নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইভেল

ইভেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওষুধ খাচ্ছেন নাকি বিষ!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

একবার এক বন্ধু ফোন করলো। সে ইতালী থেকে ফোন দিলো! ফোন দিয়ে বলছে, সে এক্সিডেন্ট করেছে। কিন্তু ডাক্তার তাকে ব্যথার কোন ওষুধ দিচ্ছেনা। অনেক জায়গায় কেটে গেছে তাও শুকাচ্ছেনা। আমি বললাম, ডাক্তারকে বলিসনি? বললো, বলেছি কিন্তু প্যারাসিটামল ছাড়া ব্যাথার কোন ওষুধ দেয় না। আর প্যারাসিটামল দিয়ে তো আমার কাজ হচ্ছেনা।


সেদিন দেখি মুদির দোকানে এজিথ্রোমাইসিন বিক্রি হচ্ছে। আগে প্যারাসিটামল, রেনিটিডিন বিক্রি হতো আর এখন এন্টিবায়োটিক বিক্রি হচ্ছে এবং সাজেশন দাতা দোকানদার নিজেই।
জ্বর, ঠান্ডা, মাথা ব্যাথা, লুজ মোশন এই গুলার চিকিৎসা দোকানার নিজেই দেয়।

আমরা প্রথমে জানি এন্টিবায়োটিক কি :


সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বা ইনফেকশন জাতীয় রোগে এন্টিবায়োটিক সেবন করা হয়। ‘এন্টিবায়োটিক’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক শব্দ ‘এন্টি’ ও ‘বায়োস’ থেকে। এন্টি অর্থ বিপরীত ও বায়োস অর্থ প্রাণ। মূলত এন্টিবায়োটিক জীবিত ব্যাকটেরিয়া তথা অণুজীবের বিপরীত কাজ করে। ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারণে যেসব রোগ হয়, সেগুলো নিরাময়ের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এজন্য ভাইরাসজনিত রোগের বিপরীতে এন্টিবায়োটিক কার্যকরী নয়। এক জীবাণুর বিরুদ্ধে যেমন সব এন্টিবায়োটিক কাজ করে না, তেমনি সব জীবানুর বিরুদ্ধে একই এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। এন্টিবায়োটিক দেহে প্রবেশ করলে বিভিন্ন জীবাণু এটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। জীবাণুগুলো সাময়িকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে আমাদের দেহ সুস্থ হতে শুরু করে।


মনে আছে পেনিসিলিনের কথা! জ্বি পেনিসিলিন হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম এন্টিবায়োটিক যা কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ এক সময় এই পেনিসিলিন দিয়েই কত রোগের চিকিৎসা করা হয়েছে। এন্টিবায়োটিকের আবিষ্কারক আলেকজান্ডার ফ্লেমিং নিজেই এ ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন। ১৯২৮ সালে এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন আবিষ্কারের জন্য ১৯৪৫ সালে যখন তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় তখন ফ্লেমিং বলেছিলেন,
“The thoughtless person playing with penicillin treatment is morally responsible for the death of the man who succumbs to infection with the penicillin-resistant organism.”

এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কী?


এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলতে বোঝায় এন্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। কোনো বিশেষ জীবাণুর জন্য যেসব গুণাবলী ওষুধে থাকার কথা তা ঠিক রয়েছে এবং তা সঠিকভাবে সংরক্ষণও করা হয়েছে কিন্তু সবকিছুর পরও ওই জীবাণুর বিপক্ষে এটি আর কাজ করতে পারছে না। সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীরা এন্টিবায়োটিক সেবন করে। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে, রোগীরা একটু জ্বর কিংবা ঠান্ডা-কাশি হলে না বুঝেই এন্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলে। আবার অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটি সেবন করা শুরু করলেও মাঝপথে গিয়ে খাওয়া বন্ধ করে দেয় বা কোর্স পূর্ণ করে না। আর এভাবেই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে পড়ে বা তার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই এন্টিবায়োটিক যখন তখন সেবন করা যাবে না।


যদি এন্টিবায়োটিক অপব্যবহার করা হয় তবে এক সময় দেখা যাবে সামান্য জ্বরে মানুষ মারা যাচ্ছে। দেহের কোন ক্ষত সারছেনা। চোখের সামনে মানুষ মারা যাবে কিন্তু ডাক্তার কিছুই করতে পারবেনা। কারণ রোগীর শরীরে কোন ওষুধ কাজ করবেনা। তাই ওষুধ খাওয়ার আগে ভেবে নিন 'বিষ খাচ্ছেন না তো '

বাংলাদেশের মত অন্য কোন দেশে মুদির দোকানে ওষুধ বিক্রি হয়না। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেয়ার নিয়ম যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করা উচিৎ। তা না হলে ওষুধই করবে বিষের কাজ। বেঁচে থাকার অস্ত্র হয়ে যাবে মরণাস্ত্র।

তথ্য:

link

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

এই আমি রবীন বলেছেন: সহমত।
সেইসাথে ধরতে হবে ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার বনে যাওয়া লোকদের।
ধরতে হবে ফার্মাসীর ছা-পোষা ডাক্তারদের।..........
সর্বাঙ্গে ব্যাথা, ওষুধ দিব কোথা..।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

ইভেল বলেছেন: ডাক্তারদের থেকে এরা আবার বেশি জানে। ওষুধ চেঞ্জ করে দেয়।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেয়ার নিয়ম যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করা উচিৎ। তা না হলে ওষুধই করবে বিষের কাজ। বেঁচে থাকার অস্ত্র হয়ে যাবে মরণাস্ত্র।

সহমত

চিকিৎসা সেবা হোক সহজলভ্য। কল্যান রাস্ট্রের ধারনায় সেবা হোক নাগরিক অধিকার।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

ইভেল বলেছেন: সরকারি হাসপাতালে এখন প্রায় সব ধরণের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ সেখানে যাবেনা। বাড়ির পাশের মুদির দোকান আছে না!

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২০

কালীদাস বলেছেন: আমরা সবাই নিজেরাই বড় বড় ডাক্তার একেকজন। এরকম হওয়ারই কথা কোন একদিন যে ঔষধ আর কাজ করবে না আমাদের উপরে। কথাটা আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং নিজেই বলেছিলেন পেনিসিলিন ঠিকমত ইউটিলাইজ করতে পারার পর।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

ইভেল বলেছেন: ডাক্তারের কাছে গেলে তারা খুব সচেতন। ডাক্তারকে বার বার জিজ্ঞেস করে। এটা লিখলেন, সমস্যা হবেনাতো। ওটা লিখলেন! কিছু হবেনাতো! কিন্তু ডাক্তারের কাছে আসার আগে ঠিকই মুদির দোকান থেকে ওষুধ কিনে খেয়ে এসেছেন।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়ার নিকৃস্টতম চরম অদক্ষ অকর্মন্য অষুধ প্রশাসন হল এই বাং...

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ঢাকাবাসীর সাথে একমত

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: খুব ভালো একটা বিষয় শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

তপোবণ বলেছেন: এই পোষ্টটি সচেতনতা বৃদ্ধি করবে জনকল্যানের জন্য এই লেখাটি সমাদৃত হোক। লেখককে ধন্যবাদ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

ইভেল বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন

৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের দেশে তো এখন ঘরে ঘরে ডাক্তার । কিছু হলেই খাও ঔষধ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.