নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাতত বেকার। বই পড়তে ভালো লাগে। পড়ি। শখের মধ্যে বলতে গেলে আর দশজনের যেসব থাকে আমারো তাই। গান, মুভি,বই। হ্যা, ঘুরতে বেশ লাগে। অবশ্যই যাত্রা সঙ্গী পরিচিত বন্ধু তালিকার কেউ হতে হবে।নতুবা, ঘরের এক পাশে শুয়ে বই পড়াটা বেশি পছন্দের।

এস এম ইমন

অতি সাধারণ মানুষ..

এস এম ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একদিনের সন্ধ্যা

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

পাড়ার রাস্তার মাথায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছি আমরা চারজন। প্রত্যেকে বন্ধু মানুষ। এদের মধ্যে একজনের সাথে আনেকদিন পরে দেখা। পুরোনো বন্ধু।

পুরোনো বন্ধু আমাদের দেখতে পেয়েছিল না প্রথমে।রাস্তার ওপাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। আমরাই ওকে থামিয়েছি। তারপরে ওকেও জড়িয়ে নিলাম আমাদের আড্ডায়। বিভিন্ন ধরনের গল্পে জমে উঠল আড্ডা।

আকাশ বিকেল থেকে কালো। ভ্যাপসা গরম দিনভর। এই নামে সেই নামে করেও এতক্ষণে বৃষ্টি হইনি। অবশ্য আর বেশিক্ষন কারো অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না । মেঘের দল জানান দিতে শুরু করেছে তারা বর্ষনের জন্য প্রস্তুত।


অন্যান্য দিন গুলোর মতই আমাদের তিনজনের আড্ডা শুরু হয়েছিল সন্ধ্যায়। এটা একধরনে রুটিন । সন্ধ্যা গাঢ় হতে শুরু করলেই আমরা তিনজন চলে আসি এই জায়গাটায়। ছুটির দিনগুলোতে সংখ্যায় দু'একজনের পরিমাণ বাড়ে।আড্ডায় সব ধরনের আলোচনা চলে। ক্রিকেট, ফুটবল,রাজনীতি। মাঝে মাঝে দারূন শরীরের শিল্প দেখিয়ে সামনে থেকে হেটে যায় রমনীর দল। আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখি তাদের চলন শৈলী । সব কিছু মিলিয়ে দিন যায়।
আজকের এই গুমঠ পরিবেশে শহরের খুব একটা পরিবর্তন চোখে পড়েনা। আড্ডার এক পর্যায়ে আমাদের ই একজন বলল 'ওইটা সুজয় না?"
বাকি দু'জন সমস্বরে বললাম "হ্যা!"
ডেকে আনলাম ওকে আমাদের মাঝে।এইভাবেই, দলে যোগ হলো আমাদের পুরোনো বন্ধু।

পুরোনো বন্ধুদের সাথে অনেকদিন পর দেখা হলে খুব একটা কিছু কথা বলার থাকেনা। বর্তমান অবস্থা, কিছু ফর্মাল প্রশ্ন । কিন্ত মনে জাগে বিশেষ বিশেষ কতগুলো মূহুর্ত।সেগুলো মুখে বলা যায় না। মনে আসে এবং কিছুটা হাসির সাথে মিলিয়ে যায় খানেক বাদে।

কালো মেঘের বর্ষণ শুরু হলো। উপরে কোথাও ছাউনি নেই। আমাদের আগে থেকে প্রস্তুত থাকার কথা ছিল। পুরোনো বন্ধুকে পেয়ে সেকথা ভুলে গিয়েছিলাম। প্রথমছটায় ভিজিয়ে দিয়ে গেল অনেকটা।

আমাদের পুরোনো বন্ধু বলল, 'তোদের মনে আছে বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলার কথা?'
"আজও ভিজি তবে চল" আমাদের মধ্য থেকে বলে উঠল একজন।
"চল, ভেজা যাক." আমি আর আরেকজন সায় দিলাম।
পকেটে কিছু খুচরো টাকা ছিল।সেদিকে খেয়াল রইল না। চারজনই ভিজে গেলাম। ভিজতে লাগলাম। বৃষ্টি দেখে মনে হচ্ছিল অনেকক্ষণের জন্য স্থায়ী হবে। আমরা হাটার শুরু করলাম। সামনে কিছুদূর বাদে মেইন রাস্তা। সেদিকটাই উদ্যেশ্য।

অনেকদিন আগে। যখন স্কুলে পড়তাম বৃষ্টি প্রিয় ছিল। প্রায়ই ভিজতাম।কখনো বাসার সামনের উঠানে। কখনো বাড়ির পাশের ফাকা গলিতে। কখনো চলে যেতাম বড় রাস্তায়।
বৃষ্টির সময় গাড়ির সংখ্যা কমে যায় অনেক। মাত্র কয়েকটা গাড়ির আধিপত্য। তখন রাস্তার মাঝ দিয়ে হাটার আলাদা এক ধরনের শান্তি ছিল।আজকেও আমাদের সামনে সেরকম বড় রাস্তা। গাড়ির সংখ্যাওও কম। রাস্তার একবারে পাশ দিয়ে হাটছিলাম আমরা চারজন।

পুরোনো বন্ধু ব্যস্ত মানুষ। ভেজার প্রস্তাবে সম্মতি ভুলে করে দিয়েছিল হয়ত। জ্বরের দারূন ভয়। অফিস কামাই গেলে কতটা ক্ষতি হয়ে যাবে সেটা দু'তিনবার বলে ফেলেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.