![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল মিথ্যুক নই । তাই যতোই মিথ্যা বলি সাথে সাথেই ধরা পরে যাই ,এরজন্য অনেকেই আমাকে বোকা বলে সম্বধন করে। আমি এতে কোন দু:খই পাই না। কারন,চালাক এর মানে যদি হয় অন্যকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করা তা হলে আমি বোকাই ভাল!!
হাটছি রাস্তায় , একাই হাটছি। সামনে একটা খালি সিট আছে। অনেকক্ষন হাটার ফলে ইতিমধ্যেই পায়ে ব্যাথা অনুভব হচ্ছে তাই বসার ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে সিটটার কাছে যেতেই দেখি সেখানে ৭-৮ বছরের একটা বাচ্চা ঘুমাচ্ছে। ভাবলাম বাচ্চাটাকে ডাকবো একবার কিন্তু কি ভেবে যেন ডাকা হলো না তাকে।
না ডেকেই অন্যদিকে হাটা শুরু করলাম । হঠাত পিছন থেকে একটা ডাক পেলাম, ভাইয়া চা খাইবেন??
পিছনে ফিরতেই দেখি সেই বাচ্চাটার ঘুম থেকে উঠেই আমাকে ডাকছে।
আমি : এই সময় তুই চা পাবি কই??
বাচ্চা : এইতো পাশে আছে ভাইয়া, এক্কেবারে গরম চা।
আমি : ও , দে তাহলে এক কাপ।
বাচ্চা :আইচ্ছা , আপনে বসেন , আমি এখনই দিতাছি।
আমি : আচ্ছা, তোর নাম কি??
বাচ্ছা : (মুচকি হেসে) মাসুম ।
আমি : ভাল তো । তা তুই কি পড়া-লেখা করিস নাকি শুধু চা ই বেচিস??
মাসুম : করি তো ভাইয়া। দিনে পড়ালেখা আর সন্ধ্যার পরে চা বেচি। আসলে আব্বার বয়স হইছে তো তাই এখন আর সারা দিন হাটতে পারে না। নেন (চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়ে)
আমি : ও , তা তুই কি রোজই থাকিস এখানে?
মাসুম : হয় ভাই।
আমি : কয়ডা রোজা রাখছোছ??
মাসুম : ভাই , রাখছি ১৫-১৬ ডা।
আমি : ঈদের কেনাকাটা করছোছ কিছু??
মাসুম : হয় ভাই, আম্মারে একখান শাড়ি কিন্না দিছি আর আব্বায় আর আমি গেঞ্জি কিনছি। (চোখে তার প্রাপ্তির ঝলক)
আমি : ও, তা তোর বিল হইছে কতো??
মাসুম : পাচ টাকা দিলেই হইবো।
আমি পকেটে হাত দিয়ে দেখলাম ১০০ টাকার একটা নোট । সেটা দেখে মাসুমের মুখে চিন্তার ছাপ।
মাসুম : ভাইয়া , আমার কাছে ভাংতি নাই।
আমি : লাগবে না, তুই পুরাটাই রেখে দে।
প্রথম প্রথম না না করলেও অনেক বলার পর সে নিল টাকাটা ।
না আজ আর রাস্তায় হাটতে ইচ্ছা করছে না। মনে একটা অজানা শান্তি লাগছে। ১০০ টাকা দেওয়ায় হয়ত আমার তেমন কিছুই ক্ষতি হয়নি কিন্তু মাসুম বেশ খুশি হয়েছে। সেই খুশিটাই মুখ্য!!
না আজকে অনেকদিন পর একটা ভাল ঘুম হবে!!
©somewhere in net ltd.