নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র আমাকে করেছে মহান

বঞ্চনার শক্ত হাত আজন্ম বেধে রেখে আমাকে করেছে দুঃখী ।।

অচেনা ছায়া

অচেনা দেশ, অচেনা শহরের অচেনা বালক আমি। অচেনা ছায়ার সাথে করি খেলা সারাক্ষণ...।। জানতে চাই, জানাতে চাই অচেনাকে চিনতে চাই...।।

অচেনা ছায়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন ভুলে যাই ভাই;মেয়েরাইতো আমাদের মায়ের জাতি... কেন!!!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৮

আফজকে হুট করেই দুপুরে একটা ফোন পেলাম; কোন এক বোনের ফোন হবে। জিজ্ঞেস করলো ভাই আপনারা রেপ নিয়ে অনেক লিখছেন ইভ-টিজিংনিয়েও কিছু লিখেন; এই ইভটিজিং এর কারণেওতো অনেক মেয়ে অবাঞ্চিত পরিস্থিতির স্বীকার;লাঞ্চিত। এখনো মনে আছে মাঝে ইভ-টিজিং এর বিরুদ্ধেও ক্যাম্পিং এবং এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছিলাম। আমরা লিখালিখি করি মানুষ সচেতন হয়;বের হয়ে আসে অনেক সচেতন মানুষ;আমরাও প্রতিবাদ করি। কিন্তু সচেতন মানুষ আছেনই বা কয়জন? অনেক ক্ষেত্রেই রেপ এর মূল কিন্তু এই ইভ-টিজিং ই। ইভ-টিজিং মানে কি শুধুই উত্তক্ত করা নাকি এটা একধরণের নারী নির্যাতন? আমার মতে অবশ্যই নির্যাতন। এই নির্যাতন পথে থেকে শুরু হয় বাসের সিট এ বসা নিয়েও চলতে থাকে। আপনি নারীদের বরাদ্ধকৃত সিট এ বসে আছেন;আর আসেপাশের ২০জন মানুষ দারিয়ে আচে তার মাঝে একজন নারী। আপনার কি মনে হয়;সবাই সাধু পুরুষ? এই ব্যাপারে প্রতিবাদ করায় একবার হাতাহাতির পর্যায়েও চলে যেতে হয়েছিল আমার। এর পরে আসই আরেক ঘটনায়; বন্ধুর মুখ থেকে শোনা। এক মহিলা বাস এ বসে আছেন;আর তার দিকে এক ছেলে তাকিয়ে আছে;মহিলার ভাষ্যমতে সেই ছেলের দৃষ্টি খারাপ ছিল; উনি প্রতিবাদ করেন; ছেলে নাকি বলে এত কথা বলেন কেন; আমার গার্লফ্রেন্ড আপনার থেকেও সুন্দর। এত দেমাগ দেখান কেন? সেখানে কেও প্রতিবাদ করলো না। সেখানে কি সুচিন্তার মানুষ ছিল না? চোখের সামনে হয়ে গেল এক ধরণের ইভ-টিজিং। আবার বাস এর ঘটনায় আসি; কয়েকদিন আগে এক প্রিয় ভাই এর লেখায় দেখলাম যে তিনি একজন চল্লিশোর্ধ্বকে পিটাইছেন এক মেয়ের বয়সী মেয়ের গায়ে হাত দেয়ায়। মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আপনি কেন কিছু বললেন না? মেয়েটি চুপ করে ছিল। উত্তর এটাই হতে পারে লোক্লজ্জার ভয়ে সে এই কাজটি করেনি। বাস এর পর আসি রাস্তায়; হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে রাস্তা-ঘাটে ইভ-টিজিং এর ঘটনা ঘটে। গ্রাম অঞ্চলএ এটাতো একরকম ডেইলি রুটিন এ পরিণত হয়েছে। এর বিচার কি? ভিক্টিমকে ভরা মজলিস এ শাস্তি পেতে হয়। ব্যাপারটা কি দাঁড়াল বেড়েই চলছে ইভ-টিজিং এর স্পর্ধা। বিচার না হয়ে উল্টো অপমানিত হল মেয়েটি। আর এর পর বলির পাঠা হয়ে চুপ করে সহ্য করতে না পেরে বেছে নেয় আত্মহত্যা বা বিলিয়ে দেয় নিজের সবকিছু। তারা গরীব কিছুই যে করার নেই। আসি ঢাকা শহরের কথায় হিপহোপ ক্লাস এর টিজিং চলে। আমার নিজের চোখে দেখা এক ফুড কোর্ট এ কিছু ফ্রেন্ডস এসেছে ছেলে-মেয়ে;তো কিছুক্ষণ পর আরেক ছেলের আগমণ এসে সে সবার সাথে হাগ(HUG) করছে. একটা মেয়েকে দেখলাম ইতস্তত বোধ করছে। ছেলেটা একরকম জোর করেই হাগ করলো। এইটা কি ধরণের ইভ-টিজিং হইলো;স্মার্ট ব্যপার-স্যাপার আমি কম ই বুঝি। আরেকবার এর ঘটনা; গেছি এক গেট-টুগেদার এ। বসে আড্ডা দিচ্ছি। সেখানে এক মেয়ে এসেছে বয়ফ্রেন্ড এর সাথে; আর এদিকে আমার এক পরিচিত অর সাথে চোখে চোখে লাফাঙ্গাগিরি করতেছে।এই বিষয়টা লেখে বোঝানো যাবেনা। সবাই খুব ইঞ্জয় করছিল ব্যাপারটা কিন্তু মেয়েটা ইতস্তত করছিল;পারছিলও না তার বয়ফ্রেন্ডকে বলতে; নিজের উপরই লজ্জা লাগতেছিল আমি কিছুই বলতে পারতেছিনা; দশজনের মাঝে একজনের চক্ষু-লজ্জা দেখার কেও ছিলনা। ইভ-টিজিং হয়ে গেল। সবি দেখি পরিস্থিতি...



এর কোন প্রতিকার কি নেই? সবচেয়ে বড় প্রতিকার সচেতনতা এবং প্রতিবাদ... কেও যা লজ্জার ভয়ে করে না আর কেও ভাবটা এমন আমার কি ওর সাথে হইছে;হোক না;মজা নেই। ভাবটা এমন যাই নেও না কেন বাছা মনে রাইখ তোমারও মা-বোন আছে। কোথায় জানি একটা অ্যাড দেখেছিলাম একটা মেয়েকে টিজ করা হচ্ছে;সেখানে অনেকেই আছে কেও প্রতিবাদ করতেছে না। হুট করেই এক অন্ধ বজ্র কন্ঠে হুংকার দিয়ে তার হাতের সেই অবলম্বনকে নিয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো (ঠিক কথাটা মনে নেই) কেও এক পাও এগোবি না...... তখন আশে পাশের মানুষ লজ্জায় প্রতিবাদী হয়ে উঠে; আমরা সেই সমাজ পরিত্যাগ করি। লজ্জায় না বরং তাগিদে কাজটা করি।



কেন ভুলে যাই ভাই;মেয়েরাইতো আমাদের মায়ের জাতি... কেন!!!



Courtesy: Fahim Hasanul Islam Raj(Facebook)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সচেতন পোস্ট ধন্যবাদ
রুখতে হবে সমাজ থেকে এ অন্ধতা
তবেই আসবে আমার দেশের পূর্ণ স্বাধীনতা
তাই জানাই এর প্রতিবাদ

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

অচেনা ছায়া বলেছেন: ভালো বলেছেন.।। আসলেই আমাদের এই অন্ধতা দূর করতে হবে। এখন আমরা স্বাধীন হয়েও পরাধীন। ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.