নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র আমাকে করেছে মহান

বঞ্চনার শক্ত হাত আজন্ম বেধে রেখে আমাকে করেছে দুঃখী ।।

অচেনা ছায়া

অচেনা দেশ, অচেনা শহরের অচেনা বালক আমি। অচেনা ছায়ার সাথে করি খেলা সারাক্ষণ...।। জানতে চাই, জানাতে চাই অচেনাকে চিনতে চাই...।।

অচেনা ছায়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

'নিয়তি'কে পরাজিত করে

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩





মা মারা গেছেন যখন কাওসারের বয়স দেড় বছর। বাবা প্রায় ১৯ বছর ধরে জেল খাটছেন। দারিদ্র্য আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে কাওসার, তার ভাই আর তাদের দাদিকে। কিন্তু দমে যায়নি কাওসার। অনটন প্রচণ্ড ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে কিন্তু কাওসার অটল। সে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। কাওসারের দাদি ৯০ ঊর্ধ্ব বিধবা সাফিয়া বেগম। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত। চলতে ফিরতে কষ্ট হয়। তার ওপর হাড় কাঁপানো শীত। কিন্তু সব কিছু উপেক্ষা করে তিনি পথে নেমেছেন। এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাতির জন্য হাত পাতছেন। নাতিকে পড়াবেন, মানুষ করবেন। নিয়তির কাছে হার মানলে কি চলবে?

'মোর নাতি পরীক্ষা দেবে। শহরে থাহা খাওয়ার লইগ্যা মোর নাতিরে আমনেরা কয়ডা টাহা আল্লার ওয়াস্তে দান করেন। দ্যার (দেড়) বছর বয়স থেইক্যা এতিম নাতিডারে পাইল্যা-পুইষ্যা খয়রাত কইর‌্যা ল্যাহাপড়া করাইছি। নাতিডারে শিক্ষিত করার লইগ্যা কিছু দান করেন।' সাফিয়া বেগম রবিবার কলাপাড়া পৌরশহরে সবার কাছে এভাবেই সাহায্য প্রার্থনা করছিলেন।

সাফিয়া বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মোর নাতি কাওসারের বয়স যখন দের, তহন ঘরে আগুন লাগায় ওর মা ফরিদা বেগম মইর‌্যা যায়। ২০ বছর আগে (১৯৯৩ সালের দিকে) এই ঘটনা ঘটে। তহন আর ওর বড় ভাই সাইফুলের বয়স আছেলে সাত বছর। এই ঘটনায় ওর নানা একটা মামলা দেলে ওর বাবা খোকন মৃধার জেল অয়। অহনো মোর পোলাডায় জেলে। শিশুকাল থেইক্যা কাওসাররে আমি পাইল্যা বড় করছি। খয়রাত কইর‌্যা কামাই কইর‌্যা নাতিডারে খাওয়াইছি, ল্যাহাপড়া করাইছি। অহন অয় এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। ফরম ফিলাপ করছে। ধানখালী টেকনিক্যাল কলেজ দিয়া পরীক্ষা দেবে। কলাপাড়া শহরে থাইক্যা খাইয়্যা পরীক্ষা দেতে অইবে। শহরে থাকতে খাইতে অনেক টাহা লাগে। কোমনে পামু টাহা। হেইয়্যার লইগ্যা খয়রাত করতে নামছি।'

এ ব্যাপারে ধানখালী টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক শাহীন মৃধা কালের কণ্ঠকে জানান, ছেলেটির লেখাপড়ার আগ্রহ আর প্রাণপণ চেষ্টার কারণেই আমরা ওর প্রতি সহানুভুতির দৃষ্টি রেখেছি। আমাদের কলেজের পক্ষ থেকে যত দূর সম্ভব কাওসারকে সহযোগিতা করেছি। এখন পরীক্ষার জন্য কলাপাড়া শহরে থাকতে হবে। এ জন্য ওর দাদি সাফিয়া বেগম সবার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছেন।

স্থানীয় মেম্বার মো. রিয়াজ তালুকদার বলেন, 'কাওসার ছেলেটি অত্যন্ত প্রতিভাবান। আমার ধারণা সে জীবনে অনেক বড় হতে পারবে। আমরা তার জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি।'





বিঃ দ্রঃ পত্রিকায় হয়তো অনেকেরই চোখে পরে না। তাই এখানে শেয়ার করলাম । সবাইকে শেয়ার করে এই মহান দাদির কথা সবাইকে জানিয়ে দিন । সূত্রঃ কালেরকণ্ঠ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

এ্যাংগরী বার্ড বলেছেন: ধন্যবাদ। পত্রিকার লিঙ্কটা দেবেন কি? অথবা কোন একাউন্ট নাম্বার?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

অচেনা ছায়া বলেছেন: আমি দুঃখিত কোন অ্যাকাউন্ট নং পাইনি কিন্তু পত্রিকা কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে হয়তো পেতে পারেন। আপনার জন্য পত্রিকার লিঙ্ক টি দিয়ে দিলাম।
পারলে অন্যকেও সাহায্য করতে বলুন ।
ধন্যবাদ।

kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1137&cat_id=1&menu_id=56&news_type_id=1&index=1#.UQe-k8XYq1s

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.