নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি “সুফল\" - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না।তারপরেও যেটুকু এগিয়েছে, অধিকাংশ সাধারণের ব্যক্ত

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী।

আমার জন্ম ০৬ মে, ১৯৫৬ খৃস্টাব্দ (আমার এস এস সি সনদ, জাতিয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনপত্রে জন্ম তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ খৃস্টাব্দ - যাকে আমি রাষ্ট্রিয় জন্ম দিন বলি)- বরিশাল উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ খৃস্টাব্দে এস এস সি (বিজ্ঞান) - ১৯৭৫ খৃস্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ (বি এম কলেজ) , বরিশাল থেকে এইচ এস সি (বিজ্ঞান) - মাস্টারদা সূর্য সেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাশ করি - ২০০১৫ খৃস্টাব্দের মার্চ থেকে ২০০১৮ খৃস্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত সময়ে আমি আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট উইনভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পি এইচ ডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি লাভ করি। আমার গবেষণার বিষয় : গুড গভারনেস, ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভলপমেন্ট : বাংলাদেশ পারসপেকটিভ - আমি জানুয়ারি, ১৯৭২ খৃস্টাব্দ থেকে জানুয়ারি, ১৯৮৫ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সি পি বি) সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলাম - আমি বরিশাল শহরে অনামি লেন, সদর রোডে বড়ো হলেও - আমার নিজের বা বাবার কোনো বাড়ি নেই - আমার দাদার বাড়ি (দাদার বা তার বাবারও কোনো বাড়ি নেই - ওটিও দাদার দাদার বা তারও আগের কোনো পূর্ব পুরুষের বাড়ি) পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার ০১ নং বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ি (চৌধুরীবাড়ি) তে - আমি ১৯৬৫ খৃস্টাব্দে প্রথম আুষ্ঠানিক ভাবে স্কুলে যেতে শুরু করি - তৃতীয় শ্রেনিতে - স্কুল থেকে পাক ভারত যুদ্ধ বিরোধি এবং ফাতেমা জিন্নার হেরিকেনের পক্ষে মিছিল করে বরিশাল শহর প্রদক্ষিণ করে হাটু পর্যন্ত ধূলা বালিতে একাকার হয়ে বাসায় ফিরি - সাদা জুতা মোজা প্যান্ট নষ্ট করে - তারপর ১৯৬৯ পাকিস্থান দেশকৃষ্টি বিরোধি আন্দোলন ও ১১ দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনে বরিশালের ততকালিন ছাত্র নেতা শহীদ আলমগির, আ স ম ফিরোজ, মনসুরুল আলম মন্টু, নওশের জাহান, আনোয়ার হোসেন, আনেয়ার জাহিদ, আব্দুল হালিম, কাশি নাথ দত্ত সহ আরো অনেকের সান্নিধ্যে যাবার সৌভাগ্য হয় - ১৯৭০ এর ভয়াল জলোচ্ছাসে উদয়ন স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে আমি \"কাকলি ছাত্র সংঘ \" নামে ্একটি সংগঠন গড়ে তুলি - আমরা জুতা পালিশ করে, খবরের কাগজ বিক্রি করে, পেয়ারা বিক্রি করে, অর্থ সংগ্রহ করি ও বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে পুরনো জামা কাপড় সংগ্রহ করে ভোলার দুর্গত এলাকায় পাঠাই - ১৯৭১ এর পয়লা মার্চ থেকে মিছিল মিটিং ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে অংশ নিলে মামা ও নানার সাথে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলে, স্বরূপকাঠী কলেজ মাঠে জাহাঙ্গির বাহাদুর ও আবু বকর ছিদ্দিকের নেতৃত্বের মুক্তি বাহিনির সাথে সক্রিয় ছিলাম এবং সেপ্টেম্বর/ অক্টোবরে মহসিন ভাইর মুজিব বাহিনি এলে কাটাপিটানিয়া ক্যাম্পে ০৮ -১২- ১৯৭১ (বরিশাল মুক্ত দিবস) পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম - যেহেতু আমি নিজে কোনো পাকিস্থানি মিলিটারি মারিনি - অতএব মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়া সমিচিন মনে করিনি - আজো করি না - যে সব অমুক্তিযোদ্ধা মিথ্যে সনদ নিয়ে রাষ্ট্রিয় সুবিধা নিচ্ছে - তাদের কারণে অসহায় অসচ্ছল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজ মানবেতর জিবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে - সনদ পাবে - চাকুরির সুবিধা পাবে - মাসিক ভাতা পাবে - ছেলে মেয়ে নাতি পুতি শিক্ষার ও চাকুরির সুবিধা পাবে হত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা - গণহারে সুবিধা দেয়াতে সনদধারিদের সংখ্যায় প্রকৃতরা বঞ্চিত হচ্ছে - সনদ পাবে - সুবিদা পাবে এমন আশা করে কোনো একজন মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযুদ্ধে যায় নি - প্রত্যেকে জিবন বাজি রেখে দেশকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে গেছে - জাতির পিতার ডাকে ও দেশ প্রেমের আবেগে - সুবিধাবাদি অমুক্তিযোদ্ধারাই ভূয়া সনদ নিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছে - হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়নি - তারপরেও লাখ লাখ সনদধারি মুক্তিযোদ্ধা কোথা থেকে এলো ? আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই স্বাধিনতা বিরোধিরা (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুরা) সুকৌশলে সনদ নিয়ে, আজ এই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে - আসলে সরকারের নিতি নির্ধারণেও কিছু ত্রুটি ছিলো - উচিত ছিলো -“মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” এই সনদ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ও তাদের সহযোগিদের দেয়া - কিন্তু ভাতা - চাকুরির বয়স বৃদ্ধির সুবিধা - পোষ্যদের চাকুরি প্রদানের সুবিধা - মাসিক ভাতা - এগুলো কেবলমাত্র হতদরিদ্র অক্ষম অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরই দেয়া সংগত ছিলো - এখানেও আমলাদের বা নিতি নির্ধারণে স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) বিশাল ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি - দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি - না হলে খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েও বিতর্কের কারণ কি হোতে পারে ? খেতাব প্রদানের সময় থেকেই স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) সক্রিয়তা বুঝতে পারেনি - মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সমর্থকরা ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা - কারণ যারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্থান সরকারের আজ্ঞাবাহক ছিলো সেই সব আমলারাই ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশ সরকারের নিতি নির্ধারক হলেন ? স্বাধিনতার শত সহস্র লক্ষ কোটি ‘সুফল’ আছে - কিন্তু একটি মাত্র ‘কুফল’ - যা আজো জাতিকে পিছু টানছে - প্রতিনিয়ত - তা হোলো “উচ্চাসনে (নিতি নির্ধারণে) অযোগ্যরা (রাজনিতিক ও আমলা) ।। ।। আমি নিজ সামর্থানুসারে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হত দরিদ্র শিক্ষার্থিদের আর্থি ক সহায়তা করে থাকি । দু’টি এতিমখানাতে ও চার - ছয়টি মসজিদে মৃত মা বাবা ও অকাল প্রায়াত ভাতিজির (স্বপ্নীল) নামে -

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মা সেতুর সুফল ও বরিশালের উন্নয়ণ -০১

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

পদ্মা সেতুর সুফল ও বরিশালের উন্নয়ণ -০১
‘‘পদ্মা সেতুর’’ প্রেক্ষিতে ‘‘বরিশালের উন্নয়ন’’ যারা জানেন না - ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেন - প্রকৃতপক্ষে এটি তাদের অজ্ঞতা নয় বলে আমি মনেকরি - তারা স্বাধিনতা বিরোধি প্রজন্ম ও মাওবাদি পিকিংপন্থি সেচ্ছায় স্বজ্ঞানে না জানার ভান করে (স্বয়ং মাওসেতুং ছিলেন পাকিস্তানের পক্ষে - মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে) – নেতিবাচক মানসিকতার মানুষ তারা -
‘‘পদ্মা সেতুর’’ ফলে উন্নত জীবনের অপেক্ষায় বরিশালের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলবাসীর বহুল আকাঙ্ক্ষার (ক) পদ্মা সেতু, অন্যদিকে (খ) পায়রা সমুদ্র বন্দর ও (০৩) পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
এর মধ্যে বরিশালের শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন, বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়নে চলছে ০৭ (সাত)টি উন্নয়ন প্রকল্প।
আর এসব প্রকল্প পাল্টে দেবে বরিশালের আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে। এমনকি পাল্টে যাবে এ এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকাও।
(০১) নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আগ্রহি করতে বরিশালে স্থাপন করা হচ্ছে " নভোথিয়েটার"। "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার" নামে নতুন এই "নভোথিয়েটার"টি কুসংস্কার দূরীকরণে, জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান সম্পর্কিত ধারণা তৈরিতে এবং বৈজ্ঞানিক মনোভাব সঞ্চার করতে ভূমিকা রাখবে।
নভোথিয়েটারটি স্থাপিত হবে বরিশাল সদর উপজেলাধিন "দক্ষিণ চরআইচা" মৌজায়। এজন্য ৪১২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প গত ০৭ জানুয়ারি ২০২১ খৃষ্টাব্দে একনেক সভায় অনুমোদন করেছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই প্রকল্পের আওতায় ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। সেখানে স্থাপন করা হবে ০৬ (ছয়) তলা ভিতবিশিষ্ট প্লানেটেরিয়াম ব্লক এবং সাততলা ভিতবিশিষ্ট ডরমেটরি। এর সঙ্গে প্রয়োজনিয় যন্ত্রপাতিও থাকবে।
এর মধ্যে মেশিনারি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ডিজিটাল এক্সিবিটস, সায়েন্টেফিক এক্সিবিটস, ৯টি মুভি থিয়েটার, অবজারবেটরি টেলিস্কোপ, জেনারেটর, ইউপিএস, পিএবিএক্স সিস্টেম, ডাটা ক্যাবল নেটওর্য়াক, সাউন্ড সিস্টেম, এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম, পাম্প মটর, সিসি টিভি, সোলার এবং অফিস সরঞ্জাম ক্রয় করা হবে।
(০২) এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের "মেরিন একাডেমি" ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ১২২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন "মেরিন একাডেমি"র একাডেমিক ভবন, ডরমেটরি ভবন, কমান্ড্যান্টের বাসভবন, ডেপুটি কমান্ড্যান্টের ভবন, কোয়ার্টার, শিক্ষার্থিদের সুইমিং পুল, প্যারেড স্কোয়ার্ড ও বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থিরা উচ্চ-মাধ্যমিক পাস করে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হতে এখানে পড়াশোনা করতে পারবে।
আধুনিক এ "মেরিন একাডেমি"তে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখতেই প্রকল্পটি বড় আকারেই গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রি এই মেরিন একাডেমির উদ্বোধন করছেন - শিক্ষা কার্যক্রম চলছে -
অভ্যন্তরীণ ও সমুদ্রগামি নৌযান নিরাপদ ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা, জ্ঞানসম্পন্ন জনবল প্রস্তুত এবং একই সঙ্গে বেকার সমস্যা দূর করা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষা শেষ করেই "মেরিন একাডেমি"তে শিক্ষার্থিরা ভর্তি হতে পারবে। প্রাথমিক অবস্থায় প্রি-সি নার্টিক্যাল সাইন্স ও প্রি-সি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ২টি কোর্সে শিক্ষার্থি ভর্তি করা হবে। ৪ বছর মেয়াদী এ কোর্সে উত্তির্ণ শিক্ষার্থিদের প্রি-সি মেরিন মার্চেন্ড সনদ দেয়া হবে।
জাতি সংঘের অঙ্গ সংস্থা "মেরিটাইম অর্গানাইজেশন সুইডেনের ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনির্ভাসিটির" নিয়ন্ত্রণে এ "মেরিন একাডেমি" পরিচালিত হবে। এখান থেকে উত্তির্ণরা জাহাজ চালনা, নৌ-প্রকৌশল, ইলেকট্রিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিভাগে চাকরির সুযোগ পাবেন।
(০৩) বরিশালের আর একটি উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে " ক্যান্সার হাসপাতাল"। এই হাসপাতালটি নির্মিত হলে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ঢাকা বা বিদেশ যেতে হবে না বরিশালবাসি তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে। প্রায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে এই হাসপাতালটি। যার নির্মান কাজ চলছে - শের ই বাংলা ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে -
১৫ তলাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে কার্ডিওলোজি, নেফ্রোলজি এবং বার্ন ইউনিটসহ আরও বেশ কয়েকটি বিভাগের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের তৃতিয় শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টারের পেছনের নির্ধারিত জায়গায় এই হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে। হাসপাতালটিতে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য একশ' শয্যা থাকবে। ১৭ তলার ফাউন্ডেশনে ১৫ তলাবিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল ভবন দুইটি বেইজমেন্টসহ নির্মিত হবে বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত বরিশালের উপ-সহকারী প্রকৌশলি মো. ওবায়দুল হক।
(০৪) এছাড়া বরিশালে প্রথমবারের মতো নির্মিত হচ্ছে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট বিশেষায়িত "শিশু হাসপাতাল"। নগরির আমানতগঞ্জ এলাকায় প্রায় এক একর জমির ওপর ১০ তলা ফাউন্ডেশনের ‘"শহিদ সুকান্ত বাবু শিশু হাসপাতাল"’ নির্মাণ কাজ চলছে।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০তলা ভিত্তি দিয়ে চার তলাবিশিষ্ট "শিশু হাসপাতাল" নির্মাণ কাজ চলছে। এ হাসপাতালে থাকছে জরুরি বিভাগ, রেডিওলোজি, ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি বিভাগ, অপারেশন ব্লক, ওষুধ সরবরাহ বিভাগ, থেরাপি বিভাগ, সাধারণ শিশু ওয়ার্ড, প্রশাসনিক ব্লক এবং কনফারেন্স রুম। যার ৬৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।
(০৫) শিল্প সাহিত্যে সমৃদ্ধ এই বরিশালের আরও একটি উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে "শিল্পকলা একাডেমি" ভবন ও অডিটোরিয়াম। ২৫ কোটি টাকা ব্যয় এই প্রকল্প অনুয়ায়ী ৫০০টি আসন, একটি -
(০৬) এদিকে পর্যটন শিল্পের বিকাশে বাবুগঞ্জের " মাধবপাশায়" ঐতিহ্যবাহি "দুর্গা সাগর"কে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছে ১৬ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প। যার টেন্ডার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে "দুর্গা সাগর দিঘির পর্যটকদের জন্য একটি গেস্ট হাউস, একটি শপিং সেন্টার, বোট ল্যান্ডিং স্টেশন, সিমানা প্রাচির নির্মাণ করা হবে।
জানা গেছে, "মাধবপাশায় চন্দ্রদ্বিপের রাজধানি" স্থায়িভাবে প্রতিষ্ঠা করেন চন্দ্রদ্বিপ রাজবংশের কির্তিমান পুরুষ রাজা রামচন্দ্র। রাজবংশের রাজা শিব নারায়ণের প্রজাবৎসল স্ত্রী রানী দুর্গাবতী ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে বিশাল এক দিঘি খনন করে এখনো অমর হয়ে আছেন। তার নামেই এই দিঘি ‘‘‘দুর্গা সাগর’’ নামে পরিচিত।
এটি এখন পর্যটকদের এবং প্রকৃতিপ্রেমিদের কাছে একটি সুন্দর স্থান। বিশাল সিমেন্টের প্রশস্ত ঘাটলা, দিঘির মাঝে একটি সুন্দর দ্বিপ রয়েছে। পাশাপাশি যেখানে শিতকালে অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত থাকে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই পর্যটন কেন্দ্রটি আরও বিকশিত হবে।
(০৭) এদিকে নারী শিক্ষার বিকাশ ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে বরিশালে গড়ে উঠছে "মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট"। নগরীর আলেকান্দা রোডে তিন একর জমির উপর স্থাপন করা হচ্ছে এই ইনস্টিটিউট। এখান থেকে ৯ বিভাগ শিক্ষার সুযোগ পাবে ৪০০ ছাত্রী। তাই তাদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ছাত্রী হোস্টেল।
একাডেমি ভবন, প্রশাসনিক ভবনসহ পাঁচ গ্রুপের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। ২০২৩ খৃস্টাব্দের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের সহকারি প্রকল্প পরিচালক বেনজির আহম্মেদ।
বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহি প্রকৌশলি জাহাঙ্গির আলম বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের "নারীরাও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্বাবলম্বি হবে"। এটি বরিশালের জন্য অন্যতম প্রকল্প।
বরিশাল গণপূর্ত ও গৃহায়ণ বিভাগের নির্বাহি প্রকৌশলি জেরাল্ড অলিভার গুডা বলেন, ক্যান্সার হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালসহ এই প্রকল্পগুলো খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
(চলবে - ০২)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

এমজেডএফ বলেছেন: খারাপ কাজের জন্য সরকারি দল বা নেতার সমালোচনা করা ভালো। কিন্তু যারা সরকারের বিরোধীতা করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় উন্নয়নকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে তাদের মন-মানসিকতা খুবই নিম্নমানের, চিন্তা-ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি রাজাকারদের মতো।

বাংলাদেশের নব্য রাজাকাররা চীনের দিকে তাকালে শুধু উন্নয়ন দেখে, চীন সরকারের স্বৈরচারী কর্মকান্ড, দমনপীড়ন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও বাক স্বাধীনতা হরণ ইত্যাদি দেখে না। আবার এরা যখন বাংলাদেশের দিকে তাকায় তখন উন্নয়ন দেখে না, শুধু দুর্নীতি আর দমননীতি দেখে, দিনরাত সরকারের সমালোচনা করার পরেও বলে বাকস্বাধীনতা নাই!

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এমজেডএফ@ এর সাথে একমত পোষণ করছি।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: হয় হোক আওয়ামীলীগের।

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: আমি বরিশালের মানুষ নই, কিন্তু বরিশাল আমার অন্যতম প্রিয় শহর।
কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন বরিশাল ছিলাম, সেখানে আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে, অনেক স্মৃতিও আছে।
২/৩ টা থানা বাদে পুরো বরিশাল বিভাগে গিয়েছি, ঘুরেছি।

লেখাটির সাথে বিবিরপুকুর/ দূর্গাসাগর/ গুঠিয়া মসজিদ/ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত/ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি বরিশালের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোর ছবি দিতে পারতেন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.