![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুলনার ফুলতলা উপজেলায় গত সোমবার চাঁদার দাবিতে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এক ঠিকাদারের ব্যবস্থাপককে পিটিয়ে আহত করেছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ ইয়াসিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ প্রিন্স, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রবিন বসুকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যবস্থাপক বাকী বিল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম খানের নির্দেশে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নির্মাণাধীন দামোদর এমএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসে চাঁদার দাবিতে কাজ বন্ধ করতে বলেন। এ সময় তাঁরা ঠিকাদার আবুল কালামকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কালামকে না পেয়ে লোহার রড দিয়ে তাঁকে মারধর করেন। পরে তাঁকে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পেছনের একটি ঘরে নিয়ে রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জ্যোতির্ময় সাহা জানান, বাকী বিল্লাহর মাথায়, হাতে ও পায়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে। লোহার রড ও লাঠি দিয়ে তাঁকে পেটোনো হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।
ঠিকাদারের সহযোগী নুরুল ইসলাম জানান, গত জুনে কাজ শুরুর পর থেকে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের এই পক্ষ তাঁদের কাছে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। গত রোববার তারা নির্মাণস্থলে এসে চাঁদা দাবি করে এবং না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলে। কিন্তু তাদের কথামতো কাজ বন্ধ না করায় সোমবার এই হামলা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান এ বিষয়ে বলেন, প্রায় ৪৫ লাখ টাকার এই বিদ্যালয় নির্মাণের কাজটি জাহিদ এন্টারপ্রাইজ সমঝোতার ভিত্তিতে পায়। সে সময় কমিশন হিসাবে এই টাকা আমাদের ছেলেদের দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা সেই টাকা না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ঠিকাদার আবুল কালাম সমঝোতায় কাজ পাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, লটারির মাধ্যমে তিনি কাজটি পেয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের বিট মানির টাকা পাওয়ার জন্য ঠিকাদারের কাছে গিয়েছিলাম। এ সময় ঠিকাদার না থাকায় এবং তাঁর ব্যবস্থাপক উল্টাপাল্টা কথা বলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নিয়ে উত্তেজিত কর্মীরা তাঁকে সামান্য মারধর করেছেন।’
©somewhere in net ltd.