![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন যেখানে দ্রোহের সমার্থ মৃত্যুই সেখানে শেষ কথা নয়
আওয়ামি লীগ ঘোষিত শোক দিবস ১৫ আগস্ট পার হয়ে গেলো। যদিও এ দিনটি আওয়ামি লীগ শোক দিবস হিসেবে পালন করে থাকে কিন্তু বাস্তবে তাদের কতটুকু শোক স্পর্শ করে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কারণ তাদের নিত্যকার কর্মকান্ড (অপকর্ম) যখন বহুগুনে বৃদ্ধি পায় তখনি সকলে বুঝে নেয় চলছে পবিত্র(!) মাস আগস্ট । নেতার স্মরণে সকল অপকর্মের এটাই মোক্ষম সময়। চাঁদাবাজি রূপ নেয় উৎসবে আর খুনোখুনি রূপ নেয় মহারণে। সুতরাং শোক দিবস তখন সকল শোককে ছাপিয়ে পরিণত হয় বহুমাত্রিক আনন্দোৎসবে।
বলাবাহুল্য এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়ানক হিংস্র দানব কিংবা আতঙ্কের নাম ছাত্রলীগ এবং সকল অন্যায় আর অপকর্মের আশ্রয়কেন্দ্র আওয়ামি লীগ। কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য এই অশুভ শক্তি এখন জাতির ভাগ্যকে অপহরণ করে অবৈধ ক্ষমতার মাধ্যমে জাতির বুকের উপর চেপে বসে আছে। এরাই আওয়ামি লীগ এটাই তাদের চরিত্র। এই আওয়ামি লীগ আর ছাত্রলীগ তারা ভালোবাসে তাদের পিতা মরহুম শেক মুজিবকে আর তাই নেতার মৃত্যুর এই মাসে শোকাহত হওয়ার জন্য শোকের পরিবেশ তৈরি করে খুনোখুনি করে। কাউকে খুন না করলে মন বেদনা ভারাক্রান্ত হবে কিভাবে আর মন ব্যাথিত না হলে শোক করবে কিভাবে। সুতরাং শোকের মাস আগস্ট কে সার্থক রূপ দিতে মিনিমাম এক ডজন খুন অপরিহার্য। এইযে১৫ তারিখ পর্যন্ত যে সারাদেশ ব্যাপি ১৩ জন নিজ দলের কর্মী আন্তঃকোন্দলে খুন হলো এটাকে নেহাতই খুন হিসেবে দেখবেন না। এটা তাদের নেতার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশার্থে এ এক মহান ত্যাগ।
গেলো ১৫ দিনে গণমাধ্যমে এ জাতীয় যেসব খবর বেরিয়েছে তার সব কিছুই ১৫ আগস্ট তথাকথিত শোক দিবসকে কেন্দ্র করে। শোক দিবসকে উপলক্ষ বানিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের থেকে অন্তহীন চাঁদাবাজির মওকা। হয়তো তারা আগস্ট মাসকে চাঁদাবাজির মহোৎসবের মাস মনে করে । তারপর সেই চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে খুনোখুনি। এরাইতো সেই দানব যারা পেটের ভিতরের শিশুকেও নিরাপদে থাকতে দেয়নি। এক বুলেটেই বিদ্ধ করেছে মা-শিশুকে। আর এসবই মহা পবিত্র(!) আগস্ট মাসের আয়োজন। তারপর ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া -মহল্লা থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান সর্বোত্র চলে বিগত দিনে করা চাঁদাবািজর শ্রাদ্ধ। ফুল ভলিউমে মাইকে বাজানো হয় মুজিবের ভাষণ, "আমার মানুষেরা আজ অন্যায় আর বঞ্চণার শিকার, তারা আজ মুক্তি চায়"। মুজিবের এ ভাষণটি প্রায় ৪৫ বছরের পুরনো হলেও এ দাবিটি আজকের বাংলাদেশে অনেক বেশিমাত্রায় সময়োপযোগী। ভাষণের মাঝে মাঝে চলে হিন্দি গান 'লুঙ্গি ডান্স, লুঙ্গি ডান্স'। চাঁদাবাজির টাকায় পিকনিক। চলে হুলস্থুল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। দেখে মনে যেন আনন্দ উৎসব চলছে। তৃণমুলের কর্মী থেকে উপর মহলের মন্ত্রী পর্যন্ত এ উৎসবের ছোঁয়া অনুভব করে । সবার মধ্যেই একটা খুশি খুশি ভাব। এবারের ১৫ আগস্টে যখন তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী শেক হাছিনা নেতা আর মন্ত্রী পরিবেষ্টিত হয়ে কোটালীপাড়ায় মুজিবের সমাধিতে ফুল দিতে গেলো তখনো সেই সমাধি কমপ্লেক্সেই কিছু মন্ত্রীকে হাস্যোজ্জ্বল মুখে সেলফি তুলতে দেখা গেলো। জায়গাটা শোকের নয় আনন্দেরই বটে!
দেশজুড়ে আওয়ামি লীগের এতোসব অপকর্ম আর ভন্ডামি দেখে কবরে শায়িত মুজিব নিজেই হয়তো আফসোস করে পাশ ফেরে শোয় আর বলে "আমার মানুষেরা আজ মুক্তি চায়"
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
বেরসিক কথক বলেছেন: আরে এরাই তো দাবি করে এরা মুজিবের আদর্শের সৈনিক!
তার মানে মুজিবও কি এভাবে অপকীর্তি করে বেড়াতো।
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩১
নীল আকাশ বলেছেন: যে নেতা নিজেই বলে আমার কম্বল কই, তার সাগরেদরা তো এমন হবেই । চোরের আর বাটপারদের বংশ থেকে এর কি বেশি আশা করেন !!!!!!!!!!!!
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১২
বেরসিক কথক বলেছেন: জ্বি ভাই এইসব মুজিবের স্বপ্ন ছিলো।
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১২
বেরসিক কথক বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:০৭
নতুন বলেছেন: চাটার দল চেটে চেটেই নেতার সুনাম খেয়ে ফেলে।
এখন দেশের কয়জন মানুষ দেশের জন্য রাজনিতি করে?? সবাই ক্ষমতা/টাকার লোভে দল করে।
তাদের তো উপলোক্ষ দরকার... ১৫ তারিখও একটা উপলোক্ষ মাত্র...