নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের ভূমিধ্বস জয় ও রাজনীতির নতুন মেরুকরন

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮


ডাকসু নির্বাচনের আগেঃ অসুস্থ মেঘমল্লারবসুকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ডাকসুর জিএস পদপ্রার্থী শিবিরের ফরহাদ।

ডাকসু নির্বাচনের পরেঃ
ডাকসুতে শিবিরের জয়ে শশী থারুরের উদ্বেগ, জবাব দিলেন মেঘমল্লার
✦ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের বিশাল জয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা ও ভারতের বিশিষ্ট রাজনীতিক শশী থারুর। তবে তার এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন ডাকসুর প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু।

বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ পোস্টে মেঘমল্লার সরাসরি শশী থারুরকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন— “প্রিয় মি. শশী থারুর, আমি নিশ্চিত এই বার্তাটি হয়তো আপনার কাছে পৌঁছাবে না। আর যদি পৌঁছায়ও, আপনি হয়তো এটিকে গুরুত্ব দেবেন না—মূলত আমার ইংরেজি আপনার মতো প্রাঞ্জল নয় বলেই। আমার নাম মেঘমল্লার বসু। সদ্য অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে আমি ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। রাষ্ট্রীয় সংস্থার সম্পৃক্ততা, ক্রমবর্ধমান ইসলামোফ্যাসিস্ট প্রবণতা, এবং বিপুল অর্থ ও শক্তির ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও আমি প্রায় পাঁচ হাজার ভোট পেয়েছি। বলা যায়, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধিত্ব করি।

আমার ভোটারদের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই—বাংলাদেশে ডানপন্থি রাজনীতি নিয়ে আপনার কোনো মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই। যদিও আপনার বিশ্লেষণ সঠিক যে, মানুষ দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে বিকল্প খুঁজছে, কিন্তু আপনি বোঝেন না যে আপনার মন্তব্য কেবল বাংলাদেশের অতি-ডানদেরই উপকার করে। আপনি উপলব্ধি করেন না, বাংলাদেশে মানুষ আপনাকে কিভাবে দেখে। আপনার বক্তব্য আসলে জামায়াতের জন্য প্রচার হয়ে দাঁড়ায়, অথচ আপনি একটুও বিনয় দেখান না।”

তিনি আরও লেখেন, “ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয় আপনার কাছে কেন এত উদ্বেগজনক? আপনি কি সেই একই ব্যক্তি নন, যিনি কেরালায় শবরিমালা মন্দিরে প্রবেশাধিকারের প্রশ্নে ডানপন্থি প্রচারণা চালিয়েছিলেন কেবল সিপিআইএম-কে হারানোর জন্য? যদি কোনো প্রতিবেশীকে উপদেশ দেওয়ার ইচ্ছে থাকে, তবে আগে নিজ দেশের জাতীয় নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্টদের হারান। একটা প্রবাদ আছে—যারা কাচের ঘরে থাকে, তারা অন্যের ঘরে পাথর ছোড়ে না। যারা তিনবার পরপর মোদি আর অমিত শাহকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের অন্য দেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে মাথা ঘামানোর বিলাসিতা থাকা উচিত নয়।’

ভারতের ভূমিকাকে বাংলাদেশের জন্য ‘বিষাক্ত’ বলে আখ্যা দিয়ে মেঘমল্লার লিখেছেন, ‘আপনার এই মন্তব্যই আসলে শিবিরকে শক্তি জোগায়। যদি হাতে এত অবসর থাকে, আপনি আরও স্ট্যান্ড-আপ শো করতে পারেন। আপনার আগেরটা যথেষ্ট বিনোদনমূলক ছিল। আমরা আমাদের সমস্যার সমাধান নিজেরাই করব। আশা করি ভারতের জনগণও একদিন হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্টদের ভোটে হারাতে পারবে। আমরা বাংলাদেশে ইসলামোফ্যাসিস্টদের প্রতিরোধে প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। প্রয়োজনে আমরা একে অপরের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করব। কিন্তু দয়া করে এই বক্তৃতা দেওয়া বন্ধ করুন। আপনার দেশ আমাদের থেকে কোনো অংশে ভালো নয়।’

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে শশী থারুর ডাকসুতে জামায়াত-সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের সাফল্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ‘এটি হয়তো বেশিরভাগ ভারতীয়র কাছে আলোড়ন সৃষ্টি করেনি, কিন্তু এটি ভবিষ্যতের জন্য এক অশনি সংকেত। বাংলাদেশে এখন দুই প্রধান দল—আওয়ামী লীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) এবং বিএনপি—উভয়ের প্রতিই মানুষের বিরক্তি বেড়েছে। অনেকেই উভয়ের সর্বনাশ হোক’ মনোভাব থেকে জামায়াতের দিকে ঝুঁকছে। তারা জামায়াতকে বেছে নিচ্ছে না ধর্মীয় উগ্রতার কারণে, বরং এজন্য যে দলটি, সঠিক হোক বা ভুল, দুই মূল ধারার দলের মতো দুর্নীতি ও কুশাসনে কলঙ্কিত নয়।

থারুর আরও প্রশ্ন তোলেন, ‘এই প্রবণতা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে কীভাবে প্রতিফলিত হবে? ভারতকে কি তখন প্রতিবেশী হিসেবে জামায়াত সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে?’

বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির সাম্প্রতিক এই ফল নিয়ে দুই দেশের এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাল্টাপাল্টি মন্তব্য নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ~ সুত্র 'কালবেলা'


ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের বিজয় এর পেছনে কারন ও ছাত্রদলের ভোট বর্জন নিয়ে ~আমার অতি অপছন্দের মানুষ রুমিন ফারহানের কথা শুনুন।

রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শিবির সমর্থিত প্যানেলের দোয়া ও মোনাজাত।

✦ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি বলেন, ‘শহীদরা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। তাঁরা আমাদের রাস্তা দেখিয়েছে। শহীদদের আমানত—বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। সেই স্পিরিট পুনর্জাগরণে আমরা শহীদদের কবর জিয়ারত করতে এসেছি। আমরা সব শহীদ পরিবারে যাওয়ার চেষ্টা করব। ফোনেও কথা বলার চেষ্টা করেছি। জুলাইয়ে শহীদদের পরিবারই আমাদের পরিবার।’~ সুত্র প্রথম আলো
✦ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম বলেন, আজ আমরা রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের জন্য দোয়া, জুলাই বিপ্লবের শহীদদের গণকবর জিয়ারত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম অগ্রপথিক নবাব সলিমুল্লাহর কবর জিয়ারত করেছি। শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আজকের আজাদি, তাই তাদের স্মরণ করাই আমাদের প্রথম কাজ।
~ সুত্র 'জনকণ্ঠ'
✦ওদিকে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন বলেছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে ভারত ঠিকপিলখানা হত্যাকাণ্ডের মত নব্য অভ্যুদায়ের বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করে ফেলার জন্য। বুদ্ধিজীবীরা বেশীরভাগ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না তারা মুলত পাকিস্তান প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ছিলেন। ( মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস মনে হয় নতুন করেই লিখতে হবে!!)

মাহমুদুর রহমান মান্নার সাথে ডাকসুর ভিপি জিএস পরামর্শ চাইলেন।
কাল একটা টিভি টকশোতে মান্না বলছজিলেন; আমি কোনদিন ভাবিনি যেটা- আজ ডাকসুর ভিপি-জি এস একেবারে অভাবিতভাবে আমার সাথে সাক্ষাত করতে এসেছিল। দেখেন সুনাম বা প্রশংসা যেটা করার করতেই হবে। দল ও মতবাদ ভিন্ন বলেই আমি শুধু তাদের সমালোচনা করব এটা তো হয় না।
ওদেরকে আমি আগ বাড়িয়ে ভবিষ্যত রাজনীতি নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছিলাম কিন্তু তারা বিনয়ের সাথে আমাকে বলল, আমরা রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী নই। আপনি ডাকসুর দুইবারের ভিপি ছিলেন, আপনি আমাদের পরামর্শ দিন কিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সমস্যার সমাধান করা যায়? আমি এমনটা ভাবিনি এই প্রজন্মকে আমরা বুঝতে পারছি না- এদের পালস আমরা ধরতে পারছি না। আমি বাসায় যখন হেমন্তের গান শুনি, তখন আমার ছেলে এসে বলে - এইসব গান শুনে তুমি দেশোদ্ধার করবা??

অসুস্থ নুরুর সাথে দেখা করলেন ডাকসুর ভিপি জিএস সহ কয়েকজন।

এর আগে ছাত্রদল বলেছিল;
✦গণঅধিকারের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলায় জামায়াতে ইসলামী জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান। জামায়াত পরিস্থিতি ঘোলাটে করে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আমার কথাঃ
শিবির মূলত জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গসংগঠন; এদের গায়ে লেগে আছে স্বাধীনতাবিরোধী ও রাজাকারের গন্ধ! আওয়ামীলীগের সময় কাউকে হত্যা করা হলে বা ক্রস ফায়ারে দিলে কিংবা গুম করা হলে শুধু শিবির জামাতের কর্মী ট্যাগ দিয়ে দিলেই সেটা সার্টিফায়েড হালাল হত্যাকাণ্ড হয়ে যেত!! কি আজব দেশরে ভাই!!! এরা ভাল কাজ করলেও সেটার পেছনে কোন দুরভিসন্ধি কিংবা দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের গন্ধ খুঁজে পায় কতিপয় মানুষ। এই করতে করতে আমরা হেরে যাচ্ছি- মুক্তিযুদ্ধ ও রাজাকার নিয়ে অতি লেবু কচলিয়ে আমরা এমন তেতো করে ফেলেছি যে, এই থেকে পরিত্রাণের কোন পথ নেই। আমি আর অবাক হবো না যদি ভবিষ্যতে পার্লামেন্টে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জামায়াত সরকার গঠন করে। এটা আমাদের অতি আক্রমনাত্মক কৌশলের প্রতিফল আর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত চুলকানীর ফসল বলে বিবেচিত হবে।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২০

নতুন বলেছেন: আয়ামীলীগ রাজাকার শব্দটার খুব বাজে ব্যবহার করেছে।

তবে এখনো জাশিরা বিশ্বাস করে ১৯৭১ এ বাংলাদেশ সৃস্টি ভুল ছিলো।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: যে যে ভাবেই বলেন না কেন জামায়াত-শিবির খুবই সুসংগঠিত একটা দল। আপনার কথাটি ঠিক ওরা সময় মত ওদের স্ট্রাটেজি চেঞ্জ করছে তবে এদের পুনর্বাসনের জন্য পুরোপুরি ক্রেডিট পেতেই পারে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর আর এখন বিএনপি বাকি কাজ করে দিচ্ছে।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: জামাত শিবির রাজাকার এগুলো দেশের শত্রু। বাংলাদেশের মানুষ এদের কোনোদিন ক্ষমা করবে না। ইনিয়ে বিনিয়ে এদের গুনগান যারা গাইবে, জাতি তাদেরও ঘৃণা করবে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তো মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা ছিল রাজাকারের কোটা তো ছিল না। যে ২৭২৮ হাজার ছেলেপেলে ভোট দিল তার মধ্যে শিবিরের ভিপি একাই পেয়েছে ১৪ হাজার এর উপরে, তার মানে কি আপনি আপনার নেত্রীর মতো বলতে চান এটা সবাই রাজাকারের ছেলেপুলে?
এই মুক্তিযোদ্ধাও আর রাজাকারের ডোজ আর বেশি দিন গেলানো যাবে না ভাই।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনা্র পোষ্ট আগের মতই ভালো হয়েছে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ।
আপনাকে তো আমার পোস্টে দেখাই যায় না ইদানিং!
যদিও দোষটা আমারও আমিও আপনার পোস্টে খুব কম যাই :(

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



মেঘমল্লার বসুর জবাবটা সত্যিই দুর্দান্ত হয়েছে—যাকে বলে দাঁতভাঙা উত্তর। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। আসলে শশী থারুর হোন বা মোদী-অমিত শাহ—সবাই একই ক্ষুরে মাথা মুড়ানো। নিজেদের দেশের গভীর সংকট ও ব্যর্থতার দিকে চোখ ফেরান না, কিন্তু প্রতিবেশী দেশ নিয়ে মন্তব্য করতে সর্বদা তৎপর।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে থারুরের বক্তব্যও সেই একই মানসিকতার প্রতিফলন ছাড়া আর কিছু নয়। এত বছর ধরে চেষ্টা করেও ভারতের শাসনক্ষমতা থেকে মোদীর দলের মতো উগ্র হিন্দুত্ববাদী জগদ্দল পাথর সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় শশী থারুরের নিজেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। অবশ্য, ওদের লজ্জা শরম থাকলে তো!!! :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: বসুকে আমার বরবরই বিরিক্তিকর লাগে- কিন্তু শশীথারুর মন্তব্যের এত সুন্দর জবাব দেয়ার পরে তাকে আমার প্রকৃত বাংলাদেশী ( সনাতন ধর্মালম্বী) মনে হচ্ছে। ধপ্ররমের ও অন্য দেশের গোলামীর ভিত্তিতে নয় নিজেকে সে একজন প্রকৃত বাংলাদেশী হিসেবে প্রমান করেছে।
ধন্যবাদ -ভাল থাকুন।

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৪

janice548 বলেছেন: AESsuccess, run by PHEAA, services your student loans, letting you manage payments and check balances via the AESsuccess org login portal. Never use fake login pages! Skip the FAQ—this guide makes AESsuccess login effortless.

https://www.aessuccess.com.co

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: ভাইডি কিচ্ছু বুঝি নাই :(

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪২

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: লেখাটা খুব ভালো লাগলো

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি মনে হয় এর আগে আমার ব্লগে তেমন একটা মন্তব্য করেননি। কিন্তু আমরা প্রায় একই সময় ব্লগে এসেছি-আপনার কবিতা নিয়মিত দেখি, কিন্তু মন্তব্য করা হয় না।
ধন্যবাদ

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৪

রাসেল বলেছেন: মেঘমল্লার বসুর জবাবের সাথে সহমত প্রকাশ করছি এবং ধন্যবাদ জানাইতেছি। ভারতের অতি সচেতনতা, বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়। ইহা অনস্বীকার্য যে, আপনার লেখায় উল্লেখিত শশী থারুর মন্তব্যের দ্বিতীয় sentence থেকে তিনি বাংলাদেশের বিষয়ে সঠিক কথা বলেছেন।
বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাসী এবং একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে জানতে চাই, চোর বাটপারের বিকল্প হিসাবে, জামাত শিবির দেশের জন্য কি ধরনের ক্ষতি বয়ে আনতে পারে; দেশের অর্থনীতি, সামাজিকতা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের পাকিস্তানের সাথে একীভূত হওয়ার কোন সম্ভাবনা এবং কারণ নেই, যা নিয়ে বাংলাদেশের ভারত প্রেমীরা খুব উদ্বিগ্ন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। শশীথারুর মন্তব্যের ঐ অংশটুকু ঠিক আছে কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর এত উদ্বেগ ঠিক নাই।

চোর বাটপারের বিকল্প হিসাবে, জামাত শিবির দেশের জন্য কি ধরনের ক্ষতি বয়ে আনতে পারে; দেশের অর্থনীতি, সামাজিকতা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে।
আমাদের চারপাশে অনেকেই ভাবছে অন্যদলগুলোর তো দেখলাম এবার জামায়াতের একটা ভোট দিয়ে দেখি। তালেবানের মত জামায়াতকে নারীরা খুব একটা ভয় পাচ্ছেনা। তারা ইরানের উদারধর্মীয় নীতি ফলো করছে।

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৯

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: মান্না সাহেব যদি মনে করেন শিবির ওনার কাছে রাজনৈতিক পরামর্শ নিতে গিয়েছিল , তাহলে বলতে হবে মান্না সাহেবের বুদ্ধিবৃত্তিকে আমি ওভার এস্টিমেট করেছিলাম।
চিন্তাভাবনায় বাস্তবদর্শী হতে হবে। আপনার সঙ্গে যদি রাস্তায় হঠাৎ করে গলু বা রানুর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, আর এরা যদি হাসিমুখে কথা বলে, তাহলে কি আপনি ধরে নিবেন এরা সদিচ্ছা থেকে হাসিমুখে কথা বলছে? কখনোই না, বরং এটাই বুঝতে হবে যে এরা ধার চাইতে যাচ্ছে অথবা আপনার পকেট মারার তালে আছে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: :) এটা ঠিক তিনি অবশ্য একটু অন্যভাবে নিজেই স্বীকার করেছেন ব্যাপারটা।
তিনি মনে হয় বলেছেন যে, ডাকসুর একজন সফল ভিপি হলেই যে তিনি রাজনীতিতে কৌশলী হবেন এমন কোন কথা নেই। আমি দুইবারের ডাকসু ভিপি কিন্তু দেখেন এই পর্যন্ত সংসদে যাওয়া তো দুরের কথা এতদিন রাজনীতি করে আমার নিজের ও দলের সফলতা বলতে কিছুই নেই।

আপনার শেষ মন্তব্যটুকুর জন্য শুধু একটা হাসির ইমো দিচ্ছি :)

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৯

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




ইউক্রেন ও পুটিন নাকি এখন বাংগালী আদম কিনছে?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: উক্রাইন ও পুতিন হবে। আপনি দরপত্রে অংশগ্রহন করুন।

১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৭

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: @গলু- নিউইয়র্কের কালোরা আপনার পিছন দিকে ঠিকমতো বোরিং করতে পারতেছে না? ব্লগের কাউকে দিয়ে বোরিং করাতে চাচ্ছেন? চাটগাঁয়ের ক্লাসি ব্লগারদেরকে দিয়ে বোরিং করায়ে নেন। দেশি ভাই হওয়ার কারণে আপনাকে বিনা পয়সায় বোরিং করে দেবে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১

শেরজা তপন বলেছেন: কোন গালি, গলাধাক্কা কিংবা মানসিক শাস্তি দিয়ে উহাকে দমানো যাবে না। উহা একটা মাল বটে

১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫০

কৃষ্ণের মুরলী বলেছেন: শিবির মনে হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ ছাত্রীদের পানি পড়া খাইয়েছে। এই ভোট মানি না। আপার নির্দেশে ছাত্রলীগ সব ভোট শিবিরকে দিয়েছে মনে হয়।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: তাহলে জগন্নাথ হলের ব্যাপারটা কি হইল?

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫০

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: শিবিরের রায়েরবাজার টুরের ব্যাপারে বলতে হয়-: বিএনপিতে লেজ কুকুর নাড়ালেও জামাত শিবিরে সব সময় কুকুরই লেজ নাড়ায়।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০২

শেরজা তপন বলেছেন: ওরা এখন ডিফরেন্ট একটা গেইম খেলছে- প্রতিটা পদক্ষেপ খুব সাবধানে নিচ্ছে। বাইরে থেকে বোঝা বা অনুমান করা মুশকিল।

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



মস্কোতে, নো-ওমেন, নো-ক্রাই কি আমি গেয়েছি যে, দরপত্র দেবো? ওরা তো প্রফেশালদের থেকে নেয়ার কথা!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: এই পোস্টে আমি যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি ওই বিষয়বস্তু আলোচনা করার ইচ্ছা বা যোগ্যতা থাকলে করেন না হলে ফুটেন।
উক্রাইনে আপনার গো-প্রাণ রানু সহ যে সব চেলাচামুন্ডা আছে তাদের এই চান্সে পাঠিয়ে দেন।

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



গিরিগিটি রং বদলাতে পারে প্রতি মিনিটে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

শেরজা তপন বলেছেন:
রংডা পছন্দ হইছে কাকু?

১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০১

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা যারা ৮০+— তারা হয়তো বর্তমান প্রজন্মকে ঠিক মতো বোঝি না। বোঝার কথাও না।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমরাই ঠিক ঠাক বুঝি না- আপনারা আর কি বুঝবেন :(

১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৩

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: মেঘমল্লার দুইদিন আগেও অবস্য ভিন্ন কথা বলেছে। তাও ভাল যে , তার বোধদয় হয়েছে। এই বোধদয় যদি বিএনপির হত , তাহলে ভাল হত।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ওর কথাবার্তা এর আগে আমার ভাল লাগেনি। ওদের পুরো গ্রুপটাই একটু উগ্রবাদী আচরন করছিল।
বি এন পির বোধদয় আর হবে বলে মনে হচ্ছে না। অতি সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট হয়ে গেছে! তারেকের লন্ডনবাস দলের জন্য মতেই ভাল কিছু বয়ে আনছে না- বেশ দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিল, হেলায় হাতছাড়া করছে।

১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখাটার মূল বক্তব্য - অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অতিরিক্ত চুলকানি, এর সাথে আমি একমত নই।

তবে ডাকসুতে শিবিরের ভূমিধ্বস জয়ের কারণগুলো আপনি যেভাবে উল্লেখ করেছেন, সেটা দুর্দান্ত হয়েছে। এবং পোস্ট টা পুরোটা মিলে দারুন সুখপাঠ্য হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ এবং রাজাকার কেন এখনও অতি প্রসঙ্গিক - সেটা ফেসবুকে অন্য একজন লেখকের লেখা থেকে নিচের মন্তব্যে কপি করলাম। আপনার তথ্য-উপাত্তের প্রতি আগ্রহের কারণেই এটা করছি। মুক্তিযুদ্ধের লেবু আসলে এখনও ভালোভাবে চাপাই হয়নি - তেতো হওয়াতো দুরের কথা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১১

শেরজা তপন বলেছেন: আমার বক্তব্য একটু বেশী এগ্রেসিভ হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে!
আপনি কি ডার্ক হিউমার করলেন কি না বুঝতে পারছি না B:-)

১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: "মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর সর্বপ্রথম আল বদরের চীফ এক্সিকিউটর আশরাফুজ্জামান খানের ৩৫০/ নাখালপাড়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ডায়েরি। সেই ডায়েরিতে পাওয়া গিয়েছিলো ২০ জন বুদ্ধিজীবীর নাম। এরা সবাই পরবর্তীতে নিখোঁজ হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৮ জন বুদ্ধিজীবীকে আশরাফুজ্জামান খান নিজে গুলি করে হত্যা করেছিলেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া সাক্ষ্যে উল্লেখ্য করেছিলেন সাক্ষী মফিজুদ্দিন।

এই বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ড. আবুল খায়ের, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, রশিদুল হাসান, ড. ফয়জুল মহী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ গোলাম মুর্তজা।

মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীতে গভর্নর হাউসের (বর্তমানে বঙ্গভবন) একটি ডেস্কে পাওয়া গিয়েছিলো রাও ফরমান আলীর স্বহস্তে লেখা একটি ডায়েরি। এই ডায়েরিতে ছিলো প্রায় ৩ হাজার বুদ্ধিজীবীর নাম সম্বলিত একটি বিশাল তালিকা। এর মধ্যে বহু বুদ্ধিজীবীর নামের পাশে ছিলো ক্রসচিহ্ন, কোন কোন নামের পাশে লেখা ছিল বাড়ির নাম্বার, এবং কিছু যোগ করা মন্তব্য।

যাদের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন ছিলো তাঁদের মধ্যে সব বুদ্ধিজীবীই নিখোঁজ হয়েছিলেন। নোটশিটের এক জায়গায় লেখা ছিলো বুদ্ধিজীবীদের স্ব-স্ব বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া ও আলবদরদের যাতায়াতের জন্য গাড়ীর ব্যবস্থা করবেন ক্যাপ্টেন তাহির। রাও ফরমান আলীকে এই বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা করতে সহযোগিতা করেছিলেন আলবদরের শীর্ষ নেতারা।

মুক্তিযুদ্ধের ১৫ নভেম্বর সকালে ধানমণ্ডির হাতিরপুলের ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের বাসার সামনে থেকে আলবদরেরা তুলে নিয়ে যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক ডাঃ আজহারুল হক ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হুমায়ুন কবীরকে।

পরদিন ১৬ নভেম্বর তাঁদের লাশ পাওয়া যায় নটর ডেম কলেজের দক্ষিণপূর্ব কোনে থাকা একটি কালভার্টের নিচে। উদ্ধারের সময় তাঁদের দুই হাত, পা এবং চোখ ছিল বাঁধা। ছিল শরীরে আঘাতের চিহ্ন। ধারনা করা হয় তাঁদেরকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিলো।

এই দুই চিকিৎসকের শহীদ হওয়ার মধ্য দিয়েই মূলত সূচিত হয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধে সুপরিকল্পিত কায়দায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের নীলনকশার বাস্তবায়ন। মুক্তিযুদ্ধের ১৫ নভেম্বরে শুরু হওয়া সুপরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড চলেছে ১৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত।

ডাঃ আজহারুল হক ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হুমায়ুন কবীরকে হত্যা করার পর বুদ্ধিজীবী নিধনের দ্বিতীয় শিকার ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেন। ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে শান্তিনগরের চামেলীবাগের ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। এরপর ১১ ডিসেম্বর ভোর চারটা ও ছয়টার দিকে পুরনো পল্টন ও গোপীবাগের বাসা থেকে যথাক্রমে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পিপিআইর প্রধান প্রতিবেদক সৈয়দ নাজমুল হক ও দৈনিক পূর্বদেশের প্রধান প্রতিবেদক এএনএম গোলাম মুস্তাফাকে।

১২ ডিসেম্বর কলতাবাজারের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পিপিআইর জেনারেল ম্যানেজার নিজামউদ্দিন আহমেদকে। একি কায়দায় ১৩ ডিসেম্বর সকাল আটটায় নিখোঁজ হন মহসিন হলের হাউস টিউটর ড. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। এদিন দুপুরের দিকে সিদ্ধেশ্বরীর ১১৫ নম্বর নিউ সার্কুলার রোডের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দৈনিক শিলালিপির সম্পাদক সেলিনা পারভীরকে।

১৪ ডিসেম্বর একে একে বুদ্ধিজীবীদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আলবদর সদস্যদের সহযোগিতায় তুলে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। যার সূচনা হয় দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীকে উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমে। মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীকে উঠিয়ে নেয়ার সময় মুখের কাপড় সরে গেলে প্রকাশ পায় নির্দেশদাতা চৌধুরী মঈনুদ্দীনের চেহারা। এদিন নিখোঁজ হন নাট্যকার মুনীর চৌধুরী ও শহীদুল্লা কায়সার সহ অসংখ্য বুদ্ধিজীবী। ১৪ ডিসেম্বর ঠিক কতজন বুদ্ধিজীবীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো তার সঠিক সংখ্যা পাওয়া যায়না।

১৫ ডিসেম্বর দুপুর ও বিকেলে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলের ক্লিনিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ ফজলে রাব্বি ও প্রখ্যাত চক্ষু চিকিৎসক ডাঃ আবদুল আলীম চৌধুরীকে।

১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আলবদর সদস্যরা আজিমপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদকে। আবুল কালাম আজাদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে পরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ বুদ্ধিজীবী।

দেশ স্বাধীনের পর পরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে গুটি কয়েকজনের অর্ধ গলিত লাশ পাওয়া গিয়েছিলো রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। কারো কারো লাশ ততদিনে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা হয়েছিলো পরনের কাপড় ও জুতা দেখে।

১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব বুদ্ধিজীবীদের তুলে নেয়া হয়েছিলো তার বেশীরভাগ ঘটনাতেই উপস্থিত ছিলেন আলবদরের চিফ এক্সিকিউটর আশরাফুজ্জামান খান এবং অপারেশন ইনচার্জ চৌধুরী মুঈনুদ্দীন। আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মঈনুদ্দীন দুজনেই ছিলেন ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য।

আর পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন আল বদরের প্রতিষ্ঠাতা মতিউর রহমান নিজামী, সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আলী আহসান মুজাহিদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ এহসান, ঢাকা মেডিকেলের ইসলামী ছাত্র সংঘের প্রধান এমরান, এ বি এম খালেক মজুমদার, মওলানা আবদুল মান্নান ও আবদুল কাদের মোল্লা।

ঢাকায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে আলবদর সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলো কিছু বিহারীও। ঢাকায় বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় ব্যবহার করা হয়েছিলো কাদালেপা মাইক্রোবাস ও ইপিসিএফের গাড়ী।

১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো।

বুদ্ধিজীবীদের উপর নির্যাতনের একটি বর্ণনা পাওয়া যায় চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া রাষ্ট্রপক্ষের ২২তম সাক্ষী দেলোয়ার হোসেনের বর্ণনায়। দেলোয়ার হোসেন ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। পাকিস্তানী বাহিনীর এক উইং কমান্ডারের সঙ্গে তাঁর তর্ক হওয়ায় তাঁকেও বুদ্ধিজীবীদের তালিকায় রেখেছিলো রাও ফরমান আলী।

ট্রাইব্যুনালে দেয়া সাক্ষ্যে তিনি বলেন, 'আমাকে ধরে নিয়ে যায় চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান। আমাকে প্রথমে নেয়া হয় মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে। এটি ছিল আলবদরের হেড কোয়ার্টার। সারাদিন কেটে যাওয়ার পর আরও কিছু লোক ধরে এনে একই ক্যাম্পের একই হলঘরে রাখা হলো।

আমি তখন একটি দেয়ালের কাছে কাঁৎ হয়েছিলাম। বন্দিদের একজন আকুতি করে বলছিলেন, তার হাতে খুব ব্যথা হচ্ছে। কেউ যদি থাকেন, তার হাতের বাঁধনটা যেন খুলে দেন। তখন আমি ধীরে ধীরে ওই লোকটির কাছে গিয়ে তার হাতের বাঁধনটি খুলে দেই।

হাতের বাঁধন খোলার সময় আমি লোকটিকে চিনতে পারি। তিনি আর কেউ নন, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগের ছাত্র হলেও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীদের ভালোভাবেই চিনতাম।

১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ওই হলঘরে রড দিয়ে মুনীর চৌধুরীকে পেটানো হয়। তখন তার মুখ দিয়ে গল গল করে রক্ত ঝরছিল। একইভাবে মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী স্যারকেও তারা লোহার রড দিয়ে পেটান। ওই একই সময় সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল। সেলিনা পারভীন বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন। সেলিনা পারভীন জানান, তাকে ছেড়ে দিলে তিনি আর কখনো ঢাকায় আসবেন না এবং পত্রিকায় লেখালেখি করবেন না। তারপরও ঘাতকরা তাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেন।'

১৯৭২ সালে ২ জানুয়ারি দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ‘কাটাসুরের বধ্যভূমি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন অধ্যাপিকা হামিদা রহমান। তিনি লিখেছিলেন সেলিনা পারভিনের বিকৃত লাশ পড়ে থাকার বিষয়েও।

‘সামনে চেয়ে দেখি, নিচু জলাভূমির ভিতর এক ভয়াবহ বীভৎস দৃশ্য। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুল আলীম চৌধুরীর চোখ দুটো উপড়ানো, শূন্য কোটরে জমে আছে চাপ চাপ কালচে রক্ত। নিষ্প্রাণ পড়ে আছে দেহটা। সেখানে এক নয়, দুই নয়— একেবারে বারো/তেরোজন সুস্থ সবল মানুষ। একের পর এক শুয়ে আছে, প্রত্যেকের দেহটা মোরব্বার মতো কেঁচে ফেলা হয়েছে বেয়নেট দিয়ে। এরপর আরও একটু এগিয়ে যেতেই সামনে বড় বড় দুটো মস্ত মানুষ, নাক কাটা, কান কাটা, মুখের কাছ থেকে কে যেন খামচিয়ে মাংস তুলে নিয়েছে হাত-পা বাঁধা...।

আর একটু এগিয়ে যেতেই বাম হাতের যে মাটির ঢিবিটা ছিল তারই পাদদেশে একটি মেয়ের লাশ। মেয়েটির চোখ বাঁধা। মুখ ও নাকের কোনো আকৃতি নেই— কে যেন অস্ত্র দিয়ে তা কেটে খামচিয়ে তুলে নিয়েছে। স্তনের একটি অংশ কাটা মেয়েটি সেলিনা পারভীন, সাংবাদিক, শিলালিপির এডিটর!'

ডাঃ ফজলে রাব্বির লাশটি দুই চোখ উপড়ানো। সমগ্র শরীরে জুড়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আঘাতের চিহ্ন। দু হাত পিছনে গামছা দিয়ে বাঁধা। লুঙ্গিটা উরুর উপরে আটকানো। হৃদপিন্ড আর কলিজাটা ছিঁড়ে ফেলেছে আলবদরেরা।

জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ নিয়াজী তার লেখা আত্মজীবনী ‘The Betrayal of east pakistan’ বইতে লিখেছিলেন রাও ফরমান আলীর ডায়েরিতে লেখা ছিলো ‘Green of East pakistan will have to be painted red. It was painted red by Bengali blood.’

নিয়াজীর ভাষ্যেও উঠে এসেছিলো বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পিছনের সবচেয়ে বড় কারিগর রাও ফরমান আলী।

পাকিস্তানীদের দৃষ্টিতে একাত্তর বইতে উঠে এসেছিলো পাকিস্তানী জেনারেলদের বক্তব্য। সেখানে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুনতাসীর মামুনের প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী বলেছিলেন, 'বুদ্ধিজীবীরা আমার কাছে কোন তাৎপর্যের অধিকারী ছিলেন না। আমার ছিল অস্ত্রধারী দুশমনদের নিয়েই মাথা ব্যথা।

তাই বুদ্ধিজীবীরা আমার কোন বিষয় ছিলেন না। তবে আলতাফ গওহর একথা উল্লেখ্য করেছেন যে, কেউ একজন আমাকে জানায় যে, ফরমানের কাছে বুদ্ধিজীবীদের একটি তালিকা রয়েছে। আমি সেটার সত্যাসত্য যাচাই করার জন্য কেউয় একজনকে পাঠাই আর তার অনুরধে রাও ফরমান ঐ তালিকা থেকে দু'টি নাম কেটে বাদ দেন।

আমি বিষয়টা জানতাম না। আমি এটি আলতাফ গওহর কাছ থেকে জেনেছি।' যে দুজনের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিলো। এই দুজনের মধ্যে একজন হলেন কবি সানাউল হক। তিনি আলতাফ গওহরের বন্ধু ছিলেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য গাড়ীর ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।

বলা বাহুল্য যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ আলবদর সদস্যই ছিল ইসলামী ছাত্রসংঘ থেকে আগত। ইসলামী ছাত্রসংঘ ছিল পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন। দেশ স্বাধীনের পর ইসলামী ছাত্রসংঘ বিলুপ্ত হয়ে যায়। ১৯৭৭ সালে জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গসংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী ছাত্র শিবির।

ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মীর কাসেম আলী ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আল বদর বাহিনীর প্রধান। যার নেতৃত্বে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার পুরাতন টেলিগ্রাফ রোডের হিন্দু মালিকানাধীন মহামায়া ডালিম ভবন দখল করে সেখানে স্থাপন করা হয়েছিলো হয় চট্টগ্রামের সবচেয়ে নারকীয় টর্চার সেল। "

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: আমার বড় বড় পোস্টের জন্য আপনি মনে হয় মন্তব্য দিয়ে ঝাল তুললেন!

আচ্ছা প্রথমে শহিদ্দুল্লাহ কায়সার ও পরে জহির রায়হানের অন্তর্ধানের ব্যাপারে আপনি কি বলেন?
আমিতো জানি তিনি হুমকি দিয়েছিলেন আওয়ামীলীগ নেতাদের; ভারতে বসে যুদ্ধকালীন সময়ে নেতারা কি রঙ্গলীলা করেছেন সে বিষয়ে তাঁর কাছে এভিডেন্স আছে- তাঁর ভাইকে যদি ফেরত না পাওয়া যায় তাহলে সে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সেই এভিডেন্স ও তথ্যচিত্র ফাঁস করে দিবেন। যেদিন তাঁর সেসব এভিডেন্স ফাস করে দেয়ার কথা ছিল তাঁর আগেরদিন রাতে গুম হন।
আচ্ছা রাও ফরমান আলীর ওই ডায়েরিটা কি ভারতীয় 'র' এর সাজানো নাটকের মঞ্চায়ন হতে পারে না?
রাও ফরমান আলী এসব ব্যাপার বার বার অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন যুদ্ধের শেষ সময়টা তিনি ঠুটো জগন্নাথ হয়ে ছিলেন। নিয়াজী এর কেন্দ্র দুটোই তাঁর পরামর্শ শুনছিল না, সেখানে এতবড় একটা হত্যাযজ্ঞের প্লান তাঁর জন্য অসম্ভব ছিল। তাদের তখন এমন শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ই ছিল না। ভারতের এয়ারস্ট্রাইক আর অল আউট এট্যাকে কে কোন দিক দিয়ে জান নিয়ে পালাবে সেই নিয়ে ব্যস্ত ছিল।
এ বিষয় নিয়ে আসছি আমি সামনে কোন এক লেখাতে- আশা করি সাথে থাকবে। আমরা দুপক্ষই তথ্য উপাত্ত্ব নিয়ে বসব- খোলামনে।

১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১২

শেরজা তপন বলেছেন: খুব ভাল আমি কিন্তু শ্রাবন ধারার একটা মন্তব্য পড়ে ক্লান্ত হয়ে গেছি, আপনি কি পড়েছেন?

২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব যারা তলে তলে জামাত। তারা মূলত ক্রিমিনাল। এই ক্রিমিনালদের সংখ্যা অনেক।

আজকাল আমি বুঝতে পারছি, তলে তলে বহু শালা জামাত। কিন্তু মুখ ফুটে বলে না।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১১

শেরজা তপন বলেছেন: জনাব রাজীব সাহেব, ধরুন যে আমি জামাত করি, তবে আমি কিভাবে কেন ক্রিমিনাল সেটা আমাকে একটু বুঝিয়ে বলুন? ক্ষমা চাইতে হলে যুদ্ধ অপরাধের জন্য সেটা দল চাইবে আমি তো মুক্তি যুদ্ধের সময় একেবারেই শিশু ছিলাম তাহলে আমার দায়টা কিসের? ধরুন আপনি সক্রেটিসকে আদর্শ মানেন, কিন্তু সত্যি কারে তাঁর জীবন যাপন সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আপনি কতটুকু জানেন। যারা তার কথা লিখে গেছে তারা কি সব সত্য লিখে গেছে তিনি কি আপনার জানাশোনা সেই ফেরেশতার মতো অমন মানুষ ছিলেন? আপনি তার বন্ধুদের কাছে এক রকম রূপ পাবেন তার স্ত্রীর কাছে আরেক রকম তার সন্তানদের কাছে একেবারেই অন্যরকম। আপনি নিজেকেই নিয়ে দেখুন নির্ভেজাল একজন নিরীহ টাইপের মানুষ- কিন্তু চমৎকার ভালোবাসা পাওয়ার পাশাপাশি কত মানুষ আপনাকে ভয়ংকর ভাবে ঘৃণা করেন। যারা ভালবাসে তাদের কাছে আপনি আপনার শুধু ভালো গুণগুলো শুনবেন আর যারা আপনাকে অপছন্দ করে তারা শুধু আপনার বদগুণগুলো বলবে। যার কোনটাই আদৌ আপনি নন।
জামায়াতে ইসলামের একজন রোকনের কাছে আপনি যান, তার কথায় মনে হবে তাদের দলে মানুষ নেই শুধু ফেরেশ্তা আছে, আর তারা ক্ষমতায় আসলে চারিদিকে শুধু বেহেশ্তের শান্তি বিরাজ করবে ওদিকে আপনার গুরুর কাছে জিজ্ঞেস করেন, ঠিক এর উল্টোটা শুনবেন।

২১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৮

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিলো?জানিনা কোনো পথ দিয়ে কোথায় ঢুকে গেলাম।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: এখনো মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!
ভুলপথে ভুল জায়গায় ঢুকেছেন নাকি ব্রাদার?

২২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: চান্দাবাজি ধান্দাবাজি বন্ধ না হলে সামনে আরো ধ্বস নামবে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন প্রামানিক ভাই। আপনার সুস্বাস্থ্য ও শুভকামনা।

২৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৩

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এখনো মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!
ভুলপথে ভুল জায়গায় ঢুকেছেন নাকি ব্রাদার

কোথায় যে আছি তা নিজেও জানিনা,প্রিয় ভাই,হয়ত জানতে পারবো কোনোদিন।কথাটা আপনার নিকে পেয়েছিলাম,এজন্য মন্তব্যে সেটা লিখে দিয়েছি।
পোস্ট নিয়ে কিছু বলার নাই।উত্তম পোস্ট নিঃসন্দেহে

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: এখনো সে কথাটা একপাশে ঝুলিয়ে রেখেছি। এই কথাটা আপনি এখনো মনে রেখেছেন জেনে কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.