নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেদুঈনের দরবার

উহারা প্রচার করুক হিংসা,বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ আমরা বলিব সাম্য,শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ

দুরন্ত বেদুঈন

সত্য প্রকাশে নির্ভীক মানুষ

দুরন্ত বেদুঈন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ষড়যন্ত্র আরো গভীরে

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ফ্রান্স থেকে প্রকাশিত রম্যপত্রিকা "শার্লি হেবদোতে" নবীজিকে নিয়ে ন্যাক্কারজনক ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা আর তাবলীগের বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে ক্রমাগত চক্রান্ত একই সূতোয় গাঁথা।
ষড়যন্ত্রের শেকড়ে আরো অনেক গভীরে ।
(১) ইউরোপ আমেরিকা যতোই মুসলমানদের উসকিয়ে দেওয়ার ও জঙ্গি প্রমানে চেষ্টা করছে সবকিছু মাঠে মরা যাচ্ছে ।দিনরাত পশ্চিমা মিডিয়া যতোই প্রচারনা করুক
তাদের মিশন যে ব্যর্থ এটা তারা ভাল করেই অনুধাবন করছে। ক্রমশ পশ্চিমা বিশ্ব ইসলামের জয়জয়কার তাদের মাথা খারাপ করে দিয়েছে । গত দশ বছরে ফ্রান্স সহ ইউরোপের দেশগুলোতে ইসলামের এক নিরব বিপ্লব ঘটে গেছে। এর পেছনে তাবলীগের দাওয়াতি কার্যক্রমই মুল চালকাশক্তি ।
গত কয়েকমাসে ইউরোপে কয়েক হাজার মানুষ ইসলাম গ্রহন করে দাওয়াতের কাজে লেগে গেছে। ফলে এখন তাবলীগ তাদের মাথা ব্যথার মূল কারন হয়ে দাড়িয়েছে ।তাই তাবলিগ ও বিশ্ব ইজতেমাকে বানচাল করতে প্রথমে এই পরাশক্তিগুলো বাংলাদেশ সরকারের এক দালাল মন্ত্রিকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে।তারা ভেবেছিল লতিফ ছিদ্দীকি আমেরিকাতে বসে তাবলীগ নিয়ে কটুক্তি করলে তাবলিগ থেকে প্রতিবাদে করা হবে।
এসুযোগে জঙ্গি বলে ইজতেমাতে বিদেশিদের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।চক্রন্তের সূচনা সেই থেকে।
(২)এর পরেও যখন কোনভাবেই তাবলীগকে জঙ্গি প্রমান করতে পারছেনা। কোন দেশেই তাবলীগের কাজে বাধা দেওয়া যাচ্ছেনা।
বরং প্রতিটি বিশ্ব ইজতেমা থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে আরো ব্যপকভাবে তাবলীগের কাজ ছড়িয়ে পড়ছে তখন এরা দেশ বিদেশে তাবলীগ নিয়ে আবার নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে।
তারা পেছনে দরজা দিয়ে ইজতেমা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে করতে থাকে।
ইজতেমাকে বানচাল এবং তাবলীগকে কলুষিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে একপর্যায়ে কিছু মুনাফেককে মাঠে নামায়। এখানেও তাদের মিশন ব্যর্থ হলে তারা নবী সাঃ এর বিরুদ্ধে এই মুহুর্তে ব্যঙ্গচিত্র করে আমাদের কলিজাতে আঘাত এনে বিশ্ব পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে ।
যাতে পুরোবিশ্বে ইজতেমা থেকে দাওয়াতের মিশন নিয়ে মুসলিম জামাত প্রবেশ করতে বাঁধা গ্রস্হ করতে পারে।
(৩)একটা বিষয় লক্ষনীয় বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগ নিয়ে এবছর বাংলাদেশে যে পরিমান বিরোধীতা করা হয়েছে এর পূর্বে কখনো এমন আক্রমন আসেনি ।
ইজতেমার আগ মুহুর্তে কাকরাইলে তাবলীগ বিরোধী লিফলেট বিতরন এবং সংবাদসম্মেলন ও মিডিয়ার মাধ্যমে তাবলীগে ভাঙ্গন বলে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রি আরিফ খান জয়কে দিয় তাবলীগ নিয়ন্ত্রনে সংসদে বিল পাশের প্রস্তাব তুলা হয়।তুহিন মালিকের আইডি ব্যবহার করে আক্রমন করা হয়।
তাসলিমা নাসরিনের তাবলীগ বিরোধি হুংকার। গোলাম মওলা রনির তাবলীগ বিরোধি মুর্খতাপূর্ণ ফতোয়া ও মিথ্যা চ্যালেন্জ। জামাত শিবিরের ছেলেদের অনলাইন ইজতেমা বিরোধি ব্যপক প্রচারনা সব কিছু একই সূত্রে গাঁথা।ইসলাম বিরোধী এই আর্ন্তজাতিক লবীটি তাবলীগ এবং ইজতেমাকে কলুষিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে তাবলীগ বিরোধী সকল গোষ্টিকে মাঠে নামানোর চেষ্টা করে । বিশেষ করে কওমী ও তাবলীগ বিরোধিদের কাজে লাগাতে ব্যপক পরিকল্পনা চালায়। এতে তাবলীগ ও কওমির কয়েক দালাল ও মিডিয়াকে বড়ো অংকের টাকা দিয়ে ক্রয় করে।
সবচেয়ে বড়ো বাজেটটি আসে মিডিয়া পাড়ায়।
এমনকি ইসলামি লেবাসধারি একটি মিডিয়া শার্লি হেবদোর কর্মকর্তাদের হত্যার নিন্দা জানানো হয়েছে ইজতেমা থেকে এমন ডাহা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে কওমিদের ভেতর গন্ডগোল ও কাঁদাছুড়াছুড়ি চেষ্টা চালায়।
ইজতেমা নিয়ে যখন আল জাজিরা সহ মুসলিম বিশ্বের মিডিয়াতে জয়জয়কার তখন কার্টুন ছাপিয়ে মিডিয়ার মূখকে অন্যদিকে ঘুরানো এটাও তাদের একটা চাল হতে পারে।
(৪)এখন ইজতেমার ২য়পর্ব চলছে । এই স্ট্যাটাস লেখা পর্যন্ত ২০ দলীয় জোট তাদের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত,প্রত্যাহার কিংবা সমাপ্তি ঘোষণা করেনি।
যদিও অবরোধ কতটা কার্যকর সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রশ্ন রয়েছে ২০
দলের নেতা ও দলীয় সক্ষমতা নিয়েও।
সেটা তাদের ব্যাপার,এটা নিয়ে কথা বলা শোভন নয়, এটা আমার বিষয়ও নয়। কিছুদিন আগে ২০ দলীয় জোট অন্য কোনো ধর্মাবলম্বীদের
একটি অনুষ্ঠানের কারণে তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছিল- সেটাও বলার মতো কোনো ইস্যু নয়। ইস্যু বিশ্ব ইজতেমাও নয়। মূল ইস্যু অনেক গভীরে।
রাজনৈতিকভাবে বিএনপির শক্তিশালী বন্ধু জামাত।
তারা সম্পূর্ণভাবে ইজতেমা, তাবলিগ ও কওমি মাদরাসা বিরোধী। (ওই জাতীয় লোকদের স্ট্যাটাস দেখলে বুঝবেন, সময় হলে খুঁজে দেখে আসুন)। তারা অরাজনৈতিক এই জায়গাটাকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারে মরিয়া। তাই বেগম খালেদা ওই পালের গোদাদের পরামর্শে অবরোধ প্রত্যাহার করেননি।
এতে বিন্দুমাত্র লাভ খালেদার হয়নি ২০ দলের। পক্ষান্তরে জামাত তাদের বিদেশি প্রভূদের খুশি করতে টোপ হিসাবে ২০দলকে ব্যবহার করতে পেরেছে।
এতে যেমন তাদের প্রভুরা খুশি হয়েছে তেমনি জামাত একটা আত্মতৃপ্তি পাবে অন্তত এটা ভেবে, যাক ইজতেমায় তো লোক কম হলো! কওমিওলাদের একটা জাগরনে কিছুটা হলেও ভাটা পড়লো।
আমার প্রশ্ন হলো, কওমি মাদরাসার কতিপয় ঠিকাদার ইসলামী রাজনৈতিক নেতা আছেন বিভিন্ন দলের ভগ্নাংশ নিয়ে।
অন্তত তারা তো বুঝছেন, ইজতেমার সময় এই কর্মসূচি চালানো ঠিক হচ্ছে না।
তারা কেন ম্যাডামকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলছেন না।
নাকি তারাও এই খেলার দাবার গুটিতে পরিণত হয়েছেন ?
তারা এখন কথা বলবেন না- জানি। এতে তার এই চক্রের কাছে বিক্রি হয়েছেন এটা বলবো না তবে এটা হতে পারে- ম্যাডাম জামাতকে গুরুত্ব দিলেও তাদের পাত্তা দেন না।
(৫) তবে আমার বিশ্বাস ঘরে বাইরে আন্তজার্তিক চক্রের
মাথা খারাপ হওয়া কোন চক্রান্ত ই শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যপি তাবলীগের নিরব আন্দোলন ও ইসলামের ক্রমবর্ধমান জয়জকার থামাতে পারবেনা । উল্টো তাদের দেশি বিদেশি সকল চর আর এজেন্টরা জনবিচ্ছিন্ন হবে , বাংলাদেশে হঠকারী কর্মসূচি দিয়ে আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে নিজেরাই বিকারগ্রস্হ হিসাবে কলুষিত হচ্ছে সচেতন তারুণ্য ও বিবেকবান মানুষের কাছে। আর এদেশে তাদের যে সব তাবেদার মুখে ইসলামী মূল্যবোধের ফেনা তুলে যে ফসল ফলিয়েছিলেন, তা নিমিষেই নিয়ে গেল বুর্জোয়ারা।
এতে তাবলীগের ক্ষতি হবে না ইনশাল্লাহ বরং নিজের পায়ে কুড়াল মারছে দালালরা নিজের অজান্তেই।

-সংগৃহীত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.