নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেদুঈনের দরবার

উহারা প্রচার করুক হিংসা,বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ আমরা বলিব সাম্য,শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ

দুরন্ত বেদুঈন

সত্য প্রকাশে নির্ভীক মানুষ

দুরন্ত বেদুঈন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তনের ভ্রান্ত ধারণা

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

বৈজ্ঞানিকভাবে ডারউইনবাদের পতন

প্রাচীন গ্রীস থেকেই একটি মতবাদ হিসেবে চলে আসলেও বিবর্তন থিওরিটি ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে। সবচেয়ে গুর
ত্বপূর্ণ উন্নয়ন ঘটে যখন ”প্রজাতির উৎস” নামক বইখানা প্রকাশিত হয়ে থিওরিটিকে বিজ্ঞান জগতে সর্বশেষ টপিকে নিয়ে আসে। আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন প্রাণী প্রজাতিকে পৃথক পৃথকভাবে সৃষ্টি করেছেন – এটি ডারউইন তার এ বইখানায় অস্বীকার করেন । ডারউইনের মতানুসারে সমস্ত জীবেরই একটি সাধারণ পূর্বপুর
ষ ছিল এবং এরা কালের যাত্রায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরিবর্তনের মাধ্যমে বিচিত্র রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে ।

ডারউইনের থিওরিটি কোন দৃঢ় বৈজ্ঞানিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত ছিল না ; তিনি নিজেও মেনে নিয়েছেন যে এটা ছিল নিছকই এক “অনুমান ”। অধিকিন্তু, ডারউইন তার “থিওরীর প্রতিকূলতা ” নামক বইখানার দীর্ঘ অধ্যায়সমূহে স্বীকার করেছেন যে, থিওরিটি বহু সমালোচনামূলক প্রশ্নের উত্তর প্রদানে ব্যর্থ হ‪চ্ছিল ।

ডারউইন নব নব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পানে তার সমস্ত আশা নিয়োগ করলেন, যেগুলো তার থিওরির প্রতিকূলতাগুলোর সমাধান নিয়ে আসবে বলে তার প্রত্যাশা ছিল । কিন্তু তার আশার বিপরীতে বৈজ্ঞানিত তথ্যগুলো এই সমস্যাগুলোর পরিধি আরো বাড়িয়ে দিল।বিজ্ঞানের মোকাবেলায় ডারউইনবাদের এই পরাজয়টিকে তিনটি মূল আলোচ্য বিষয়ে পূণর্নিরীক্ষণ করা যায় :

১) ভূপৃষ্ঠে প্রাণের ঊন্মেষ কিভাবে হল – এর ব্যাখ্যা মতবাদটি কোনভাবেই প্রদান করতে পারে না।
২) থিওরিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত ”বিবর্তন প্রক্রিয়াগুলোর” বিবর্তন ঘটানোর কোন প্রকার ক্ষমতা আদৌ আছে কি নেই – তা প্রমাণ করার জন্য কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই ।
৩) জীবাশ্ম রেকর্ডসমূহ বিবর্তন থিওরির প্রস্তাবনাসমূহের সম্পূর্ণ উল্টো তথ্য বা প্রমাণ সরবরাহ করে ।

এই পরি‪চ্ছেদে আমরা এই তিনটি মূল বিষয় সাধারণ পরিধিতে পর্যবেক্ষণ করব :

অনতিক্রম্য প্রথম ধাপ : প্রাণের ঊন্মেষ

বিবর্তন মতবাদ শুধুমাত্র তর্কের খাতিরে এটাই শুদ্ধ বলে ধরে নেয় যে, ৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে আদি পৃথিবীতে আবির্ভূত একটি মাত্র জীবকোষ হতেই সমস্ত জীবিত প্রজাতির বিকাশ ঘটেছে । কিভাবে একটি মাত্র কোষ হতে মিলিয়ন মিলিয়ন জটিল প্রজাতির উদ্ভব হলো, আর বিবর্তন বলে যদি কিছু ঘটেই থাকে তবে ফসিল রেকর্ডে কেনইবা এর সামান্য কোন নিদর্শন পাওয়া যায় না,এ ধরণের কোন প্রশ্নের উত্তর প্রদানে মতবাদটি অক্ষম। যাইহোক, সর্বাগ্রে, উক্ত বিবর্তন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপটি অনুসন্ধান করতে হবে , কিভাবে এই ”আদিকোষের” উৎপত্তি হলো ?

যেহেতু বিবর্তনবাদ সৃষ্টি কৌশলকে অস্বীকার করে আর অতি প্রাকৃতিক কোন প্রকার মধ্যস্থতাকে মেনে নেয় না, সেহেতু তা এতেই অটল থাকে যে, “আদিকোষ” কোন ডিজাইন,পরিকল্পনা বা কোন ব্যবস্থাপনা ছাড়াই প্রকৃতির নিয়মানুযায়ী এক আকস্মিক যোগাযোগের মাধ্যমে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই মতবাদ অনুযায়ী, যুগপৎ ঘটনাসমূহের ফলস্বরূপই নিশ্চিতভাবে জড় বস্তুগুলোই একটি জীবকোষের জন্ম দিয়েছে । যাহোক, এটা এমনকি জীববিজ্ঞানের সবচেয়ে অনাক্রম্য নিয়মাবলীর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ একটি দাবী ।

“প্রাণী থেকে প্রাণীর উৎপত্তি”

ডারউইন তার বইখানায় প্রাণের উদ্ভবের ব্যাপারটি কখনও উল্লেখ করেননি । জীবিত সত্তাগুলোর গঠন কাঠামো অত্যন্ত সরল – এ অনুমানের উপরই তার সময়কার বিজ্ঞানের আদি ধারণা প্রতিষ্ঠিত ছিল । মধ্যযুগ থেকে স্বতঃস্ফুর্ত উৎপাদনের নামে একটি থিওরী দাবী করে আসছিল যে, জড় বস্তুগুলো একত্রে মিলিত হয়েই জীবের উদ্ভব ঘটায়, আর এটি তখন বিস্তৃতভাবে গ্রহনযোগ্য ছিল । সাধারণভাবে বিশ্বাস করা হতো যে, ফেলে রাখা অতিরিক্ত খাবার থেকে পোকামাকড় আর গম থেকে ইদুঁর জন্ম নেয় । এই মতবাদটি প্রমাণের জন্য মজার মজার গবেষণা চালানো হতো । একটি ময়লা কাপড়ের টুকরায় কিছু গম ফেলে রাখা হতো আর কিছুক্ষন পরেই তা থেকে ইদুঁর জন্ম নেবে বলে বিশ্বাস করা হতো । অনুরূপভাবে মাংস থেকে কীটের উৎপত্তিকে স্বতঃস্ফুর্ত উৎপাদনের একটি প্রমাণ বলে ধারণা করা হতো । অবশ্য মাত্র কিছু দিনের ব্যবধানে এটা বোঝা গেলো যে, কীটগুলো মাংসে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে হাজির হয় না,বরং খালি চোখে দেখা যায় না – এমন কিছু লার্ভার আকারে মাছিগুলো কীটগুলোকে বহন করে নিয়ে আসে।

এমনকি যে সময়ে ডারউইন তার ”প্রজাতির উৎপত্তি ” বইখানা লিখেন তখনও ব্যাকটেরিয়া জড়বস্তু থেকে জন্ম নেয় এমন একটি বিশ্বাস বিজ্ঞান জগতে বহুল প্রচলিত ছিল । অবশ্য ডারউইনের বই প্রকাশনার মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় লুই পাস্তুর দীর্ঘ পর্যবেক্ষন ও গবেষণা শেষে তার ফলাফল ঘোষণা করেন যা ডারউইনের মতবাদের ভিত্তি স্থাপনকারী এই স্বতঃস্ফুর্ত

উৎপাদনকে মিথ্যা প্রমাণ করে । ১৮৬৪ সনে, সর্বোনে দেয়া এক বিজয়ী লেকচারে লুই পাস্তুর বলেন,“এই সরল গবেষণাটি হতে প্রাপ্ত গুর
তর আঘাত থেকে স্বতঃস্ফুর্ত উৎপাদনের মতবাদটি আর কখনও পূর্বাবস্থায় ফিরে আসতে সক্ষম হবে না ।” বিবর্তন মতবাদটির সমর্থকগণ পাস্তুরের এই তথ্যগুলোকে দীর্ঘ সময় ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। অবশ্য বিজ্ঞানের জয়যাত্রা যখন জীবকোষের অতি জটিল গঠনের জট খুলে দিল, তার সাথে সাথে যুগপৎ ঘটনায় প্রাণের অস্তিত্বে আসার কাল্পনিক ধারণা সম্পূর্ণ অচলাবস্থার সম্মুখীন হলো
জীবদেহের জটিল গঠন

প্রাণের উৎপত্তি প্রসংগে বিবর্তন মতবাদ এমন একটি বড় ধরণের অচলাবস্থায় সমাপ্ত হওয়ার একটি প্রাথমিক কারণ হল যে সমস্ত জীবগুলো অত্যন্ত সরল গঠনের বলে বিবেচনা করা হয়েছিল, সেগুলোরও অবিশ্বাস্য ধরণের জটিল গঠন রয়েছে। মানব-প্রযুক্তি দ্বারা তৈরী সমস্ত পণ্যের চেয়ে একটি জীবকোষ অধিকতর জটিল । আজ এই সময়ে এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত ল্যাবরেটরীগুলোতেও অজৈব বস্তুগুলোকে একত্রিত করে একখানি জীবকোষ তৈরী করা যায় না ।

একখানি কোষ তৈরীতে প্রয়োজনীয় শর্তাদির পরিমাণ এত বিপুল যে এটাকে যুগপৎ ঘটনায় সংঘটিত হওয়ার ব্যাখ্যা দেয়াই ভার । কোষের গঠন কাঠামোতে ব্লক হিসেবে ব্যবহৃত হয় যে প্রোটিনগুলো, তাদের প্রতিটি গড়ে ৫০০ এমাইনো এসিড নিয়ে গঠিত ; যুগপৎভাবে সংশ্লেষন প্রক্রিয়ায় সে প্রোটিনগুলোর তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা ১০৯৫০ ভাগেরও এক ভাগ। গাণিতিকভাবে ১০৫০ ভাগের চেয়ে কম কিংবা ক্ষুদ্রতর যে কোন সম্ভাবনা বাস্তবে অসম্ভব।

কোষের কেন্দ্রে অবস্থিত ডি.এন.এ. একটি অবিশ্বাস্য ডাটা ব্যাংক, যা বংশগতির সমস্ত তথ্যাবলী বহন করে থাকে । গণনা করে দেখা গেছে যে, ডি.এন.এ. তে যে তথ্যাদি সংকলিত রয়েছে তা যদি লিপিবদ্ধ করা যেতো তাহলে তা ৯০০ ভলিউম এনসাইক্লোপেডিয়ার এক বিশালাকায় লাইব্রেরী তৈরী করতো,যেখানে প্রতি ভলিউম এনসাইক্লোপিডিয়ায় রয়েছে ৫০০ পৃষ্ঠা ।

এই পয়েন্টটিতে একটি উভয় সংকট তৈরী হয় : ডি.এন.এ. কেবলমাত্র বিশেষ ধরণের কিছু প্রোটিনের (এনজাইম) সহায়তায় বিভাজিত হয় । আবার এ এনজাইমগুলো সংশ্লেষনের মাধ্যমে তৈরী হওয়ার যাবতীয় তথ্যাবলী ডি.এন.এ. এর গায়ে সংকলিত থাকে । আর এই তথ্যাবলী থেকেই সংশ্লেষণ প্রক্রিয়াগুলো বুঝে নেয়া যায় । দেখা যা‪চ্ছে যে, উভয়েই পরস্পর পরস্পরের উপর নির্ভরশীল । আর তাই কোষ বিভাজনের সময় তাদের উভয়কে একই সঙ্গে বর্তমান থাকতে হবে। এ কারণেই প্রাণ নিজে নিজেই উৎপত্তি লাভ করবে – এরূপ কাল্পনিক সম্ভাবনাটি বাতিল হয়ে যায়। ক্যালিফোর্নিয়ায় সান্ডিয়াগো ইউানভার্সিটির সুনামধন্য বিবর্তনবাদী, অধ্যাপক রেসলি অরগেল, সায়েন্টিফিক এমেরিকান ম্যাগাজিনের ১৯৯৪ সনের সেপ্টেম্বরের প্রকাশনায় একটি আর্টিকেলে এ সত্যটি স্বীকার করে বলেন :

“এটা একেবারেই অসম্ভব যে গঠনগতভাবে জটিল প্রোটিন ও এমাইনো এসিড উভয়েই একই সময় একই জায়গা হতে উৎপন্ন হবে । তদুপরি এদের একটি ছাড়া অন্যটির অস্তিত্ব অসম্ভব বলে মনে হয় । আর তাই, প্রথম দৃষ্টিতে একজন এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন যে, প্রকৃতপক্ষে প্রাণ কখনও রাসায়নিক পদ্ধতিতে তৈরী হতে পারতো না।”

বলতে দ্বিধা নেই যে, যদি প্রকৃতিগত কারণে প্রাণের উৎপত্তির সম্ভাবনা না থাকে, তবে তখন এটাই মেনে নিতে হবে যে, এক অতিপ্রাকৃত বা অলৌকিক উপায়েই প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। এ সত্যটুকু সুস্পষ্টভাবে সেই বিবর্তন মতবাদকে বাতিল ঘোষণা করে যার প্রকৃত উদ্দেশ্য ”সৃষ্টি কর্ম” কে অস্বীকার করা।

কাল্পনিক বিবর্তন প্রক্রিয়াসমূহ

দ্বিতীয় যে গুর
ত্বপূর্ণ বিষয়টি ডারউইনের মতবাদকে বাতিল করে দেয় তা হলো – “বিবর্তনের প্রক্রিয়াবলী” হিসেবে যে দুটি ধারণার অবতারনা করা হয়েছিল সেগুলোর বাস্তবে বিবর্তন ঘটানোর কোন ক্ষমতা নেই বলে বুঝা গিয়েছে ।

ডারউইন ”প্রাকৃতিক নির্বাচন” প্রক্রিয়াকে তার উত্থাপিত বিবর্তনবাদের ভিত্তি হিসাবে দাঁড় করান।তিনি এই পদ্ধতির উপর যে বিশেষ গুর
ত্ব দিয়েছেন তা তার বইটির নামকরণেই স্পষ্ট হয়ে উঠেঃ”প্রজাতির উৎপত্তি, প্রাকৃতিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে …….।”

প্রাকৃতিক নির্বাচন বিবেচনা করে যে, যে সমস্ত জীব অধিকতর শক্তিশালী ও যেগুলো তাদের আবাস ভূমির স্বাভাবিক অবস্থায় অধিকতর উপযোগী বা যোগ্যতর বলে বিবেচিত হয় – তারাই জীবন সংগ্রামে টিকে থাকবে। উদাহরণস্বরূপ, কোন এক হরিণের পাল যখন অন্য কোন হিংস্র জন্তুর কবলে পতিত হয়,তখন যে হরিণগুলো অধিকতর দ্রুত বেগে দৌড়ে যেতে পারে তারাই কেবল টিকে থাকবে । অবশ্য প্রশ্নাতীতভাবেই, এই পদ্ধতি কোন হরিণের মাঝে বিবর্তন ঘটায় না আর একে বিকশিত করে অন্য কোন প্রজাতি, যেমন, ঘোড়ায় রূপান্তরিত করে না ।

অতএব বিবর্তন ঘটানোর কোন ক্ষমতাই প্রাকৃতিক নির্বাচনের নেই । ডারউইন নিজেও এ সত্যটি অবগত ছিলেন আর তাকে তার প্রজাতির উৎস নামক বইটিতে নিম্ন লিখিত উক্তিখানি করতে হয়েছিল:

“প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুকূল বৈষম্য কিংবা বৈচিত্র্য না ঘটা পর্যন্ত প্রাকৃতিক নির্বাচন কিছুই করতে পারে না।”

ল্যামার্কের প্রভাব:

তাহলে কিভাবে এই “অনুকূল পরিবর্তনগুলো” ঘটবে ? ডারউইন তার যুগের বিজ্ঞানের আদি ধারণার দৃষ্টিকোণ থেকে এ প্রশ্নের উত্তর প্রদানের চেষ্টা করেন । ডারউইনের পূর্ব যুগে বিদ্যমান ফ্রান্সের জীববিজ্ঞানী ল্যামার্কের মতানুসারে, জীব তাদের জীবদ্দশায় তাদের অর্জিত বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের পরবর্তী প্রজন্মে প্রেরণ করেছিল আর সেগুলো প্রজন্ম হতে প্রজন্মান্তরে একত্রীভূত হয়ে নূতন প্রজাতির প্রাণীর উদ্ভব ঘটিয়েছিল । যেমন, ল্যামার্কের মতে, জিরাফগুলো এক ধরণের কৃষ্ণকায় হরিণ থেকে বিকশিত হয়েছিল । যখন হরিণগুলো উঁচু বৃক্ষের পাতা খাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করত, তখন তাদের ঘাড় একটু একটু করে প্রসারিত হয়ে এক প্রজন্ম হতে অন্য প্রজন্মে লম্বা হয়েছে । ডারউইন নিজেও একই ধরণের উদাহরণ দিয়েছেন ; দৃষ্টান্তস্বরূপ তিনি তার প্রজাতির উৎস বইটিতে বলেছেন যে খাবারের খোঁজে পানিতে নামতে গিয়ে কিছু ভালুক কালের পরিক্রমায় নিজেরাই তিমিতে রূপান্তরিত হয়েছিল ।

যাই হোক, বিংশ শতাব্দীতে ম্যান্ডেল উত্তরাধীকার সূত্রাবলী আবিষ্কার করলেন আর বংশানুগতি সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান কর্তৃক সে সূত্রগুলোর যথার্থতা যাচাই করা হলো । বংশানুগতির বা উত্তরাধীকার সূত্রগুলো সে সময়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে আর অর্জিত বৈশিষ্ট্যগুলো পরবর্তী প্রজন্মে প্রেরিত হয় – এ ধরণের উপাখ্যানটি নাকচ করে দেয়। এভাবেই প্রাকৃতিক নির্বাচন, বিবর্তন প্রক্রিয়া হিসেবে সমর্থন পেতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় ।

নব্য-ডারউইনবাদ এবং মিউটেশন

ডারউইন ভক্তরা ১৯৩০ সালের শেষ দিকে একটি সমাধানে পৌছার লক্ষ্যে ”আধুনিক সংশ্লেষন থিওরী” কিংবা আরো সাধারণভাবে যেটি নব্য-ডারউইনবাদ নামে পরিচিত, সেটিকে এগিয়ে নিয়ে যান। নব্য-ডারউইনবাদে মিউটেশন প্রক্রিয়াটি যোগ করা হয় ; আর মিউটেশন হলো – বাহ্যিক কিছু কারণ যেমন, বিকিরণের (radiation) কিংবা সংযোজন ভ্রান্তির (replication error) কারণে জীবদেহের জীনে সংঘটিত বিকৃতি ; উপরোক্ত ফ্যাক্টরগুলোর জন্য প্রাকৃতিক মিউটেশনের সঙ্গে ”অনুকূল পরিবর্তনের কারণ” হিসেবে জীনে এ বিকৃতি ঘটে থাকে ।

বর্তমানে এই পৃথিবীতে বিবর্তনের মডেল হিসেবে আমরা যেটিকে দেখতে পাই তাই হলো নব্য-ডারউইনবাদ । থিওরিটি এটাই বলে যা‪চ্ছে যে, পৃথিবীতে মিলিয়ন মিলিয়ন জীব এসেছে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যদ্দারা জীবগুলোর জটিল অঙ্গাদি যেমন: কান, চোখ, ফুসফুস আর পাখাসমূহে ”মিউটেশন” কিংবা জিনগত বিশৃংখলা সংঘটিত হয় । তথাপি একটি নির্জলা বৈজ্ঞানিক তথ্য রয়েছে যা এ থিওরিটিকে সম্পূর্ণরূপে বর্জন করে :

মিউটেশন কখনো জীবদেহের বিকাশ বা উন্নয়ন ঘটায় না বরং তার ক্ষতিসাধন করে । এর কারণটি অত্যন্ত সাধারণ ঃ ডি.এন.এ. এর রয়েছে একটি অতি জটিল গঠন আর এলোপাতাড়ি যে কোন পরিবর্তন এ কাঠামোটির ক্ষতি সাধন করে । আমেরিকার জিনতত্ত্ববিদ বি.জি. রাঙ্গানাথান বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করেন :

মিউটেশন হলো ক্ষুদ্র, এলোপাতাড়ি আর ক্ষতিকর প্রক্রিয়া। এগুলো কদাচিৎ ঘটে আর ঘটলেও ভাল লক্ষণ যে, এরা কার্যকরী হবে না। মিউটেশনের ৪টি বৈশিষ্ট্য এটাই সূচিত করে যে, প্রক্রিয়াটি কখনো বিবর্তনজনিত বিকাশ ঘটায় না। অত্যন্ত জটিল জীবদেহে এলোপাতাড়ি পরিবর্তনগুলো হয় ব্যর্থ নচেৎ ক্ষতিকর বলে পরিলক্ষিত হয়। একটি ঘড়িতে এলোপাতাড়ি পরিবর্তন একে কোন উন্নতর ঘড়িতে রূপান্তরিত করতে পারে না। খুব সম্ভবত এতে ঘড়িটির ক্ষতি হবে অথবা বড়জোর তা ব্যর্থ হবে। ভূমিকম্প কখনও নগরীর সমৃদ্ধি ঘটায় না বরং এর ধ্বংসই ডেকে আনে।

এটা কোন আশ্চর্যের কথা নয় যে, মিউটেশনের কোন উদাহরণই কার্যকরী হয় না, তার মানে,মিউটেশন প্রক্রিয়া জীনের গায়ে বিদ্যমান সংকেতলিপির কোন প্রকার উন্নয়ন ঘটায় – এমন কোন দৃষ্টান্ত পরিলক্ষিত হয় না। সব ধরণের মিউটেশনই ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। মিউটেশনগুলো – যাদের বিবর্তন প্রক্রিয়া বলে উপস্থাপন করা হয়েছে, তারা প্রকৃতপক্ষে জীবদেহে জীনের কতকগুলো সংঘটনমাত্র,যেগুলো বরং দেহের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায় বলেই দেখা গিয়েছে। আর সাথে সাথে তা জীবগুলোকে অচল ও পঙ্গু করে দেয়। (মানব দেহে মিউটেশনের ক্ষতিকর প্রভাবের সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণ হল ক্যান্সার ) এতে কোন সন্দেহ নেই যে, কোন ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া কখনো কোন ”ক্রমবিকাশ পদ্ধতি” হতে পারে না। অন্যদিকে প্রাকৃতিক নির্বাচনও ”নিজে নিজে কিছু করতে পারে না ”যা ডারউইন নিজেও মেনে নিয়েছেন। এই তথ্যগুলো আমাদের দেখিয়ে দি‪চ্ছে যে প্রকৃতিতে কোন ”বিবর্তন প্রক্রিয়া” বিদ্যমান

নেই। যেহেতু ”বিবর্তনের কোন পদ্ধতিরই” অস্তিত্ব নেই সেহেতু বিবর্তন নামের কাল্পনিক কোন প্রক্রিয়াও সংঘটিত হয়নি।

ফসিল বা জীবাশ্ম রেকর্ডঃ মধ্যবর্তী কোন আকৃতির অস্তিত্ব নেই :

বিবর্তন মতবাদ কর্তৃক প্রস্তাবিত কোন দৃশ্যকল্প সংঘটিত হয়নি এ সত্যটির সবচেয়ে পরিস্কার সাক্ষ্য বহন করছে ”ফসিল রেকর্ড”। বিবর্তন মতবাদ অনুসারে প্রতিটি জীব তার পূর্বসুরী থেকে জন্ম নিয়েছে। পূর্বে বিদ্যমান কোন প্রজাতি সময়ের ধারাবাহিকতায় অন্য কোন প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে আর এভাবে বাকী প্রজাতিগুলোও অস্তিত্বে এসেছে। এ মতবাদ অনুসারে, এই রূপান্তর প্রক্রিয়া মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে ধীর গতিতে সম্পন্ন হয়েছে। এই যদি ব্যাপার হতো তখন অবশ্যই অসংখ্য মধ্যবর্তী প্রজাতির অস্তিত্ব থাকত আর এরা দীর্ঘ

পরিবর্তন কাল জুড়ে বর্তমান থাকতো । উদাহরণস্বরূপ, অতীতে কিছু অর্ধমাছ / অর্ধসরীসৃপ এর অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকত – তাদের পূর্ব থেকে বিদ্যমান মাছের বৈশিষ্টের সঙ্গে সরীসৃপের কিছু বৈশিষ্ট্য যোগ হতো। কিংবা কতক সরীসৃপ- পাখি জাতীয় প্রাণী থাকতো যাদের পূর্বে রয়ে যাওয়া সরীসৃপের বৈশিষ্টের সংগে পাখির বৈশিষ্ট্য যোগ হতো। যেহেতু এরা একরূপ হতে অন্য রূপে উত্তরণের সময় জন্ম নিত সেহেতু তাদের অক্ষম, ত্রু
টিপূর্ণ, পঙ্গু জীব হিসেবেই বিদ্যমান থাকার কথা । বিবর্তনবাদীরা এমন সব কাল্পনিক জীবের কথা বলে থাকেন যা অতীতে তাদের রূপ পরিবর্তনকালীন সময়ে ”দুয়ের মধ্যবর্তী আকারে” (intermediate forms) বিদ্যমান ছিল বলে তাদের বিশ্বাস । সত্যিই যদি এ ধরণের প্রাণীর অস্তিত্ব থাকত, তারা সংখ্যা ও বৈচিত্র্যে হতো মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন অবধি। আরো গুর
ত্বপূর্ণ যে, অদ্ভুত এই প্রাণীগুলোর দেহাবশেষ ফসিল রেকর্ডে বিদ্যমান থাকার কথা। প্রজাতির উৎপত্তি বইটিতে ডারউইন বলেছেন :

“ আমার থিওরীটি যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে একই গ্র
পের সমস্ত প্রজাতির মাঝে ঘনিষ্ঠ সংযোগ স্থাপনকারী মধ্যবর্তী গঠনের এ ধরণের প্রাণীর সংখ্যা নিশ্চিত ভাবেই হবে অসংখ্য।ফলস্বরূপ তাদের অতীতে বিদ্যমান থাকার প্রমাণ কেবলমাত্র তাদের ফসিলসমূহে থেকে পাওয়া যেতে পারে।“

[বিবর্তন সম্পর্কে আরও জানতে হারুন ইয়াহিয়ার THE SKULLS THAT DEMOLISH DARWIN বইটি পড়তে পারেন ]
মূল লেখার লিংকঃhttps://sorolpath.wordpress.com/2011/01/20/বিবর্তনের-ভ্রান্ত-ধারণা/

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

টুম্পা মনি বলেছেন: ভুল প্রমাণ হলেই ভালো। পূর্ব পুরুষ বাঁদর ছিল এটা ভাবতে আমার একদম ভালো লাগে না।

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: এটা ভুল ক্রমান্বয়ে তাই প্রমান হচ্ছে এখন আর ভবিষ্যতেও হবে

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ গবেষণামূলক পোষ্টটির জন্য, পবিত্র কুরআনে ১৪০০ বছর আগে যা বলা হয়েছে বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে কুরআনে সত্যতা বার বার প্রমাণিত হচ্ছে।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল-কুরআনই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান।
সুতরাং যে মহান রব আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার চেয়ে আর বড় বৈজ্ঞানিক কেউ নেই।
এজন্য পবিত্র কুরআনের প্রত্যেকটি শব্দই সত্য। সুতরাং ইসলামবিদ্ধেসীরা পবিত্র কুরআনকে যতই মিথ্যা প্রমানের চেষ্টা করুক তারা কখোনো সফল হবে না। কারণ পবিত্র অাল-কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন আমি এটা নাযিল করেছি এবং আমি এর রক্ষাকারী।

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: জাযাকামুল্লাহ

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

মাসূদ রানা বলেছেন: @দুরন্ত বেদুঈন


চার্লস ডারউইন তার বিবর্তনবাদ তত্বটা হাজার বছর ধরে অতিসাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত একটা সাধারণ কুসংস্কারের উপর বেস করে দিয়েছিলেন । সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল, বানরপ্রজাতির ধীরে ধীরে চিন্তা চেতনায় উন্মেষ ঘটার ফসল আজকের এই মানব সভ্যতা .............. ডারউইন এটাকে গবেষনার মোড়কে উপস্থাপন করে বিজ্ঞান সমাজে এটার একটা স্পেস তৈরী করেন । কিন্তু এটার কোন যৌক্তিক কিংবা অর্থবহ কোন প্রমান প্রমানাদি,জোরালো ভিত্তি নেই, তাই এটাকে হাইপথেসিস (কাল্পনিক মতবাদ) হিসেবেই গন্য করা হয় ...........

তাছাড়া, এটা বিজ্ঞানের অন্যান্য সুত্রাবলির সাথেও সাংঘর্ষিক ............. উদা ১/ তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সুত্র ২/বিগ ব্যাং থিউরি ৩/সম্ভাব্যতা ।


আর লেখাটাও দারুন লেগেছে, ধন্যবাদ :)

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

আলী আকবার লিটন বলেছেন: ডারউইন নিজেও একই ধরণের উদাহরণ দিয়েছেন ; দৃষ্টান্তস্বরূপ তিনি তার প্রজাতির উৎস বইটিতে বলেছেন যে খাবারের খোঁজে পানিতে নামতে গিয়ে কিছু ভালুক কালের পরিক্রমায় নিজেরাই তিমিতে রূপান্তরিত হয়েছিল


হাহাহা
ভাল লিখেছেন

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: অথচ মানুষ তা নিয়াই কত্ত নাচানাচি করে

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আলী আকবার লিটন বলেছেন: একটু ভুল হল মনে হয় , মানুষ নয় মুক্তমনারা নাচানাচি করে। 8-| 8-| 8-|

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

Shaiful islam majumder বলেছেন: ডারউইনবাদ হচ্ছে বিজ্ঞানের কুসংস্কার! তার মানে আমরা বুঝলাম বিজ্ঞানেও কুসংস্কার রয়েছে!!

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৯

দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: বিজ্ঞানে আগে একরকম মনে হত আর এখন আরেকরকম , ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ।
আর যদি আপনি এর বিরোধিতাই করেন তাহলে এগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তি দেখান

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অন্য ব্লগারদের যুক্তি তর্কে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাদের মনের দৈন্যতা দেখে করুনা হয়। আপনি নিজেই বলেন থিয়োরী আর নিজেই বলেন যে এটা অসার প্রমানিত হয়েছে।

নিজের চোখে ম্যাবে ইভুলিয়াশন দেখতে হলে দেখুন কিভাবে ব্যাকটিরিয়া যখনই ফাজ দ্বারা আক্রান্ত হয়, কিভাবে ক্রিসপার ডিএনএ যোগ করে করে নতুন প্রজাতি তে পরিনত হয়। আপনি জেনে রাখুন নেক্সট নোবেল প্রাইজ এই ক্রিসপার ম্যাকানিজম বুঝার জন্য ই দেওয়া হবে।

আপনার নিজের লাইফ টাইমে যদি আপনি বিবর্তন ল্যাবে দেখতে পারেন, তাহলে বিলিয়ন বছরের মধ্যে নতুন নতুন মিউটেশন আহরনের মধ্যে কেন নতুন প্রজাতি উদ্ভব হবে না???

আপনাদের মত বাইবেল অনুসারীরা ও মনে করে যে মানুষের উদ্ভব ৫-১০ হাজার বছর আগে কিন্তু যদি মনে করে কারবন ডেটিং পদ্ধতি ভুল, তাহলে হয়ত এটা মানা যায় কিন্তু প্রাচীন মানুষের ফসিল রেকর্ডের কার্বন ডেটিং তো আর ভুল না (মিলিয়নস বছরের পুরানো)

যারা মনে করেন যে কার্বন অনু ভুল করে বয়স বলে, তাদের জন্য আমার অনুরোধ আপনাদের স্হান এই আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে না..... গো ব্যাক টু টাইম, you will get plenty of company!!!

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪৭

দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: নোবেল পুরস্কার দীর্ঘজিবী হোক ।
দুই হাজার পনের বছরে কোন মিউটেশন হইলনা কেন এইটা নিয়া কাইন্দা মরেন ।
ফসিল নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করবার ভুল প্রচেষ্টা
আপনি নিজেই দেখুন
লিংকঃhttp://www.baylor.edu/geology/index.php?id=62338
ভবিষ্যতই বলে দেবে কে সঠিক

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:২৫

নতুন বলেছেন: বিবত`ন প্রমান আপনার চারিপাশে আপনি দেখছেন তারপরেও আপনি দুনিয়াতে বিবত`ন হয় তা বিশ্বাস করেন না??

কয়েকটা প্রশ্নের?? :-

মানব জাতি আদম আ: + হাওয়া আ: থেকেই এসেছে তাই তো???

তাদের গায়ের রং কি ছিলো??? ( ধরে নেই কালো বা সাদা )

তাহলে এখন পৃথিবিতে এতো রং/চেহারা/আকারের মানুষ কোথা থেকে আসলো???

এটা বুঝতে হলে নিচের ছবিটা ভাল করে দেখুন..





প্রথম নারীর রং সাদা আর শেষের পুরুষের রং কালো...

এরা ধম` মতে এদের মাতা/পিতা এক ...

কোন আইডিয়া কিভাবে জাপান/ইউরোপ/আফ্রিকার মানুষের গায়ের রং...চেহারা..আকার এতো ভিন্ন হলো???

এটাও এক রকমের বিবত`ন... পরিবেশের সাথে খাপখাওয়াতে গিয়ে হাজার হাজার বছরে মানুষের এই পরিবত`ন হয়েছে....

তাহলে মিলিয়ন বছরে অনেক পরিবত`ন হতেই পারে তাইন???

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: আপনার জন্য এ লিংকঃhttp://humansarefree.com/2013/12/9-scienctific-facts-prove-theory-of.html

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২১

নতুন বলেছেন: হয়তো ডারউনের বিবত`নের পুরোটাই ১০০% ঠিক না... কিন্তু তার মানে ডারউনের বিবত`নবাদ ভ্রান্ত ধারনা হয়ে যায়না...

এটা একটা থিউরি... প্রমানিতো নয় ..

কিন্তু প্রকৃতিতে যে বিবত`ন আছে সেটা চারিপাশেই দেখা যায়...

আমার উপরের কমেন্টে মানুষের বিভিন্ন রং, চেহারা, আকারের ব্যাপারটা কিভাবে ঘটলো এবং এই ব্যপারে বিবত`ন ছাড়া কিভাবে ব্যাক্ষা করবেন>?

১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৫

দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: মেলানিনের কথা জানেন তো নাকি,সেটার তারতম্যের কারণে হয় গায়ের রং । এখানে বিবর্তন কই পেলেন ভাই ।

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৪

মাসূদ রানা বলেছেন: @নতুন

বিবর্তনবাদ কোন থিউরি নয়, ওটা একটা হাইপোথিসিস, কোন হাইপোথিসিস যদি ১০০% প্রমানিত হয়, তবেই তাকে থিউরি বলা হয় ..........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.