নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এমদাদুল হক তুহিন

অনন্ত শুন্যতা ও একাকীত্বের মাঝে বেঁচে থাকা পথিক।

এমদাদুল হক তুহিন(ধ্রুব)

অনন্ত শুন্যতা ও একাকীত্বের মাঝে বেঁচে থাকা পথিক।

এমদাদুল হক তুহিন(ধ্রুব) › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন আছে সংসার তোমার, কেমন হয়েছো তুমি!!!

১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৪



ধ্রুবের মনে হয় মানুষের অঙ্গ পতঙ্গের ভিতর প্রেম নামক একটা যন্ত্র আছে। তবে মানুষের ভিতরেই আছে নাকি এই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। তবে তা যে আছে সে বিষয়ে ধ্রুব শতভাগ নিশ্চিত। প্রেম যন্ত্রের অবস্থান যদি মানুষের অঙ্গ-পতঙ্গের ভিতর না থাকে তাহলে এর অবস্থান প্রকৃতিতে। তবে এই যন্ত্রের অবস্থান প্রকৃতিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেননা কখনো কখনো না চাইতেই প্রেম এসে ধরা দেয় আবার কখনো শত চেষ্টাতেও খুঁজে পায় না কিচ্ছু এই ধ্রুব তারা। যে দিন তার ফোনে ফোন আস্তে শুরু করবে সেদিন আর ফোনের ক্রিং ক্রিং শব্দ থামার আর কোন লক্ষণ থাকে না। সাড়াটা দিন মেয়েদের সাথে কথা বলে কাটিয়ে দিতেই হবে। আর যে দিন আসবে না তখন ফোনে মেয়েলী কণ্ঠের খরা চলবে। এই যেমন গতকাল প্রথমেই ধ্রুবার ফোন দিয়ে শুরু, অতঃপর মুনা, মুন্নি, আন্দ্রিলা, অপরিচিত আরো অনেকেই...!





ধ্রুবা ফোন দিয়েই মিনিট খানেক চুপ করে ধ্রুবের উসখুস কণ্ঠ শুনবে, কিন্তু আজ তা না করেই...



-কেমন করে ভুলে গেছো? রাতে তোমাকে স্বপ্ন দেখেছিলাম , কি নোংরা হয়েছ তুমি?

- কি স্বপ্নে?

-কতটা নোংরা হলাম?

-অনেক অনেক তোমাকে বুঝিয়ে বলতে পারবো না। তোমার চুলগুলো এত লম্বা করেছ কেন?

-অনেক আগে থেকেই তো।

-কাটো না কেন? কতদিন কাটো না?

-এই তো দু তিন মাস!

-আগামীকালই কেটে ফেলবে?

-বলতে পারছি না, তবে কাটবো এক দিন।

-তোমার জামা কাপড়ের দিকে লক্ষ্য রাখার মত কি সময় হয় না? আগে কত স্মার্ট ছিলে! আর এখন।

-কে কি হল আবার?

-পরিষ্কার করো না, কত দিন যাবে এভাবে তোমার জীবন?

-জীবন সে তো বয়ে যায়, যাচ্ছে।

-আমি জানি তুমি অতি মাত্রায় কাব্যিক, কিন্তু কাব্য দিয়ে কি জীবন চলে?

-তারপরও এই তো আমার জীবন।

-দেখ তুমি এখনো কি সুন্দরের পিছনে ছুটে বেড়াও? কত টা ভালবাসাতাম এই তোমাকে অথচ...

-যাক পুরাতনকে বাদ দাও না।

-না আজ যে আমাকে বলতেই হবে, তোমার কি এমন আপত্তি ছিল আমাতে, একটু না হয় কালো ছিলাম, কিন্তু তোমাকে কতটা ভালবাসতাম জানতে?

-আমি সব বুঝি, সব জানি।

-সব জান্তাদের এই একটাই সমস্যা! নিজের ভুলের দিকে একবারও তাকায় না। অথচ তাদেরই হৃদয়ে এক একটা আমাবস্যা। হয় না তাদের সেই অবসান।

-তুমি?

-আমার কথা বাদ দাও, সুখে আছি ওকে নিয়ে। কিন্তু থেকে যায় তারপরও। কি ছিল না আমার, কেন গ্রহণ করলে না?

-আমি যে গ্রহণে অক্ষম!

-সে তোমার ভীরুতা নয়, উচ্চ-বিলাসিতা! সুন্দরের পূজা, অথচ ভালোবাসো। এখনো...

-আরে না এখন তো তুমি অন্যের ঘরে!

-দেখো, সংসার করতে হবে বলেই করছি। তোমার সততা, অহংবোধ, এক পাশে দেখা পৃথিবী আমার খুব ভালো লাগে। সেই রাজ্যের রানী হওয়ার ইচ্ছে ছিল। অপেক্ষাও করেছি অনেক সময়। অথচ তুমি ছিলে বেকার আমি চাকরী, সরকারী স্কুলের মাস্টার। তুমি ভালবাসা দিলে আমাদের সংসার সুখেরই হত। কিন্তু...!

-থাক না বাদ দাও প্লিজ!

-ওকে তুমি যেহেতু শুনতে চাও না তাই বাদ দিলাম।

-কথা বলতে ভালো লাগছে না, ভালো থেকে সব সময়। ওকে নিয়ে সুখে থেকো।

- ভালো থেকো তুমিও।



কেন জানি আজ আবারও ধ্রুবকে হারিয়ে যেতে হল অতীতে, কি করে কয়েকদিনেই ধ্রুবাকে ভালোবেসে ফেলে।কয়েকদিনের ফোনের কথায় এতটা প্রেম, এতটা ভালোবাসা, এতোটা অনুভব! ধ্রুবাকে নিয়েই সে প্রেমের সংজ্ঞা তৈরি করেছে। কত প্রকার প্রেম, কি কি সব! লিখে রেখেছে সেই ইতিহাস। অথচ আজ মনে করতে চাই না ইচ্ছে করে। তারপরও মনে হয় যায় সব। মনে করারর ফাঁকে ফাঁকে ফোনের যন্ত্রণায় হারিয়ে যাবে এ দিন। হটাত করেই ফোনের শব্দে তার ভাবুক মন ফিরে পাবে সমাজের বাস্তবতা। মেয়েদের হাঁসি মুখ দেখতে তার খুব ভালো লাগে, কিন্তু জানে কোন মেয়েই তাকে আপন করে নেবে না। যারা আপন করে নিতে চাইবে তাদের যেন তার পছন্দ হবে না। তবে মেয়েদের চোখে স্বপ্ন একে দিতেই ভালোবাসে সে। এমন করে মুন্নি নামের মেয়েটি ফোন করলে সে বাধ্য হয়েই বলবে হ্যাঁ তোমাকেই ভাবছিলাম, গান শুনাও, তোমার কণ্ঠের গান অনেক সুন্দর। আন্দ্রিলা ফোন দিলে বলবে ফোন করার সময় কোথায় এত বিজি! সাড়া দিনে এত বিজি ফোন দেওয়ার সময়ই হয়ে উঠে না। ওকে বাদ দাও ভালোবাসা নাও আমার সমস্ত ভালোবাসা। এভাবেই মেয়েদের আনন্দ দিয়ে যাবে।



অবশ্য ধ্রুব এই সবের মূল কারণ কি টা জানে, সেই মুহূর্তে ধ্রুবা, মুনা, মুন্নি আন্দ্রিলা কারো কিচ্ছু ভালো লাগছিল না। তাই ধ্রুবকে ভালোবাসার যন্ত্র বানিয়ে ভালোবাসা আদায় করে নেয় মেয়েরাই সাময়িক সময়ের জন্যে। অথচ যখন তার চোখের কোণে এক ফোঁটা পানি এসে জমা হবে, সে দিন কোন মেয়েই তাকে স্মরণ করবে না। স্মরণ তো দূরের কথা ফোন দিলেও ফোন পিক করবে না। এমন সময় তার মনে হবে কি সুন্দর ছিল ধ্রুবার হাতের আঙ্গুল। কপালে কালো টিপ, ওষ্ঠে লাল লিপস্টিক। ইচ্ছে হচ্ছ এখনই ঠোঁট আঙ্গুল লাগিয়ে একটু লাল রঙ লাগিয়ে লিপস্টিক দিয়েই ধ্রুবার কপালে সিঁদুর একে দিই।



তারপরের দিনই আবার ধ্রুবের একাকীত্ব। চরম একাকীত্ব! আকাশের মত একাকীত্ব! রাতের নির্জনতার মত! চুপ করে ঘুমিয়ে থাকা পৃথিবীর মত!



তার মনে হবে- "" অপূর্ণ সব শুষ্ক স্মৃতি যা জমে আছে বরফের খণ্ড হয়ে স্মৃতির এভারেস্ট চূড়ায়, তা আজ কিসের ধাক্কায় বরফ গলে যাওয়ার মত তাপমাত্রায় গলে গলে স্মৃতি নামক নির্দিষ্ট অবস্থা থেকে বর্তমানে এসে উপস্থিত। কি করে জমিয়ে রেখেছ তা, কি করে ভুলিয়ে দিয়েছিলে তা আজ ভাবতেই কেমন যেন আচমকা চমকে উঠে সবাই। কি আছে সেথায়, কি ছিল সেখানে! কিভাবে তা লুকিয়ে রাখো বর্তমানের আড়ালে! এত আপন কিছু, এত মধুর কিছু, গোলাপের পাপড়ির মত শুভ্র ও পবিত্র অনুভূতি! অথচ এখন তা কত অপবিত্র! কত নিকৃষ্ট! সময়ের দোলাচলে আমি তুমি আমরা সবাই বর্তমানে আছি, তারপরও কিন্তু বলে থেকে যায় কিছু!!""



ফিরে যাবে আর ভাববে...



"আশার বাণী শুনিয়ে মুনা আজ অন্য ঘরে। অনন্যা আমার সাথেই প্রেম করবে বলে আজ হাতে হাত রেখেছে অন্য কারো। মুনিমাও কম যাই নি, আমার ঘরে এসে নিজ হাতে বাসর সাজিয়ে ঠিক ফুল সজ্জায় প্রবেশের পূর্ব মুহূর্তে বাসর ছেড়ে পালালো। পাশের ফ্ল্যাটের আন্দ্রিলা জানালায় দাঁড়িয়ে বিকেলের রোদ মাখা আলতো হাঁসিতে কতবার হাত নেড়ে কাছে ডেকেছে, একবার-তো বলেই বসল-" এত কষ্ট কিসের কবি? ভাবতে ভাবতে আর কতকাল? তাকিয়ে দেখো অধরা কিছু তোমার অপেক্ষায়।" আজকাল আন্দ্রিলাকেও জানালায় দাঁড়িয়ে থাকতে কেউ দেখে না। কোন এক পূর্ণিমার রাতে শ্রদ্ধাভাজন এক মহিলা কবি আমায় বলেছিলেন দেখ ধ্রুব- কেউ আসুক আর না আসুক, মেঘে কালো হয়ে আকাশ থেকে যখন তোর চোখের জল বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে বা ঠিক এমনই কোন পূর্ণিমার রাতে আমিই আসব, আমিই মিটিয়ে দিব তোর আদিম ক্ষুধা, আমাকে সুখ দিবি তো? আমি হ্যাঁ না কিচ্ছুটি বলার সাহস করি নি। কিন্তু আজও মেঘে কালো হয়ে আকাশ থেকে আমার চোখের জল ঝরে পরে না, আজও সেই পূর্ণিমার রাত্রি পৃথিবী নামক এই গ্রহে আবির্ভাব হয় না। আজও অপেক্ষায় প্রহর গুণে গুণে রাত দিন পার করছে কাব্যের ছোঁয়ায় ধ্রুব নামক অদ্ভুত জীব।""









তারপরও জানতে ইচ্ছে করে কেমন আছো তুমি কেমন চলছে তোমার সংসার? জানতে ইচ্ছে হলে খেটেখুটে খুঁজে বের করতে হবে পুরাতন ডাইরি, যেখানে লেখা রয়েছে তোমার সেল নং। অনেকটা ময়লা জমেছে ডাইরির কভারে। হাত লাগাতে চাইলেও ভয়ে হাত লাগানো হয় না। আর হাতই লাগিয়েই লাভ কি, হয়ত চেঞ্জ করে নিয়েছো সেল নং। বিয়ের পর এটাই নিয়ম। তারপরও জানতে ইচ্ছে করে খুব বেশি অবচেতন মনে- "কেমন আছে সংসার তোমার, কেমন হয়েছো তুমি!!"





ছবি কৃতজ্ঞতা- অপ্সরা সিজেল এবং নেট থেকে।



লেখকের ফেবু আই ডি লিঙ্ক- এমদাদুল হক তুহিন

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৯

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: প্রথম প্লাস! ভালো লেগেছে ভাইয়া। শেয়ার্ড!

১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৫

এমদাদুল হক তুহিন(ধ্রুব) বলেছেন: ধন্যবাদ, আপুনি।

শেয়ার্ড ও প্লাসের জন্যে অনেক অনেক ভালোবাসা।

শুভকামনা ।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

রাজীব হোসাইন সরকার বলেছেন: ভালো লাগল ভাইয়া :) +++++

১১ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫২

এমদাদুল হক তুহিন(ধ্রুব) বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব হোসাইন সরকার ভাইয়া।

প্লাস দেওয়ার জন্যে অনেক অনেক ধন্যি।

শুভকামনা ও ভালোবাসা।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভাল লাগলো ...........

১১ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫৩

এমদাদুল হক তুহিন(ধ্রুব) বলেছেন: ভেলে লেগেছে শুনে আমারও কিছুটা ভালো লাগা কাজ করছে।


ধন্যবাদ ও ভালোবাসা ইরফান আহমেদ বর্ষণ ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.