![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন যেখানে দ্রোহের সমার্থ মৃত্যুই সেখানে শেষ কথা নয়
বাংলাদেশে চলতি সপ্তাহে নতুন করে কয়েকটি ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। আর এই ক্রসফায়ারের শিকার হওয়া প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধে রয়েছে প্রকাশ্য হত্যাকান্ডের অভিযোগ। আর এরা সবাই সরকার সমর্থক আওয়ামি লীগ তথা ছাত্রলীগ যুবলীগের সদস্য। আমরা সবাই জানি বর্তমান বাংলাদেশে ছাত্রলীগ একটি ভয়ানক দানবের নাম। এদের হাত থেকে রক্ষা পায়না কেউ। দেশের সর্বোত্র চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক বাণিজ্য, অবৈধ অস্ত্রের কারবার, ধর্ষণ, প্রশ্নফাঁশ থেকে শুরু করে খুনোখুনি এখন তাদের নিত্যনৈমিত্তিক নেশা। এদের হাত থেকে যেমন নিরাপদ নয় অশীতিপর বৃদ্ধ তেমনি নিরাপদ নয় মায়ের পেটে থাকা শিশু। এই সরকার সমর্থক সহ সংগঠনগুলো এখন পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসীের আশ্রয়স্থলে। এদের নিত্যকার অপকর্মের তান্ডবে নাকাল দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ। খোদ হাসিনা তার এই সোনার ছেলেদের অপর্কমে জেরবার। ঠিক তখনি হাসিনা তার মুখ রক্ষার্থে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়ার নির্দেশের প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিন-চার জন সন্ত্রাসী এবং হত্যা মামলার আসামীকে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধ কিংবা ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে আর সাথে সাথেই প্রথম আলো - একাত্তর টিভির মত দালাল গণমাধ্যমগুলো মানবাধিকার গেলো বলে হাহাকার আর কান্নাকাটি আরম্ভ করে দিয়েছে। মানবাধিকার লঙঘনের কথা বলে এসব গণমাধ্যম প্রতিদিনই প্রতিবেদন প্রকাশ-প্রচার করছে। মূলত সত্যিকথা হচ্ছে সারা দেশের মানুষ আরো মিনিমাম একশো সরকার সমর্থক সন্ত্রাসীর ক্রসফায়ার দেখতে চায়।
ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধের নামে এসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু এ বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের তালিকা অনেক দীর্ঘ। এই আওয়ামি লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আজ পর্যন্ত এই ৭ বছরে কত হাজার হাজার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে এমনিভাবে কথিত বন্দুকযুদ্ধ, ক্রসফায়ার আর চলন্ত যানবাহনের নিচে ধাক্কা মেরে হত্যা করেছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কত শত শত নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে তার হিসাব এখনো অজানা। কত লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিনা অপরাধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকানো হয়েছে এবং ঢুকাচ্ছে তারও কোন ইয়ত্তা নেই। কিন্তু আফসোস এইসব নির্দোষ নিপীড়িত -নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য নাই কোন প্রথম আলো, নাই কোন একাত্তুর টেলিভিশন কিংবা নাই কোন বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম। কারণ এই সব দালাল গণমাধ্যম চিরকালই মানবাধিকার আর মানবতার কথা বলে দেশের মানুষের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে প্রতারণা আর ভাওতাবাজি করে চলছে। এই প্রথম আলো-কালের কণ্ঠ-একাত্তুর টেলিভিশন গংরা কখনো নির্যাতিত গণমানুষের জন্য ন্যায্য কথা বলেনি। অসংখ্য নিরীহ মানুষকে এই অত্যাচারী জালিম সরকার হত্যা করে চলছে অথচ তখনো এই দালাল গণমাধ্যমগু নির্লীপ্ত থেকে কখনোবা স্বস্তি প্রকাশ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু আজ যখন হাতেগোনা তিন-চার জন সন্ত্রাসী কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেলো তখন আর এই দালাল হলুদ সাংবাদিকরা চুপ করে থাকেনি। তারা এখন নানারকম নীতিকথা শোনাচ্ছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্ররকাশ করে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এই সন্ত্রাসীদের রক্ষাকবচ দিতে চায়। এরা এখন মানবতাবোধের কথা বলে। কিন্তু দেশের জনগণ ভালো করেই জানে এই সবই মানবতাবোধের কথা দালাল গণমাধ্যমগুলোর ভাওতাবাজি বৈ আর কিছুই নয়। প্রথম আলো পত্রিকার ফ্রন্ট পেজের শিরোনাম
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঠিক মতো ক্রস ফায়ারে দিলে, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সেন্ট্রাল কমিটির কেহ থাকবে না; এবং পুরো শিবির শেষ হবে।