![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুন-তাবিজ, কুফরি কাজ করে মানুষ -মানুষের যে ক্ষতি করে এটা খুব একটা বিশ্বাস করতাম না-! কিন্তু কিছু এমন ঘটনা দেখেছি, দেখতেছি-- যা দেখে শুধু অবাক এন হতবাক হয়ে যাচ্ছি-! মানুষ এর ভেতরে যে কি ভয়ংকর শয়তান বাস করে--! পরিচিত একজনের বিয়ে বন্ধ করে রেখেছে কেউ! কথাটা কুসংস্কার মনে হতে পারে কিন্তু আজব হলেও সত্যি যে মেয়েটাকে যত হুজুরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, মানে যারা এইসব গুন-তাবিজ এবং দোয়া - কালাম করে থাকে তারা প্রত্যেকেই মেয়েটাকে দেখে এক-ই কথা বলেছে, এর অনেক শত্রু আছে এবং এর বিয়ে এমন ভাবে বন্ধ করে রেখেছে যে সেটা কাটানো মুশকিল! অনেক দোয়া - কালাম করা হয়েছে এবং বিয়ের জন্য বহুভাবে চেষ্টা করা হলেও মেয়েটার বিয়ে হচ্ছে না! একদম ঠিক হয়ে যাওয়া কিছু বিয়ে আশ্চর্যজনক ভাবে ভেঙ্গে গেছে! জানি জন্ম-মৃত্যু - বিয়ে এই তিনটি আল্লাহ্র হাতে ! আল্লাহর হুকুম ছাড়া এই তিনটা কাজ হয় না তবুও শঙ্কিত ব্যপারটা নিয়ে মেয়েটির বাবা-মা! কারন যোগ্যতার বিচারে সব দিক দিয়েই মেয়েটা পারফেক্ট ! বড় আজিব, মানুষের কাজ-কারবার! শুধু বিয়ে না আরও অনেক কুফরি কাজ এই গুন-তাবিজের মাধ্যমে কিছু মানুষ করে থাকে! তবে একটা কথা মানি- যে যতই খারাপ কাজ করুক না কেন, দুনিয়া থেকেই তাকে সে শাস্তি কিছুটা পেয়ে যেতে হবে---! আর যারা এ ধরনের গুন-তাবিজ আর কুফরি কাজ করে, তাদের উপরেই যেন ঐসব কাজের প্রভাব পরে -- --তাহলে তারা বুঝবে---।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু! বুঝলাম! কিছু ব্যাপার অবশ্যই অবাক করে দেয়ার মত! আসলে এই কাজগুলো যে মানুষ করে এটা সত্যি না ভেবে উপায় নেই! আপনার স্ত্রীর প্রতি আপনার ভালোবাসা যেন অটুট থাকে এটাই প্রত্যাশা করছি!
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
পথহারা নাবিক বলেছেন: গুন/তাবিজ এইগুলো হলো কুফরি। এইগুলো থেকে দূরে থাকার চেসটা করুন!!
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ভাই দূরে থাকতে চাইলেও আপনি পারবেন না যদি কেউ এই কাজগুলো আপনার উপর প্রয়োগ করে থাকে।
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
বাধা মানিনা বলেছেন: পথহারা নাবিক ভাই। সব গুলোই কিন্তু কুফুরী নয়। পবিত্র কোরআনকে সঠিকভাবে ব্যবহার করওে এসব করা যায়।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাঁ সব গুলোই কুফরি নয় কেউ কেউ ভাল কাজ ও করে থাকেন!
৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
অডি বলেছেন: @ বাধা মানিনা বলেছেন:
"তিনি বলেছিলেন আমার পরিবারের চার জন নারি আমার স্ত্রীকে মাংসের পিঠার সাথে কিছু মিশিয়ে খাইয়েছেন। যার ফলে আমার স্ত্রী দিন দিন বিমর্স-মলিন-কালো-রুগ্ন হয়ে পরবে। ফলে আমি আমার স্ত্রীর উপর থেকে মন সরিয়ে নেব। আমার পরিবার পুনরায় আমাকে তাদের ইচ্ছামত মেয়েকে বিয়ে করবো। (উল্লেখ্য যে, আমি সুদীর্ঘ ৯ বছর প্রেম করে অবশেষে সেই প্রেমিকাকেই বিয়ে করি যা আমার পরিবার কোনভাবেই মেনে নেন নি।)।"
তাবিজ নিয়ে কোন মন্তব্য করছি না। জানতে ইচ্ছা করছে-
আপনার স্ত্রী'র রূপ নষ্ট হলে আপনি তার উপর থেকে মন সরিয়ে নিবেন কেন? এরকম নয় বছরের প্রেমের মানেটাই বা কি?
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমার কাছে যেটা মনে হয়- কেউ যখন এ ধরনের কুফরি কাজ কারো উপর প্রয়োগ করে তখন তার প্রভাবেই সে ঐরকম কাজ করে বসে।
৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
পথহারা নাবিক বলেছেন: @বাধা মানিনা ভাই আমি আসলে অজ্ঞ মানুষ, তেমন কিছুই জানি না। আপনার মনে হয় এই তাবীয কবয নিয়া অনেক জ্ঞান তাই ভাই রে একটু প্রস্ন করতে চাইতেছিলামঃ
১ . তাবীয পরা যাবে এইটা আপনি কোন হাদিছে পাইছেন।
২. আপনি গলায় তাবিয লাগাইয়া হাগু মুতু করবেন, বউএর সাথে সহবাস করবেন তকন আপনার শরীর নাপাক থাকবে, তখন কি পবিত্র আয়াত গায়ে থাকলে গুনাহ হবে না।
আপনি আমার প্রস্নের উত্তর দিবেন আশা করছি.........
৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
কাকতড়ুয়া007 বলেছেন: প্রত্যেক ব্যাক্তি যারা ইসলাম বিশ্বাস করেন এবং কোরআন হাদীসে বিশ্বাস আছে তারা পবিত্র কোরআনের সূরা ফালাক্ব এবং সূরা নাছ এর নাযিল হওয়ার কারণ মানে শাণে নুযুল গুলি যদি একবার পড়তেন , তাহলে আপনাদের কাছে গুণ , তাবিজ , কুফুরি এই বিষয় গুলি সম্পর্কে আর কোন সন্দেহ থাকার কথা না !
বাংলা তাফসীর বা বাংলা/ইংরেজী অনুবাদ সহ কোরআন শরীফে খোঁজ করলেই পাবেন ।
যেখানে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর উপর তাবিজ করা হয়েছিল এবং এর ফলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং তাঁর সুস্থ্যতার উপায় জানানোর জন্য দুইজন ফিরিশতা স্বপ্নের মাধ্যমে রাসূল (সাঃ) কে জানিয়ে ছিলেন এবং তিনি সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় সুস্থ্য হয়েছিলেন !
সেখানে আমি , আপনি তো অতি সাধারণ মানুষ !
আর আপনি যে বিয়ের কথা বললেন তা এদেশে একটা অন্যতম বড় বিষয় তাবিজ কবজ করার জন্য !
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু! এগুলো পড়া আছে । তবুও মনে হত মানুষ কি সত্যি এগুলো করে ? এরপর তো নিজের চোখেই দেখছি এবং এইভাবে যে বিয়ে আটকিয়ে রাখে তা বেশ কয়েকজনের বেলাতে দেখলাম। এত খারাপ লাগে লাগে বিষয়গুলো ! অনেক ধন্যবাদ!
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
বাধা মানিনা বলেছেন: পথ হারা নাবিক ভাই। আপনি কি জীবনে কোন দিনই অসুস্থ হয়ে পরেন নাই? যদি বলেন জীবনে বহু বার অসুস্থ হয়েছেন, কমপক্ষে স্বাধারণ জর হলেও হয়েছে তাহলে আমি বলবো, কেন? আপনি কি সুষ্ঠুভাবে আপনার জীবন চালান নাই? অসুস্থ হলেন কেন??
জী ভাই। আপনি যদি জীবন চলার পথে কিছুটা হলেও অসংলগ্ন বা অনিয়ম করেন তাহলে কিছুটা হলেও অসুস্থ হবেন। ঠিক তেমনি ভাবে-
সঠিক ভাবে নামায-রোজা সহ আল্লাহ প্রদত্ত সকল প্রকার অযিফা-কালাম ঠিকঠাক মত অনুসরণ না করলে ঐ সমস্ত কু-কালাম আপনার দেহ এবং মন দুটোতেই আঘাত করতে সক্ষম হবে। আর শরির অসুস্থ হলে যেমন ওষুধ খেতে হয় ঠিক তেমনি কু-কালামের মাধ্যমে অসুস্থ হলেও কালাম পাকের মাধ্যমেই চিকিৎসা নিতে হয়।
আর আপনার অসুখ হলে যে সমস্ত ওষুধপত্র খাচ্ছেন তা কি সব জিনিস দিয়ে তৈরী হচ্ছেন তা কি আপনি জানেন?? বেশীরভাগই তৈরী হচ্ছে আপাতত দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম বস্তু দিয়ে যা একজন সুস্থ কোন দিনই খেতে চাইবেন না। কিন্তু চিকিৎসার প্রয়োজনে পৃথিবীর সকল নবী-রাসুল আ: গন, পীর-মাশায়েগন, আলেম-ওলামাগন সকলেই ব্যবহার করেছেন এবং কছেন।
হযরত লোকমান আ: একজন আল্লাহর নবী ও তৎকালীন সময়ের জন্য রাসুলও ছিলেন। তিনি কিন্ত জগৎবিখ্যাত কবিরাজ হিসাবে সারা দুনিয়ার মানুষের কাছেই পরিচিত ছিলেন। সং হেকীম লোমনাও নবী-রাসুল হয়েও তাবীজ এর তদবীর করতেন শুনেছি।
হযরত মুহাম্মদ সা: যখন কুফুরী কালামের মাধ্যমে অসুস্থ হলেন তখন ফেরেস্তারা আল্লাহ পাকের কাছ থেকে সেই কুফুরীর প্রভাব দুর করার জন্য তাবিজ নিয়ে আসলেন যার মাধ্যমেই দয়াল নবী পরবর্তী সময়ে সুস্থ হয়েছিলেন। নবীজি সারা জীবনে আমলের মাধ্যমে সময় ব্যয় করার পরও তাবিজের কালাম (সুরা নাস ও সুরা ফালাক) ব্যবহার করতে হলো সেখানে আমাদের মত যারা আল্লাহর বেখেয়ালী জীবন যাপন করেন তাদের জন্য শুধু মাত্র সেই কালামে পাক পড়লেও হবে না, পরিধানও করতে হবে এবং সেটা ওষুধ হিসাবেই ব্যবহার করার অনুমতিও পাবে।
বেশী লম্বা কমেন্টেসের জন্য দুখিত।
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কাকতড়ুয়া007 বলেছেন: প্রত্যেক ব্যাক্তি যারা ইসলাম বিশ্বাস করেন এবং কোরআন হাদীসে বিশ্বাস আছে তারা পবিত্র কোরআনের সূরা ফালাক্ব এবং সূরা নাছ এর নাযিল হওয়ার কারণ মানে শাণে নুযুল গুলি যদি একবার পড়তেন , তাহলে আপনাদের কাছে গুণ , তাবিজ , কুফুরি এই বিষয় গুলি সম্পর্কে আর কোন সন্দেহ থাকার কথা না !
বাংলা তাফসীর বা বাংলা/ইংরেজী অনুবাদ সহ কোরআন শরীফে খোঁজ করলেই পাবেন ।
যেখানে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর উপর তাবিজ করা হয়েছিল এবং এর ফলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং তাঁর সুস্থ্যতার উপায় জানানোর জন্য দুইজন ফিরিশতা স্বপ্নের মাধ্যমে রাসূল (সাঃ) কে জানিয়ে ছিলেন এবং তিনি সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় সুস্থ্য হয়েছিলেন !
ঠিক এই কথাগুলো আমারো মাথায় এসেছিল... আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন, আমরা যাতে আল্লাহ এবং রাসূল(সঃ) এর প্রদর্শিত পথে চলতে পারি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
বাধা মানিনা বলেছেন: প্রথমে আমি প্রচন্ড রাগ করে আমার বউ, শালি এবং সর্বপোরী শাশুরীর সাথে অনেক খারাপ আচড়ন করলাম। কারণ তারা জনৈকা অন্ধ বৃদ্ধার কাছে গিয়েছিলেন আমার স্ত্রী ও সন্তানের অসুস্থতার কারণ জানতে।
মজার ব্যপার হলো, আমার স্ত্রীকে না দেখেই (যেহেতু ঐ বৃদ্ধা অন্ধ) শুধুমাত্র সামনে দাড়িয়ে থেকে নাম বলার সাথে সাথেই আমার স্ত্রী এবং আমার পরিবার সম্পর্কে তিনি যা যা বললেন তার পুরাটাই সম্পূর্ন সঠিক এবং রোমহর্ষক।
আমার স্ত্রীর অসুস্থতার কারণ সম্পর্কে যা বললেন তা আমি কোন যুক্তি দিয়েই ভাঙ্গতে পারিনি। তিনি বলেছিলেন আমার পরিবারের চার জন নারি আমার স্ত্রীকে মাংসের পিঠার সাথে কিছু মিশিয়ে খাইয়েছেন। যার ফলে আমার স্ত্রী দিন দিন বিমর্স-মলিন-কালো-রুগ্ন হয়ে পরবে। ফলে আমি আমার স্ত্রীর উপর থেকে মন সরিয়ে নেব। আমার পরিবার পুনরায় আমাকে তাদের ইচ্ছামত মেয়েকে বিয়ে করবো। (উল্লেখ্য যে, আমি সুদীর্ঘ ৯ বছর প্রেম করে অবশেষে সেই প্রেমিকাকেই বিয়ে করি যা আমার পরিবার কোনভাবেই মেনে নেন নি।)।
ঘটনা আরো অনেক বড়.. পরে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিব ভাবছি।