![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জানি চান্দু, আমার চিঠি না পরে তুই ঘুমাবি না...
কিন্তু কেন যেন এবার ইচ্ছে করছে তোকে এই চিঠি পড়তে দিবো না... কেন যে এত রাগ উঠছে, জানি না...!
যদিও আমি জানি আমার থেকে তোর মন খারাপ বেশি... আর তোকে দুঃখী আমি দেখতে পারি না...!
যাক, কি করছিস বল তো? চুপ চাপ বসে আছিস... হু? না কি কিছু ভাবছিস?
অই থাক থাক বাদ দিলাম... দেখ তুই এই চিঠি, জানি উত্তর পাবো না,
আর উত্তর আসলেও আসবে দুই লাইনের- “ আমি যদি আজ থাকতাম অইখানে তাহলে তোকে নিয়ে আজ-ই...”
হাহ্ আমি বুঝি এসব মন ভোলানো কথা...! তুই তো আছিস -ই আজ এখানে...
বলযে কথাটা বলেছিস তা করে দেখানোর সাহস তোর আছে? তোর সময় কই আমাকে ভালোবাসার...?
তুই নিজেকেই না কি এখন বেশি ভালোবাসিস...! ধ্যাত যত ভাবছি কিছু বলবো না তত কি সব লিখছি...!
বাদ দিলাম... এবার আমাদের একটা ঈদ... অনেক বেশি আনন্দের আবার অনেক বেশিদুঃখের ...
হয়ত তোর কাছে না... কিন্তু আমার কাছে অনেক কষ্টের ... অইঅই থাক এসব...
শোন, অই দেখ তোর বিছানার পাশে সাদা পাঞ্জাবিটা/ পাজামা সহ,সাথে আছে নীল ওড়নাটা,
এবার নীল দিলাম, কেন দিলাম জানি না, আর টিশার্ট/ প্যান্ট,তোর পছন্দের পারফিউম...
ওয়ালেট/ ঘড়ি সব রেখে দিয়েছি! সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে পাজামা/ পাঞ্জাবি পড়ে নামায পড়তে যাবি কেমন?
আজ তোর মন খারাপ থাকবে না, আজ তুই সবার সাথে আছিস... তোর প্রিয়জনদের সাথে আছিস, আমি নেই তো কি হয়েছে... !
শোন, নামায পড়ে তাড়াতাড়ি বাসায় আসিস, আমি অপেক্ষায় থাকবো, তোকে সালাম করবো, সালামী নেবো...হু!
জানি তো কিপ্টার কিপটা, সালামী দেবার বেলায় তুই ২ টাকাই দিবি,
মনে রাখিস আমিও তোকে সালাম করতে গিয়ে খামচামী করতে ছাড়বো না হু...!
এমন জোড়ে চিমটি দেবো পায়ে যে তুই চিল্লিয়ে পাড়া মাত করবি...
এরপর কোলাকুলি করবো, তোর বুকের সাথে লেপ্টে গিয়ে অনুভব করবো- “তুই আমার পাগলা” !
আমি জানি তুই তখন ছাড়তে চাইবি না, প্রতিশোধের নেশা থাকবে তোর দু’চোখে,
হাহহহা কিন্তু আমি তোকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবোবিছানায়... এরপর দৌড়ে পালাবো রান্নাঘরে...!
তোর জন্য রান্না করেছি কত কিছু, সবটেবিলে এনে নিজ হাতে খাইয়ে দেবো...
আমি জানি টপ টপ করে তোর চোখের জল পড়ছে, মনে মনে বলছিস-“হারামীটা এত ভালোবাসিস কেন আমাকে”?
... অঅই চোখের পানি বন্ধ কর, নে এবার খা, খেয়ে দেখ তোর চাদনী কেমন রান্না করেছে...
অই শোন আঙ্গুলে কামড় দিলে কিন্তু ঈদের দিন ও তোকে জুতা দিয়ে পিটাইতে ছাড়বোনা হু... !
অই অই অনেক খাইছিস... এবার আমার গিফট দে বদের ডিব্বা...! আমার চুড়ি/ পায়েল কই রে...?
এগুলো তো কাল রাতেই দেয়ার কথা ছিলো... দিস নাই...
খুব ঢং করে বলেছিলি নিজ হাতে পড়িয়ে দিবি... দেখেছিস আমার হাত পা একদম খালি...!
হইছে হইছে ভুলে গেলে ভুলে যা...ঈদের দিন বলে তোকে ছাইড়া দিলাম হু...
এখন মুখটা হুতুম পেঁচার মত করে না থেকে চলঘুরতে যাবো...
শোন, তুই মেহমান তাই তো তোকে আমাকেই ঘুরাতে হবে, আমি চকচকে টাকা পার্সে রেখেছি... তুই ছিনতাই করে করে সব বিল দিস কেমন...! রিকশা থেকে নেমে রিকশাওয়ালা মামাকে বেশি টাকা দিস বকশিস হিসেবে... অই অই মেলায় যাবো কিন্তু আর আমি চরকিতে উঠবো... জানি তুই চিল্লাবি... আমি শুনবো না তোকে ধরে জোড় করে উঠাবো... এরপর চরকি যখন ঘুরবে আমি আরো জোড়ে হ্যাইয়ো বলে চিল্লাবো...হিহিহি জানি তুই অদ্ভুদ মুগ্ধতায় অবাক হবি... চরকি থেকে নেমেই আইস্ক্রিম খাবো... আইস্ক্রিম সাথে নিয়ে রিকশায় উঠবো... একটু খেয়েই চুপিসারে এক আঙ্গুলে আইস্ক্রিম নিয়ে তোর নাকে ঘষে দিবো... তুই রাস্তায় চিল্লাতে পারবি না... সেই সুযোগটাই নেবো যেভাবে তুই নিস... হিহিহি! কি খাবি রে...? উহু আজ বাইরের কিছু খাবো না... আজ তো বাড়ীতেই আমি রেঁধেছি তোর জন্য... তুই সেগুলো খাবি... আমি পাশে বসে অবাক হয়ে তোর খাওয়া দেখবো... মাঝে মাঝে তুই আমাকে খাইয়ে দিবি... চোখের পানি চোখেআটকে রেখে আমি সেই খাবার মুখে নেবো... !
শোন বাইরে থেকে ফেরার পর ওড়নাটা আমাকে দিয়ে দিস রে... জানিস তোওটাতে
“ তুইতুই”গন্ধ আছে ... আর একবার আমাকে বুকে জড়িয়ে নিস... আমি অনুভব করবো- তুই আমার...!
জানিস জানিস... ভিষন ইচ্ছে করছে তোকে একটু ছুঁয়ে দিতে... কতটা অভাগী রে... এত কাছে তুই তবু একটিবার তোকে ছুঁয়ে দেয়া হলো না... এই একটা ঈদ তো এমনও হতে পারতো... সারপ্রাইজ হিসেবে চাঁদ রাতের ভোরে তোর ফোন- “ অই অই হারমী কুত্তি আমি তোর শহরে... কোথায় লুকিয়ে আছিস, বাড়ীর ঠিকানা বল, আমি আসছি...”! ... দেখ তো আমি কতটা পাগল... কি সব ভাবছি... আরে বুদ্ধু তুই যাদের সাথে আছিস তাদের অধিকার আগে... তারপর আমি... তাদের সাথে ঈদ করা বাদ দিয়ে আমি কখনোই বলতে পারি না আমার সাথে ঈদ কর... !
আরে আমার জন্য তো এই কল্পনা কল্পনা খেলাটাই অনেক...তুই শুধু সাথে থাক... খেলাটা খেল তাহলেই হবে... !
ভালো থাকিস আমার বিলুইটা...
হাম্বা মোবারক...!
বেশি বেশি হাম্বার গোশত খাস না যেন আবার,
তখন ডায়রিয়া হলে আমাকেই সেবা করতে হবে তোর... আমি পারুম না হু...হিহিহি!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হিহিহি চান্দু তো সব ভুলে যায়... সকালের কথা বিকেলে ভুলে যায়... ! তাই ঠিকানার কথা যে আবার জানতে চাইবে... একারনেই বলা...
আর চরকি... উফস... মেলায় গেলে চরকি না চড়ে আমি বাসায় আসি না... খুক খক
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬
নিউ মার্কেট বলেছেন: আসলেই, কল্পনা করতে অনেক ভাল লাগে। তবে মাঝেমাঝে সেটাও আতঙ্কের হয়ে যায়।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু... ভাই! ভালো থাকবেন!
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১০
বিষাক্ত প্রলোভন বলেছেন: মেয়েটা অনেক চঞ্চল প্রকৃতির তবে, অনেক ভালবাসা জানে। পৃথিবীর সব ছেলেরাই এমন একটা মেয়ের স্বপ্ন দেখে, দেখতে পছন্দ করে।।
লিখাটা অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে ঈপ্সিতা আপু…!!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাম্বাবাদ... থুক্কু ধন্যবাদ ... ! হু ঠিক বলেছেন! ভালো থাকবেন!
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭
আবু শাকিল বলেছেন: আমি এইরকম একটা মেয়ের দুঃস্বপ্ন দেখি
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: খুক খুক... তাই না কি ভাইয়া?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
শায়মা বলেছেন: হায় হায় সে তোমার বাড়ির ঠিকানাই জানেনা!!!!!!!!!!!
কি বললে ইপ্সিমনি!!!!!!!!!
যাইহোক চরকির কথা বলাতে একটা কথা মনে পড়লো, জীবনে একবার আমি চরকিতে চড়েছিলাম এক মেলায়!!! চরকি ঘুরতেই আমি মৃত্যুবরণ করেছিলাম আবার চরকি থামার পরে অনেক কষ্টে জ্ঞান ফিরিয়েছি!