেলার একটি চেম্বার করা হয়েছে । সেখান থেকে কম্বারশন চেম্বারে গিয়ে ময়লা পুড়ে “বটম অ্যাশ” নিচে পড়বে। সেখানে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটের মাধ্যমে মেটাল জাতীয় পদার্থ আলাদা করা হবে। আর ফ্লাই অ্যাশগুলো স্প্রে ড্রাইয়ারে যাবে। সেখানে আরো ড্রাই হবে। তারপর ফ্লাই অ্যাশ কার্বন থেকে আলাদা করে অন্যত্র নিয়ে কাজে লাগানো হবে। অন্য দিকে কার্বন ফিল্টার করে জলিয় বাষ্প বেড় করে দেবে। এই জলিয় বাষ্প একটি ড্রামে যাবে সেখানে কমপ্রেস হয়ে টার্বাইন ঘুরাবে, টার্বাইন ঘুরলে “বিদ্যুৎ” তৈরি হবে। জলিয় বাষ্প পুনরায় কুলারে গিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে আবার কম্পারশন চেম্বারে যাবে বাষ্প হওয়ার জন্য। এভাবে একই জলিয় বাষ্প কয়েকবার ব্যবহার করা যাবে।
২৫. বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বি.এ.এফ) শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্ষুদে বিজ্ঞানী ৭ম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত নিলয় । আরাফাতের উদ্ভাবনের নাম ‘ফ্রি এনার্জি প্রজেক্ট’। বাংলাদেশের অনেক গ্রামে এখনো ‘বিদ্যুত’ পৌঁছেনি । এ প্রজেক্টের মাধ্যমে গ্রামের গরিব মানুষদের বিনা খরচে ‘বিদ্যুত’ পৌঁছে দিবে।
২৬ . জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ফুলকুচা ইউনিয়নের রেখিরপাড়া গ্রামের মৃত আফসার আলির ছেলে জাফর ইকবাল দীর্ঘ ৮ বছর গবেষনা করে ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে আবিষ্কার করেছেন গ্যাস, তেল, জ্বালানি বিহিন ‘বিদ্যুত’ উতপাদন । জাফর ইকবাল আবিষ্কৃত ‘বিদ্যুতে’ লাইট, ফ্যান, টেলিভিশন চালানো সম্ভব।
২৭ . ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার খয়ের তোলা গ্রামের বিল্লাল হোসেন মাত্র ১২ ভোল্পের একটি ব্যটারি দিয়ে ৭,৫০০ ওয়াট ‘বিদ্যুত’ উতপাদনে সক্ষম হয়েছেন । বাসা বাড়ির লাইট, ফ্যান, টেলিভিশন চালানো সম্ভব। হ্যামকো ব্যাটারি দিয়ে চলবে। মোট ব্যয় হয়েছে ০১ লাখ ৬০ - ৭০ হাজার টাকা ।
২৮ . কুমিল্লার রানার আবিষ্কার! সাইকেলের চাকা ঘুরিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন বাইসাইকেলের চাকা ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হওয়ার কথা নতুন নয়। তবে স্বল্প খরচে বাইসাইকেলের চাকা ঘুরিয়ে উৎপন্ন বিদ্যুৎ থেকে বৈদ্যুতিক লাইট, ফ্যান, টিভি এমনকি পানি তোলার পাম্প বলবে বলে দাবি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রানা মজুমদার।
সাইকেলের চাকার গতিশক্তির মাধ্যমে চুম্বকক্ষেত্র থেকে এমনি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার দাবি করেছেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রানা। করোনা ভাইরাসের কারণে চার মাসের অধিক সময় বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বন্ধের সময়টা বসে না থেকে সাইকেলের এক চাকা ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার কাজে নেমে পড়েন এই শিক্ষার্থী।
রানা জানান, সাইকেলের চাকা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার যন্ত্র অনেক আগে আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে সেগুলো থেকে আমার যন্ত্রটি ভিন্ন। এখানে কম খরচে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। আবিষ্কৃত সাইকেল ডায়নামো থেকে শতভাগ আউটপুট পাওয়া যাবে, যা ব্যবহার করে লাইট, ফ্যান, টিভি এমনকি পানি উত্তোলনের পাম্প মেশিন চালানো সম্ভব।
তবে এ যন্ত্রের সক্ষমতা নির্ভর করবে ব্যাটারির শক্তির ওপর। আমরা যদি বেশি ভোল্টের ব্যাটারি ব্যবহার করি তা হলে বেশি সময় শক্তি যোগান দিবে। বর্তমানে বাংলাদেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। লোডশেডিং হলে সাইকেল থেকে উৎপন্ন বিদ্যুতের মাধ্যমে একটি পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে দাবি এই তরুণ বিজ্ঞানীর।
এছাড়া যেসব এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেখানে এই সাইকেল ডায়নামো ব্যবহার করা যাবে বলেও জানান তিনি। ছোটবেলা থেকেই তড়িৎ বা বৈদ্যুতিক বিষয়গুলোর প্রতি দুর্বল ছিলেন রানা মজুমদার। তিনি জানান, ছোটবেলায় যখন মোটর দিয়ে পাখা বানাতাম তখন একটা ভাবনা মাথায় আসতো।
‘কারেন্ট দিলে মোটর ঘোরে, কিন্তু আমরা যদি মোটর ঘোরাই তা হলে কি কারেন্ট তৈরি হবে ?’ সেই চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারলাম সাইকেল ডায়নামো আবিষ্কার করে।
কুমিল্লা জে’লার সদর দক্ষিণ উপজে’লার সাওড়াতলির ছেলে রানা মজুমদার। বাবা সেলিম মজুমদার ও মা জফুরা বেগমের আট ছেলেমেয়ের মধ্যে ষষ্ঠ। তবে রানা মজুমদারের পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আপাতত বড় পরিসরে এ যন্ত্র তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বড় পরিসরে সাইকেল ডায়নামো উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।
২৮ . মহাজাগতিক শক্তি থেকে “বিদ্যুত” উতপাদনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন আমাদের দেশের সন্তান প্রফেসর ইজ্ঞিনিয়ার আহমেদ এফ. কামাল (পত্রিকার কপি সংযুক্ত)
২৯ . বরগুনার - স্বল্প মূল্যে আই. পি. এস. আবিষ্কার করেছে বরগুনার রহিম - রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ব্যাপক উতপাদন ও বাজারজাত করতে পারে নি –
১১২. বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার মোসলে উদ্দিন সাহান – নবায়ণযোগ্য স্মার্ট সোলার হাইওয়ে ও পাওয়ার প্লান্ট পদ্ধতিতে সূর্যের আলোর মাধ্যমে দুই কিলোমিটার হাইওয়ে থেকে তিনটি উপায়ে সোলার বিদ্যৎ উৎপাদন সম্ভব – সূর্যের আলোর মাধ্যমে দুই কিলোমিটার হাইওয়ে থেকে ৬,৭০০ মেগাওয়াট ও ১,৫০০ মেগাওয়য়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব – কয়লা পিচ ও বিটুমিন দিয়ে অ্যাক কিলোমিটার সড়ক তৈরিতে খরচ হয় ০৬ কোটি টাকা – মোসলে উদ্দিন সাহান আবিস্কৃত পদ্ধতিতে খরচ হবে ০৪ কোটি টাকা- স্থায়িত্ব মিলবে ৪০ থেকে ৫০ বছর –

১১৩. ### দেশের ১২ টি সিটি কর্পোরেশন ও ৩৮২ টি পৌর সভাকে “যশোর” পৌর সভার অনুসরনে “বর্জ্য ব্যবস্থাপনার” বিনত অনুরোধ জানাচ্ছি -
(০১) “যশোর” পৌর এলাকার আবর্জনা দিয়ে তৈরি হোচ্ছে জৈবসার-
(০২) কম্পোস্ট প্লান্ট -
(০৩) ট্রিটমেন্ট প্লান্ট -
(০৪) বায়োগ্যাস ডাইজেস্টার -
(০৫) কন্ট্রোল ল্যান্ড ফিল সেইভ -
(০৬) ইন্টিগ্রেটেড স্যানিটারি ল্যান্ড ফির সেইভ -
(ক) “যশোর” পৌর সভা প্রতিদিন ২০ টন পচনশিল বর্জ্য থেকে দেড় থেকে দুই টন জৈব সার উতপন্ন হয় -
(খ) “যশোর” পৌর সভা ৪ টি বায়োগ্যাস ডাইজেস্টারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৪৫০ ঘনফুট (সি এফ টি) গ্যাস উতপাদন সম্ভব -
এখানে উতপাদিত গ্যাস দিয়েই কেন্দ্রের শক্তির চাহিদা মিটিয়ে জাতিয় গ্রিডে ৫০০ থেকে ৬০০ কিলো ওয়াট বিদ্যুত সংযুক্ত করা সম্ভব হবে -
অতি সম্প্রতি গাজিপুর ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য েথকে বিদ্যুত উতপাদনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে -
কবে থেকে বিদ্যুত উতপাদন শুরু হবে জানা যাবে আগামিতে -
অপেক্ষায় রইলাম-
দেশের ১২ টি সিটি কর্পোরেশন ও ৩৮২ টি পৌর সভাকে “যশোর” পৌর সভার অনুসরনে “বর্জ্য ব্যবস্থাপনার” –

আমার দেশের মেধাবি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক বিশ্বমানের আবিষ্কার সমুহ ব্যাপক উতপাদন, বিপনন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানির জন্যে রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত জরুরি । অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যবস্থা করাও আবশ্যক । প্রয়োজনে, বিনা সুদে ব্যাংক ঋণ বা সামান্য সুদে (নাম মাত্র সুদে) ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলেও এসব আবিষ্কারকদের উতসাহ বা প্রেরণা বা প্রনোদনা দেয়া যেতে পারে । ব্যাপক উতপাদনের, বিপনণের ও বাজারজাতকরণের এবং বিদেশে রপ্তানির জন্যে গণভবণে মাননিয় প্রধানমন্ত্রির একান্ত সান্নিধ্যে, কঠোর নির্দেশনায় ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে একটি “গবেষণা কর্মসুচি” গ্রহণ একান্ত জরুরি বলে প্রতিয়মান । যে খাত থেকে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আসবে দেশে । লাখ লাখ বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে দেশের । ‘মুজিব শতবর্ষ’ ও ‘স্বাধিনতার পঞ্চাশ বর্ষ’ স্মরণে এ বিষয়ে একটি “গবেষণা কর্মসুচি” (Research Program) গ্রহণের মাননিয় প্রধানমন্ত্রির বরাবরে বিনত আবেদন জানাচ্ছি ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যে জিনিষ একবার আবিষ্কৃত হয়েছে তাহা পুনরায় আবিষ্কৃআর করা পন্ডশ্রম মাত্র।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনাম সহ পোষ্টে বেশ কিছু বানান ভুল আছে। এডিট করে ঠিক করে নেবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.