নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেদুঈনের দরবার

উহারা প্রচার করুক হিংসা,বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ আমরা বলিব সাম্য,শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ

দুরন্ত বেদুঈন

সত্য প্রকাশে নির্ভীক মানুষ

দুরন্ত বেদুঈন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিশোধ ও একটি আত্মজিজ্ঞাসা

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৮

মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মত প্রকাশের সীমানা নিয়ে ।
আপনি আমার নামে মিথ্যা অপবাদ বানিয়ে বানিয়ে বলবেন আর বলবেন এটা মত প্রকাশ ।
Freedom of Speech আর Hate Speech এর মাঝে যে পার্থক্য আছে তা বুঝিই না আমরা ।

আপনার বাবা মা তুলে গালি দিলে আপনি কি করেন ।
যদি আপনি বেশী ভালবাসেন আপনার বাবা মাকে তাহলে যে বলেছে তার উপর রাগ করে আপনি মারতে যান কিনা ।
যদি বেশী সহ্যশীল ও কমও ভালবাসেন হন তাহলেও কি করবেন একদিন দুইদিন দেখবেন তিনদিনের দিন আপনি যদি কিছু না করেন লোকে আপনাকেই গালি দেবে ।
আপনাকে যে ছোট থেকে বড় করে তুলেছে,মায়া মমতা দিয়ে আগলে রেখেছে তার কোন অপমান আপনি সহ্য করতে পারবেন না আপনি মানুষ হলে ।

আজকাল যাদেরকে অতি প্রগতিশীল বলে মুক্তমনের অধিকারী বলে বলা হয় তাদের অন্য ধর্ম নিয়া মাথা না ঘামালেও কেন ইসলাম নিয়েই তাদের মাথাব্যথা । যদি তারা নাস্তিকই হন তাহলে কেন শুধু ইসলামের পিছনেই শুধু কথা বলেন । তারা কি আসলে নাস্তিক না ইসলামবিদ্বেষী ।
তাদের শব্দচয়ন দেখে মনে হয় যেন চটি সাহিত্য লিখে চলছেন তারা ।

শার্লি হ্যাবদোর ১২ জন মারা যাওয়াতে যে তোলপাড় হয়েছে আমেরিকার চ্যাপেল হিলে তিনজন নিরপরাধ মুসলিম ছাত্র ছাত্রী মারা যাওয়ার পর তা কি হয়েছে ।
মিডিয়া এটা প্রকাশ করতে চায়নি । চায়নি পুরো বিশ্ব জানুক । দুনিয়ায় খালি মুসলিমরাই সন্ত্রাসী ।
অন্য সবাই সাধু ।
তারা মুসলিম ছিল এই তাদের অপরাধ ।

এখন অনেকের মায়াকান্না দেখছি কিন্তু যখন আল্লাহর নামে ও মহানবী(সাঃ) এর নামে কুৎসা রটানো হয় তখন তাদেরকে কখনও এক ফোটা আফসোস করতে দেখিনি ।
একবারও আল্লাহর মহিমা,রাসূল(সাঃ) এর উত্তম চরিত্র নিয়ে কথা বলতে দেখিনি ।
কয়েকদিন আগে ইসলাম নিয়ে একটি ব্লগে আমার লেখা দিয়েছিল ।বিষয় ছিল ভালবাসা দিবসের বিপক্ষে ।
তাকে ওই ব্লগ থেকে ইমেইল দিলে বলা হল এটি নাকি আক্রমণাত্মক , এই লেখা আগামীতে প্রকাশ করলে তাকে ব্যান করা হবে ব্লগে ।
অথচ সেই সময়েই অনেক ইসলাম বিরোধী লেখা ছিল ব্লগে ।
এই তাহলে মতপ্রকাশের অধিকার । এভাবে কি তার কণ্ঠরোধ করা যাবে ।
সে লিখবেই,লিখতে থাকবেই ।
আজ একজন সুন্নতি মানুষকে মেরে ফেললে হয়ে যায় জঙ্গি আর তা কেউ জানেওনা,কেউ জানাতেও চায়না ।
মিডিয়া জানাতেও চায়না আর তাদের কল্যাণেই অনেকেই হয়ে যায় শহীদ ।
সত্যকে কি কখনও লুকানো যায় । সত্য সত্যই থাকে ।

৯/১১ এর পর থেকে বিশ্বে মুসলমান সমানে বাড়ছে । হওয়ার কথা ছিল উল্টো ।
এখন মানুষ ইসলাম সম্বন্ধে পড়াশোনা করছে । জানছে ইসলাম কি ।
এমন কোন দেশ নেই এখন যেখানে এখন মুসলমান নেই । থেমে রাখা যায় কি সত্যকে ।

তারপরও কথা থেকে যায়,প্রতিশোধ শুধু প্রতিশোধই আনে । রক্ত আনে শুধু রক্তই ।
অসীর চেয়ে মসী বড় তাই কলমের জবাব কলম দিয়েই দেওয়াটাই উত্তম ।
তারা যত ঘৃণা ছড়াবে বিদ্বেষ ছড়াবে আমরা ততই শান্তির বাণী ছড়াব ।
তারা ১০ ব্লগে লিখে আমরা ১০০ ব্লগে লিখব । এটাই তো প্রতিশোধ ।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুক

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪০

ছণ্ণ্ ছাড়া বলেছেন:

তিন আমেরিকান মুসলিমকে নর্থ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির ডর্মিটরি রুমে গত মঙ্গলবার খুন করা হলো। প্যারিসে চার্লি এবডো সাংবাদিকদের গত জানুয়ারিতে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে খুনের ঘটনাটি ঘটানো হয় বরে অনুমান ব্যক্ত করা হয় মার্কিনী তথা পশ্চিমের অমুসলিম মহলে প্রচারিত সংবাদ ভাষ্যে।
এযাবৎ যেমনটি হতে দেখা গেছে- পশ্চিমা সংবাদ মহলে এবারেও সেভাবেই মুসলিম বিরোধী অপরাধী হত্যাকারীদের দেখানো হলো বিপথগামী উদ্ভ্রান্ত ধর্মান্ধ হিসেবে। অর্থাৎ হত্যাকারীরা সুস্থও স্বাভাবিক প্রকৃতির মানুষ ছিল না। যেকারণে তারা ঐ অপকর্ম করতে পেরেছে।
বোঝানো হলো- অমুসলিম পশ্চিমারা এমন কাজ করতে পারে না। বিশেষ কোনো মতাদর্শে তাড়িত হয়ে অথবা মুসলিম বিরোধী কোনো পরিকল্পনা বা কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুসলিম হত্যার ঘটনাটি ঘটানো হয়নি পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো তাদের এই বক্তব্যটিকেই জোরে শোরে প্রচার করতে চেয়েছে। পশ্চিমে প্রচলিত ইসলাম বিদ্বেষকে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো আমলে নেয়নি।
এডওয়ার্ড সাঈদ, এলিজাবেথ পুল, কাই হাফিজ, মিলি উইলিয়ামসন, করিম করিম, তিউন ভ্যান জিজক, কিম্বার্লি পাওয়েল এবং দীনা ইব্রাহিমের মতো বহু পণ্ডিত ইতোমধ্যে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলিম সংক্রান্ত খবরা-খবর বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেছেন- মুসলমানরা তাদের সংবাদ মাধ্যমে চিত্রিত হচ্ছেন সহিংস, পশ্চাৎপদ, মৌলবাদী এবং পাশ্চাত্য সভ্যতার জন্য হুমকি হিসেবে। ইসলাম সংক্রান্ত যেকোনো বিশ্লেষণে বর্বর নিষ্ঠুরতার ঘটনার সঙ্গে মুসলমানদের জড়িত থাকার বিষয়গুলোকে ইসলাম প্ররোচিত অবিচ্ছেদ্য ঘটনা বলে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলোতে দেখানো হচ্ছে। জনসমাজে সম্প্রীতি সৃজনমূলক বা ইতিবাচক কোনো কর্মকাণ্ডে মুসলমানদের কদাচিত সমৃক্ত দেখা যায় উল্লেখ করে তারা বোঝাতে চায় যে, মঙ্গলজনক কোনো কাজের প্রেরণা মুসলমানরা ইসলাম থেকে পেতে পারে না। বলা হচ্ছে মুসলিম জনসমাজ বৈচিত্র ও বিবিধতাবিহীন। কিন্তু পণ্ডিত ব্যক্তিরা তাঁদের পর্যবেক্ষণে পাচ্ছেন- পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো মুসলিম বিশ্বে সংঘটিত ভয়াবহ সহিংস ঘটনাগুলোর পেছনের পরিস্থিতি বা পটভূমিকে তাদের সংবাদ বিশ্লেষণে ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে এবং বোঝাতে চাচ্ছে এবং বলতে যাচ্ছে- অন্তর্গতভাবেই মুসলিমরা সহিংস ও নিষ্ঠুরতা প্রবণ।
পণ্ডিতজনদের অবলোকন হচ্ছে- খৃষ্টান, ইহুদিরা অন্য অমুসলিম মুসলিমদের হাতে নিহত হওয়ার মাত্র- পশ্চিমের প্রায় সমস্ত সংবাদ মাধ্যম একযোগে ইসলামকে হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী ঠাওরাচ্ছে। অথচ খৃস্টান, ইহুদি বা অন্য অমুসলিমদের হাতে মুসলমান খুন হওয়ার ঘটনায় পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম হত্যাকারীর ধর্মীয় পরিচয় উপেক্ষা করে যায়- অর্থাৎ উল্লেখে আনে না।
বার্মায় চলমান সংঘাত পশ্চিমা সাংবাদিকতার মুসলিম বিদ্বেষী স্বরূপ বর্ণনায় উদাহরণ হিসেবে গৃহীত হয়েছে। খুব সম্প্রতি মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নির্মূলীকরণ অভিযান বিষয়ে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের নীরব ভূমিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যার ঘটনাগুলোকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বর্ণনা করলেও পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে নির্বিকার থাকতে দেখা গেছে। খুব সম্প্রতি মার্কিন টিভি নেটওয়ার্কগুলোর বিভিন্ন টক শোয়ে পশ্চিমের গণ্যমান্য ভাষ্যকারদের ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য ও মন্তব্যের ফলাও প্রচার লক্ষ্য করা গেলেও মুসলিম ও ইসলাম বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষকদের কোনো পর্যবেক্ষণ-অবলোকন ঐ টকশোগুলোয় প্রচারিত হতে দেখা যায়নি। জগৎখ্যাত সমস্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী পণ্ডিত পরিষদ, ইসলামী সংগঠন, মুসলিম সরকার এবং সুবিখ্যাত মুসলিম আইনবেত্তাদের পক্ষ থেকে মুসলিম সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা জানানো হলেও পশ্চিমের তথ্যব্যক্তিত্বরা নিরন্তর গলা ফাটানো চিৎকার চালিয়ে যাচ্ছেন যে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মুসলমানরা নিন্দা জানাচ্ছেন না। রুপার্ট মার্ডক ও পায়ার্স মর্গানের মতো ব্যক্তিদের মুসলিমদের সবক শেখাতে শোনা গেছে যে, আল-কায়েদা ও আইসিসকে পরাস্ত ও নির্মূল করার দায়িত্ব খোদ মুসলমানদের গ্রহণ করতে হবে। পশ্চিমের সংবাদ মাধ্যমগুলো বিশ্বের সমস্ত মুসলিমকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখার পশ্চিমা অমুসলিমদের মধ্যে আহ্বানসূচক প্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে অবিরামভাবে। একচ্ছত্র একনায়কতন্ত্রী নিষ্পেষণে, দুর্ভেদ্য দারিদ্রে ও দেশী-বিদেশী বোমাবর্ষণে উদ্ভ্রান্ত বিপর্যস্ত বিভিন্ন মুসলিম দেশের জনগণের মধ্য থেকে উদ্ভূত আল-কায়েদা ও আইসিসের মতো কথিত সন্ত্রাসীদের হাতে নিরন্তর হতাহত হচ্ছেন খোদ মুসলমানরাই- অমুসলিম খুবই কম। তথ্যগুলো প্রায় সবগুলো পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে বেমালুম গায়েব হয়ে যাচ্ছে। খুব স্বল্পসংখ্যক শান্তিকামী মানুষ মুসলিম জনসম্প্রদায়ে উপস্থিত পাওয়া যায়- উল্লেখসহ মুসলিম সংখ্যাল্পতার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, তারা শান্তিকামী থাকতে পেরেছে, পশ্চিমের ভাষ্য অনুযায়ী ইসলামের সহিংস স্বরূপ সম্বন্ধে সম্যক উপলব্ধি তাদের হয়নি বলে। মুসলিম ও ইসলাম সম্বন্ধে প্রায় অনবহিত ও অনভিজ্ঞ মুসলিম বিদ্বেষীদের মার্কিন টিভি টকশোগুলোয় বিস্তর মুখর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও হামজা হানসেনের মতো মুসলিম বিশেষজ্ঞ বুদ্ধিজীবীকে তার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য মার্কিন টিভি স্বত্বাধিকারীদের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত হতে দেখা যায় না।
বিগত ১০০ বছরে হলিউডে নির্মিত ৯০০ ফিল্মের অধিকাংশে হৃদয়হীন বর্বর, অসভ্য ধর্মান্ধ ও অর্থগৃধ্নু অমানুষ হিসেবে আরব ও মুসলিমদের চিত্রীত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তথ্য বিশেষজ্ঞ জ্যাক শাহিন। কলঙ্ক-কুৎসা প্রচারের মাধ্যমে তাদের লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীকে জানেমালে ধ্বংস করার চক্রান্ত ও তৎপরতা পাশ্চাত্য চালিয়ে এসেছে ইউরোপে বেনেবাদী যুগ শুরুর পর থেকেই। পনের-ষোল শতকে প্রবেশের সঙ্গে আরব সাগর ও ভারত মহাসাগর এবং এশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সাগর থেকে ইউরোপ, আফ্রিকায় ও এশিয়ায় বাণিজ্য সম্প্রসারণে তৎপর আরব বণিকদের বিতাড়নের লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে দেখা গেছে পর্তুগীজ, ডাচ্ ও স্পেনিয়ার্ড ও ইংরেজদের। বৃটেনে ও ক্রমে ইউরোপে শিল্প বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে বাংলা তথা ভারতের অঢেল অর্থসম্পদ লুটের পরিণামে। বৈদেশিক বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে এমনকি স্বদেশেও বাণিজ্যিক স্বার্থ উদ্ধারে ন্যায় ও নৈতিকতার প্রতি কোনো নিষ্ঠা ইউরোপীয়রা কোনো সময় দেখায়নি। ১৮ শতকের তৃতীয় পাদের শেষ ভাগে বাংলা ও বিহারে অভাবিতপূর্ব দুর্ভিক্ষ ছিল লুণ্ঠনজীবী দুর্বৃত্ত বৃটিশদের নিষ্ঠুর উপহার। শিল্পযুগ পরবর্তীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের জোরে তাদের হস্তগত উন্নতি ও সমৃদ্ধি অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের- বিশেষত আরব ও মুসলিম জনগণের জন্য। হেন একটি মুসলিম দেশ আজকের বিশ্বে অস্তিত্বে দেখা যাবে না- পশ্চিমা চক্রান্তের দুর্ভোগ যাদের সইতে হয়নি বা হচ্ছে না। -আল জাজিরা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.