নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
>হু কিছু মা ভক্ত ছেলে আছে যারা সংসার জীবনে গিয়ে মা আর বউ কে এক সাথে গুলিয়ে ফেলে! সে ছেলেগুলির এই ভক্তি অনেক সময় সংসারে অশান্তি বয়ে আনে! তার মানে এই নয় যে, আমি বলছি- মা ভক্ত হওয়া যাবে না, কিন্তু কিছু মা ভক্ত ছেলে করে কি? এরা দুটো আলাদা সত্ত্বাকে এক করে ফেলে! অথচ এরা বোঝে না- মা তো মা-ই, বউ তো বউ-ই! মায়ের জায়গা যেমন বউ নিতে পারে না, তেমনি বউ এর জায়গা মা নিতে পারে না! দুজনের আলাদা একটা অস্তিত্ব আছে! এরকম-ই কিছু মা ভক্ত ছেলে, মায়ের কথাতেই ঊঠ-বস করে, আর যদি সেই মায়ের অপছন্দ ছেলের বউ হয় তাহলে তো অবস্থা শেষ ! বলছিল- বেশ কজন আপু, পরিচিত কয়েকজন! বাবা-মা’কে ভক্তি/ শ্রদ্ধা /সম্মান অবশ্যই করতে হবে, কিন্তু মায়ের সব কথাই যে ঠিক হবে বা অন্যায় হবে না এমন ভাবাটাও মনে হয় ঠিক না! মায়ের কথা শুনে বউকে কিংবা বউ এর কথা শুনে মা’কে কিছু বলার আগে ভাল-মন্দ, সত্য/ মিথ্যা যাচাই করে নিন! আর মা’কে মা’য়ের জায়গায়, বউ কে বউ এর জায়গায় রাখুন, তাহলে দেখবেন... বেশি গ্যাঞ্জাম লাগবে না!
(এই প্রশ্নটা কয়েকজন বিবাহিত ছেলেকে করেছিলাম তারা হ্যাঁ বলেছে এবং সাথে এটাও বলেছে- বউ এর কারনে মা’র সাথে অন্যায়টা বেশি হয়! আমিও অস্বীকার করবো না তা, তবে তার বিপরীতে মা’র কারনে বউ এর সাথে অশান্তিও কম ঘটছে না! )
>আবার কিছু পরিবার ভক্ত ছেলে! যাদের পরিবারের প্রতি টান জেগে উঠে যখন প্রেম করতে গিয়ে বিয়ের কথা মেয়েরা/প্রেমিকারা বলে তখন! অথচ প্রেম করার সময় তারা পরিবারের কথা ভাবে না, একটা মেয়ের হাত ধরার আগে ভাবে না, সেই মেয়েটার হাত সে সারাজীবন ধরে রাখতে পারবে কি না, সে এটা ভাবে না- তার পরিবারে সেই মেয়েটার জায়গা সে করে দিতে পারবে কি না, পারবে কি না সমাজে তাকে নিজের বউ বলে স্থান দিতে! প্রেমের মাঝখানে যখন মেয়েটা বিয়ের কথা বলে তখন তার কাছে পরিবার মুখ্য হয়ে যায়, তখন পরিবারের হাল ধরা, পরিবাররে সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু করার ক্ষমতা তার থাকে না আর নিজের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখাতে সে তখন তৎপর হয় ! ব্যস দুম করেই ছেড়ে দেয় মেয়েটার হাত... কোন কিছু চিন্তা না করে! (মুদ্রার বিপরীতে এরকমটা হয়ত হাতে গোনা কিছু মেয়ে করে থাকে) ভুক্তভুগি কিছু মেয়ের চরম দুর্ভোগ দেখে লিখলাম!
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ???????????
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আপনাকে একটা কথা মনে করিয়ে দেই,
মা,বউ দুজন কিন্তু নারী।
ঠিক যেমন পাটা পুতালের গসা গসি
আর মাঝখানে .....................?
পুরুষের অবস্থাটা নিশ্চই বুঝতে পারছেন।
প্রেম বিষয়ে লেখাটা নিশ্চই আপনার পুরুষের প্রতি হিংসা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: দেখুন সব দোষ মা আর বউ এর হতে পারে না- একটা ছেলেকে পরিবেশ/ পরিস্থিতি বুঝে, সমস্যার মোকাবেলা এমন ভাবে করতে হবে, যেন, সেটা এক পক্ষীও না হয় এবং কারো প্রতি অবিচার যেন না করা হয়, আবার এমন ভাবে দুজনকেই ম্যানেজ করতে হবে, যেন দুজনেই ভাবতে পারে- তারা ছেলে/ স্বামী হারায়নি! হহাহা! হিংসা? এটা কি সত্যি নয়? অস্বীকার করতে পারবেন?
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: সত্য কথা গুলো গুছিয়ে লিখেছেন আপনি। তবে সে সংসারে ছোট বোন আছে তাদের নিয়েও সমস্যা হয়।
মেয়েরা বুঝতে চায় না অবস্থার পরিবর্তনের কারনে তার সম্মোধন গুলো পরিবর্তন হয়, কখনো সে মা , কখনো সে বাড়ীর বউ আবার সে একই ব্যক্তি কখনো ভাবী, আবার এই ভাবীটাই কারো না কারো ননদ।
আর ভিন্ন দিকে ছেলেরা একটু আবেগ প্রবন সে আবার ক্ষেত্র বিশেষ মা অথবা বোন অথবা বউ এর কথিত অপমান সহ্য করতে পারে না। আর বিপত্তিটা বাধে তখনই।
যার যার আবস্থান থেকে একটু ত্যাগ স্বীকার করলেই কিন্তু।
ভাল থাকুক ব্লগ সন্ত্রাসীটা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: এ জন্যই বলেছি- মা তো মা-ই আর বউ- বউ ই! ছেলেদের এসবের ফাঁদে পড়ে খুব কেয়ারফুলি সমস্যার সমাধান করতে হবে! আর মা এবং বউ এদের দুজনের-ই মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতাটা জরুরি!
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
সোহানী বলেছেন: হাঁ ঠিক.. সহমত। যার যার জায়গা থেকেই সন্মান পাওয়ার যোগ্য। মা-বউ সম্পূর্ন আলাদা স্বত্বা... কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়। কিন্তু সমাজই তাদের মুখোমুখি দাড়ঁ করিয়ে দিয়েছে...
একজন ছেলে যদি দু'জনকে সম্পূর্ন আলাদা স্বত্বা হিসেবে দেখে তাহলে কখনই কনফ্লিক্ট হবে না। যার যার সন্মান সাথে একটু সেক্রিফইস... জীবনটা সত্যিই দ্যুতিময় হয়ে উঠবে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু আপু! অনেকে এটাই স্বীকার করতে চায় না! মা তো মা-ই আর বউ- বউ ই! দুটো আলাদা সত্ত্বা ! আর মা এবং বউদের ও মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা থাকা চাই! অনেক ধন্যবাদ আপু! ভাল থাকবেন!
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২২
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: সবটুকুর সাথে একমত না হতে পারলাম না তবু ো ভাল লাগল,,,,
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু বুঝলাম! ধন্যবাদ !
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
লুলুপাগলা বলেছেন: তবে কি বউ ভক্ত হওয়া উচিৎ?
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: অবশ্যই নয়! ভাল করে পড়ে দেখুন কি বলতে চেয়েছি?
৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
ভালো লিখেছেন ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া! ভাল থাকবেন!
৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১
ভূবন ডাঙ্গার হাসি বলেছেন: ভক্ত শব্দচয়ন টা মনে হয় যথার্থ নয়। বরং এই রকম বলা যায় যে, সংসার জীবনে পুরুষদের খুব বেশী ব্যালেন্স করে চলতে হয়। যিনি যত বেশী পারফেক্ট অভিনয় করতে পারবে তিনিই মি: পারফেক্ট। বাকীসব যদু, মধু, কদু কিংবা আপনার ভাষায় ভক্ত। কিন্তু এটাও সত্য সংসার মানেই তো অভিনয়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু অভিনয়ের জায়গাটাতেও পারফেক্ট হতে হবে! ভক্ত এ কারনেই বলেছি, তারা সেভাবে চলে বিধায়! বক্তব্য আসলে- মা কে মায়ের জায়গায় রাখুন, বউ কে বউ এর জায়গায়! আর মা এবং বউ এর ও চাই মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা !
৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৪
পড়শী বলেছেন: বউ বউ এর জায়গায়ঃ
বউঃ তোমার মা, একটা ক্ষ্যাত মহিলা। আমাকে শেখায় কিভাবে চলাফেরা করতে হবে। নিজে একটা গেঁয়ো, আমারে শেখাতে আসে।
মা মায়ের জায়গায়ঃ
তর বউ রে একটু আদব-কায়দা ঠিকমত শেখাস। মাথায় কাপড় দিতে কইলে মারতে আসে। সংসার তো আমরাও কইরা আইছি। এরকম বেহায়াপনা জীবনেও দেখিনাই।
মা পুরনো দিনের মানুষ। চায় বউ সারাদিন মাথায় কাপড় দিয়ে থাকবে। ভোরে উঠে ছেলের নাস্তা বানিয়ে দিবে। ছেলে ঘরে ফিরে আসলে তাকে যত্ন করবে ঠিকমত, ইত্যাদি।
বউ আধুনিক মেয়ে। সে জানে, ছেলে-মেয়ে সমান অধিকার। মাথায় কাপড় দেয়া মানে মেয়েদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা। এটা কিছুতেই মানা যাবেনা। সে ঘুমিয়ে থাকবে ইচ্ছে মত, স্বামী নিজে উঠে নাস্তা বানিয়ে খেয়ে অফিসে চলে যাবে। ইত্যাদি ইত্যাদি।
দুইজন কে স্ব স্ব স্থানে রাখলে, এই কনফ্লিক্ট সমাধান হবে কি ভাবে। আপনি সংসারের এই কনফ্লিক্ট টা বাস্তবতার নিরীখে মিটিয়ে দিন। তত্ত্ব কথা দিয়ে বুঝাবেন না, প্লীজ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: দুজনকে দুজনের অবস্থান বিবেচনা করে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে বলেছি ছেলে/ স্বামীকে ! আর বউ এবং মা কে দুজনের-ই তো উচিত একটু মানিয়ে নেয়া! এই মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা তাদের থাকেনা বলেই কিন্তু প্রব হয়, আর সেক্ষেত্রে ছেলে যদি হয় মা ভক্ত বা বউ ভক্ত তাহলে তো কথাই নেই! একজন সাপোর্ট পাবে অন্যজন কষ্ট পাবে! এ ধরনের পরিবেশে, পরিস্থিতি আর দুজনের আলাদা একটা অবস্থান বিবেচনা করে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসা কঠিন হলেও চেষ্টা কয়জনে করে বলেন তো?
১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
ভিটামিন সি বলেছেন: আমি সোহানী আপুর সাথে সহমত।
মা এবং বউ দুই ভিন্ন নারী, দুইজন দুই মায়ের গর্ভের, দুই ভিন্ন পরিবেশ-পরিস্থিতি পেরিয়ে আসা, একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, অন্যজন অভিজ্ঞতা বিহীন। এজন আলতা, স্নো, পাউডার, লিপস্টিক, মেকআপ মাখে আর অন্যজন ব্যবহার করে সরিষার তেল বা বড়জোড় ভ্যাসেলিন। একজনের চুল সাদা, আর একজনের চুল কালো। তাইলে কন কেমনে এই দুই নারী একই সিদ্ধান্তে ঠিক থাকবে। আর তখন ছেলে/স্বামী কি করতে পারবে? এই রকম তেলে-বেগুরে পরিস্থিতিতে সত্য উদঘাটন করতে যাওয়া আরো বড়ো বোকামী। তাতে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়। তারচেয়ে ভালো হৈল, "বাবা, আপসি আপনার বউ সামলান, আমি আমার বউ সামলাই"।
১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
লিখেছেন বলেছেন: I think you are absolutely carrect.
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
সজীব বলেছেন: