![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য প্রকাশে নির্ভীক মানুষ
একজন মুসলিম মাত্রই সহজে বুঝবার কথা – পহেলা বৈশাখ কিংবা নববর্ষ পালনের উত্সবের সাথে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় রীতি কুফফারদের অনুকরণ ও দ্বীন ইসলামের বিধানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
.
ঘটা করে পহেলা বৈশাখের শুরু-ই করা হয় কুফরী ও শিরকের মতো আচার পালনের মাধ্যমে। রমনা বটমূলে সূর্য ওঠার সাথে সমবেত কন্ঠে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেয়া হয়। বাহ! ফজরের সালাতের পরিবর্তে ছেলেমেয়ে একসাথে বসে সংগীতের মাধ্যমে দিন শুরু করেন তারা।
.
কপালে লাল টিপ, সিথিতে সিঁদুর দেয়া মেয়েরা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি সহ ধুতি-পাঞ্জাবী পরা ছেলেদের হাত ধরে শহরময় ঘুরে বেড়ান। দ্বীন ইসলামে 'পর্দা' নামে যে একটি বিষয় আছে – সেদিন বুঝার কোন উপায় থাকে না।
.
চারুকলা থেকে এরপর বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা নামক একটি ভয়ানক বিষয়। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল মোটামুটি লাইভ দেখায় এই শিরকী মিছিল। ঢোল-তবলা-ডুগডুগি বাজিয়ে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরে কিংবা মাথায় নিয়ে, ছেলেমেয়ে একসাথে হুল্লোড় করতে করতে নাচতে থাকে মিছিলে। মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল উপাদ্য থাকে "সমাজ থেকে অশুভ শক্তি বিদায়" করা। মাথায় করে নিয়ে বেড়ানো এইসব জীবজন্তুকে তারা অশুভ শক্তি দূর করার প্রতীক বলে মানেন! বাহ, বাহ!
.
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন ডিজাইনের জামাকাপড় আসে মার্কেটে। নতুন জামা না কিনলে প্রেস্টিজ থাকে না তরুণ-তরুনীদের। কেনাকাটা, সেই উপলক্ষে ঘুরে বেড়ানো ঈদের চেয়ে কোন অংশে কম মনে হয় না। বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানি গুলো উন্মুক্ত কনসার্টের আয়োজন করে। নারীপুরুষ কোন ভেদাভেদ ছাড়াই সেখানে ভিড় করে গান শুনে, নাচে, উল্লাস প্রকাশ করে। আরো উত্তম; কি বলেন?
.
আমি অতি বিনীত ভাষায় বলতে চাই - উপরের সব কয়টি 'কাজ' পবিত্র কুরআন এবং সহীহ হাদীসের আলোকে স্পষ্টতঃ শিরক, কুফর, হারাম ও বিদ'আত (আচার-প্রথার মান অনুযায়ী)। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর সাহাবীরা (রাদিআল্লাহু 'আনহুম), পরবর্তী তাবেঈ ও তাবে তাবেঈ (রাহিমাহুমুল্লাহ) দের কেউ এই জাতীয় কোন অনুষ্ঠান পালন করেছেন বলে খুঁজে পাওয়া যায় নি। ইসলামী শরীয়াহতে এই সব আচারের কোন বিধান নেই। এই সব অনুষ্ঠানের সাথে যাবতীয় সম্পৃক্ততাকে ইজমা'র পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন সম্মানিত উলামারা।
.
"যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।"
[সুরা আলে ইমরান, ৮৫]
.
‘তোমাদের প্রত্যেকের জন্যই আমি একটি নির্দিষ্ট বিধান এবং সুস্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি।’
[সুরা আল মায়িদাহ, আয়াত ৪৮]
.
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদ'আত এবং প্রত্যেক বিদ'আত ভ্রষ্টতা।"
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৯৯১ ও জামে তিরমিযী, হাদীস ২৬৭৬]
.
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী মহান আল্লাহ্র কিতাব (কুরআন) এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদ'আত এবং প্রত্যেক বিদ'আত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।"
[সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৩৫ ও সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১৫৬০]
.
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মদীনাতে আগমন করলেন, আর মদীনাবাসীর দুটি দিন ছিল যাতে তারা বিনোদন বা খেলাধুলা করত। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের জিজ্ঞেস করলেন, "এই দিন দুটি কি?" তারা বলল, 'আমরা এই দিনে জাহিলি যুগে খেলা ধুলা করতাম।' তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, "মহান আল্লাহ তোমাদেরকে এই দিন দুটির পরিবর্তে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। আর তা হলো ঈদুল ফিতরের দিন ও ঈদুল আযহার দিন।"
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১১৩৪]
.
উপরের হাদীসের মাধ্যমে ইসলাম ও অন্য ধর্মের যাবতীয় উৎসবের মধ্যে পার্থক্যকারী হিসেবে সামনে এসেছে বৎসরে দু'টি মাত্র দিন; ঈদুল ফিতরের দিন ও ঈদুল আযহার দিন।
.
অনেকেই প্রশ্ন করবেন বলে রেডি হয়ে আছেন নিশ্চিত – “পহেলা বৈশাখ তো আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। এটি তো ধর্মীয় কোন উত্সব নয়। তাহলে এইটা কেন বিদ'আত হবে? বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। আমাদের বাংলা বর্ষ শুরুর দিনে আমরা তো একটু আনন্দ করতেই পারি।“
.
আমি আবারো অতিশয় বিনয়ের সাথে বলতে চাই –
.
(১) ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মুসলমানদের জন্য উত্সবের দিন ২ টি। এর বাইরে কোন একটি দিনকেও উত্সব আকারে নেয়ার কোন উপায় নেই আমাদের। উপরের শেষ হাদীসটি-ই যথেষ্ট এই বিষয়টি প্রমান করার জন্য।
(২) রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মদীনায় যাবার পরে যে দুইটি উত্সব বাতিল ঘোষণা করে মুসলিমদের দুই ঈদের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার একটি ছিল "নওরোজ বা নতুন বর্ষের উত্সব"!
.
আর কিছু কি বলার আছে এতো কিছুর পরে? তারপরেও অনেক ভাইবোন এর বিপরীতে যুক্তির পাহাড় দাঁড় করাবেন। অবশ্যই এই যুক্তির পাহাড় এর ভিত্তি তাক্বওয়ার উপরে নয়। অনিবার্য ধ্বংসই এর পরিনতি।
.
আমরা একমাত্র মহান আল্লাহর কাছে দু'আ করি - তিনি যেন মুসলিমদেরকে তাদের দ্বীনের ব্যাপারে গর্বিত করেন এবং ইসলামকে দৃঢ়ভাবে মেনে চলতে সাহায্য করেন।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫০
দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: ইতিমধ্যে অনেকে বলে ফেলেছে
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
মাসূদ রানা বলেছেন: কপালে টিপ দেয়া, হাতে চুড়ি পড়া, সাজসজ্জা প্রভৃতির আবির্ভাব, ইতিহাস সম্পর্কে না জানার কারনে সংস্কৃিতিটা এখনো আমাদের মা বোনেরা গভীর মমতায় লালন করে আসছেন। প্রকৃৃত ইতিহাস জানলে তারা ঘৃনায় মুখ ফিরিয়ে নিতেন এসব থেকে ....
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫১
দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: আমাদের ইসলাম সম্পর্কে উদাসীনতাই এর মূল কারণ । ইসলামের চর্চা বাড়াতে হবে
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৭
নেবুলাস বলেছেন: বাঙ্গালী মুসলমান পরিবারগুলোকে এ বিষয়ে আরো সতর্ক হতে হবে। এধরনের সচেতনতামূলক পোষ্ট আরো বেশি বেশি দরকার।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১২
দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: এসব বললেই আজকাল কাঠমোল্লা হয়ে যেতে হয় ,কলম চলছে চলবে
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:১৪
কলাবাগান১ বলেছেন: কাফের দের আবিস্কার করা ঔষুধ/কম্পিউটার ব্যবহার করা হারাম না???
সংস্কৃতি আর ধর্ম কে এক করে ধর্ম ব্যবসা আর কত
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৫
দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: পান্তা ইলিশ আর ওষুধ কম্পিউটার কি এক নাকি । আপনার মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা দেখে খুবই বিস্মিত হচ্ছি ।
আপনি আলজাজিরা দেখা বাদ দেন নাই,আলজাজিরা তালেবানদের দোসর তো ।
ইমামের পিছনে নামাজ পড়া ছেড়ে দিছেন তো নাকি, জঙ্গিদের আড্ডাখানা মাদ্রাসায় পরেছেন তো উনি।
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
এ আর ১৫ বলেছেন: মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় ভাবে দুটি ঈদ উৎসব হিসাবে দেওয়া হয়েছে। মুসলমান হলে কি বাঙ্গালী বা অন্য জাতিয়তার লোক হওয়া যাবে না। কেউ কি বলেছে ১লা বৈশাখ বা স্বাধীনতা দিবস বিজয় দিবস মে দিবস, ভাষা দিবস ধর্মীয় কালচার ??? যেহেতু এখানে ইবাদত বা আরাধনা বা প্রার্থণা ইনভল্ব নয় তাহোলে ধর্মের সাথে কনফ্লিট কোথায় এই সবের?? কালচারাল ড্রেসিং বা সাজার ভিতর ইবাদত বা অন্য ধর্মকে পালন করার কোন সম্পর্ক কি আছে ? কেউ যদি বজ্রাসনে বা মাথা মাটি ঠেকিয়ে উপুর বসে থাকে তাহোলে কি তাকে নামাজ পড়া বলা যাবে অথবা কেউ যদি পদ্মাসনে বসে থাকে তাহোলে কি ওটাকে পুজা করা বলা যাবে । আপনার কথা শুনে তো তাই মনে হয় । এখানে কি সুরা বা মন্ত্র পড়া হয় ?? তাহোলে অন্য ধর্মকে অনুসরন করা কোথায় হচ্ছে ?? কোন হিন্দু যদি মাথায় হিজাব পরে আসে তাহোলে কি সে মুসলমান হয়ে যাবে ?
আপনার কথা শুনলে তো মনে হয় আরবের লোকেরা আর মুসলমান নাই সব হিন্দু হয়ে গেছে !!! আজান নামাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ সেই ভাবে উলু ধ্বনি পুজার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকে আনন্দের উদ্দেশ্যে উলু ধ্বনি করে । তাহোলে উলু ধ্বনি করাটা অবশ্যই হারাম কারন এটা পুজার অংশ বা হিন্দুদের ইবাদতের অংশ। তাহোলে আরবের লোকেরা বিভিন্ন কারনে হিন্দুদের উলু ধ্বনি দেয় কালচারাল ঐতিয্য হিসাবে এর মধ্যে কোন আরাধনা নাই বা ইবাদতের কোন উদ্দেশ্য নাই তাহোলে আপনার বক্তব্য অনুযায়ি তারা অন্য ধর্মের রিচুয়াল অনুসরন করছে সেটা কি ঠিক ?? যদি ও এর মধ্যে কোন ইবাদতের অভিপ্রায় নাই । বজ্রাসনে বসে থাকলে সেটা কে যেমন নামাজ বলে না তেমনি পদ্মাসনে বসে থাকলে সেটাকে পুজা বলে না কিন্তু আপনি তাই বুঝাতে চান । আমাদের কাছে আরবের লোকদের উলুধ্বনি দেওয়া কোন ইবাদত উদ্দেশ্যে নয় শুধু কালচারাল উদ্দেশ্যে সুতরাং সেটা পুজা নয়।
ইসলাম ধর্মে ঐ সব খাট মোল্লা তত্ব অলরেডি পচিয়ে ফেলেছে। এই সমস্থ তত্ব মানুষকে অন্য মানুষকে ঘৃনা করতে শিক্ষায় এবং এই ধরনের লোকদের জংগি তালেবান হওয়ার সম্ভবনা থাকে সবচেয়ে বেশি।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: শিরক কি জানলে আপনি এই কথা বলতে পারতেন না ।
পরিপূর্নভাবে ইসলাম জানুন বুঝুন
৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:৪৯
কলাবাগান১ বলেছেন: "বজ্রাসনে বসে থাকলে সেটা কে যেমন নামাজ বলে না তেমনি পদ্মাসনে বসে থাকলে সেটাকে পুজা বলে না কিন্তু আপনি তাই বুঝাতে চান ।"
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৫
দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: যেখানে ঘরে কোন মূর্তি থাকলে ফেরেশতারা ঘরে ঢুকেনা সেখানে আপনি কোনভাবেই বলতে পারেন না যে এই মূর্তি নিয়া এসব করা জায়েজ ।
সেটা হিন্দুরা করবে তাদের করতে দেন ।
মুসলমানরা ক্বন করবে
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪১
amhabib বলেছেন: সত্যি কথায় লিখেছেন কিন্তু আপনাকে এজন্য রাজাকার উপাধি পেতে হতে পারে