নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আচ্ছা, এই ঈদেও তুই আমাকে চুড়ি কিনে দিলি না...? !? তোর কি কোনদিন একটুও বুদ্ধি-সুদ্ধি আক্কেল হবে না রে? এক ডজন চুড়ির দাম কি খুব বেশি- বল? অথচ দেখ, এই ঈদ -এ আমার হাতের মেহেদীটাও তোর কিনে দেয়া মেহেদী হতে পারতো! মেহেদীর দাম ও তো- মাত্র ৪০/টাকা! তোর মন কোথায় থাকে রে? আমার কান্না পাচ্ছে খুব! এবার যদি না কিনে দিস তাহলে তো আর কখনোই কিনে দিবি না...আমার আর কখনোই পড়া হবে না তোর কিনে দেয়া চুড়ি... তোর কিনে দেয়া মেহেদী দিয়ে হাত রাঙানো হবে না...! আমার মেহেদী পড়া হাতের সুযোগ নিয়ে তুই যা ইচ্ছে তা করতে পারবি না... আমি মেহেদী দেয়ার অযুহাতে তোর কাছে ভাত খাইয়ে দেয়ার আদুরে আবদার করতে পারবো না... ! আমার খুব কষ্ট হচ্ছে রে... খুব! ...তারপর-ই সেই কল্পনার কল্পিত অংশ ---
- ওকে বাপ, এরপর ভুল হবে না, আচ্ছা দাড়া এনে দিচ্ছি! কিন্তু টাকা নাই তো! তোর পার্স দে, টাকা নেই? কত দাম এক ডজন চুড়ির?আর মেহেদীর?
- আজোও তুই আমার পার্স নিবি হারামী?
- কেন নিলে কি হইছে? ওকে যা পরে সব শোধ দিমুনে তো!
- থাক লাগবে না, আমার কেনা চুড়ি গুলি-ই পড়িয়ে দে... আমার কেনা মেহেদী-ই হাতে লাগাবো!
- ইস্ ঢং কত! আজকে চুড়ি পড়িয়ে দে, মেহেদী দিয়ে দে, কাল বলবি- খাইয়ে দে, পরশু বলবি- কাপড় ধুয়ে দে... শালা হারামী! আমি কি তোর চাকর না কি রে?
- হাহহা! হু তুই আমার আব্দুল! ওকে যা লাগবে না! তুই গিয়ে তোর অই ছাগল মার্কা দাড়ি শেভ করে আয়, আমার দেয়া পাঞ্জাবিটা পড়! আমি শাড়ি পড়ি! যা এখন! ভাগ!
- অই অই তুই না শাড়ি পড়তে পারিস না? আমি পড়িয়ে দেবো না কি রে?
- না থাক লাগবে না, পড়ে বলবি- আমি তোকে দিয়ে কাজ করিয়েছি! যা আমার সামনে থেকে, তোকে দেখলেই গা জ্বলে যাচ্ছে আমার!
- আরে বাপ যাচ্ছি তো!
- চুপচাপ নিজের কেনা চুড়িগুলি হাতে নিয়ে ভাবছিলাম- চুড়ি আর মেহেদী তো একটা বাহানা রে! তোর কাছে এই ছোট্ট চাওয়াটা নিয়ে ঝগড়া করতে যে আমার খুব ভাল লাগে, তোর অসহায় মায়া মায়া মুখটা দেখতে, আমার পার্স নিয়ে তোর টানাটানি সব-ই যে আমার ভাললাগার ... কিন্তু তুই গাধা আজো বুঝিস না তা! ইচ্ছে করেই তো তোকে উল্টাপাল্টা কথা বলি আর দেখি তোর অসহায় চেহারা নিয়ে মায়া মায়া ভাবে দাঁড়িয়ে থাকাটা... মনে মনে ভাবি- আমার এই বকা-ঝকাগুলির কাছে তোর মত একটা ডানপিটে ছোকড়া / ডাকাত কি করে অসহায় হয়ে যায়... ? একটুও হম্বি-তম্বি করতে পারিস না! আবার কল্পনা...
- অই অই হয়নি তোর? মুখে কি আলকাতরা মাখতেছিস?
- লাত্থি খাবি কিন্তু কইলাম, আমি মুখে আলকাতরাও মাখি না, চুনকাম/ প্লাস্টারও করি না হারামী! আমি শুধু পাউডার/ ফেস পাউডারের প্রলেপ দেই একটু! নে চল, রিকশা ডাক দে, ঘুরতে যাবো! অই শোন, ঘুরে এসে তোর পাঞ্জাবির সাথে যে ওড়নাটা দিয়েছি ওটা আমাকে দিয়ে দিস কিন্তু!
- কেন রে হারামী? কিপ্টি! গিফট দিয়ে প্রতিবার ফেরত নিস? এইবার দিমু না, এইটা রাইখা দিমু, বিয়া করলে বউ রে দিমু!
- ঠিক আছে রেখে দে! দিস তোর বউকে!
- অই দেখ, কেমন গাল- ফুলিয়েছে! আচ্ছা, তুই কি জানিস? তুই নীরবে খুব পেইন দিতে পারিস? শালা হারামী! এক কথাতে মাইরা দিস! বুকের ভেতর জ্বালাইয়া দিস... হু হু করে উঠে বুকটা ... ইচ্ছে হয় তোকে ছুঁয়ে দেই!
- হাহাহা! দে না, কি মানা করেছে তোকে ? না থাক, আমার কপালে তো কিছুই নেই! শুধু কল্পনা ছাড়া! অই বাদ দে, চল, আইসক্রিম খাবো!
>>এরপর পাশাপাশি বসে রিকশায় এদিক- সেদিক ঘোরা - ফেরা... আইসক্রিম খাওয়া ... আর তোর নাকে ঘষে দেয়া... তারপর... বাসার কাছে ফিরে তোর বুকের সাথে লেপ্টে গিয়ে অনুভব করা- “ তুই আমার”! তারপর ওড়নাটা নিয়ে মুগ্ধতায় দুজনের বিদায়...! কি অদ্ভুদ তাই না...? এবার কিন্তু আমাদের ঈদ একটাই ... ! তাই চাঁদ রাতের এই ঘোরা- ফেরা আনন্দ... ঈদের শুভেচ্ছা... সব এক দিনেই! ঈদ মোবারক হাম্বা! অনেক অনেক শুভ কামনা! ভাল থাকিস!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাম্বা মোবারক! দেরী হয়ে গেল! কারন কমেন্ট দেখতে পারছিলাম না!
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫
রেজা এম বলেছেন: ভালো লাগলো
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধইন্না পাতা!
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২১
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: এরপর পাশাপাশি বসে রিকশায় এদিক- সেদিক ঘোরা - ফেরা... আইসক্রিম খাওয়া ... আর তোর নাকে ঘষে দেয়া... তারপর... বাসার কাছে ফিরে তোর বুকের সাথে লেপ্টে গিয়ে অনুভব করা- “ তুই আমার”!
তুই আমার, শুধুই আমার
তারপর ওড়নাটা নিয়ে মুগ্ধতায় দুজনের বিদায়...!
কিন্তু তার পর বিদায় কেন ? চলতে থাকুক না।
শুভ কামনা ব্লগ সন্ত্রাসীটার জন্য।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হহহা... গল্পের নায়িকা যে এখনো নায়কের ঘরে যায়নি! তাই রাস্তাতেই বিদায়! সন্ত্রাসী বানিয়েই দিলেন! অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ঈদ মুবারক