নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আগে দেখি...

ইন্সিত

স্বপ্নবাজ...

ইন্সিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগামীকাল হবে একাত্তরের নরপশু সাঈদীর রায়। আসুনে দেখি একাত্তরে সাঈদীর করা মানবতাবিরোধী অপরাধের তালিকা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৪





অপরাধ-১: ১৯৭১ সালের ৪ মে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নেতৃত্বে পিরোজপুর সদর এলাকার মধ্য মাসিমপুর বাসস্ট্যান্ডের পেছনে ২০ জন নিরস্ত্র বাঙ্গালিকে গুলি করে হত্যা।



অপরাধ-২: ৪ মে সাঈদী ও তার দল পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে মাসিমপুর হিন্দুপাড়ায় লুট করেন এবং আগুন ধরিয়ে দেন। মানুষ পালাতে শুরু করলে সাঈদী ও তার দলের সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে ১৩ জন শহীদ হন।



অপরাধ-৩: ৪ মে সাঈদী পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে মাসিমপুর হিন্দুপাড়ায় মনীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী ও সুরেশ চন্দ্র মণ্ডলের বাড়ি লুট এবং আগুন ধরিয়ে দেন।



অপরাধ-৪: ৪ মে সাঈদী তার রাজাকার বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে ধোপাবাড়ির সামনে এবং পিরোজপুর সদর পুলিশ স্টেশনের এলজিইডি ভবনের পেছনের হিন্দুপাড়া ঘিরেহত্যা করেন দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডল, জগেন্দ্রনাথ মণ্ডল, পুলিন বিহারী ও মুকুন্দ বালাকে।



অপরাধ-৫: তৎকালীন পিরোজপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাইফ মিজানুর রহমান সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। সাঈদী ও তার সহযোগী শান্তি কমিটির সদস্য মন্নাফ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনাসদস্যকে নিয়ে ৫ মে পিরোজপুর হাসপাতাল থেকে তাকে ধরে বলেশ্বর নদের তীরে নিয়ে যান। একই দিনে পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ (লেখক হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের বাবা) এবং ভারপ্রাপ্ত এসডিও আবদুর রাজ্জাককেও কর্মস্থল থেকে ধরা হয়। সাঈদীর উপস্থিতিতে এ তিন সরকারি কর্মকর্তাকে গুলি করে লাশ বলেশ্বর নদে ফেলে দেওয়া হয়।



অপরাধ-৬: ৭ মে সাঈদীর নেতৃত্বে শান্তি কমিটির একটি দল পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে পারেরহাট বাজারের আওয়ামী লীগ, হিন্দু সম্প্রদায় এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের বাড়িঘর ও দোকান চিনিয়ে দেয়। এসব দোকান ও বাড়িতে লুটপাট করা হয়। এ সময় তারা মাখন লাল সাহার দোকান থেকে ২২ সের স্বর্ণ ও রুপা লুট করে।



অপরাধ-৭: ৮ মে বেলা দেড়টার দিকে সাঈদী পাকিস্তানি সেনাদের নেতৃত্ব দিয়ে বাদুরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খানের ছেলে শহীদুল ইসলাম সেলিমের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নুরুল ইসলাম খানকে আওয়ামী লীগার ও শহীদুল ইসলামকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং পাকিস্তানি সেনাদের হাতে সোপর্দ করেন। পরে তাদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।



অপরাধ-৮: ৮ মে বেলা তিনটার দিকে সাঈদী ও তার দলের সদস্যরা চিথোলিয়া গ্রামের মানিক পসারির গ্রাম লুট করেন। এখানে পাঁচটি ঘরে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মানিক পসারির ভাই মফিজুদ্দিন ও ইব্রাহিম কুট্টিকে ধরে সেনা ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় সাঈদীর প্ররোচনায় পাকিস্তানি সেনারা ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করে। মফিজকে সেনাক্যাম্পে নির্যাতন করা হয়।



অপরাধ-৯: ২ জুন সকাল নয়টার দিকে সাঈদী ও তার সশস্ত্র সহযোগীরা ইন্দুরকানি পুলিশ স্টেশনের নলবুনিয়া গ্রামের আবদুল হালিম বাবুলের বাড়িতে লুটপাট করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট এবং আগুন ধরিয়ে দেন।



অপরাধ-১০: ২ জুন সকাল ১০টার দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে সশস্ত্র দল উমেদপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ার ২৫টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাঈদীর ইন্ধনে বিসা বালী নামের একজনকে নারকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়।



অপরাধ-১১: ২ জুন সাঈদী টেংরাখালী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুল আলম হাওলাদারের বাড়িতে পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে যান। সেখানে তার বড় ভাই আবদুল মজিদ হাওলাদারকে ধরে নির্যাতন করা হয়। এরপর সাঈদী নগদ টাকা লুট ও মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান। পরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।



অপরাধ-১২: সাঈদীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র দল পারেরহাট বাজারের ১৪ জন হিন্দুকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে নিয়ে যায়। পরে তাদের গুলি করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।



অপরাধ-১৩: মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার দুই-তিন মাস পর সাঈদীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা নলবুনিয়া গ্রামের আজহার আলীর বাড়িতে যায়। সেখানে আজহার আলী ও তার ছেলে সাহেব আলীকে ধরে নির্যাতন করা হয়। সাহেব আলীকে পিরোজপুরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।



অপরাধ-১৪: মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি রাজাকার বাহিনী হোগলাবুনিয়ার হিন্দুপাড়ায় যায়। রাজাকারদের আগমন দেখে গ্রামের অধিকাংশ হিন্দু নারী পালিয়ে যান। কিন্তু মধুসূদন ঘরামীর স্ত্রী শেফালী ঘরামী ঘর থেকে বের হতে পারেননি। তখন সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকাররা তাকে ধর্ষণ করেন। এর ফলে স্বাধীনতার পর তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এ নিয়ে গ্রামে বিভিন্ন কথা ওঠায় শেফালী ঘরামী দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন। পরে এই হিন্দুপাড়ার ঘরে আগুন দেওয়া হয়।



অপরাধ-১৫: মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের রাজাকার দল হোগলাবুনিয়া গ্রামের ১০ জন হিন্দু নাগরিককে ধরে। পাকিস্তানি সেনারা তাদের সবাইকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।



অপরাধ-১৬: সাঈদীর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের রাজাকার দল পারেরহাট বন্দরের গৌরাঙ্গ সাহার বাড়ি থেকে তার তিন বোন মহামায়া, অন্ন রানী ও কমলা রানীকে ধরে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।



অপরাধ-১৭: সাঈদী ও তার নেতৃত্বের রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা পারেরহাটের বিপদ সাহার সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে তার বাড়িতে আটকে নিয়মিত ধর্ষণ করেন। এক সময় ভানু সাহা দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।



অপরাধ-১৮: ভাগীরথী পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে কাজ করতেন। সাঈদী এক দিন খবর দেন, ভাগীরথী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত নানা খবরা-খবর দেন। পাকিস্তানি সেনারা তাকে হত্যা করে লাশ বলেশ্বর নদে ফেলে দেয়।



অপরাধ-১৯:
সাঈদী প্রভাব খাটিয়ে পারেরহাটসহ অন্য গ্রামের ১০০-১৫০ জন হিন্দুকে ইসলাম ধর্মে রূপান্তর করে। তাদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে বাধ্য করা হতো।



অপরাধ-২০: নভেম্বরের শেষ দিকে সাঈদী খবর পান, সাধারণ মানুষ ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সশস্ত্র দল পরিকল্পিতভাবে ইন্দুরকানি গ্রামের তালুকদার বাড়িতে আক্রমণ চালায়। ৮৫ জন ব্যক্তিকে আটক করে তাদের কাছ থেকে মালামাল কেড়ে নেওয়া হয়। ১০-১২ জন বাদ দিয়ে বাকিদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

পুংটা বলেছেন: দি গ্রেট মেশিনম্যান B-))

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪২

ইন্সিত বলেছেন: দি গ্রেট মেশিনম্যান।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: দেলা সাইদীর ফাসি ছাড়া ঘরে ফিরবোনা

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

ইন্সিত বলেছেন: সাথে আছি, সাথে থাকব.......

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

এস বাসার বলেছেন: মেশিন ম্যানের মেশিন দিয়া পানি পড়তাছে :P

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯

ইন্সিত বলেছেন: মনে হয় না। মেশিন এখন ফারাবীর উপ্রে চলতাছে.......।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
এই ২০ টি অভিযোগের যে কোন একটি প্রমানিত হলেই যতেষ্ট।
ফাঁসি দেয়া যাবে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

ইন্সিত বলেছেন:

বারবিকিউ করতে পারলে ভালো হত। যেভাবে ১৯৭১ এ পুড়িয়ে মেরেছিল আমাদের বাবা মা ভাই বোনদের..।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

তারেক হক ১৯৮৬ বলেছেন: তার মুক্তি চাই ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪

ইন্সিত বলেছেন:

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

সরোজ রিক্ত বলেছেন: সব প্রমাণিত? একটা সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করা গেলেই তো ফাঁসি। আর সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকলেও জনগণের দাবী দিয়ে ফাঁসি দিয়ে দেয়া যাবে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১১

ইন্সিত বলেছেন: ইনশাল্লাহ।
এইসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের পতন চাই.......

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

ফোকাস-০০৭ বলেছেন: শিউর হইতে পারেন মোটামোটি ,সাধারন জনগন ক্ষ্যাপে আছে কিন্তু
Click This Link

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

ইন্সিত বলেছেন: গোটা জাতির একটাই দাবী,
রাজাকারের ফাঁসি দিবি......।।

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩

jotejoy বলেছেন: ==+++

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

ইন্সিত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৯

আব্দুর রহ্‌মান বলেছেন: এই পোস্ট স্টিকি করা খুব জরুরি। আগামিকাল এক পলকে সবাই সাঈদির কুকর্ম জানতে পারবে যা আগামিকালের জন্য খুব ইম্পোর্টেন্ট।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

ইন্সিত বলেছেন: সাঈদির কুকর্ম জানা আজকের জন্য খুব ইম্পোর্টেন্ট।

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩০

পৌরু বলেছেন: ফাসি ফাসি ফাসি চাই, আর কোন দাবি নাই.............

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

ইন্সিত বলেছেন: পক্ষ নিলে রক্ষা নাই
রাজাকারের ফাঁসি চাই।

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৩

পৌরু বলেছেন: আব্দুর রহ্‌মান বলেছেন: এই পোস্ট স্টিকি করা খুব জরুরি। আগামিকাল এক পলকে সবাই সাঈদির কুকর্ম জানতে পারবে যা আগামিকালের জন্য খুব ইম্পোর্টেন্ট।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

ইন্সিত বলেছেন: সাঈদির কুকর্ম জানা আজকের জন্য খুব ইম্পোর্টেন্ট।

১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৩

রুবেল সিটিজি বলেছেন: .
.
.
ফাঁসি ছাড়া কথা নাই
ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই

জয় বাংলা, জয় জনতা

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

ইন্সিত বলেছেন: অপেক্ষা, অপেক্ষা আর অপেক্ষা .........

১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৫

নির্জনা০০৭ বলেছেন: ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই

ফাঁসি ছাড়া কথা নাই

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

ইন্সিত বলেছেন: কোনই কথা নাই, দাবী একটাই.............

১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩০

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই
ফাঁসি ছাড়া কথা নাই

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

ইন্সিত বলেছেন: কোনই কথা নাই, দাবী একটাই.............

১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৯

আশিক মাসুম বলেছেন: ৪ নং কমেন্ট -এ জাজা।

১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

শিস্‌তালি বলেছেন: fashi.....fullstop

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

ইন্সিত বলেছেন: ফাঁসির আদেশ হল। এখন আমরা দেখব জামাতিদের মারামারি আর কাটাকাটি । প্রথমে বলা হল ধর্ম যাচ্ছে , আখন বলা হবে ভারতের কাজ এসব । মিলে যাচ্ছে ৭১ এর সাথে। যারা সাক্ষী দিয়েছে জামাতিদের বিরুদ্ধে , তাদের কি হবে আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ।

১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

শিস্‌তালি বলেছেন: afsos Sayeedi owaj e abar muslimra jai

১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১১

তুহিন সরকার বলেছেন: একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
প্রজন্মের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
তুমি কে আমি কে
বাঙ্গালী, বাঙ্গালী।
তোমার আমার ঠিকানা,
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা।
রাজাকারের ঠিকানা ফাঁসির পর পাকিস্তানের মোহনা।
একটাই দাবি দেউল্লা রাজাকারের ফাঁসি চাই,ফাঁসি।
জয়বাংলা।

১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২১

এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: পুংটা বলেছেন: দি গ্রেট মেশিনম্যান B-))

২০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

রঁমাকান্তকামারঁ বলেছেন: ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই বলে আবালের মত গলা না ফাটিয়ে একটা কাজের কাজ করেন সবাই। জেলের তালা ভেঙ্গে সব কটাকে বের করেন। তারপর ঝুলিয়ে দেন।

আপনাদের এই আবদার রক্ষা করা আর কোন ভাবেই সম্ভব না :)

২১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

নীলপথিক বলেছেন: ফাঁসি দেয়া হোক জনসম্মুখে

২২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

উলাম বলেছেন: ফাঁসির দড়ি লাগানো হোক মেশিনে।

২৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

সজিব তৌহিদ বলেছেন: সা্ঈদী চোরা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।

২৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

েরজা বাবু বলেছেন: আমি +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

সবচেয়ে ভাল রায় চাই।

২৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

টি_মৃদুল বলেছেন: জামাত শিবিরের ইসলাম!!! দেখুন, জানুন!!!! ধর্ম নিয়ে খেলছে এরা নিজের স্বার্থে

জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আ’লা মওদুদি , যার পরিকল্পনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জামাতে ইসলামীর জন্ম , যার বই পড়িয়ে গড়ে তোলা হয় জামাত শিবির কর্মীদের , যার ধর্ম ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে জামাত ,সেই জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আ’লা মওদুদি ধর্ম সম্পর্কে কি বলেন জানুন। এই লোক কে এই অঞ্চলের ওলামা মাশায়েখ রা অমুসলিম ঘোষনা দিয়েছিলেন। কারন সে তার নিজের রাজৗনতিক ক্ষমতা দখলের জন্য মুল ইসলামের বাইরে নিজের সুবিধা ানুযায়ি মনগড়া ইসলাম প্রচার করেছে, ইসলাম নিয়ে অনেক কটুক্তি করেছে। জানুন, দেখুন জামাত শিবিরের ইসলাম কি বলে -
ইসলাম বলে -দ্বীনের আসল মকছুদ নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত কায়েম করা। (শরহুল আকায়েদ, ৩০৪ পৃষ্ঠা)।
মওদুদী বলে -“দ্বীনের আসল মকছুদ হলো ইসলামী হুকুমত। নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি সমস্ত ইবাদত হলো উক্ত মকছুদ অর্জনের মাধ্যম”। -(আকাবেরে উম্মত কী নজরমে, ৬৪ পৃষ্ঠা)।

সুন্নতে রাসূল সম্পর্কে মওদুদীর ভ্রান্ত মতবাদঃ
মওদুদী বলে -“হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদত, আখলাককে সুন্নত বলা এবং তা অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে সাংঘাতিক ধরনের বিদয়াত ও মারাত্মক ধর্ম বিকৃতি। -(রাছায়েল মাছায়েল, ২৪৮ পৃষ্ঠা)।
মওদুদী বলে -“দাড়ি কাটা ছাঁটা জায়িয। কেটে ছেঁটে এক মুষ্টির কম হলেও ক্ষতি নেই। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পরিমাণ দাড়ি রেখেছেন সে পরিমাণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলা এবং এর অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে মারাত্মক অন্যায়”। -(রাছায়েল মাছায়েল, ১ম খণ্ড, ২৪৭ পৃষ্ঠা)।

পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন ইত্যাদি সম্পর্কে মওদুদী বলে -“পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন, আকৃতি-প্রকৃতি চুল কার্টিং ইত্যাদির ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করতে কোন দোষ নেই”। -(তরজুমানুল কুরআন, ছফর সংখ্যা, ১৩৬৯ হিজরী)।
পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ কোরআন করিম হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট, কিন্তু নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।” -(তাফহিমাত, ১ম খণ্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা)।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দূর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন।” - (তরজমানুল কোরআন ৮৫ তম সংখ্যা, ২৩০পৃ. ও তরজমানুস্ সুন্নাহ, ৩য় খণ্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা)।
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে মনগড়াকথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষণ করেছেন।” -(তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী)।
‍‍‍‍“হযরত মুহাম্মদ (সা.) রিসালাতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করেছেন, তাকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।” -(তাফহীমুল কুরআন, সুরায়ে নসর এর তাফসীর)।

মওদুদী বর্ণিত ইসলামে নবীদের সম্পর্কে মওদুদীর ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
“নবীগণ মা’ছূম নন। প্রত্যেক নবী গুনাহ করেছেন।” (নাঊযুবিল্লাহ)। - (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)।
“হযরত দাউদ আঃ তার এলাকার ইসরাইলীদের সাধারণ রেওয়াজের বশবর্তী হয়ে উরিয়ার কাছ থেকে তালাকের আবেদন করেন।” (নাউজুবিল্লাহ)। - (তাফহীমাত-২/৪২, দ্বিতীয় প্রকাশ, তাফহিমুল কোরআন (উর্দু):৪র্থ খণ্ড, সুরা সাদ, ৩২৭ পৃ. ১ম সংস্করণ, অক্টোবর ১৯৬৬ইং)।
হযরত দাউদ আঃ যে কাজটি করেছিলেন তাতে প্রবৃত্তির কামনার কিছু দখল ছিল, শাসন ক্ষমতার অসংগত ব্যবহারের সাথেও তার কিছু সম্পর্ক ছিল, এবং তা এমন কোন কাজ ছিল যা কোন ন্যায়নিষ্ঠ শাসকের জন্য শোভনীয় ছিল না। -(তাফহীমুল কুরআন-১৩/৯৫, আধুনিক প্রকাশনী, ১১শ প্রকাশ)

হযরত ইব্রাহীম আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
“এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম আলাইহিওয়াস সাল্লাম সাময়িকভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” - (তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড, ৫৫৮ পৃ.)।

হযরত ইউসুফ আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ ‘আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন’- এ কথাটি বলে শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি। কারো কারো ধারনা, বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।” - (তাফহীমাত: ২য় খণ্ড, ১২২ পৃ. ৫ম সংস্করন এবং নির্বাচিত রচনাবলী (বাংলা) ২য় খণ্ড, ১৫১ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং)।
হযরত ঈসা আলাইহিওয়াস সাল্লাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ “হযরত ঈসা আলাইহিওয়াস সাল্লাম মারা গেছেন একথাও বলা যাবেনা, বরং বুঝতে হবে ব্যাপারটি অস্পষ্ট।” -(তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড (সুরা নিসা), ৪২১ পৃ.)।
সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে মওদুদীর কুফরী আক্বীদাঃ
সাহাবায়ে কেরাম সমলোচনার বাহিরে নন। তাদের দোষ বর্ণনা করা যায়। সাহাবাদের সম্মান করার জন্য যদি ইহা জরুরী মনে করা হয় যে, কোনভাবেই তাদের দোষ বর্ণনা করা যাবে না তবে আমার (মওদুদী) দৃষ্টিতে ইহা সম্মান নয় বরং মূর্তি পূজা। যার মূলোৎপাটন এর লক্ষ্যেই জামাতে ইসলামীর জন্ম”।
-(তরজুমানুল কুরআন ৩৫শ’ সংখ্যা, পৃষ্ঠা ৩২৭)।

হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু খিলাফতের দায়িত্ব পালনে সম্পুর্ণ অযোগ্য ছিলেন”। -(তাজদীদ ও ইয়াহইয়ায়ে দীন: পৃষ্ঠা ২২,)।

“নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওফাতের সময় ব্যাক্তিসম্মানের কু-মনোবৃত্তি হযরত উমর (রঃ)কে পরাভূত করেছিল। -(তরজুমানুল কুরআন, রবিউস সানি ৩৫৭ হিজরী)।
“হযরত উসমান রাযিয়াল্লাহু আনহু এর মাঝে সজন-প্রীতির বদগুণ বিদ্যমান ছিল। -(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ৯৯)।
“হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় খেলাফতকালে এমন কিছু কাজ করেছেন যাকে অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নেই।-(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ১৪৬/১৪৩)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.